জেনারেল রাইটিং: হতাশ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ৭ ই মে ২০২৪ ইং
হতাশ রোগ বর্তমান সময়ে প্রায় যুবকের মধ্যে দেখা দিয়েছে। বর্তমান সময়ে এই হতাশার কারণে অনেক যুবক ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হতাশ কোন সাধারণ বিষয় নয়। এই বিষয়ে একটু চিন্তা করলেই এর সকল তথ্য বের হয়ে আসবে।ধরে নেয়া এবং অতিরিক্ত আশা করা হলো হতাশার মূল কারণ। হতাশা কখনো আপনাআপনি চলে আসে না।যখন আমরা কোন বিষয়ের উপর অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ি, কিন্তু অবশেষে আমরা যখন সেই বিষয় থেকে কাঙ্ক্ষিত মানের একটি ফলাফল লাভ করতে পারি না, তখন আমরা অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে যাই এবং হতাশায় ভোগে থাকি। আবার এই অতিরিক্ত হতাশা মানুষ কে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আমরা যদি আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করি তাহলে বিষয়টি আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবো। আমাদের দেশে যখন কোন ছেলে মেয়েরা ভালো ভাবে মন দিয়ে পড়াশোনা শেষ করে যখন কোন চাকরিতে আবেদন করে তখন মূলত একটি চাকরির জন্যই আবেদন করে। আবার যখন সেই চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে উপযুক্ত ফলাফল লাভ করতে পারে না, তখন সে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ে এবং হতাশায় ভোগে। একজন ছেলে মেয়ে মূলত শুধু মাত্র একটি চাকরি অথবা নিজের ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মন দিয়ে পড়াশোনা করে থাকে। যখন সে সেই কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে না, তখন অনেকেই এই স্বার্থের দুনিয়া ত্যাগ করে।
আমার মতে, আমাদের যুব সমাজ কে পড়া লেখা করার পাশাপাশি তাকে তার জীবন পরিচালনা করার জন্য বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেননা বর্তমান সময়ে পড়ালেখা করে চাকরি নেয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।পড়া শোনা করার পাশাপাশি পার্ট টাইম কোন ধরনের চাকরি কিংবা টিউশনি করতে পারলে তার জীবন অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু শুধু মাত্র পড়া শোনা করে চাকরির পিছনে ছোটাছুটি করার পর চাকরি না পেলে জীবন অনেক টা কঠিন হয়ে পড়বে, আর বিশেষ করে হতাশা নামক রোগের মধ্যে ভুগতে হবে। জীবন সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে হলে সব সময় ব্যাক আপ হিসাবে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
আবার বর্তমান সময়ে কিছু কিছু ছেলে মেয়ে প্রেম ভালোবাসার মধ্যে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে এটি একটি প্রচলিত রিলেটিভ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ছেলে মেয়েরা বেশ কিছু দিন প্রেম ভালোবাসার মধ্যে লিপ্ত থাকার পর যখন তারা বিবাহ বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বাসায় বলে, তখন বাসা থেকে বিবাহ বন্ধনের কথা প্রত্যাখান করে দেয়। এতে করে ছেলে মেয়ে উভয়েই অনেক বেশি হতাশার মধ্যে পড়ে যায়। এর ফলে আবার অনেক ছেলে মেয়েরা এক সাথে মিলিত হয়ে আত্মহত্যা করে। আসলে এটা মোটেও কাম্য নয় তাদের জন্য।তারা চাইলে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে পারতো।
শেষ কথা, আসলে আমাদের সব সময় বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।আর বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারলেই জীবনে কখনো হতাশা নামক কোন রোগ আমাদের কে আক্রমণ করতে পারবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, জীবনে কখনো কোন বিষয়ের উপর অতিরিক্ত আশা করা যাবে না। অতিরিক্ত আশা আমাদের জীবনে অনেক কিছু সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়। সাধারণ অর্থে বলা যেতে পারে, হতাশার মূল কারণ হলো কোন বিষয়ের উপর অতিরিক্ত আশা করা। হতাশা জনক ব্যক্তি চাইলে আবার নতুন করে জীবন গড়তে পারে না। হতাশা জনক ব্যক্তি কে তাদের স্বাভাবিক জীবনের মধ্যে ফিরে আসতে অনেক টা কষ্টকর হয়ে উঠে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিটা মানুষের জীবনে হতাশা চলে আসে । যে কোন বিষয়ে সফলতা না পেলে তখনই হতাশার মধ্যে ডুবে যায় ।আসলে জীবনে এই হতাশা দূর করতে হলে নিজের ধৈর্যশীল হতে হবে। অনেক মানুষ আছে যাদের হতাশার কারণে জীবনের অনেক সফলতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে । আজকে দারুন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভালো লাগলো পড়ে।
যখন কোন মানুষ অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়ার পর যখন সে তার মতো করে সেই কাঙ্খিত জিনিস গুলো পায় না তখন সে অনেক বেশি ভেঙ্গে পড়ে যায়, এবং এক সময় সে হতাশা নামক রোগের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে যায়।
এটা ঠিক বলেছেন, আমরা যদি কোন বিষয় একেবারে আগে থেকেই ধরে রাখি এমনকি কোন বিষয়ে আসক্তি হয়ে পড়ি, তখন দেখা যায় যে সেটাই আমাদেরকে হতাশায় পড়তে হয়। বিশেষ করে, আমরা পড়ালেখা শেষ করে একটা চাকরি পাবো এটাও অনেকে দেখা যায় আশা করে থাকে। আসলে আমি মনে করি এখন কোন কিছুই স্থায়ী নয়। আর কোন কিছুতে আশা করলে দেখা যায় সেটা আরো বেশি নিরাশ হতে হয়। আপনার আজকের লেখাটা পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। একদম বাস্তবের একটা বিষয় তুলে ধরলেন।
বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যখন লেখা পড়া শেষ করে চাকরির পিছনে ছোটাছুটি করার পর যখন তারা কোন ধরনের চাকরি খুঁজে পায় না তখন তারা অনেক টা হতাশার মধ্যে ভোগে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই হতাশ এখন আপনা আপনি আসে না। কিছুদিন যেকোনো কাজ করার পরেই হতাশা খুব সহজেই চলে আসে। বর্তমানে প্রায় যুবকের মাঝেই হতাশা রোগটি রয়েছে। যার কারণে সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। যদি হতাশাকে পিছনে ফেলে চেষ্টা কে সামনের দিকে নেওয়া যায় তাহলে সফল হওয়া যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে ভাই।
হতাশা আসার অনেক কারণ রয়েছে। হতাশা আপনাআপনি চলে আসে না। বর্তমান সময়ে যুবকদের মাঝে হতাশা নামক রোগটি ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে।
কিছু করার নেই ভাই বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় এরকমই হয়ে গেছে। সত্যি বলতে আমি এই শিক্ষাব্যবস্থা সিস্টেম টা যেদিন থেকে বুঝতে পেরেছি সেদিন থেকে পড়াশোনার চেয়ে নিজের স্কিল ডেভলপ করতে বেশি সময় দেই । কারণ এই যে ১৪-১৫ বছর পড়াশোনা করে লাইফে তেমন বড় কিছু করার চান্স খুবই কম তার উপরে প্রতিযোগিতা অধিক। যাইহোক ভাই নিজের জীবনটাকে নিতে হবে এবং হতাশা জীবনে আসবেই এটা কে প্রতিরোধ করতে হবে।
আপনি একদম ঠিক কাজ করেছেন ভাইয়া। আসলে আমাদের সকলের উচিত লেখাপড়া করার পাশাপাশি নিজের জীবন পরিচালনা করার জন্য বিকল্প কোন পদ্মতি অবলম্বন করা।
একজন মানুষের জীবনে হতাশা খুবই খারাপ একটি জিনিস। যখন আমরা আমাদের জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারি হতাশা আমাদেরকে ঘিরে ধরে। এই হতাশা থেকে বিরত থাকার জন্য আমাদেরকে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যা আমি আপনার মতামতের সাথে একমত পোষণ করলাম। কারণ শুধু পড়ালেখা করে যে চাকরি করবো সে আশায় বসে না থেকে পাশাপাশি কিছু করতে হবে। তাহলেই একটিকে নিজেকে বিজি রাখা যাবে অন্যদিকে নিজের চাহিদাগুলো মিটে যাবে বাড়তি ইনকাম দিয়ে। আপনার লেখাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আমাদের জীবনে হতাশা আসার অনেক ধরনের কারণ রয়েছে। তবে সেই হতাশার সম্মুখীন হয়ে কখনো ভেঙে পড়া উচিত নয়৷ সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত৷ যদি কখনো আমাদের কোন সমস্যা হয় তাও কোনভাবেই তাদের ভেঙে পড়া উচিত নয়৷ যদিও আমাদেরকে অনেক কারণেই হতাশ হতে হয় এবং সে হতাশা নিয়ে যদি আমরা বসে থাকি তাহলে আমাদের জীবনের চাকা কখনো সামনে এগোবে না৷