গরমে ভোগান্তি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।ভালো আছেন।প্রতিদিনকার মতো আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।
সারাদেশে এত বেশি গরম পড়েছে গরমের কারণে মানুষের বেঁচে থাকায় এখন দায় হয়ে গেছে। আমরা যারা ঘরে থাকি তারা হয়তো বুঝতে পারি না কিন্তু যারা বাইরে কাজ করে তাদের কথা মনে হলে এত বেশি খারাপ লাগে। কিছুক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন শরীর জ্বালা করতে থাকে। এই তীব্র তাপদাহ এর কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। যেমন লোডশেডিং হচ্ছে তেমন মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ছোট বাচ্চা দিয়ে ভরে গেছে এত গরম সহ্য করতে পারেনা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম এজন্য তাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই গরমে শত চেষ্টা করেও যেন ভালো থাকা যায় না।
আমার ছেলে শানিত গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েছে।সকাল ঘুম থেকে উঠার পর থেকে দেখছিলাম একটু শরীর গরম। তারপর থেকে বেশ জ্বর চলে এসেছে। বাচ্চারা অসুস্থ হলে তো আরো বেশি খারাপ লাগে ওদের সমস্যার কথা পুরোপুরি ওরা বলতেও পারে না আবার ওদের কোন ডিসিশনে নেওয়া যায় না। কোথা থেকে কি হয়ে যায় বলা মুশকিল। ওর প্রথম এবার জ্বর এসেছে। আমার অনেক মনটা খারাপ হয়ে গেছে। ছেলেটা আর হাসছে না। সারাটা দিন মুখ গোমড়া করে থাকে। শত চেষ্টার পরেও ওকে হাসাতে পারছি না। আমরা যেখানে থাকি সেখানে এক হোমিও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় যে কোন ছোটখাটো সমস্যা হলে ওই ডাক্তারের চিকিৎসায় ভালো হয়েছে।
তাই এবারও চেষ্টা করেছি ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্যই। ডাক্তার সন্ধ্যা বেলা বসে তাই সন্ধ্যার আগে থেকেই শানিতকে উনার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি করে রেখেছিলাম। শানিতের সঙ্গে ওর বাবা আর আমি তিনজন মিলে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। সেখানে গিয়ে দেখি আরেক বিপত্তি। আমাদের গোবিন্দগঞ্জের রাস্তার জন্য সমস্ত কিছু ভেঙে ফেলেছে ডাক্তার আগে যেখানে বসত সেই দোকানটা সহ পুরোটাই নিয়ে ফেলেছে। খোঁজ নিয়ে ডাক্তার আবার নতুন একটা জায়গায় বসে সেখানে চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে দেখি ডাক্তার সাহেবের সহকারী আছেন ডাক্তার সাহেব নেই।উনি একটা কাজে বাইরে গেছেন আমার কাছে ডাক্তার সাহেবের ফোন নাম্বার ছিল তাকে ফোন দেওয়া হলো তিনি বললেন আধা ঘণ্টা পরে আসবেন। আধা ঘন্টার জায়গায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করলাম কিন্তু ডাক্তারের দেখা পেলাম না তিনি আটকে গেছেন তাকে আমি আবারো ফোন দিলে তিনি বললেন আগামীকাল আসার জন্য। কি আর করার অবশেষে ফিরে আসতে হল। রাতে আসার পরে শানিতের জ্বরটা অনেকটা কমে গেছে। এটা একটু স্বস্তির কারণ। তবে আজ আবারও নিয়ে যেতে হবে কারণ ওর অনেকটা সর্দি লেগেছে।
সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গরমের মধ্যে ছোট বাচ্চারা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আপনার ছেলে অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও ডাক্তারের দেখা পাননি। তবে রাতে কিছুটা জ্বর কমেছে এটা আসলেই স্বস্তির।
আপনাদের দোয়ায় তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে আশা করি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম থাকার কারণে গরমের মধ্যে তারা খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে যায়। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন আপনার ছেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। অনেক এলাকাতে বৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত আমরা স্বস্তির বৃষ্টি দেখা পেলাম না।
আমাদের এলাকাতেও এখনও বৃষ্টি হয় নি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই শানিতের জন্য অনেক অনেক দোয়া যেন খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠে৷ আসলেই ছোট বাবুদের শরীর খারাপ করলে ওরা তো মুখ ফুটে ঠিকভাবে ওদের অসুবিধা গুলো বলতে পারে না, তাই খারাপ লাগে আরো বেশি। আজ যেহেতু জ্বর একটু কমেছে, দোয়া করি ঠান্ডা সর্দি টাও কমে যাবে। দোয়া রইলো আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু। শানিত এবার সবার দোয়ায় তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠবে আশা করি।
এই গরমে সব থেকে বেশি অসুস্থ হচ্ছে বাচ্চারা। আমাদের দিকে ছোট ছোট বাচ্চাদের গরমের ফসকা ফুটতেছে। এ বিষয়টা খুবই খারাপ একটি দিক।তাছাড়া গরমের ঘামাচি তো আছেই। আপনার ছেলের জ্বর যেহেতু কমে গেছে,সেহেতু ঠান্ডার জন্য ওষুধ খাওয়াবেন। বাচ্চাদের কোন রোগে অবহেলা করতে নেই। আশা করি এবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার আছে কিনা ফোন করে কনফার্ম করে যাবেন।ধন্যবাদ।
আজ কনফার্ম হয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার ঔষধ দিয়েছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই গরমে প্রত্যেকেই অনেকটা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছে বাচ্চারা। বাচ্চাদের অসুস্থতার অনেক কারণ রয়েছে। তারা সহজেই অসুস্থ হয়ে যায় এবং এই অসুস্থতা যেন কারো পিছু ছাড়ছে না৷ আর আপনার ছেলের জ্বর কমে গিয়েছে এটাই অনেক । তারপরেও সব সময় সতর্ক থাকা উচিত।
এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।