খেটে খাওয়া ট্রিট শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনকার মতো আজ আমি আবারো নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গতকালকের পোস্টে আমি আমাদের খিচুরি পার্টির অর্ধেক অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আর কথা পেয়েছিলাম সেই বাকি গল্প আজ শেয়ার করব।তাই আজ আপনাদের সাথে বাকিটুকু শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি। গতদিন আমি বলেছিলাম হাড়ি নিয়ে একটা বিপত্তি হয়েছে। বেশি মানুষের রান্নার জন্য যে হাড়ি প্রয়োজন সেই হাড়ি বাসায় আমাদের ছিল না।পরের বৃত্ত ওদের বাড়ি থেকে আমাদেরকে হাড়ি ম্যানেজ করে দিয়েছে। বেশ বড়সড়ো ছিল হাড়ি। পরে খিচুড়ি রান্নার পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে আমার উপর ।
প্রায় তিন কেজি চালের খিচুড়ি রান্না করতে হবে এজন্য আমি একটু ভয় পাচ্ছিলাম। এতোগুলে চালের খিচুড়ি আমি এর আগে কখনো রান্না করিনি। রমজান মাসে তো লবণ ঝাল টেস্ট করা যায় না তাই বোঝার উপায় নেই যে কেমন হলো সব কিছু। রান্না যেহেতু করতেই হবে তাই আর অজুহাত দেখে লাভ নেই ভেবে সাহস করে তো খিচুড়ি রান্না শুরু করে দিয়েছিলাম ঐশী আর অর্থী রান্নায় হেল্প করছিল। সবকিছু মশলা বুঝে শুনে দিলাম। এবার যাই হোক খিচুড়িটা একেবারে খারাপ হয় নি। মোটামুটি ভালই লেগেছে আমার কাছে সবাই বলেছে সবার কাছে ভালো লেগেছে।
খিচুড়ি রান্না শেষের দিকে এলে অর্থী আমাদের জন্য সালাদের ব্যবস্থা করে। এভাবে কুচি করে টমেটো শসা দিয়ে সালাদ আমার খুবই পছন্দের। খিচুড়ির সাথে আমার এরকম সালাদ না হলে একদমই ভালো লাগেনা। যখনই খিচুড়ি খাই তখনই এভাবে সালাদ বানিয়ে খাই।
সবকিছু রেডি হয়ে গেছে এবার খেতে বসার করাও পালা। যেহেতু আমরা অনেক জন এই জন্য সবাই ফ্লোরে বসেচি।এভাবে বসে খাওয়ার মত আলাদা। হীরা ভাবী আমাদের সকলের জন্য খিচুড়ির পাতিল থেকে নামিয়ে নিয়েছে। খিচুরি,মাংস সাথে সালাদ আর কি চাই।সবাই বসে অনেক রকম ছবি তোলা হলো। কিন্তু আমি তো রোজা ছিলাম আমি খুব খেতে খিদে পেয়েছিল তাই আমি অনেকগুলো খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছি। অনেকগুলো খিচুড়ি বেচে গিয়েছে।
খিচুড়ি মাংস মাংস সবকিছু অনেক ভালো লেগেছে। খিচুড়ি খাওয়া শেষে আবার দেখি খিচুরি হজম করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মানে কোক আনা হয়েছে একটা ঠান্ডা একটা নরমাল। কোক দেখলে আমার জাহিরা বেবি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়ে যায়। এরপর খুব খাওয়া-দাওয়া শেষে আরো অনেক গল্প হচ্ছিল। গল্প যে৷ শেষে হচ্ছে না। কিন্তু তারপর সবাই সবার কাজে যেতে হবে। বিশেষ করে শুভ ভাই কাজ পাগল মানুাষ কাজ পাগল মানুষ কাজ করতে বেশি পছন্দ করে। শেষে হীরা ভাবিকে নিয়ে চলে গেছে । আর আমিও বাসায় চলে এসেছি। ানেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। অনেক বেশি মিস করবো এই সময় গুলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খিচুড়ি মাংস এবং সালাদ সব মিলিয়ে ভালোই আয়োজন ছিল আপনাদের। আবার শেষে কোকও খেলেন। আপনাদের আয়োজন গুলো দেখে ভালো লাগলো। সবাই মিলে এরকম সময় গুলো কাটানোর মজাটাই আলাদা। ভালো লাগলো আপনাদের মুহূর্তগুলো দেখে।
ঠিক বলেছেন আপু এই মূহুর্তের কোন তুলনা হয় না।অনেক ধন্যবাদ আপু।
বেশি মানুষের রান্না করতে আমারও খুব ভয় লাগে। আর রোজা রেখে রান্না করলে টেনশন কাজ করে। মনে হয় যে লবণ বা মসলা কমবেশি হয়ে যাবে। যাইহোক একসাথে সবাই আড্ডা দিতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে। সবাইকে একসাথে দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছে। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।