চক্ষু হাসপাতালের শরণাপন্ন

in আমার বাংলা ব্লগ18 days ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগে সকল বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করছি। প্রতিদিনকার মতো আবারো নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের ব্লগ টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

এই তীব্র তাপদাহের কারণে মানুষের মধ্যে নানা রোগ ছড়িয়েছে। নানা অস্থিরতা বিরাজ করেছে। বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা তো সবার মাঝে লেগেই আছে।আমার এই ছোট ছেলেটা যে এতটা অসুস্হ হবে বুঝতে পারেনি। এত ছোট ছেলেকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে কল্পনাতেও আসেনি। এই তীব্র তাপদাহ এর মধ্যে আমার ছেলেটার জ্বর হয়েছিল। আমি অসুস্থ হয়েছিলাম একটু ভালো হতে না হতেই দেখি চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম অল্প সমস্যা হয়তো দুই এক দিনে সেরে যাবে এজন্য হোমিও চিকিৎসা করছিলাম।

কিন্তু দুদিন পরে দেখলাম চোখ অনেকটা ফুলে গেছে লাল হয়ে গেছে আর ঘুমালে চোখ বন্ধ হয়ে যায় ময়লার জন্য খুলতে পারে না। তখন তো অনেক ভয় লেগে গেল। তখন চোখের ডাক্তারের খোঁজ করতে থাকলাম। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আমাদের বাসা ঠিক আছে একটা চক্ষু হাসপাতাল আছে। যেখানে ভালো ডক্টর আছে।এখন তো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেও ভয় লাগে আমাদের দেশের চিকিৎসার ব্যবস্থা এমন কোথায় গেলে ভালো চিকিৎসা পাব কোথায় গেলে আবার না জানি কোন ভুল চিকিৎসা শিকার হতে হয়।

সেদিন আমার মেয়ের শেষ পরীক্ষা ছিল পরীক্ষা দিয়ে নিয়ে এসে আমার ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে যাব। তখন আবার চিন্তা করে দেখলাম আমার শাশুড়ীর ও চোখের চশমার পাওয়ার চেঞ্জ করাতে হবে, ভাবলাম তাহলে দুজনকে নিয়ে বের যাই।আর কিছু না ভেবে একসাথে দুইজনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।আমার বাসা থেকে এত কাছে হাসপাতালটা আমি কখনো খেয়াল করিনি। হাসপাতালে গিয়ে এত ভাল লাগল হাসপাতালে অনেক সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সকল স্টাফদের ব্যবহার ও অনেক ভালো। আমার ছেলে আর আমার শাশুড়ির জন্য দুইটা টিকিট কেটে নিয়েছি। সেই রকম রোগীর ভিড় না থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের সিরিয়াল চলে আসে ডাক্তারের কাছে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ঢুকে যাই। আর আমার শাশুড়ি অন্য কাউন্টারে তার চোখের চশমা চেঞ্জ করার জন্য ঢুকে যায়। ডাক্তার আমার ছেলে চোখ দেখে বললেন চোখে ইনফেকশন হয়েছে। যেটা সারতে সময় লাগবে মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। আমি তো অনেক ভয় পেয়েছিলাম এত ছোট মানুষের চোখের মত একটা সেন্সিটিভ অরগানে ইনফেকশন। পরে ডাক্তার বললেন ভয় পাওয়ার তেমন কিছু নেই বাচ্চাদের এসব ইনফেকশন হয়ে থাকে ব্যায়াম চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে সেরে যাবে। শুনে অনেকটা স্বস্তি পেলাম। হাসপাতালের ভেতরে ফার্মাসি থেকে চোখের ড্রপের ড্রপ কিনে নিয়েছি।

এর মধ্যেই দেখি আমার শাশুড়ি ও চশমার পাওয়ার চেঞ্জ করে। দিয়েছে। হাসপাতালের ভিতরেই আবার চশমার দোকান ছিল যার জন্য সুবিধা হয়েছে চশমা বানাতে দিয়েছি এবং চশমা বানাতে প্রায় দশ মিনিটের মত সময় নিয়েছিল। ওখানে বসে অপেক্ষা করেছিলাম ১০ মিনিটের মধ্যে চশমা নিয়ে তারপর আমরা বাসায় ফিরেছি। আবারো এক মাস পরে আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে হবে। চোখের ড্রপ ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান হয়েছে। অনেকটা নিশ্চিন্ত লাগছে ছোট মানুষ কিছু বলতেও পারে না।

সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন সবাই।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 18 days ago 

কখন যে কার কি সমস্যা সৃষ্টি হয় আপু কেউ জানে না। তবে চোখ বলে কথা। আশা করি সব সময় উনার যত্ন রাখবেন এবং দেখাশোনা করবেন। আর এদিকে নিজেদের বেশ সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে এ বিষয়ে। অনেক সময় চশমার পাওয়ারের পার্থক্যের কারণেও কিন্তু চোখের ক্ষতি হয়, সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

 17 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু অবশ্যই আপনার পরামর্শ টি মেনে চলবো।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 17 days ago 

আপনার ছেলের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল, দোয়া করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। শিশুদের অসুখ হলে ঘাবড়াতে নেই, বরং সাহস নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। ধন্যবাদ

 17 days ago 

আপনার কথাটি অবশ্যই মাথায় রাখব ভাইয়া।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি পড়ে আমার ছেলের জন্য সুস্থতা কামনা করার জন্য। অনেক ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 68779.72
ETH 3920.72
USDT 1.00
SBD 3.64