মেয়ের স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করছি।আজ আপনাদের মাঝে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমার মেয়ে জাহিরার স্কুলে বছরে চারবার করে অভিভাবক সমাবেশ হয়। এবার দ্বিতীয় অভিভাবক সমাবেশের জন্য ডাকা হয় গত শনিবার। শুক্রবারের দিন রাতে আমাদের ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয় দুপুর ২ টা থেকে অভিভাবক সমাবেশ শুরু হবে। অভিভাবক সমাবেশে যাব কিন্তু জাহিরা বাসায় ছিল না। জাহিরাও নানু বাড়িতে ছিল। এজন্য ঠিক করেছিলাম জাহিরাকে ছাড়াই আমিও শানিত মিলে যাব।
প্রত্যেকবার অভিভাবক সমাবেশে অভিভাবকদের নানা মতামত জানতে চাওয়া হয় তো এবার আমিও ঠিক করে রেখেছিলাম কি কি সমস্যার কথা বলব।আপনি দুইটার সময় ডাকলেও আমার যেতে যেতে একটু দেরি হয়ে গেছে। আমি ভেবেছিলাম দুপুর দুইটাকে আর আসবে দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে আমার যেতে যেতে আড়াইটা বেজে গেছে। গিয়ে দেখি অনেক অভিভাবক হয়ে চলে এসেছে এবং সমাবেশ অনেকটা শুরু হওয়ার মতো।
বাচ্চাকাচ্চার বাবা মায়ের সাথে এসেছে এসে তারা বাইরে খেলাধুলা করছে। অভিভাবকরা সারি করে বসেছে সামনে শিক্ষকরা বসেছেন সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।প্লে নার্সারির বাচ্চারা যেহেতু অনেক ছোট তাই তাদেরকে ও তাদের অভিভাবকদেরকে আলাদা করে ডাকা হয়। আর বড় ক্লাসের বাচ্চাদের অভিভাবক সমাবেশ অন্য দিন হয়ে গেছে।
সব অভিভাবকদের কথা শোনা হলো।শিক্ষকরা সব নোট করেছেন। অনেক সমস্যার সমাধান দিয়েছেন।বাকি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সবার কথা শুনে এটাই মনে হল এখনকার বাবা-মার আর কত সচেতন বাচ্চাদের সব কিছু এত সূক্ষভাবে খেয়াল করে যা চিন্তার বাহিরে। আমিও মা হিসেবে অনেক কিছুই শিখলাম অভিভাবক ও শিক্ষকদের থেকে।এসবের মাঝখানে আমিও আমার ছেলে কিছু ছবি তুলে নিয়েছি।শানিতকে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম পুরো সময়টা চুপ করে থাকবে কিনা।তবে খুব বেশি সমস্যা করেনি।সবার আলোচনা শেষে সবার জন্য হালকা নাশতার ব্যবস্থা ছিল।সবাই নাশতা নিয়ে বাসায় চলে যায়।
আমিও তাড়াতাড়ি চলে আসি কারণ আমার ছেলের ঘুমের সময় হয়েছিল।এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অভিভাবকদের মতামত শোনার চেষ্টা করেছে আর শিক্ষকরা সেই মতামত গুলো নোট করে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছে এটা জেনে ভালো লাগলো আপু। স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ছেলে দেখছি অনেক বড় হয়ে গেছে।