বৌদির জন্মদিন

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে আজ আমি আপনাদের সাথে আমাদের সবার প্রিয় বৌদির জন্মদিনের ব্লগ শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আমাদের সবার প্রিয় বৌদির জন্মদিন ছিল বেশ কিছু দিন আগে। তবে জন্মদিনের ব্লগটা বিভিন্ন কারণে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। আজ আমার কাছে বৌদি নেই তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। বৌদি আমাদের কে ছেড়ে বেশ কিছু দিন হলো বগুড়া চলে গেছে। আর হয়তো পাশাপাশি এভাবে একসাথে আর থাকা হবে না। এটা যে কতটা যন্ত্রণার কতটা কষ্টের তা হয়তো ভাষায় বলে বোঝাতে পারবো না। বৌদি চলে যাওয়ার পর থেকে কাজের ঠিক সেভাবে মন বসাতেও পারিনি। আজকে অনেক কষ্টে জন্মদিনের ব্লগ টা শেয়ার করছি যাতে মনটা একটু হালকা হয়।

বৌদির জন্মদিনটা বৌদি চলে যাওয়ার আগে শেষ একটা একটা সেলিব্রেশন ছিল। বৌদি চলে যাবে আর হয়তো এভাবে জন্মদিন এনিভার্সারি এভাবে পালন করা হবে না। শুধু স্মৃতিগুলো থেকে যাবে। আমাদের এখানে নতুন একটা রেস্টুরেন্টের হয়েছে সেখানে জন্মদিন পালন করার প্ল্যান করা হয় এবং জন্মদিনের দিন বৌদির মেয়েরা ঐশী অর্থী ঠিক করে যে সবাই আমরা ব্ল্যাক কালার ড্রেস পরব। সবার ব্ল্যাক কালার ড্রেস পাওয়া গেলেও শানিতকে পড়ানো যায় নি। ওর অনেক বেশি গরম লাগে তাকে ব্ল্যাক কালার ড্রেস এজন্য দেওয়া হয়নি।

শানিত অনেক ছোট তারপরেও ওকে সামলিয়ে শাড়ি পরেছি। আমার মায়ের শাড়ি অনেক দিন পর পরলাম। মায়ের শাড়ি পরলাম শাড়িটা পড়ে কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। সবাই ঝটপট রেডি হয়ে চলে যাই বন্দর ক্যাফে তে।গিয়ে বৌদিকে একের পর এক সারপ্রাইজ দেওয়া হয়। মেয়েরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানা জন্মদিনের। এরপর বৌদির মেয়েরা আর বৃত্ত মিলে জন্মদিনের স্পেশাল একটা কেক নিয়ে আসে।


রেস্টুরেন্টের দেখে খুব ভালো লাগলো নতুন রেস্টুরেন্ট সব খুব সবকিছুই খুব সুন্দর ছিল। রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে আমরা কিছু ছবি তুলি। এরপর সবাই মিলে আমরা কেক কাটি।কেক কাটার পর আমার ছেলেকে কেক নিয়ে সে কি কাড়াকাড়ি। সবার হাত থেকে কেক খাওয়ার চেষ্টা করছিল। তারপর ঐশী ওকে অল্প একটু খানি কেক দিয়েছে।

খুব বেশিক্ষণ সেখানে থাকা হয়নি কারণ আমার ছেলে গরমে অনেক অস্থির করছিল। বাকি খাওয়া দাওয়া না শেষ করে আমার ছেলেকে নিয়ে চলে আসতে হয়েছে।আমি জাহিরাকে রেখে চলে আসি জাহিরা বৌদিদের সাথে থাকে।বৌদি আমার জন্য খাবার পার্সেল করে নিয়ে আসে আর আমি বাসায় বসে বসে রেস্টুরেন্টের খাবার খুব মজা করে খেয়েছি।খাবার গুলো খুব ভালো ছিল।আর যে কথাটা বলা হয় নি আমাদের বার্থডে গার্ল কে সেদিন অনেক সুন্দর লাগছিল।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন অবশ্যই। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 61420.98
ETH 3276.21
USDT 1.00
SBD 2.47