বিশ্বাস টা করে যেনো ঠকাতে না হয় [10% beneficiary to @shy-fox]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুয়ালাইকুম,

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।

জীবনের বেশিরভাগ সহজ-সরল লোককে বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হতে হয়। প্রতারণার অপ্রীতিকর অনুভূতিটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ছেড়ে যায় না, যদি কোনও ভালোবাসার মানুষটি বিশ্বাসঘাতক হিসাবে পরিচিত হয়। সে জীবনের কোন মূল্য থাকে না। তখন বেঁচে থাকার শেষ আশাটুকু তিলে তিলে নষ্ট হয়ে যায় বিশ্বাসঘাতকতার জন্য। কোন মানুষের সবচেয়ে আপন,সবচেয়ে প্রিয় ভালবাসার মানুষটি বিশ্বাসঘাতকতা করে তখন তা সহ্য করার মতো না। তখন মনে হয় কেন পৃথিবীতে বেঁচে আছি? বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা মনে জাগেনা।

InShot_20221026_201953910.jpg

পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আছে যারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়নি।প্রতিটা মানুষ প্রতিটা ক্ষেত্রে আপন পর বলেন সবার থেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে।

উর্মি কে আমি খুব কাছের থেকে চিনি উর্মি খুব সহজ সরল একটি মেয়ে ছিলো। তার সাথে ছিল আমার গভীর সম্পর্ক।সে আমার বয়সে অনেক ছোট তারপরে খুবই গভীর সম্পর্ক ছিল
উর্মি,সজলকে মনেপ্রাণে খুব ভালোবাসতেন। উর্মি প্রচন্ড বিশ্বাস করতেন বটে সজলকে।
আর বিশ্বাস করবে না কেন।সজল আর উর্মি একই স্কুলে পড়ালেখা করতেন । তবে সজল ছিল উর্মি থেকে উপরের ক্লাসে। উর্মি যখন নবম শ্রেণীতে উঠলো।তখন সজল স্কুল পেরিয়ে কলেজে পড়ালেখা করছেন।

তবে উর্মি সাথে স্কুল জীবনের সজলের ভালো বন্ধুর সম্পর্ক ছিল।বন্ধুর সম্পর্ক থেকে আস্তে আস্তে তাদের প্রেমের সম্পর্কে পযর্ন্ত গড়াই।একজন আরেকজনকে প্রচন্ড রকমের ভালবাসতে থাকে।উর্মি সজলের প্রতি দিনে দিনে আকৃষ্ট হতে থাকে। আর সজলকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতে থাকে। সজলের সাথে উর্মির যদি একদিন দেখা না হতো। তখন উর্মি পাগলের মতো হয়ে যেত।তাদের প্রতিদিন দেখা-সাক্ষাৎ হত একে অন্যের সাথে।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সজল একদিন উর্মিকে প্রস্তাব করে তুমি আমাকে বিয়ে করবে? সে কথা শুনে উর্মি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেছে। কিন্তু উর্মি বারবার বলছে আমি তো তোমাকে এভাবে বিয়ে করতে পারবোনা। আমার পরিবারের মানুষকে জানাতে হবে । সজল তখন বলে আমার মা খুব রাগী মানুষ। আমাদের বিয়ে মেনে নেবে না চলো আমরা দুজনে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলি।

তখন উর্মি বলে সজল আচ্ছা ঠিক আছে।তোমার কথায় আমি চিন্তা করে দেখব।আমি কি করবো না কি করবো না। কথা শেষ হলে উর্মি ঘরে ফিরে যাই।সজল তার ঘরে চলে যায়। রাতে উর্মি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছে। আমার ভালোবাসার মানুষটি আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছে। এখন আমি প্রস্তাবে রাজি না হলে আমার জন্য ঠিক হবে? আমার বাবা-মাও জানবেনা ওর বাবা-মা জানবেনা। আমি কি পালিয়ে বিয়ে করে সুখে থাকতে পারবো?

এ প্রশ্ন উর্মি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল সারারাত ধরে। সকালে উঠে যখন সজলের সাথে আমার দেখা হবে।তখন সজলকে আমি কি উত্তর দিব। সারারাত উর্মি ঘুমাতে পারেনি এই চিন্তা করতে করতে। সজল সকালবেলায় উর্মির বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো। উর্মির সাথে কথা বলার জন্য। তখন সজল উর্মিকে জিজ্ঞেস করল তুমি কি চিন্তা করেছ তুমি কি আমাকে পালিয়ে বিয়ে করবা?

উর্মি ইচ্ছে না থাকা সত্বেও তখন সজলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়।বলে হ্যাঁ আমি রাজি আছি তোমাকে পালিয়ে বিয়ে করতে। সজলের প্ল্যান মত ঘর থেকে বের হয়ে গেল, মায়ের স্বর্ণালংকার নিয়ে। উর্মি তখনও জানেনা সজল তাকে নিয়ে কি করবে,তাকে নিয়ে কি বিয়ে করবে?নাকি কোথাও তাকে ছেড়ে দিয়ে আসবে সেটা সে জানে না। তবে সজলকে প্রচন্ড রকমের বিশ্বাস করত তাই উর্মি সজলের হাত ধরে ঘর থেকে পালিয়ে গেল।

সজল উর্মি নিয়ে তার এক বন্ধুর বাসায় উঠল। তখনো বারবার উর্মি সজল কে বলছে দেখো আমার বাবা মাকে বল।তোমার মাকে রাজি করো তারপরে আমাদের বিয়েটা হলে সবচেয়ে ভালো হবে। তখন সজল বলে আমি সব ঠিক করে ফেলবো তুমি চিন্তা করো না। এভাবে বলতে বলতে দু দিন পার করে দিলো। উর্মি কে বিয়ে করার কোনো চিন্তা সজলের মাথায় ছিল না।

সজলের চিন্তা ছিল উর্মিকে বিয়ে করবে না।তাকে বিক্রি করে দিবে অন্য কোন দেশে।কারণ সজল আগে থেকেই এরকম মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে তাদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্যদেশে পাচার করে দিত। সেটা উর্মি বুঝার কতটুকু বয়স হয়েছে হয়তোবা ১৫ বছর নয়তো ১৬ বছর। এ বয়সে কি সজলের অসৎ চিন্তা তার বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপারে বুঝার ক্ষমতাটা কি তার হয়েছে?

চলবে....

ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ, সবাই ভাল থাকবেন।।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

সত্যি বলেছেন আপু সবচেয়ে প্রিয় ভালবাসার মানুষটি বিশ্বাসঘাতকতা করে তখন তা সহ্য করার মতো না।সজলকে মনেপ্রাণে খুব ভালোবাসতেন উর্মি। আসলে উর্মির বুঝার মতো তেমন কোন বয়স হয়নি,সজল উর্মির সাথে ছলনা করতে পারে। সত্যিই উর্মির এই বয়সটা এমনি হয় বেশির ভাগ মানুষের । স্বর্ণালংকার নিয়ে উর্মি পালিয়ে গেল সজলের সাথে তার বন্ধুর বাসায়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

 2 years ago 

পরবর্তীপর্বের জন্য অবশ্যই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

দুনিয়ায় সব থেকে বেশি ঘৃণা করি বেইমান আর দ্বিতীয় অবস্থানেই আছে বিশ্বাসঘাতক।এদের জীবনেও ক্ষমা করতে পারব না।আর টিনএজ বাচ্চাদের এগুলা পাগলামী দেখতে দেখতে চোখ পচে যাচ্ছে।নিজেই যে কতগুলো মিমাংসা করে দিলাম তার ঠিক নেই।আপনার লেখনী অসাধারণ।গল্পের শুরু টা বেশ ভাল হয়েছে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আসলে সত্যি এই ধরনের মানুষ গুলোকে মন থেকে ঘৃণা করা উত্তম।আপনার মন্তব্য গুলো অসাধারণ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64349.87
ETH 2775.11
USDT 1.00
SBD 2.65