সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি 😋😋
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন আল্লাহর মেহেরবানীতে।আর ভালো থাকেন আমি সব সময় এই দোয়া করি।
চলে এসেছি আপনাদের মাঝে আবারও খুবই সুস্বাদু, ইউনিক এবং কচুর রেসিপি নিয়ে।আমার আজকের রেসিপি কচুর মালা বড়া রেসিপি।
কচু এবং কচু শাক আমরা প্রতিটা মানুষ এই কম বেশি খেতে পছন্দ করি।অনেকে আবার লার্জির কারণে কচু এবং কচু শাক খেতে পারে না। আমারও এলার্জির সমস্যা আছে তারপরও কচু এবং কচু শাক খেতে পছন্দ করি।আমার এলার্জির সমস্যা তারপরও ঐ চিন্তাটা করি না।আর যত দেখি রোগের কথা চিন্তা করে খাবার বাদ দিব ততই দেখি রোগ হয় তাই এখন আমি কোনো খাবার বাদ দেয় না হিহিহি । কচু এবং কচুশাকে রয়েছে প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ যা আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন প্রতিদিন না খেতে পারলেও সাপ্তাহে ১-২ বার কচু এবং কচুর শাক খাওয়া।
কচু এবং কচু শাক আমরা বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়ে থাকে, তবে এবার রমজান ঈদে আমি এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলাম তিনি কচুর মালা বড়া রেসিপি দিয়েছে যা খেয়ে সত্যিই আমি অবাক হয়ে গিয়েছি।প্রথমে বুঝতে পারি নি কচু দিয়ে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন।তাই আজকে বিকেলে নাস্তার জন্য কচুর মালা বড়া রেসিপিটি তৈরি করেছি।ভাবলাম এত সুস্বাদ এবং ইউনিক একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে কি হয়?
যাই হোক,অনেক কথা বলে ফেলেছি, তাহলে চলুন কিভাবে আমি খুবই সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপিটি তৈরি করেছি। তা আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
কচুর মালা বড় রেসিপি তৈরির উপকরণ | সমূহ |
---|---|
কচু | ২ পিস। |
চালের গুঁড়া | হাফ কাপ। |
মরিচ গুঁড়া | হাফ চামচ। |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ । |
জিরা,ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চা চামচ। |
গরম মসলা | হাফ চা চামচ। |
লবণ | স্বাদ মত। |
আদা,রসুন বাটা | হাফ চামচ |
সয়াবিন তেল | হাফ কাপ। |
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথম ধাপে আমি কচুর উপরের খোসা ছিলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিব।এবার ছুরির সাহায্যে কচুর গোল টুকরোর মাঝ বরাবর কেটে নিব এভাবে।
এবার আমি ছুরির সাহায্যে কচুর উপরে দিকে সমান করে কেটে নিব।তবে খেয়াল রাখতে হবে একদম যেনো টুকরো হয়ে না যায়।কচুর উপরের দিকটা সমান করে কাটা হলে,এবার কচুর উল্টোপাশে একটু বাঁকা বাঁকা করে ছুরির সাহায্যে কেটে নিব।এখন দেখতে কচুর টুকরো গুলো মালার মত লাগছে তাইনা?
কচুর টুকরো গুলো দিয়ে মালার মত তৈরি করা হলে,এবার আমি একটা বাটিতে হাফ কাপ চালের গুঁড়া একে একে সব মসলা গুঁড়া দিয়ে দিব।সব উপকরণ দেওয়া হলে,এবার আমি এক কাপ পানি দিয়ে বিটার তৈরি করে নিব।
এবার আমি হাতের সাহায্যে সব উপকরণ দিয়ে বিটার তৈরি করে নিব।তবে খেয়াল রাখতে হবে বিটার যেনো বেশি পাতলা আবার বেশি ঘন না হয়।
বিটার তৈরি হয়ে গিয়েছে,এখন আমি কচুরর মালা গুলো বিটারে মধ্যে ডুবিয়ে রাখব ১০ মিনিটের মত।
![]() | ![]() |
---|
দশ মিনিট পর চুলায় একটি প্যানে হাফ কাপ সয়াবিন দিব।তেল গরম হলে, সব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা বিটারের মধ্যে ভিজিয়ে রাখা কচুর মালা গুলো একটি একটি করে তেলে দিয়ে দিব।এবার চুলার মাঝারি আঁচে ভেজে নিব।কচুর মালার বড়া এক পাশ ভাজা হলে, উলটে দিব।
কিছুক্ষণ পর পর কচুর মালা বড়া উলটে দিব।লাল লাল এবং মুচমুচে ভাজা হলে,চুলা বন্ধ করে দিয়ে একটি প্লেটে নিয়ে পরিবেশন করব।
তৈরি হয়ে গিয়েছে খুবই সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি।এই রেসিপি গরম ভাত অথবা গরম গরম বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।
বন্ধুরা, আমার তৈরি করা কচুর মালা বড়া সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে রেসিপি এটি আপনাদের কেমন লেগেছে?যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনাদের কমেন্ট আপনাদের ভালোবাসা পেলে ভালো কাজ করার উৎস পাই।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। আজ আপনার পোস্টে প্রথম মুখরোচক এই রেসিপিটি দেখেতো খুবই ভালো লাগছে। লোভনীয় রেসিপিটি দেখে খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, একদম নতুন একটি রেসিপি শিখিয়ে দেয়ার জন্য।
ভাইয়া,এই সুস্বাদু রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি আপনারও খুব ভালো লাগবে।অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
কচুর মালা বড়া রেসিপি দেখে তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। এই রেসিপি এর আগে কখনো দেখিনি। খাওয়া তো দূরের কথা। কচু দিয়ে যে এমন রেসিপি তৈরি করা যায়, সেটা আপনার পোস্ট দেখার আগে জানা ছিলো না। রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। বিকেলের নাস্তায় এমন রেসিপি পেলে তো আর কোনো কথাই নেই। যাইহোক এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আমি আমার জীবনের প্রথম এমন একটা ইউনিক রেসিপি দেখলাম।কুচি দিয়েও এইভাবে করে মালা বড়া তৈরি করা যায়😲😲।তবে আপু খেতে গলা ধরেছে কি না??।দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
এই রেসিপি একদম গলা ধরে না আর খেতে অনেক সুস্বাদু।এই রেসিপি টি ঘরে তৈরি করে খেয়ে দেখো আশা করি তোমারও ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ,তোমাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
এটা অবশ্য ভালো করেছেন আপু যেহেতু খাবার না খেলেও অসুখ-বিসুখ হচ্ছে তাহলে খাবার কেন বাদ দিতে হবে। এই কচু দিয়ে ভর্তা করে খেয়েছি খুবই মজা লাগে খেতে কিন্তু কখনো এভাবে তৈরি করে খাইনি। আপনার রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। এই কচুর ভর্তা যেহেতু খেতে ভালো লাগে এই রেসিপিটি খেতে যে সুস্বাদু হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
আপু,আমার আব্বু বলতো যদি কোন কিছু না খাওয়ার জন্য ডাক্তার মানা করত। তখন বলতো আববু খেয়ে মরি না খেয়ে রুহকে কেনো কষ্ট দিব।এই পোস্ট লেখার সময় মনে হল ঐ কথা গুলো।যাইহোক আপু, এই রেসিপিটি সত্যিই অনেক সুস্বাদু বাসায় ট্রাই করে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি খুবই ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। এই রেসিপিটা আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। খুবই নতুন মনে হয়েছে রেসিপিটা। আপনি খুবই মজাদার ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার আজকের রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে এই ইউনিট রেসিপি টা শিখে নিতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটা আমি অবশ্যই তৈরি করব কারণ এই রেসিপিটি টেস্ট কেমন তা যাচাই তো করতেই হবে।
আপু, এই রেসিপিটি সত্যিই অসাধারণ স্বাদের। এই রেসিপি টমেটো সস অথবা চিলি সস দিয়ে যদি গরম গরম খাওয়া হয় তাহলে অসাধারণ লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
আপু এতো দেখছি আলাদা আইটেমের খাবার যা আগে কখনো দেখিনি খাওয়া হয়নি। কচু এবং কচুর শাক দুটোই আমার খুবই ফেভারিট খেতে খুবই ভালো লাগে। যাদের এলার্জি আছে তাদের জন্য একটু সমস্যা যাই হোক খাবার জিনিস কমবেশি সবাই সকল বাধা অতিক্রম করে খেতে পছন্দ করে। যাদের কাছে প্রিয় খাবার কিন্তু কচুর মালা বড়া রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায় সেটা জানা ছিল না। আপনার আত্মীয় বাড়িতে এটা খেয়েছেন সত্যিই মনে হয় অনেক টেস্টি ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, খাবার বলে কথা। পছন্দের খাবার খেলে যদি সমস্যা হয় তারপরে খাবার বাদ দিতে রাজি নয় আমরা 🤭🤭ভাইয়া,এই রেসিপিটা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। মুছমুসে কচুর মালা বড়া দেখেই যেন আমার লোভ লেগে যাচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে।