সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি 😋😋

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুয়ালাইকুম,

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন আল্লাহর মেহেরবানীতে।আর ভালো থাকেন আমি সব সময় এই দোয়া করি।

InShot_20230525_020559402.jpg

InShot_20230525_020431288.jpg

চলে এসেছি আপনাদের মাঝে আবারও খুবই সুস্বাদু, ইউনিক এবং কচুর রেসিপি নিয়ে।আমার আজকের রেসিপি কচুর মালা বড়া রেসিপি।

কচু এবং কচু শাক আমরা প্রতিটা মানুষ এই কম বেশি খেতে পছন্দ করি।অনেকে আবার লার্জির কারণে কচু এবং কচু শাক খেতে পারে না। আমারও এলার্জির সমস্যা আছে তারপরও কচু এবং কচু শাক খেতে পছন্দ করি।আমার এলার্জির সমস্যা তারপরও ঐ চিন্তাটা করি না।আর যত দেখি রোগের কথা চিন্তা করে খাবার বাদ দিব ততই দেখি রোগ হয় তাই এখন আমি কোনো খাবার বাদ দেয় না হিহিহি । কচু এবং কচুশাকে রয়েছে প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ যা আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন প্রতিদিন না খেতে পারলেও সাপ্তাহে ১-২ বার কচু এবং কচুর শাক খাওয়া।

কচু এবং কচু শাক আমরা বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়ে থাকে, তবে এবার রমজান ঈদে আমি এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলাম তিনি কচুর মালা বড়া রেসিপি দিয়েছে যা খেয়ে সত্যিই আমি অবাক হয়ে গিয়েছি।প্রথমে বুঝতে পারি নি কচু দিয়ে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন।তাই আজকে বিকেলে নাস্তার জন্য কচুর মালা বড়া রেসিপিটি তৈরি করেছি।ভাবলাম এত সুস্বাদ এবং ইউনিক একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে কি হয়?

যাই হোক,অনেক কথা বলে ফেলেছি, তাহলে চলুন কিভাবে আমি খুবই সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপিটি তৈরি করেছি। তা আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।

InShot_20230525_015101441.jpg

কচুর মালা বড় রেসিপি তৈরির উপকরণসমূহ
কচু২ পিস।
চালের গুঁড়াহাফ কাপ।
মরিচ গুঁড়াহাফ চামচ।
হলুদ গুঁড়া১ চা চামচ ।
জিরা,ধনিয়া গুঁড়াহাফ চা চামচ।
গরম মসলাহাফ চা চামচ।
লবণস্বাদ মত।
আদা,রসুন বাটাহাফ চামচ
সয়াবিন তেলহাফ কাপ।

InShot_20230525_015714814.jpg

প্রস্তুত প্রণালী :

১ম ধাপ

InShot_20230525_015218955.jpg

InShot_20230525_015238299.jpg

প্রথম ধাপে আমি কচুর উপরের খোসা ছিলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিব।এবার ছুরির সাহায্যে কচুর গোল টুকরোর মাঝ বরাবর কেটে নিব এভাবে।

২য় ধাপ

InShot_20230525_015405312.jpg

InShot_20230525_015439825.jpg

InShot_20230525_015554164.jpg

এবার আমি ছুরির সাহায্যে কচুর উপরে দিকে সমান করে কেটে নিব।তবে খেয়াল রাখতে হবে একদম যেনো টুকরো হয়ে না যায়।কচুর উপরের দিকটা সমান করে কাটা হলে,এবার কচুর উল্টোপাশে একটু বাঁকা বাঁকা করে ছুরির সাহায্যে কেটে নিব।এখন দেখতে কচুর টুকরো গুলো মালার মত লাগছে তাইনা?

৩য় ধাপ

InShot_20230525_015738177.jpg

InShot_20230525_015907448.jpg

কচুর টুকরো গুলো দিয়ে মালার মত তৈরি করা হলে,এবার আমি একটা বাটিতে হাফ কাপ চালের গুঁড়া একে একে সব মসলা গুঁড়া দিয়ে দিব।সব উপকরণ দেওয়া হলে,এবার আমি এক কাপ পানি দিয়ে বিটার তৈরি করে নিব।

৪র্থ ধাপ

InShot_20230525_015955332.jpg

InShot_20230525_015955332.jpg

এবার আমি হাতের সাহায্যে সব উপকরণ দিয়ে বিটার তৈরি করে নিব।তবে খেয়াল রাখতে হবে বিটার যেনো বেশি পাতলা আবার বেশি ঘন না হয়।

৫ম ধাপ

InShot_20230525_020044707.jpg

InShot_20230525_020057457.jpg

বিটার তৈরি হয়ে গিয়েছে,এখন আমি কচুরর মালা গুলো বিটারে মধ্যে ডুবিয়ে রাখব ১০ মিনিটের মত।

৬ষ্ঠ ধাপ
InShot_20230525_020141476.jpgInShot_20230525_020220851.jpg

InShot_20230525_020254950.jpg

দশ মিনিট পর চুলায় একটি প্যানে হাফ কাপ সয়াবিন দিব।তেল গরম হলে, সব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা বিটারের মধ্যে ভিজিয়ে রাখা কচুর মালা গুলো একটি একটি করে তেলে দিয়ে দিব।এবার চুলার মাঝারি আঁচে ভেজে নিব।কচুর মালার বড়া এক পাশ ভাজা হলে, উলটে দিব।

৭ম ধাপ

InShot_20230525_020326252.jpg

InShot_20230525_020344557.jpg

কিছুক্ষণ পর পর কচুর মালা বড়া উলটে দিব।লাল লাল এবং মুচমুচে ভাজা হলে,চুলা বন্ধ করে দিয়ে একটি প্লেটে নিয়ে পরিবেশন করব।

InShot_20230525_020559402.jpg

তৈরি হয়ে গিয়েছে খুবই সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি।এই রেসিপি গরম ভাত অথবা গরম গরম বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।

বন্ধুরা, আমার তৈরি করা কচুর মালা বড়া সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে রেসিপি এটি আপনাদের কেমন লেগেছে?যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনাদের কমেন্ট আপনাদের ভালোবাসা পেলে ভালো কাজ করার উৎস পাই।

ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ, সবাই ভালো থাকবেন।।

Sort:  
 last year 

মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। আজ আপনার পোস্টে প্রথম মুখরোচক এই রেসিপিটি দেখেতো খুবই ভালো লাগছে। লোভনীয় রেসিপিটি দেখে খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, একদম নতুন একটি রেসিপি শিখিয়ে দেয়ার জন্য।

 last year 

ভাইয়া,এই সুস্বাদু রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি আপনারও খুব ভালো লাগবে।অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।

 last year 

কচুর মালা বড়া রেসিপি দেখে তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। এই রেসিপি এর আগে কখনো দেখিনি। খাওয়া তো দূরের কথা। কচু দিয়ে যে এমন রেসিপি তৈরি করা যায়, সেটা আপনার পোস্ট দেখার আগে জানা ছিলো না। রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। বিকেলের নাস্তায় এমন রেসিপি পেলে তো আর কোনো কথাই নেই। যাইহোক এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপু আমি আমার জীবনের প্রথম এমন একটা ইউনিক রেসিপি দেখলাম।কুচি দিয়েও এইভাবে করে মালা বড়া তৈরি করা যায়😲😲।তবে আপু খেতে গলা ধরেছে কি না??।দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 last year 

এই রেসিপি একদম গলা ধরে না আর খেতে অনেক সুস্বাদু।এই রেসিপি টি ঘরে তৈরি করে খেয়ে দেখো আশা করি তোমারও ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ,তোমাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।

 last year 

এটা অবশ্য ভালো করেছেন আপু যেহেতু খাবার না খেলেও অসুখ-বিসুখ হচ্ছে তাহলে খাবার কেন বাদ দিতে হবে। এই কচু দিয়ে ভর্তা করে খেয়েছি খুবই মজা লাগে খেতে কিন্তু কখনো এভাবে তৈরি করে খাইনি। আপনার রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। এই কচুর ভর্তা যেহেতু খেতে ভালো লাগে এই রেসিপিটি খেতে যে সুস্বাদু হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

 last year 

আপু,আমার আব্বু বলতো যদি কোন কিছু না খাওয়ার জন্য ডাক্তার মানা করত। তখন বলতো আববু খেয়ে মরি না খেয়ে রুহকে কেনো কষ্ট দিব।এই পোস্ট লেখার সময় মনে হল ঐ কথা গুলো।যাইহোক আপু, এই রেসিপিটি সত্যিই অনেক সুস্বাদু বাসায় ট্রাই করে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।

 last year 

সুস্বাদু ইউনিক এবং মুচমুচে কচুর মালা বড়া রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

আপনি খুবই ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। এই রেসিপিটা আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। খুবই নতুন মনে হয়েছে রেসিপিটা। আপনি খুবই মজাদার ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার আজকের রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে এই ইউনিট রেসিপি টা শিখে নিতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটা আমি অবশ্যই তৈরি করব কারণ এই রেসিপিটি টেস্ট কেমন তা যাচাই তো করতেই হবে।

 last year 

আপু, এই রেসিপিটি সত্যিই অসাধারণ স্বাদের। এই রেসিপি টমেটো সস অথবা চিলি সস দিয়ে যদি গরম গরম খাওয়া হয় তাহলে অসাধারণ লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।

 last year 

আপু এতো দেখছি আলাদা আইটেমের খাবার যা আগে কখনো দেখিনি খাওয়া হয়নি। কচু এবং কচুর শাক দুটোই আমার খুবই ফেভারিট খেতে খুবই ভালো লাগে। যাদের এলার্জি আছে তাদের জন্য একটু সমস্যা যাই হোক খাবার জিনিস কমবেশি সবাই সকল বাধা অতিক্রম করে খেতে পছন্দ করে। যাদের কাছে প্রিয় খাবার কিন্তু কচুর মালা বড়া রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায় সেটা জানা ছিল না। আপনার আত্মীয় বাড়িতে এটা খেয়েছেন সত্যিই মনে হয় অনেক টেস্টি ছিল।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, খাবার বলে কথা। পছন্দের খাবার খেলে যদি সমস্যা হয় তারপরে খাবার বাদ দিতে রাজি নয় আমরা 🤭🤭ভাইয়া,এই রেসিপিটা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।

 last year 

সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। মুছমুসে কচুর মালা বড়া দেখেই যেন আমার লোভ লেগে যাচ্ছে।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 61639.07
ETH 2982.91
USDT 1.00
SBD 2.46