ট্রাভেল: বান্দরবান মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র পর্ব-১ // by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বান্দরবান মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র
- ০৭, মে ,২০২৪
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি বান্দরবান মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে কাটানো মুহূর্তের অনুভূতির দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
বান্দরবান মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম।
Device : Redmi Note 11
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
এর আগের পোস্টে বান্দরবান মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ঝুলন্ত ব্রিজ লেক এবং নৌকায় ঘুরাঘুরির দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করেছিলাম। আসলে যে কোন জায়গা যত সুন্দরই হোক না কেন কয়েকবার গেলে এমন একটা ভালো লাগা কাজ করে না। যেহেতু বান্দরবান শহর থেকে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র খুবই কাছে ছিল। কয়েকটি স্পটে যাওয়ার পাশাপাশি সেই জায়গাটি ঘুরাঘুরি করেছিলাম। যেখানে অনেক মানুষের ঘুরতে গিয়েছিল একটি উৎসবমুখর পরিবেশ পাহাড়ি অঞ্চলে অপরিচিত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ সত্যি একটা ভালো লাগার বিষয়। আসলে হেঁটে হেঁটে পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করা খুবই কঠিন । যেটা এর আগের বার খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম। এবারও তার ব্যতিক্রম নয় তবুও ঘুরতে গেলে মন চায় না কোথাও বাদ রেখে যাই।
Device : Redmi Note 11
পাহাড় ধ্বসের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের অনেকগুলো পাহাড় রয়েছে। ছোট ছোট পাহাড়ের উপর দিয়ে রাস্তা যেখানে হেঁটে হেঁটে ঘুরাঘুরি করতে হয় । তার পাশে আদিবাসীদের দোকান আবার কোথাও পাহাড় হারিয়ে সকল গাছপালা যেগুলো আগে কখনো দেখা হয়নি । আবার অনেক জায়গা পাহাড় ধসের দৃশ্য দেখতে পেয়েছি। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধ্বস হয়। সেজন্য সে সব জায়গা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্ন রয়েছে। আমরা হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম আবার রেস্ট করছিলাম। অনেকে ঘুরাঘুরির করছে অনেক জায়গা বসার মত পরিবেশ রয়েছে। সেখানে বসে রেস্ট করছে ধারাবাহিকভাবে সেটে ঘুরাঘুরি করা সত্যিই অনেক কঠিন পাহাড়ি অঞ্চলে। সেখানে আবার পাহাড়ি হরিণ ভাল্লুক এগুলো দেখতে পেয়েছি।
Device : Redmi Note 11
পাহাড়ি হরিণ ভাল্লুক
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
পাহাড়ি, হরিণ কখনো দেখা হয়নি মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র সেখানে কয়েকটি হরিণ ছিল। এর আগে আমি বিশ্বাস করতাম না যে পাহাড়ি অঞ্চলে হরিণ থাকে। তাদের কাছ থেকে জানার পর বিশ্বাস করলাম । সেখানেও পাহাড়ি হরিণ রয়েছে যেগুলো আদিবাসীরা শিকার করে । পাহাড়ি ভাল্লুক দুইটা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে দেখতে পেয়েছিলাম । তারা মারামারি করছে সেটা অনেক সময় ধরে উপভোগ করেছিলাম। আসলে সেখানে একটি পার্কের মত গড়ে উঠেছে। পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে এরকম সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে সবাই ভিড় করছে। ছোট্ট বাচ্চা সে হরিণকে কিছু একটা খেতে দিচ্ছিল সব মিলিয়ে সেখানে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | বান্দরবান মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | বান্দরবান |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বান্দরবানের মেঘলা পর্যন্ত পাহাড়ের ভিতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছিল বন্ধু। আবার ইচ্ছা সেই জায়গাটিতে যাওয়ার যদি কখনো সম্ভব হয় সবাই মিলে একসাথে যাবো, ঘুরবো আবার মজা করবো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
বান্দরবান অনেক সুন্দর জায়গা। এর মধ্যে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র অন্যতম। আমি যাবো যাবো ভাবতেছি কিন্তুু যাওয়া হচ্ছে না। বান্দারবানের সুন্দর্য আমাকে টানে। আশা করি কোরবানির ঈদের পরে যাবো, ইনশাআল্লাহ।।
বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে দারুণ ফটোগ্রাফি এবং সেই সাথে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আসলে পাহাড়ি অঞ্চল ভ্রমণ করলে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় পাহাড় আর সবুজে সমারোহ দৃশ্য গুলো।
মিনি চিড়িয়াখানা সৌন্দর্যগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল।
বান্দরবানের অনেক সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন ভাইয়া। আর সেই জায়গা ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ অনেক সুন্দর ফটো ধারণ করেছেন। আসলে ছোট ছোট পাহাড়ের উপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি ঘোরাঘুরি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার মজা আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই পোস্ট করে। বেশ অনেক কিছু জানতেও দেখতে পারলাম।
সত্যি দেশে অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান রয়েছে। তবে স্বচক্ষে দেখতে পারার মধ্যে আনন্দ বেশি। তবু আপনাদের এ ব্লগ গুলো দেখতে পারলে অনেক ভালো লাগে। অসাধারণ স্থান গুলো আপনারা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন এভাবে। খুবই ভালো লাগলো পাহাড়ের এমন সুন্দর জায়গা গুলো দেখে। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করা মজা আলাদা।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার শেয়ার করা পোস্টটা ছিল বান্দরবর্ণ পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ পর্ব ১। আপনার প্রথম পর্ব দেখেই বেশ ভালো লাগলো। সেখানে গিয়ে পাহাড়ি, হরিণ দেখতে পেলেন দেশে দারুন একটা সময় তো করলেন। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
বন্ধুদের নিয়ে একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে সত্যি ই ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা বান্দরবন মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমন করে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। চমৎকার জায়গা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পাহাড়ি এলাকার সবুজ প্রকৃতি আর চিড়িয়াখানার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে হাঁটাহাঁটি করা আসলেই বেশ কঠিন কাজ ভাই। তবে সত্যি কথা বলতে, আমিও আপনার মত অবাক হলাম এটা জেনে যে, পাহাড়েও হরিণ থাকে। তাছাড়া, ভাল্লুকও যে থাকতে পারে এই ধারণাটাও আমার ছিল না। যাইহোক, আপনারা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, এটা জেনে খুব খুশি হলাম।