বর্তমান অস্বস্তির নাম তাপমাত্রা //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বর্তমান অস্বস্তির নাম তাপমাত্রা
- ২৩, এপ্রিল ,২০২৪
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " বর্তমান অস্বস্তির নাম তাপমাত্রা " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
এইতো কিছুদিন আগে পবিত্র মাহে রমজান মাস শেষ হলো।যেটা আমাদের জন্য শান্তির মাস ছিল। সেই পবিত্র মাসে আবহাওয়া টা এমন ছিল যে পারেনি গরমের সময় নাকি শীতের সময়। এই মাসে দারুন এক আবহাওয়া উপভোগ করেছি। পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর থেকে প্রচন্ড গরম পরতে থাকে। আশা করেছিলাম বৃষ্টিপাত হবে । প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি হয় কিন্তু এ বছর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম দেখতে পাচ্ছি। প্রচন্ড গরম বৃষ্টির কোন সিটি ফোঁটা নেই গ্রামীণ জনজীবন অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। শহরে আরো বেশি খারাপ অবস্থা গ্রামীণ পরিবেশে গাছপালার ছায়াতলে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।
কিন্তু শহরের মানুষ সব সময় ব্যস্ততার মধ্যে থাকে। বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত থাকে তাদের অবস্থা আরো খারাপ। সেই যান্ত্রিক শহর হয়তো গরমের অসহনীয় তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত। আমি এখনো গ্রামে আছি। গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ ।সকাল নয়টার পর থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপমাত্রা। আমি অনেক রাত করে ঘুমাই। ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয় দশটার পর ঘুম থেকে উঠি। প্রচন্ড গরমে সেই ঘুম আর হচ্ছে না। নয়টা বাজার সাথে সাথেই বিছানা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে হাহাহা। তাহলে বুঝুন আমার মত লেজি মানুষ ঠিকমতো ঘুম পারতে পারছিনা। গ্রামের মানুষ সকালে রান্নাবান্না শেষে খাওয়া-দাওয়া করে গাছ তলায় গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। যেখানে ঠান্ডা শীতল পরিবেশ সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছে।
এভাবে গ্রামীন পরিবেশের মানুষের জীবনযাপন চলছে। বিশেষ করে ফসলি জমিতে যে সকল ফসল রয়েছে সেই ফসলের করুন অবস্থা। কোন বৃষ্টিপাত নেই প্রচন্ড গরম সেই গরমে সকল চাষাবাদ ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশেে কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদা, মেহেরপুর এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। এসব অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ হয়ে থাকে। আমাদের এখানে পাট, তিল, আখের চাষ বেশি হয়। মাঠের দিকে তাকালে হাহাকার তৃষ্ণার্ত বিষয়টি ফুটে উঠেছে। কৃষকের জনজীবন খুবই খারাপ অবস্থায়। এভাবে চলতে থাকলে মাঠে কোন ফসল থাকবে না সব নষ্ট হয়ে যাবে। সেচ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তবুও কৃষকেরার চেষ্টা করছে ফসল কে বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু এভাবে আবহাওয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করে আর কতক্ষণ টিকবে।
প্রচন্ড তাপমাত্রা স্টকজনিত কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে মনে হচ্ছে যেন যুগের পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই, বাহারাইনে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে শহর তলিয়ে গিয়েছে ভেসে যাচ্ছে হাজারো গাড়ি। মরুর বুকে এরকম দৃশ ্য আগে কখনো দেখা যায়নি। যেখানে বছরে দুই একবার বৃষ্টিপাত হয়। আমাদের দেশে তার বিপরীত হয়েছে। যেখানে এই সময় কালু মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে যেত মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হালকা ঝড়ো বাতাস। তার ছিটেফোঁটাও দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে মরুভূমির দেশে বসবাস করছি। বর্তমান মানুষের জীবনমান খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তারপর আবহাওয়ার এরকম বিরূপ প্রভাব সত্যিই জনজীবন হুমকির মুখে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে জনজীবন সব দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দোয়া করি যেন সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই বর্তমান অস্বস্তির নাম তাপমাত্রা। সারাদেশে বর্তমানে অনেক বেশি গরম পরেছে। বিশেষ করে ঢাকায় অনেক বেশি গরম পরেছে। সময়োপযোগী একটি পোস্ট করেছেন আপনি। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দিন দিন পৃথিবীতে তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে এক সময় হয়তো আমাদের দেশে সৌদি আরবের মতো হয়ে যাবে। এখন আমাদের দেশের সকল মানুষের মাথা ব্যাথার কারণ হলো তাপমাত্রা। দিন দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে যা সহনশীলতার বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে আমাদেরকে অনেক সাবধানে থাকতে হবে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই গরমে নয়টা পর্যন্ত ঘুমানো যায়?? মজা লাগলো নিজে নিজেই স্বীকার করেছেন আপনি লেজি মানুষ হা হা হা।
সত্যি বলেছো বন্ধু শহরের মানুষের অবস্থা বর্তমানে অনেক বেশি খারাপ। তবে যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তারা এসির ভিতরে সব সময় থাকে তাদের কোন সমস্যা হয় না। বর্তমানে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সবারই অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ বন্ধু।
তাপমাত্রার ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। তবে আজ রাত্রে বেশ বৃষ্টির দেখা মিলেছিল। কিন্তু রাত পোহানোর পর লক্ষ্য করে দেখেছি সূর্যের সেই গতি। অবশ্য এই মুহূর্তে আমাদের অনেক সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য। কারণ এই মুহূর্তে অনেক মানুষ স্ট্রোক করেছে এবং মারাও গেছে। জয় হোক বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি সচেতন মূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের এই অঞ্চলে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। মেহেরপুর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা, কারণ এ অঞ্চল দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। আর এরই প্রভাবে বেশি তাপমাত্রায় বিরাজমান। এই কারণে আমাদের খুব সাবধানে থাকতে হবে শরীর সুস্থ রাখতে।
আমাদের সকলেরই দেখছি একই অবস্থা ভাই। হা হা হা...🤭🤭 তবে এটা ঠিক কথা যে, বর্তমানে যে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে কৃষি ক্ষেত্র অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যদিও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমরা নিজেরাই দায়ী। তাই এখন থেকে সচেতন না হলে আসলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ অবস্থা হবে আমাদের।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি এবং একদমই বাস্তবিক কিছু কথা আপনার এই পোস্টের মধ্যে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলেই এখন অস্বস্তির মূল বিষয়টি হচ্ছে তাপমাত্রা৷ প্রতিনিয়ত যেভাবে তাপমাত্রা পেয়ে যাচ্ছে মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত এই কষ্টের কারণে অনেকে মারাও যাচ্ছেন৷ তাই আমাদের সকলের উচিত সতর্ক থাকা৷