ছোট গল্প - "আইনস্টাইনের ছেলেবেলার গল্প "( পর্ব শেষ ) || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- আইনস্টাইনের ছেলেবেলার গল্প
- ২৭, ফেব্রুয়ারী ,২০২৩
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " আইনস্টাইনের ছেলেবেলার গল্প " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গল্প - আইনস্টাইনের ছেলেবেলার গল্প
মারামারি তো দূরের কথা দুষ্টুমি পর্যন্ত করত না। সে থাকতো তার মত। তাই দেখে সবাই তাকে অন্যরকম বোকা ভাবত। কিন্তু আইনস্টাইন কিন্তু মোটেও বোকা ছিলেন না। তিনি ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন কৌতুহলী। Hermann Einstein ছিলেন আইনস্টাইনের বাবা। তিনি একবার ছেলেকে উপহার হিসেবে একটা কম্পাস কিনে দিলেন। কম্পাস পেয়ে বালক আইনস্টাইন সারাক্ষণ শুধু সেটা নিয়েই মেতে থাকেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, আরে কম্পাসের কাটা কেবল একদিকে ঘুরে যাচ্ছে, কোন অবস্থাতেই কাটা অন্যদিকে ফেরানো যাচ্ছে না কেন?
আইনস্টাইন বাবার কাছে এর কারণ জানতে চাইলেন। বাবা ছেলের কৌতুক হলে মনের পরিচয় পেয়ে খুব খুশি হলেন। তিনি আইনস্টাইন কে এর কারণ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন। ছোটবেলার এই কৌতূহলই আইনস্টাইন কে বিজ্ঞানী করে গড়ে তুলেছিল।
তাইতো হওয়ার কথা। তুমি যদি কোন কিছু দেখে সে বিষয়ে জানতে না চাও তাহলে শিখবে কিভাবে? সেজন্য তো বড়দের কাছে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হয়। ছোটবেলায় আইনস্টাইনের ইচ্ছা ছিল আলোর রথে চড়বেন। আলো নিয়ে তিনি সবসময় ভাবতেন। ক্লাসে বসে সূর্যের আলো বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলো নিয়ে ভাবতে গিয়ে অনেকবার বড়দের বকুনিও তাকে শুনতে হয়েছে। ১৪ বছর বয়সে আলোর রথে চড়ার বৈজ্ঞানিক পন্থা নিয়ে তিনি ভাবতে শুরু করেন। আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কারের সময় এই ভাবনাই তাকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছে। অনেক বড় হয়েও কিন্তু তার মাথা থেকে আলোর রথে চড়ার এই ভূত যায়নি।
একদিন হয়েছে কি শোন-
আইনস্টাইনের স্কুল একেবারেই ভালো লাগত না। কিন্তু কি আর করা! মায়ের আদেশ স্কুলে যেতেই হবে। তাই বাধ্য হয়ে এই স্কুলে যাওয়া। মা বলেছে বড় হয়ে অধ্যাপক হতে হবে ।তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়াশোনা করা। কিন্তু পড়লে কি হবে ক্লাসে গিয়ে শেষ বেঞ্চে দেওয়ালের কোণে চুপচাপ বসে থাকতেন। একদিন সূর্যের আলো জানালার কাচ ভেদ করে কিভাবে ক্লাসের ভিতর আসছে এক মনে এ নিয়ে ভাবছিলেন। হঠাৎ স্যার তাকে দাঁড় করিয়ে পড়া জিজ্ঞেস করলেন। অমনোযোগী থাকায় আইনস্টাইন উত্তর দিতে পারলেন না।
স্যার তাকে শাস্তি স্বরূপ হল রুমে পাঠিয়ে দিলেন। হল রুম ছিল বেশ বড় এবং ঠান্ডা। আইনস্টাইনের কিন্তু জায়গাটা বেশ পছন্দ হলো । ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ায় তিনি বরং খুশি হলেন। কারণ সেখানে বসে তিনি অত্যন্ত নিরিবিলি নিজের মতো করে ভাবতে পারবেন।
ক্লাস, স্যারের তিরস্কার সহপাঠীদের বিদ্রুপ- সব ভুলের আইনস্টাইন সেই ঠান্ডা হল রুমে বসে সূর্যের আলো নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ক্লাসের সময়টুকু পার করে দিলেন। এই ভাবনাটাই ছিল তার গবেষণা। আর এই গবেষণা করেই তিনি আবিষ্কার করেছিলেন 'আপেক্ষিক তত্ত্ব'।
আশাকরি গল্পটি আপনারা পড়বেন। গল্প পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। যেটা প্রায়ই পড়া হয়ে থাকে ভালো লাগে পড়তে।গল্প পড়া মানেই নতুন কোন কিছু ঘটছে তার সাথে পরিচিত হওয়া। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলে নিশ্চয় মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন নাহ।
প্রথম গল্প:-গোয়েন্দা রহস্য গল্প - "এলাচির উইল"( শেষ পর্ব) |
source |
দ্বিতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "অশ্রুর তির্থস্থানে একদিন"( শেষ পর্ব) |
source |
তৃতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "শোনার পাহাড়ের পাখি"( পর্ব নেই ) |
source |
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | ছোট গল্প । | |
---|---|---|
বিষয় | ছোট গল্প - "আইনস্টাইনের ছেলেবেলার গল্প") | @ripon40 |
গল্প তৈরি করার অবস্থান | লিংক |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে এই ঘটনা আমার এর আগে জানা ছিলো না।আপনার কাছেই এই প্রথম শুনলাম।তবে তিনি যে শান্তশিষ্ট ছিলো তা জানতাম পড়ালেখা তার ভালো লাগতো।যাই হোক সত্যি মিথ্যা জানি না তবে ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ