ট্রাভেল: বান্দরবান তমা তুঙ্গীর সুন্দর ভিউ পর্ব-৬ // by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বান্দরবান তমা তুঙ্গীর সুন্দর ভিউ
- ২৬, আগস্ট ,২০২৪
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি বান্দরবান শহর থেকে তমা তুঙ্গী যাওয়ার পথের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
তমাতুঙ্গির সুন্দর দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম। যাইহোক আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে বান্দরবান ঘুরাঘুরি মুহূর্তের দৃশ্যপট পর্ব আকারে শেয়ার করে চলেছি।
Device : Redmi Note 11
চারিপাশে সুন্দর ভিউ
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমরা বান্দরবান শহর থেকে নীলগিরি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম কিন্তু সেখানে যাওয়া সম্ভব হলো না তারপর সেখান থেকে ব্যাক করে থানচির এর উদ্দেশ্যে বের হই। সেই সময় প্রচন্ড শীত ছিল। চাঁদের গাড়ি প্রচন্ড গতিতে পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করছে। এদিকে আমরা শীতে বসে কাপাকাপি করছি । সবাই এমনভাবে পোশাক পড়েছিলাম যেন বাতাস ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে । থানচি পৌঁছানোর আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম তমাতুঙ্গীতে যাব। সেখান থেকে সুন্দর ভিউ দেখা যায় চারিপাশে ছোট ছোট পাহাড় উঁচু জায়গা থেকে দেখার মজাই আলাদা। সেই ফিলটা নেওয়ার জন্য আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। প্রচন্ড শীতে তখন গাড়িতে বসে থাকা খুবই কষ্টকর কারণ চাঁদের গাড়ি ফাঁকা খোলামেলা সেজন্য বেশি শীত লেগেছে সবার। মজার চেয়ে কষ্টই বেশি হচ্ছিল। কি করার উদ্দেশ্য যখন ঘুরাঘুরি সকল বাধা পেরিয়ে যেতেই হবে।
Device : Redmi Note 11
সুন্দর একটি স্পট
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
দীর্ঘ তিন ঘন্টা আমাদের যাত্রা করতে হবে সকাল ভোরে বেরিয়েছিলাম। কারন আমাদের সেখানে পৌছাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে সকালে বের হলে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারবো। পাহাড়ি অঞ্চলে টাইম অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি না করলে সবই লস। আমাদের ম্যানেজার সাহেব সাগর ভাই তিনি আমাদের সকল দায়িত্ব নিয়ে সেভাবেই বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা করে। মাঝপথে একটি চায়ের দোকান দেখতে পাই আসলে প্রচন্ড শীতে এক কাপ চা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সেই সময় বুঝতে পেরেছিলাম। গাড়ি যখন থামালো মনে হল যেন রেহাই পেলাম শীতের হাত থেকে। আমরা যখন তামাতঙ্গীতে কোন সালাম সেই সময় সূর্যের আলো দেখতে পাই। আস্তে আস্তে শীত কমতে থাকে । তমা টঙ্গীতে গিয়ে অনেক ভালো লাগছিল বিশেষ করে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি এটাই অনেক বড় পাওয়া ছিল কিছুটাও উপরে হেটে উঠতে হলো। হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য সুন্দর করে জায়গা তৈরি করে রাখা আছে। যখন আমরা সেখানে গেলাম পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম ছিল।
Device : Redmi Note 11
নীল আকাশের দৃশ্য পটভূমি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
**সেখানে পৌঁছানোর পর যে যার মত ছবি তোলার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে আমাদের কাছে ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিল বিশেষ করে ফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি করার যে মজাটা সেটা সবাই নিতে থাকলাম চারিপাশের সুন্দর দৃশ্য খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করলাম নীল আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ যেটা সত্যিই অনেক উপভোগ্য ছিল তারপর আমরা সবাই নিজেদের সেলফি নিতে থাকলাম শীতের পোশাক যেটা চেঞ্জ করে কেউ শার্ট, টি-শার্ট পড়ে ছবি তুলতে শুরু করলো। যাইহোক, সেই ছবিগুলো আর দিলাম না। আপনারা যারা ফেসবুকে আমাদের সাথে যুক্ত আছেন অনেকে ছবিগুলো দেখতে পেয়েছেন। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে পোস্টগুলো এখনো কমপ্লিট করা হয়নি এখন ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সাথে ঘোরাঘুরি মুহূর্ত তুলে ধরব। এরপরের পর্বে আপনাদের সাথে থানচি থেকে রেমাক্রি যাওয়ার মুহূর্তের দৃশ্য শেয়ার করব। যেটা আরো সুন্দর মুহূর্ত ছিল আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | বান্দরবান তমা তুঙ্গী |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | বান্দরবান |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধু আমার তো নীলগিরি যাওয়ার আফসোসটা থেকেই গেলো। তবে তমাতুঙ্গীর সুন্দর ভিউ টা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বান্দরবানের এই ট্রাভেলটা আমাদের সারাজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুরোপুরি পাহাড়ের উপরে চারিপাশটা নীল আকাশ আর পাহাড়ের উপর থেকে আশপাশের সব সৌন্দর্য স্পষ্টভাবে উপভোগ করা যাচ্ছে এমন অনুভূতিগুলো আসলে ভুলে যাওয়ার নয় সময়টা দারুন ছিল।
বান্দরবান ভ্রমণের এবারের পর্বটি দারুন হয়েছে ভাইয়া। এত সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করতে পারলে সত্যিই ভালো লাগবে। অসাধারণ মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
বান্দরবানের সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো সম্পর্কে আমি অনেক শুনেছিলাম৷ তবে কখনো এই স্থানে যাওয়া হয়নি৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি স্থানের বেশ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম এবং এখানকার খুব সুন্দর বিষয় সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷