গাজী কালু চম্পাবতীর মেলা //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- গাজী কালু চম্পাবতীর মেলা
- ১৪, জুন ,২০২৪
- শুক্রবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। গাজী কালু চম্পাবতীর মেলায় কাটানো মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
এইতো কিছুদিন আগে রাতের বেলা বাইকে আমরা কয়েকজন গ্রামীণ মেলায় গিয়েছিলাম। বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের মেলা গ্রামীণ পরিবেশে দেখতে পাই যেগুলো উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জন জীবন তারই মধ্যে এই মেলা প্রতিবছরেই সময় অনুষ্ঠিত হয় 'গাজী কালু চম্পাবতীর মেলা'। এই মেলার আরেকটি নামে ডাকা হয় তাল শাঁসের মেলা যখন অনেক ছোট সেই সময় বন্ধুরা সাইকেল নিয়ে এই মেলার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তাম সন্ধ্যার সময়। আমাদের বাসা থেকে মেলাটির দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। মেলাটির অবস্থান কুমারখালী উপজেলার চাপাইগাছি গ্রামে। এই মেলাটি অনেক পুরাতন একটি মেলা।
Device : Redmi Note 11
মেলার প্রবেশ পথ
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম গ্রামীণ পরিবেশের যে মেলা গুলো দেখতাম সেখানে গাজীর গান আরো অন্যান্য গান শুনতে পেতাম। যেগুলো গ্রামের মানুষ যারা দিনের বেলা পরিশ্রম শেষে রাতে মেলায় গিয়ে গান শুনতে পছন্দ করত। বর্তমান সেই গ্রামীণ পরিবেশের মেলা গুলো খুবই কম হয় ।যে মেলাগুলো অনেক জনপ্রিয় সেটা ধারাবাহিকভাবে হয়ে আসছে তার মধ্যে এই মেলাটি অনেক দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এবার এই মেলায় বড় ভাই ব্রাদার বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম রাতের বেলা । সেই অতীতের মধুর স্মৃতি ভেসে ওঠে। কত কিছু কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন খেলনার দোকানে দাঁড়িয়ে থাকতাম সেই জায়গাগুলোর কাছে গিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করছি এখানে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আরো অনেক রহস্যময় গল্প ছিল যেগুলো এখন বলতে পারছি না সেই সময়টা শুধুই স্মৃতি।
Device : Redmi Note 11
মেলার দৃশ্য পটভূমি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
যখন আমরা বাইক রেখে মেলার ভেতর প্রবেশ করলাম ।দু'পাশে সারি সারি দোকান । বিভিন্ন ধরনের দোকান একদিকে মিষ্টির দোকান বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির ডিজাইন করা মিষ্টি জাতীয় খাবার কদমা, সাচ্, ভুট্টার খই ভাজি, জিলাপি যেটা মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রধান আকর্ষণ। ডান পাশে দেখতে পেলাম বিভিন্ন ধরনের ভাজি জাতীয় খাবার অনেক প্রকার ভাজা যেগুলো খুব সুন্দর করে মিশ্রণের মাধ্যমে ঝাল দিয়ে সুস্বাদু করে গান এবং নাচের মাধ্যমে মেলার সকল মানুষের আনন্দ দিচ্ছে ।প্রত্যেকটা খাবার উপভোগ করার চেষ্টা করেছি আরো অন্যান্য ভাজি জাতীয় খাবার ছিল চিংড়ির চপ ভাজি মাংস ভাজি যেগুলো এখন আর খেতে ইচ্ছে করে না। আমাদের মেলায় যাওয়ার আগেই প্লান ছিল। প্রত্যেকটা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখব আর বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে সেটা খাওয়া-দাওয়া করব। যে কথা সেই কাজ প্রত্যেকটা দোকানে যাচ্ছিলাম প্রত্যেকটা খাবারের স্বাদ গ্রহণ করছি।
Device : Redmi Note 11
বিভিন্ন ধরনের খাবার উপভোগ্য মুহূর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
যেহেতু মেলা টি এই সময়ের ফল তালের শাঁসকে কেন্দ্র করে সেটা না খেলে হয় মেলার গেটের সামনে দেখেছিলাম আর মেলার শেষ প্রান্তে তালের শাঁস বিক্রি করছে। সেটাও খাওয়া দাওয়া করলাম। প্রত্যেকটা মেলায় নাগরদোলা বর্তমান তারা অনেক সুন্দর করে লাইটিং এর মাধ্যমে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে দেখতে দারুন লাগছিল এই ধরনের নাগরদোলায় ছোট্ট বাচ্চারা উঠে মজা করতে বেশি পছন্দ করতে হয় বর্তমান ছোট বড় ভেদাভেদ নেই সবাই এখানে উঠে থাকে তাদের আনন্দময় মুহূর্তগুলো ভালই উপভোগ করলাম। আমাদের আর ইচ্ছে হলো না সেখানে ওঠার শুধু দেখলাম। রাতের বেলা সেখানে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম । গ্রামীণ পরিবেশে এরকম মেলা অনেকদিন পর উপভোগ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | গাজী কালু চম্পাবতীর মেলা |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | Kushtia |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক পুরানো একটি গ্রাম্য মেলাতে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। মাটির তৈরি জিনিসগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। আমার কাছে মাটির তৈরি যে কোন জিনিস বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনাদের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রাম্য মেলায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে।আর এই মেলায় মাটির সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়।আমার মেলায় যাওয়া হতো ছোটবেলায় শুধু মাটির হাড়ি পাতিল কিনতে।দারুন সব খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বন্ধু বাইক নিয়ে সবাই মিলে মেলা দেখতে গিয়ে দেখছি অনেক সুন্দর মজা করেছ। আমিও যখন মামা বাড়িতে যেতাম তখন এই মেলায় যাওয়া পড়তো অনেক বেশি ভালো লাগতো সেই সময়ে। এ ধরনের গ্রামীণ মেলায় ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
ছোটবেলায় প্রতিবছর যেতাম এই মেলায়। বলতে গেলে সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম মেলা টার। কিন্তু এবারে আর যাওয়া হয়নি ঢাকা থাকার জন্য। আপনার পোস্ট টা দেখে বেশ মিস করছি মেলাটা। সবকিছু দেখে অসাধারণ একটা অনূভুতি হচ্ছে। আপনি বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেলায়। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে মূহূর্ত টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।