ছোট গল্প - "ভূতুরে রহস্য "(শেষ পর্ব) || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ভূতুরে রহস্য
- ১৮, ফেব্রুয়ারী ,২০২৩
- শনিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " ভূতুরে রহস্য " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গল্প - ভূতুরে রহস্য
ওখানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে পেলাম এবং সেগুলো অনেক দামি। যেমন- কিছু পাথরের মূর্তি, সোনার গহনা, সোনার কয়েন ইত্যাদি। প্রথমে মনে করেছিলাম এগুলো মনে হয় গুপ্তধন। কিছুক্ষণ পর আমার এই সন্দেহ দূর হলো। সেখানে একটা মূর্তি দেখলাম যেটা আমার দাদুর বাড়িতে ছিল। মূর্তিটা অনেক দামি। শুনেছি আমার দাদুর বাবা এক রাজা ছিলেন। তিনিই এটা দাদুকে উপহার দিয়েছিলেন কিন্তু কয়েকদিন আগেই এই মূর্তিটা চুরি হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ এগুলো গুপ্তধন নয় চোরাই মাল। শুধু তাই নয় সেখানে অনেক মাদক দ্রব্যও ছিল। কিছু ড্রাগস হিরোইন পাউডার আরো অনেক দামি মাদক। এবার ঘটনাটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার হলো আমার কাছে এখানে ভূতের আড়ালে বিভিন্ন চুরাই ও মাদকের ব্যবসা হয়।
আমি এইসব চিন্তা বাদ দিয়ে বাইরে যাওয়ার রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করলাম। কিন্তু চারিদিকেই দেওয়াল । হঠাৎ আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো । কথায় বলে চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে । আমি আগেই বলেছি সেখানে কিছু হিরোইনের পাউডার ছিল। তাই সেই পাউডার গুলোকে কাজে লাগালাম। আমি মনে করলাম রাস্তা সেই দিকেই হবে যেদিকে পাউডার যাবে । অর্থাৎ বাতাসের কারণে পাউডার গুলো ছড়াবে এবং যেদিকে রাস্তা আছে সেদিকেই যাবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ অবশেষে রাস্তাটা খুঁজে পেলাম ।রাস্তাটা দেওয়ালের সাথে মিশে ছিল তাই খুঁজতে দেরি লাগলো।
দরজাটা খুলছে না। দরজাটা বাইরে থেকে বন্ধ। এখন কি করা যায়। আমার আরো দুশ্চিন্তা হতে লাগল। বিশেষ করে মায়ের জন্য। আমি বাড়িতে ঢুকতে একটু দেরি করলেই আমার মা খুব চিন্তা করত। আমার মনে হল যে আমি এই জঙ্গলে এসে আসলে ঠিক কাজ করেছি কি? কিন্তু কিছু করার নাই যা হবার তা তো হয়েই গেছে। কিছুক্ষণ পর আমি কারোর হাঁটা শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দটার দরজার বাইরে থেকে আসছে । মনে হয় ওই চোরগুলোই আসছে। আমি একটা মূর্তির পিছনে লুকিয়ে পড়লাম। লুকিয়ে থেকে দেখি দরজা খুলে দুজন লোক ভিতরে ঢুকল। তাদের একজনের কোলে পাছ কি সাত বছরের বাচ্চা। বাচ্চাটা অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। কিন্তু এখানে এই বাচ্চার কি কাজ?
বাচ্চাটাকে তারা তার টেবিলের উপর শুইয়ে রাখল। তারপর তারা একে অপরের সাথে কথা বলতে লাগল। তাদের কথায় বুঝতে পারলাম এরা শুধু চোরই না , এরা কিডন্যাপ কারী এই বাচ্চাটাকে তারা পাচার করবে। আজ রাতেই কিন্তু আমি এটা হতে দিতে পারি না। যে করেই হোক বাচ্চাটাকে বাঁচাতেই হবে। বাচ্চাটার বাবা-মা মনে হয় বাচ্চাটাকে পাগলের মত খুঁজছে। আমার মনে হল যেন ঐ দুইজনকে মেরে ফেলি। কিন্তু রাগের মাথায় কাজ করলে হবে না। ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে। দুজন লোকের মধ্যে একজন চলে গেল আর একজন ওই বাচ্চাটার কাছেই থাকল ।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। হাতের কাছে তেমন কিছুই পাচ্ছিলাম না। লোকটি পকেট থেকে সিগারেট আর ম্যাচের কাঠি বের করল। ম্যাচের কাঠিটা জ্বালিয়ে সিগারেট ধরিয়ে ম্যাচের কাঠি ফেলে দিল। ম্যাচের কাঠিতে তখনও আগুন জ্বলছে। আমি ওখানে কিছু মদের বোতল দেখলাম। বোতলে কিছু মদ ছিল। আমি জানতাম মদে অ্যালকোহল থাকে আর অ্যালকোহল দাহ পদার্থ । মাথায় একটা বুদ্ধি খেললো আমি সেই মদের বোতল নিয়ে ম্যাচের কাঠির উপর ছুড়ে ফেললাম। ব্যাস! বোতল ভাঙার সাথে সাথেই আগুন ধরে গেল। লোকটি কিছুই বুঝতে পারল না কি হলো। সে আগুন নেভানোর জন্য বাইরে থেকে পানি আনতে গেল। এই তো সুযোগ। বাচ্চাটিকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলাম।
দুই ঘন্টা পর....
আমি পুলিশ স্টেশনে বসে আছি। সেখানকার এসআই আমার বাবার খুব ভালো বন্ধু। এসআই সাহেব আমার খুব প্রশংসা করলেন। সেই ছোট্ট বাচ্চাটাকে তার বাবা মার কাছে ফেরত পাঠানো হলো। গ্রামের সবাই আমার সাহসিকতার জন্য খুব প্রশংসা করতে লাগলো। কিন্তু আমার মনে শুধু একটাই সন্তুষ্টি যে আমি সেই ছোট্ট বাচ্চাটাকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। এই ঘটনা আমার পরিচিত একজনের কাছ থেকে শোনা। তার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ঘটনা।
আশাকরি গল্পটি আপনারা পড়বেন। গল্প পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। যেটা প্রায়ই পড়া হয়ে থাকে ভালো লাগে পড়তে।গল্প পড়া মানেই নতুন কোন কিছু ঘটছে তার সাথে পরিচিত হওয়া। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলে নিশ্চয় মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন নাহ।
প্রথম গল্প:-গোয়েন্দা রহস্য গল্প - "এলাচির উইল"( শেষ পর্ব) |
source |
দ্বিতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "অশ্রুর তির্থস্থানে একদিন"( শেষ পর্ব) |
source |
তৃতীয় গল্প:-ছোট গল্প - "শোনার পাহাড়ের পাখি"( পর্ব নেই ) |
source |
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | ছোট গল্প । | |
---|---|---|
বিষয় | ছোট গল্প - "স্বপ্নের শেষটা") | @ripon40 |
গল্প তৈরি করার অবস্থান | লিংক |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
যদিও আপনার আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি। তবে এই পর্ব তো ভৌতিকের কিছুই পড়ে পেলাম না।কিন্তু বুদ্ধি করে যেভাবে বাচ্চাটি বাঁচানো হয়েছিল।সেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সবার উপস্থিত বুদ্ধি থাকে না। আপনার পরিচিত যে জনের কাছ থেকে ঘনাটা শুনেছেন তার উপস্থিত বুদ্ধি আছে । বিপদের সময় সবার হুশ থাকে না। কিন্তুু সে পরিস্থিতি বুঝে বাচ্ছাটি নিয়ে চলে এসেছে। তার বুদ্ধির প্রশংসা করতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।