নাটকের রিভিউ:- শ্বশুর বাড়িতে ঈদ || by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- শ্বশুর বাড়িতে ঈদ
- ১৮, এপ্রিল ,২০২৪
- বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শ্বশুর বাড়িতে ঈদ নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাম | শ্বশুর বাড়িতে ঈদ |
---|---|
পরিচালক | মহিন খান । |
অভিনয় | নিলয় আলমগীর , জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি । |
দৈর্ঘ্য | ৫৭:০৯ মিনিট । |
ধরন | ট্রাজেডি, কমেডি শিক্ষামূলক। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ০৯.০৪.২০২৪ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ
নাটকটির মূল চরিত্রের অভিনয় করেছে নিলয় আলমগীর এবং জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। অনেকদিন পর নাটক দেখলাম। তাছাড়া অন্যান্য ওয়েব সিরিজ গুলো দেখা হয় সেজন্য নাটক তেমন একটা দেখা হয় না। নিলয় আলমগীরের নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেক ভালো অভিনয় করে তাছাড়া অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি বর্তমান খুবই জনপ্রিয়। অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক এবং নাটকের গল্পে তাকেই বেশি প্রায়োরিটি দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে তার হাসিটা খুবই সুন্দর চেহারার মধ্যে মায়াবী ভাব রয়েছে। নাটকের চরিত্রে নিলয় আলমগীরের নাম সাদির অন্যদিকে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির নাম টুম্পা। নাটকটি পবিত্র ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্র করে নির্মিত করা হয়েছে।
প্রথমে সাদীর একটি ভ্যানে করে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় । সেই সময় ভ্যানওয়ালা জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছেন? তখন সাদির বলে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছি এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করব। তখন সাদীর গ্রামের নাম বলে ভ্যানওয়ালা বলে আমার গ্রামের জামাই আপনি। আপনার শ্বশুরের নাম বলেন যখন বলে কাশেম মন্ডল তখনই ভ্যানওয়ালা ভ্যান থামিয়ে তাদেরকে ভ্যান থেকে নামতে বলে। সাদির অবাক হয়ে যায়। ভ্যান আলা বলে আপনার শশুর যে কিপটা আমার ভ্যান ভাড়া দিতে চায় না। বলে মাফ করে দিও বাপু। আপনি হলেন তার জামাই তার চেয়ে বড় কিপটা হবেন। সেজন্য আপনাকে আমি ভ্যানে করে নিয়ে যেতে পারবো না । তাই বলে তাদেরকে মাঝ পথে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
টুম্পা তখন বলে চলো আমরা ফিরে যাই। বিয়ের পর আমাদের প্রথম ঈদ সেই ঈদ আনন্দ নষ্ট হয়ে যাক আমি চাইনা। সাদির বলে আমি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করব । শ্বশুরবাড়িতে ঈদ না করে আমি বাড়ি যাব না। তখন টুম্পা বলে আমরা পালিয়ে বিয়ে করছি এমনিতেই বাবা অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। আমাদের কে দেখতে পারছেনা । এই অবস্থায় গেলে তোমাকে মারবে। তখন সাদীর বলে সব ব্যবস্থা আমি করব চলো। অবশেষে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। বাড়িতে ঢোকার প্রথমেই বলে শশুর আব্বা বাড়ি আছেন। তখন বেরিয়ে আসে কাসেম মন্ডল এসে দেখে তার জামাই মেয়ে । সে বলে মনে মনে আজ দারোয়ান থাকলে এসব ফকির মিসকিন আমার বাড়িতে ঢুকতে পারত না। তখন সাদির বলে কাকে ফকির মিসকিন বলছেন আমি আপনার জামাই। তখন বলে কিসের জামাই তুমি এই বাড়ি থেকে এখুনি বের হও! তা না হলে তোমাকে মেরে বাড়ি থেকে বিদায় করব। সাদির বলে টুম্পা আমি কিন্তু আমার বাড়ির পাশে এক মুরুব্বি আমাকে থাপ্পড় মেরেছিল তাকে আমি মেরে তক্তা বানিয়ে ছিলাম। এই কথা শুনে কাসেম মন্ডল ভয় পায়। তখন সাদিরের শাশুড়ি এবং শালিকা চলে আসে।
তখন সাদির শাশুড়িকে সালাম জানায় অনেক খুশি হয়। তার শাশুড়ি তখন সাদির বলে আমি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করব। তখন তার শশুর এই কথা শুনে বলে মগের মুল্লুক পেয়েছ নাকি । তোমাকে ঈদ করা তো দূরের কথা এক মুহূর্তের জন্য এই বাড়িতে থাকতে দেবো না । তখন সাদির বলে আমি যেহেতু এসেই পড়েছি এই বাড়িতে। আমি ঈদ করব তাই বলে দৌড়ে ঘরের ভিতরে চলে যায়। এই দিকে তার শ্বশুর কাশেম মন্ডল হায় হতাশা করতে থাকে। কাশেম মন্ডল ঘরে শুয়ে ছিল সেই মুহূর্তে তার জামাই এসে বলে বাবা আমি তোমার নতুন জামাই । ঈদের মার্কেট করতে হবে এই যে আমার শার্ট পাঞ্জাবি প্যান্টের মাপ এখানে লেখা আছে নেন । তখন কাশেম মন্ডল বলে তোমার শার্ট প্যান্ট গেঞ্জির মাপ নিয়ে আমি কি করব। আমি কাউকে ঈদের পোশাক বানিয়ে দিতে পারবো না। সেই মুহূর্তে সাদীর শাশুড়ি নিজের গহনা নিয়ে সে বলে এগুলো বিক্রি করে জামাই তুমি মার্কেট কর । তখন কাশেম মন্ডল বলে আরে তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি। এত টাকার গহনা দিয়ে দিচ্ছো মার্কেট করার জন্য। তখন কাশেম মন্ডল অনেক কষ্টে বালিশের নিচ থেকে টাকা বের করে দেয় ।তখন সাদির টাকা নিয়ে মার্কেটে চলে যায়।
হঠাৎ সকালে উঠে কাশেম মন্ডলের জামাই বলে বাবা চলো বাজার করে আসি। তখন কাসেম মন্ডল বলে টাকা দিবে কে ? তখন সাদির বলে আমি টাকা দিব। সেই খুশিতে কাশেম মন্ডল এবং তার জামাই দুজনে বাজার করতে যায় ।যে দোকান থেকে সবকিছু কেনাকাটা করে সেখানে গিয়ে প্রথমে পেঁয়াজ দিতে বলে হাফ কেজি পেঁয়াজ দিতে গেলে কাশেম মন্ডল বলে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ দাও। দোকানদার অবাক হয়ে যায় এত বড় কিপটা লোক পাঁচ কেজি পেয়াজে নেবে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে যা যা দিতে বলে সেগুলো সুন্দর করে দোকানদারের কর্মচারী রেডি করে। দোকানের সামনে রেখে দেয় সেই সময় টাকা দেওয়ার পালা। তখন জামাইকে বলে টাকা দিয়ে দাও তখন সাদির বলে বাবা আমার পকেটে টাকা ছিল টাকা পাচ্ছি না। এখন কি করি তখন কাশেম মন্ডল বলে আমি কিছু জানি না তোমাকেই বাজারের টাকা দিতে হবে। এরকম জামাই শশুর অনেক ঝগড়া শুরু করে তখন দোকানদার বলে এই মিয়া ফাজলামি শুরু করছো নাকি। টাকা দাও তারপর জামাই শশুর যা খুশি করো। তখন কাশেম মন্ডল বলে আমি টাকা দিতে পারব না । তখন দোকানদার বলে তুমি টাকা না দিলে আমি লোকজনকে জোর করে অপমানিত করব। তখন অনেক কষ্টে কাশেম মন্ডল টাকা বের করে দেয়।
রাতে সেহরি খাওয়ার সময় সাদীরে এসে দেখে তার শ্বশুর এখনো ঘুমাচ্ছে। তখন সাদীর বলে সেহরি খাওয়ার টাইম হয়েছে এখনও ঘুমাচ্ছে কেন? কেউই তখন কথা বলে না কারণ কাশেম মন্ডল রোজা থাকে না। তখন তার শালিকায় কথা বলার পরে সে দ্রুত তার শশুরের রুমে গিয়ে ডাকা শুরু করে আব্বা ওঠেন। রোজা থাকতে হবে আপনাকে তখন কাশেম মন্ডল ঘুম থেকে উঠে বলে আমার প্রচুর গ্যাসের সমস্যা তুমি যাও। তখন বলে যাদের রোজা থাকার অভ্যাস নেই তারা এই কথাই বলে। তাকে অনেক রিকোয়েস্ট করে আসতে চায় না। তখন বলে মাইকিং করে বলে দেবো আমার শ্বশুর আব্বা রোজা থাকে না। তখন কাশেম মন্ডল দ্রুত ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাইতে বসে সারাদিন রোজা থাকার মাধ্যমে অনেকভাবে চুরি করে খাওয়ার ফন্দি আটে কিন্তু কোনভাবেই কাজ হয় না। রান্না ঘরে গিয়ে খাইতে গিয়ে ধরা খায় আবার গোপনে পানি খেতে যায় তবুও খেতে পারেনা কারণ রোজা থাকার অভ্যাস নেই হা হা। এদিকে ইফতার মুহূর্তে কাশেম মন্ডল এসে দেখে অনেক আইটেম তখন কাশেম মন্ডল বলে আমাকে সর্বসন্ত করার জন্য ইফতারের এত আইটেম করা হয়েছে। আমি তো পথের ফকির হয়ে যাব। তখন বলে এক গ্লাস পানি একটি খেজুর খেলেই তো পেট ভরে যায়। সেই সময় সাদির তার শ্বশুরের ইফতারি প্লেট নিয়ে নেয়। তাহলে আপনি এক গ্লাস পানি এবং একটি খেজুর খেয়ে ইফতার করুন।
এদিকে প্রথমবারের মতো রোজা থাকায় প্রচন্ড খিদা লেগেছে। এক গ্লাস পানি এবং খেজুর দিয়ে কখনো সেই ক্ষুদা নিবারণ সম্ভব নয়। তাই প্লেট জোর করে নিয়ে খাইতে শুরু করে কাশেম মন্ডল। হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে সাদীর তার জামাই মাইকিং করছে। প্রিয় গ্রামবাসী আপনাদের সবার ইফতারের দাওয়াত রইলো কাশেম মন্ডলের বাড়িতে। আপনারা সবাই আমন্ত্রিত কিন্তু কাশেম মন্ডল শুনতে পায় শুধু দাওয়াতের কথা খুশিতে আত্মহারা আজকে ফ্রিতে ইফতার করতে পারবে বলে। কিন্তু তার বউ বলে মাইকিং নিয়ে ভালো করে শোনো তোমার বাড়িতে ইফতারের আয়োজন। এই কথা শোনার পর হাই হতাশা শুরু করে দেয়। কি বলে আমি কেন অন্য মানুষকে ইফতার খাওয়াবো। তখন তার জামাই এসে বলে আব্বা তোমাকে কোন টেনশন করার প্রয়োজন নেই ইফতারের সকল ব্যবস্থা আমি করছি। তখন কাশেম মন্ডল অনেক খুশি হয়ে বলে আচ্ছা ঠিক আছে করো। আমার আত্মীয়-স্বজন যারা আছে সবাইকেই দাওয়াত দাও কিছুক্ষণ পর সাদির বলে আপনার যে লাল গরুটা ছিল না ওটা বিক্রি করে দিয়েই ইফতারের আয়োজন করেছি। তখন কাশেম মন্ডল কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। বলতে থাকে আমার সর্বনাশ করে দিয়েছে আমাকে ফকির বানিয়ে ছাড়বে।
হঠাৎ একদিন সকালে কাশেম মন্ডল দেখে তার বাড়িতে কিছু অসহায় লোক এসে উপস্থিত। তখন বলে আপনারা কেন এসেছেন? বলে যাকাত নিতে তখন কাশেম মন্ডল বলে পাগল হয়ে গেছো নাকি ? আমাকে কখনো দেখেছো যাকাত দেওয়া তখন বলে কেন দিবেন না আপনার অনেক সম্পদ আছে কয় আমার যত সম্পদে থাক না কেন। আমি কখনো কাউকে যাকাত দেয় না ।তখন সাদির উপস্থিত হয় বলে বাবা তোমাকে যাকাত দিতেই হবে । তখন বলে আমি দিতে পারবো না তখন সাদির ফোনের মাধ্যমে অভিনয় করে বলে হ্যালো আপনারা কি দুদক এর লোক। হ্যাঁ এটাই তো কাশেম মন্ডলের বাড়ি হ্যাঁ ঠিক জায়গায় ফোন দিয়েছেন । তখন কাশেম মন্ডল ভয় পায় তখন বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাকাত দিচ্ছি । তখন সবাইকে ১০০০ টাকা করে দিতে থাকে অনেক কান্নাকাটি করে আর টাকা দিতে থাকে। একজনকে এক হাজার টাকা বেশি দিয়ে দেয় অনেক কষ্টে এভাবে যাকাত আদায় করায় সাদির। হঠাৎ একদিন সকালে উঠে দেখে কাশেম মন্ডল তার বাড়ির উঠানে যে জায়গাতে তার সকল সম্পদ মাটিতে পুঁতে রেখেছিল সেখান থেকে কে যেন টাকা উঠিয়ে নিয়ে চলে গেছে। সে অনেক কান্নাকাটি শুরু করে দেয় বলে হায় হায় আমার এতদিনের সম্পদ সব শেষ। আমি ব্যাংকে বিশ্বাস করি না বলে এখানে টাকা রেখে দিতাম আমার সবকিছু নিয়ে চলে গেল। তখন সাদির বলে আমি এখান থেকে আপনার সম্পদ উঠিয়ে রেখে দিয়েছি তখন সে কিছুটা শান্ত হয় বলে আমি আর কখনো কিপটামি করবো না সেখানেই নাটক শেষ হয়ে যায়।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
শিক্ষা
নাটক থেকে শিক্ষণীয় বিষয়টি হলো সমাজে অনেক ধরনের কিপটা মানুষ রয়েছে। যাদের প্রচুর ধনসম্পদ থাকা সত্ত্বেও পবিত্র মাহে রমজান মাসে ভরপুর খরচ করবে। সেই মানসিকতা তাদের থাকে না । এইরকম শ্রেণীর লোক সমাজে অসংখ্য রয়েছে। তাদের কাছে সম্পদে সবকিছু তারা সবসময় সম্পদের লোভে পড়ে সকল সুখ এবং মানুষের হক নষ্ট করে। সম্পদের পিছনে ছুটতে থাকে সেই বাস্তবতাকে এই নাটকের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আসলেই অনেক মজা বিনোদনের মাধ্যমে বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সত্যি এই ধরনের নাটকগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি কয়েকদিন আগেই রিলিজ পেয়েছে কিন্তু আমার দেখা হলো আজকে। নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি খুব সুন্দর অভিনয় করেছে। নিলয় আলমগীরের নাটক মাঝে মাঝে দেখা হয় ভালই লাগে। এই নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। তাদের দুজনের জুটি অনেক মানিয়েছিল নাটকের গল্পটা চমৎকার ছিল। তারা দুজন জুটি বেঁধে অনেকগুলো নাটক করেছে প্রত্যেকটা নাটকই অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া মিউজিক, সাউন্ড সিস্টেম সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ব্যক্তিগত রেটিং
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
নাটকের লিংক
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নাটকটি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া ।অনেক কিছু শেখার আছে নাটকটি থেকে। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন আমাদের সমাজে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা অনেক কিপটা প্রচুর টাকা-পয়সা থাকা সত্ত্বেও নিজের প্রয়োজনটুকুও খরচ করতে চাই না। এরকম সুন্দর একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গত সাপ্তাহে আমি এই নাটকটি দেখেছিলাম। ঈদ উপলক্ষে খুবই মজার একটি নাটক ছিল। নিলয়ের অভিনয় জাষ্ট অসাধারন ছিল। সে কৃপণ শ্বশুড়ে শায়েস্তা করেছে। ধন্যবাদ।
আপনি আজকে নিলয় আলমগীরের অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটকটার মধ্যে কিন্তু শিক্ষনীয় একটা ব্যাপার রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে তাদের ধন সম্পদের ভরপুর, কিন্তু তারা অনেক বেশি কিপটে হয়ে থাকে। তারা খরচ করতে চায় না কোন কিছুই। তাদের কাছে টাকা থাকলেও তারা যাকাত দিতে চায় না। অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে নিলয় এবং হিমির জুটিটা। সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। শশুর বাড়িতে ঈদ নাটকটি দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে নাটকটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির নাটকগুলো মাঝে মাঝে দেখা হয়। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শ্বশুরবাড়িতে ঈদ নাটকটা অনেক সুন্দর এবং শিক্ষনীয়। এই নাটকটার মধ্যে যেমন হাস্যকর ব্যাপার রয়েছে, তেমনি শিক্ষনীয় ব্যাপার রয়েছে। যার কারণে সব মিলিয়ে নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। সাদিরের শ্বশুর শেষ পর্যন্ত নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিল। জীবনে কিপটামি করা ভালো না। বিশেষ করে এত বেশি কিপ্টামি করা একেবারেই ভালো না। এত ধন সম্পদ দিয়ে কি হবে যদি গরীব দুঃখী মানুষদের পাশেই না দাঁড়ানো হয়। একটা মানুষকে অবশ্যই মানবিক হতে হবে।
খুব সুন্দর একটি নাটকের শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি একের পর এক সবগুলো ঘটনা এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন তা একেবারে অসাধারণ হয়েছে। একইসাথে এখানে নায়ক এবং নায়িকার জুটি বেশ অসাধারণ হয়েছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷