প্রত্যেকেই তার নিজের মত।
- The 13th October , 2021
- Wednesday
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই ভিন্নতা পরিলক্ষিত। আমরা কেউ কারো মতো নই। হয়তো কিছু সময় কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু সর্বোপরি প্রত্যেকেই প্রত্যেকের থেকে আলাদা। মানুষের ধ্যান ধারণা, কথাবার্তা, চিন্তা ভাবনা, কাজকর্ম কোন কিছুর সাথেই অন্যজনের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। হ্যাঁ মিল থাকতে পারে, কিন্তু শতভাগ সিমিলারিটি কখনোই সম্ভব না। এই কথাগুলো কেন বলছি? আসলে আমরা যারা পৃথিবীতে বাস করি সবাই ভিন্ন ভিন্ন কাজে নিজেদেরকে ন্যস্ত রাখি। হোক সেটা খারাপ কিংবা মন্দ। পৃথিবীতে যত মানুষ আছে প্রত্যেকটা মানুষের চিন্তা-ভাবনা কাজকর্ম যদি একই হত তাহলে কি পৃথিবীটা চলত? না চলত না, কারণ আমরা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে একজন আরেকজনের উপর নির্ভরশীল।
আজকের আমার এই আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে, আপনি যেটা ভালো পারেন অথবা যেটার মধ্যে আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগা কাজ করে সেটা নিয়েই সামনে এগিয়ে যান। আপনার সর্বোচ্চটা সেটার মধ্যেই দেওয়ার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস করুন ওই কাজে আপনার থেকে ভালো কেউ করতে পারবে না। এম্বোস রিভার্স তার "দ্য ডেভিল ডিকশনারিতে দেখেছিলেন, আপনার জীবনের লক্ষ্য হারিয়ে যাওয়ার পর পরিশ্রম বাড়িয়ে দেয়া বোকামি। আমিও তার সাথে গলা মিলিয়ে বলবো, আপনার ভাললাগা খুঁজে বের করুন তারপর সেটি দিয়েই আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। লক্ষ্য নির্ধারণের পর আপনার সেটা অর্জনের জন্য যেটা করার প্রয়োজন সেটাই করবেন। আমি উপরে যে কথাগুলো আলোচনা করেছিলাম যে প্রত্যেকটা মানুষ প্রত্যেকটা মানুষের থেকে ভিন্ন । চিন্তা ভাবনায় ভিন্ন ,কাজকর্মে ভিন্ন এবং অন্যান্য সব দিক থেকেও ভিন্ন । এখন সবাই যদি শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট জিনিসকে ফোকাস করে সফলতার পেছনে দৌড়ায় তাহলে তো সফলাতা কখনই পার্ফেক্ট হবে না। কারণ প্রত্যেকটা মানুষের একটা আলাদা সত্ত্বা আছে এবং সে অনুযায়ী তার নিজের মতো করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করাটাই মতিমান ব্যক্তিত্ব।
আচ্ছা ধরুন, আপনার ক্লাসে আপনার ৪৯ জন সহপাঠী আছে । আর আপনাকে দিয়ে মোট ৫০ জন। এখন আপনার একজন শিক্ষক আপনাদের সকলের একটি পরীক্ষা নিবেন । শিক্ষক আপনার পাঠ্যবই থেকে ইচ্ছামতো একটা প্রশ্ন সবাইকে লিখতে বলল । সময় বেঁধে দিল ২০ মিনিট । এরপর সবার কাছে ঐ প্রশ্নের উত্তরপত্র দিয়ে দিল। এখন কথা হচ্ছে ওই উত্তরপত্রটি দেখে ৫০ জন শিক্ষার্থী উত্তরপত্রে যা যা লিখবে তাতে ৫০ জনই কি সেম মার্ক তুলতে পারবে? এটা অসম্ভব । কখনোই পারবে না। বিশ্বাস না হলে ৫/১০ জন বন্ধুবান্ধব নিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
তো বিষয় যেটা দাঁড়ালো ,আমরা প্রত্যেকেই একটা বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যে সমান কর্মদক্ষতা দেখাতে পারব না ।এটা একটা বিষয়, আরেকটি হলো সব সেক্টরে সবাই পারফেক্ট না। এজন্য চিন্তা করুন । ধির চিন্তা করুন ।দ্রুত কোনো ডিসিশন নিতে যাবেন না । যেটাই করবেন ভেবে চিন্তে ঠান্ডা মাথায়। আপনি অন্য জনের মত না । অন্যজন তার নিজ লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ,কিন্তু আপনি ওই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড না ।তো আপনি কিভাবে সেইম বিষয়ে সামনে এগোতে চান ? আপনার নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন আর সেই অনুযায়ী চলা শুরু করুন। বিশেষ করে আমাদের দেশে এমন অভিজ্ঞতা প্রায় সব পরিবারের সন্তানদেরই হয়েছে । সেটি হচ্ছে নিজ সন্তানদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যজনের সফলতাকে দেখিয়ে ওই দিকেই যাওয়ার জন্য প্রেসার দেওয়া ।এটা সত্যিই নিজ নিজ প্রতিভাকে ধ্বংস করে দেয় । বেশিরভাগ গার্জিয়ানরা কখনো এটা অনুভব করতে চায় না যে তার সন্তানের একটা নিজস্ব পৃথিবী আছে । তার ভালোলাগা কোথায় ,তার ফিউচার প্লান কি , তার আশা কি, স্বপ্ন কি এসব কখনো বোঝার চেষ্টা করে না।
যাইহোক, পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে । একটা সুস্থ চিন্তা ধারার মানসিক গঠন খুবই প্রয়োজন। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক । কোন একটা নির্দিষ্ট দিকে সবাই না দৌড়ে যার যার মত করে স্বাধীনভাবে জীবনের সফলতা অর্জনের চেষ্টা করাটা ,আর করতে দেয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তো আজ আমি যাচ্ছি। আগামীকাল আবার দেখা হবে ।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ।
ফটোগ্রাফি বিবরণঃ-
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max
লোকেশন: Bandarban Rupali Jharna.
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
চমৎকার ভাই অসাধারণ উপস্থাপনায় চমৎকারভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। পুরো লেখাটি পড়লাম, বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে, বিশেষ করে-
এই বিষয়টি প্রতি যদি আমরা একটু যত্নশীল থাকি, তাহলে নিজের যেমন একটা কাংখিত অবস্থান তৈরী করতে পারবো ঠিক তেমনি সঠিকভাবে নিজের দক্ষতাকেও উপস্থাপন করতে পারবো।
এই রকম আরো লেখা প্রত্যাশা করছি আপনার নিকট হতে ভাই। ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন। পৃথিবীতে ৭০০ কোটির উপরে লোক বাস করে, তাদের চালচলন কথা বার্তা ও অভিব্যক্তি কারো সঙ্গে মিল নেই।ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য।
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অসাধারণ লিখেছেন ভাই। পৃথিবীতে একটি জিনিস দুজন ভিন্ন মানুষ কখনোই একভাবে দেখতে পারে না। একই কাজের ফলাফল এক একজনের জন্য এক এক রকম। কারণ তাদের দেখার ভিন্নতা এবং চেষ্টার পার্থক্য রয়েছে। খুব ভালো একটি বিষয়ে লিখেছেন। এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো ছিল ভাই।
ধন্যবাদ তোমাকে 😊
💖💖🙏🙏
খুব দারুন লিখেছেন! আসলেও আমরা সবাই সবার থেকে আলাদা একই সাথে একই মায়ের সন্তান হলেও আমরা আলাদা।হাতের ৫ টি আঙুল যেমন এক নয় তেমনিই আমরা একই পরিবারের সদস্য হয়েও আলাদা। কাজ কর্ম চাল-চলন,চেহারা সব কিছুই আলাদা আমাদের প্রত্যেকের আলাদা একটা সত্তা আছে।বিষয়টি অনেক গুছিয়ে লিখেছেন। খুব ভালো লাগলো।
আপনিও সঠিক বলেছেন। মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
"প্রত্যেকেই তার নিজের মত" এই কথাটি খুব ছোট্ট হলেও এর অর্থ অনেক বিশাল। প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে নিজস্ব কিছু ইচ্ছা রয়েছে। হয়তো তা অন্যকারো থেকে একদমই ভিন্ন। নিজের ইচ্ছা শক্তি সফলতার মূল চাবিকাঠি। হয়তো একজনের ইচ্ছেগুলো আরেকজনের ইচ্ছে গুলো থেকে একদমই আলাদা। নিজের ইচ্ছে গুলোকে অন্যের সুখের জন্য বিলিয়ে না দিয়ে সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়াই উত্তম। আপনি কি করবেন তা অন্য কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারে না। অন্যের নির্ধারিত পথে হাঁটলে কখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আপনার মধ্যে কি প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে তা সকলের মাঝে প্রকাশ করার প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আপনারই। এই সমাজের মানুষগুলো ভিন্ন মানসিকতাই আমাদের সফলতার মূল বাধা। সব বাধাকে উপেক্ষা করে নিজের মত বাঁচার নামই জীবন। কোন কাজের প্রতি ইচ্ছা আগ্রহ না থাকলে কখনোই সফল হওয়া যায় না। তাই সব সময় আমাদের লোক দেখানো পথে না এটাই উত্তম। সব কথার শেষ কথা দিনশেষে আমি শুধুই আমার মতো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এই কথাটি আপনি একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা যার কাছ থেকে যাই দেখে তাই করতে চায়। আর তার ফলাফল হয় শুন্য।
ঠিক বলেছেন একদম ।কেউ কারও মতো না ।সবাইকেই আল্লহ আলাদা আলাদা করে বানাইছে সব থেকে সবাইকে ।ধন্যবাদ ভাই
সবগুলো কথাই খুব গুরুত্বপূর্ণ আর সম্পূর্ণ পোস্টটাতেই অনেকগুলো বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরছেন। আমাদের চারপাশের এখন এমন অবস্থা! একজন কোনো একদিকে গিয়ে সফলতা পাইলে, আমরা সবাই সেদিকে ছুটি। আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা তখন দেখিনা আর। আমরা আমাদের নিজস্ব সত্ত্বা কে ভুলেই যাই।
আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে, যে যেটা খুব ভালো পারে ও আগ্রহ বেশি এবং করে মজা পায় সে সেটাতে ফোকাস করা জরুরি।
পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব কিছু আলাদা সত্ত্বা রয়েছে। আমরা একজন আরেকজন থেকে ভিন্ন। আমাদের চিন্তা ভাবনা, দক্ষতা ও প্রতিভা একজন আরেকজনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । তাই আমার মনে হয় আমাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রথমে নিজের প্রতিভা নিজেকে খুঁজে বের করা উচিত। আমি কি চাই এবং কিভাবে আমার সফলতা আসবে এটা আমাকেই নির্ধারণ করতে হবে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করলেই সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারবো। কথায় আছে "লক্ষ্যবিহীন জীবন মাঝিবিহীন নৌকার মত"। তাই আমরা যেটা পারি এবং সহজেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবো সেদিকেই এগিয়ে যাওয়া উচিত। আপনার লেখা আমার মন ছুয়ে গেল ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন। আমিও একমত।