Bandarban Diary - নীলাচল।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। বান্দরবন ডাইরির গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে ঘোরার অনুভূতি। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আমাদের গন্তব্য ছিল নীলাচল। যেহেতু নীলগিরিতে গিয়ে আমাদের সকলের মেঘ দেখার ইচ্ছা ছিল তাই সেটার প্ল্যান ছিল পরের দিন।
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে চাঁদের গাড়িতে চড়ে পাহাড়ের উঁচু নিচু রাস্তা পেরিয়ে ছুটে চললাম নীলাচলের উদ্দেশ্যে। ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় বান্দরবানের বিশালতার জানান দিচ্ছিল। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র আর তার পাশের ঝর্ণা দেখা শেষ করে আমাদের নীলাচল আসতে বেশি একটা সময় লাগেনি। নীলাচলে ঢুকতে প্রত্যেক জনের ৫০ টাকার একটি করে টিকিট কাটতে হয়।
টিকিট কেটে আমরা ভেতরে প্রবেশ করে কিছুটা হতাশ হলাম। প্রচুর মানুষ এসেছে সেখানে। গতবার আমরা যখন এসেছিলাম তখন জায়গাটা ছিল একেবারে ফাঁকা। আমরা ছিলাম আর আমাদের মত আর চার পাঁচটা গ্রুপ ছিল তাও অনেক দূরে দূরে ছিলাম আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের থেকে। নীলাচলের সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতাটা নিয়েই আমরা সেবার বাড়ি ফিরেছি। এবার আমাদের সাথে নতুন কয়েকজন ছিল ওদের অভিজ্ঞতাটা মনে রাখার মত হয়ে উঠলো না।
যে সকল জায়গায় আগে ফাঁকা ছিল সেখানে দেখলাম কিছু ছোট ছোট সুন্দর দোকান বসেছে। আসলে এই জায়গা গুলো ফাঁকা থাকলে আসল রূপ দৃশ্যমান হয়। যাইহোক এত মানুষের ভিড়ে আমরা এমন একটা ভালো ফিল করলাম না। একটু ঘোরাঘুরি করলাম, আশেপাশের পাহাড় দেখলাম, কিছু ফটোশুট করলাম এরপর নিচের কিছু দোকানে গিয়ে হালকা কিছু কেনাকাটা করলাম।
যেহেতু এই দিনটাই ছিল আমাদের বান্দরবানের প্রথম দিন, তাই দিনটা তেমন একটা কাজে না লাগাতে পারলেও এরকম ছোটখাটো কয়েকটা জায়গায় ঘুরে আমরা দিনটা কাভার করলাম। আমরা যখন নীলাচল থেকে ফিরে এলাম তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামবে এমন ভাব। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের রুমে ফিরে গেলাম। প্রথম দিনটা এভাবেই কেটে গেল।
আসলে প্রথমেই আমাদের প্ল্যানটা নষ্ট হয়ে গেছে দেবতাখুম বন্ধ থাকার কারণে। নীলাচল, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র এগুলো আমাদের একদম শেষের দিকে সময় বাঁচলে কাভার করার কথা ছিল। যাইহোক প্রথম দিনটাতে এই ছোট জায়গাগুলোতে ঘুরে পরবর্তী দিনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নিলাম। পরের দিন আমাদের বিশাল জার্নি আছে। পরের দিনের জন্য আমাদের প্ল্যান ছিল ডিম পাহাড় হয়ে থানছি → এরপর রেমাক্রি → রাজা পাথর →নাফাখুম। পরবর্তী পর্বে দেখা হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বান্দরবান ঘুরতে যাওয়ার সময় কিন্তু আমাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমার বাচ্চাগুলো আপনার কাছে রেখে আমি ঘুরবো এমনই ঠিক করেছিলাম। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে নিজে নিজে চলে গেলেন এটা কি ঠিক হলো? এজন্যই প্রথম দিন খুব একটা ভালো কাটেনি আপনাদের। যাইহোক আশা করি পরবর্তী দিনগুলো বেশ আনন্দে কাটাতে পারবেন।
আপু আমরা তো অ্যাডভেঞ্চারে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে। ২৪ ঘন্টার বেশি সময় নেটওয়ার্কের পুরো বাইরে বান্দরবানের অনেক গহীনে ছিলাম । এসব ট্যুরে তো আপনাদের নিয়ে যাওয়া যাবে না ।
আপনি কবে যাচ্ছেন তাই কন। ভাগ্নেদের রাখার দায়িত্ব আমার।😛
আমার হাসবেন্ড আবার দেশের পাহাড়ের থেকে ইন্ডিয়ান পাহাড় বেশি পছন্দ করে। তাইতো ইন্ডিয়ার এত বড় বড় পাহাড় দেখা হলেও দেশের পাহাড় খুব একটা দেখা হয়নি।
গরিবের কাছে দেশের পাহাড়ি বেশি সুন্দর 😀
হা হা হা
আমি নিজেও গরীব।
দুই জনের মিল আছে।
ভাইয়া সুন্দর্যের নামে ধীরে ধীরে প্রকৃতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগের বারে আপনাদের ভ্রমনের সময় তেমন দোকান পাট ছিল না কিন্তুু সুন্দর্য ছিল। এবছর সুন্দর্য কমে গেছে দোকান পাট বেড়েছে। এভাবে হয়তো একদিন সবাই হতাশ হয়ে ফিরবে। উল্লেখযোগ্য সুন্দর্যের কিছুই দেখলাম না। যায়হোক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রেমাক্রি আর নাফাখুমের পর্ব পড়লে অনেক মজা পাবেন।
আচ্ছা ঠিক আছে ভাইয়া,অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আসলে এমন জায়গায় বেশি ভিড় হলে ঘুরতে তেমন ভালো লাগে না। যাইহোক দেবতাখুম বন্ধ থাকার কারণে সব ঝামেলা হয়েছে। তবে প্রথম দিন মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র এবং নীলাচল ঘুরে, দিনটা মোটামুটি বেশ ভালোই কাটিয়েছেন আপনারা। আশা করি পরবর্তী দিনগুলো বেশ আনন্দে কাটিয়েছেন আপনারা। আসলে এই ধরনের জায়গায় ঘুরতে গেলে,ট্যুর শেষে যদি কিছু স্মৃতি নিয়ে না ফেরা যায়, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
জি ভাই ধন্যবাদ।
রেমাক্রি আর নাফাখুমের পর্ব পড়লে অনেক মজা পাবেন।