Bandarban Diary - মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র - পর্ব ২
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই।
আশা করছি প্রত্যেকেই ভালো আছেন। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের একদম উপরের পাহাড়ের চূড়ায় আমরা ছিলাম যেখানে আমরা কলা আর পেঁপে খেয়েছি। কলা আর পেঁপে খেয়েছি এবং ওই মেয়েটার কাছ থেকে ধোঁকা খেয়ে আমরা নিচে নেমে এসেছি। এবার আমরা দেখলাম কিছু হরিণ আর দুটি পাহাড়ি ভাল্লুক। হরিণগুলো ছিল ছোট ছোট আরো অনেক কিউট।
হরিণ দেখা শেষ করে পাহাড়ি ভাল্লুক দেখতে আসলাম তখন একটা অদ্ভুত বিষয়ে লক্ষ্য করলাম। দুটি ভাল্লুকের মধ্যেই গ্যাঞ্জাম চলতেছে। দুজন তুমুল মারামারিতে লিপ্ত। কিন্তু তারা মজা করতেছে কিনা বুঝতে পারলাম না। ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগে আমাদের কাছে, এরপর সেখান থেকে চলে আসি।
উপরে উঠে আসতে আমাদের অবস্থা একদম খারাপ। অনেক ঢালু ছিল পাহাড়টি। যাহোক এরপর চাঁদের গাড়িতে উঠে আমরা রওনা দিলাম রূপসী ঝরনার উদ্দেশ্যে। গতবার আমরা যখন এই ঝর্ণাতে গিয়েছিলাম তখন প্রত্যেকেই গোসল করেছিল। তখন বৃষ্টির দিন ছিল তার জন্য পানি ছিলো অনেক বেশি।
এবার গিয়ে আমরা পুরো হতাশ হয়েছি। ঝর্নার এমন অবস্থা যে মনে হচ্ছে উপর থেকে কোন একটা বাচ্চা হিসু করে দিচ্ছে। 😜, যাইহোক এজন্য আর আমরা ঝর্নার কাছে গেলাম না। দূর থেকে দর্শন করে ফিরে আসার চিন্তাভাবনা করলাম। আসার সময় শুনলাম কিছুদিন আগে এখানে নাকি একটা ছেলে আর একটা মেয়ে পড়ে মারা গেছে। যাইহোক গতবার এখানে এসে বেশ মজা করেছিলাম আমরা কিন্তু এবার হতাশ হয়ে ফিরে এলাম।
এরপর আমাদের উদ্দেশ্য হল নীলাচল। বুক ভরা আশা চোখ ভরা স্বপ্ন আর মনে অনেক কল্পনা নিয়ে আমরা রওনা দিলাম নীলাচলের উদ্দেশ্যে। কয়টায় মাসে কত করে নীলাচলের আগের আমরা গিয়েছি কিন্তু এবার আমাদের সাথে কয়েকজন ছিল যাদের কাছে ছিল প্রথমবার এই জন্য আমরা নীলাচলে এবারও গিয়েছিলাম। আর এই মুহূর্তে যাওয়ার একটা কারণ হলো এখানে মেঘ দেখা যায় না, তাইজন্য বিকেল টাইমটাই আমরা সিলেক্ট করলাম।
আমরা ১৫০০ টাকা দিয়ে চাঁদের গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। আমাদের এই তিনটা স্পটে দেখার কথা ছিল। যেহেতু আমরা সকালে এসে দেবতাখুম যাওয়ার ভাগ্যটা হারিয়েছি তাই ছোট ছোট কিছু জায়গা ঘুরে এই প্রথম দিনটা কাভার করলাম। বান্দরবন ডায়রির আগামী পর্বে নীলাচলের ফটোগ্রাফি আর গল্প শেয়ার করো আপনাদের সাথে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Bandarban Diary 1
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দাদা গত পর্বে দেখেছিলাম আপনি পাহাড়ের চুড়ায় উঠে অনেক কিছু খেয়েছেন ৷ আজকের পোষ্টেও দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম ৷ গত পর্বে আমি পরেছিলাম আপনি ঝর্না দেখাবেন ৷ আমি ভাবলাম তাহলে ঝর্নার পানি দেখবো ৷
কিন্তু ওমা আসলে তো মনে হয় ছোট বাচ্চা হিসু করছে ৷যা হোক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ৷ আশা করি ভালো কিছু দেখবো ৷
ভাই আমি ঝর্ণা দেখে এবং আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। খাগড়াছড়ির রিসাং ঝর্ণা দেখতে গিয়ে আমিও পুরোপুরি হতাশ হয়েছিলাম। তাছাড়া কক্সবাজার হিমছড়ির ঝর্ণা দেখলেও হতাশ হয়ে যাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম ভাই। আগামী পর্বে নীলাচলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো তাহলে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কলা আর পেঁপে খাইয়ে কিভাবে ধোঁকা দিলো সেটা কিন্তু বললেন না। সচেতনতার একটা বিষয় আছে সেটা কিন্তু আপনি এড়িয়ে গেলেন, আমাদেরও তো ধোঁকা হতে বাঁচতে হবে নাকি? অন্যের ঝগড়া দেখে কি লাভ ভাই, আর কৌতুহল থাকলে ভেতরে যাওয়া উচিত চিলো বিষয়টি বুঝার জন্য হি হি হি।
গত পর্বে লিখেছিলাম।
আসলে পাহাড়ি কলা অনেক মিষ্টি হয় কিন্তু গাছ থেকে আগেভাগে কেটে এনে রেখে দিয়েছে যার কারণে মিষ্টি ছিল না তেমন। ঠকে গিয়েছি 😪
আজকের পর্বটি পড়ে সত্যি ই হাসি পেয়ে গেলো। ভেবেছিলাম ঝর্না দেখবো।কিন্তু এ কি হলো?? এছাড়া বাকি ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। পাহাড়, সবুজ অরণ্য দেখলে আসলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে নীলাচলের ফটোগ্রাফি দেখবো বলে অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ওহ,পাহাড়ি মেয়ের কাছ থেকে ধোঁকা খেয়েছেন দাদা।এটা কিন্তু বেশ মজার বিষয় ছিল তবে ওখানের কলা দেখে ভালোই তো মনে হচ্ছিল।যাইহোক হরিণগুলি খুবই কিউট।আর ঝর্ণার কথা শুনে ও দেখে অবাক হলাম তবে জায়গাটি বেশ সুন্দর ও নির্মল পরিবেশ।তাছাড়া চাঁদের গাড়িও পাওয়া যায় এখানে, দারুণ তো।চাঁদের গাড়ির ছবি দেখতে চাই---দাদা।
পোষ্টটা পড়ে অনেক মজা পেলাম। ভাইয়া রূপসী ঝরনার এই বেহাল দশার জন্য দায়ী কে....আরিফ ভাই না কি হাফিউজুল্লাহ ভাইয়া,হা হা হা। তারা যদি এই পোষ্ট পড়ে আপনার খবর আছে। যায়হোক সব জায়গা থেকে হতাশ হয়ে ফিরছেন। এখন দেখা যাক আপনাদের নীলাচল কি উপহার দেয়। ধন্যবাদ।