Bandarban Diary - মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র - পর্ব ১
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমরা ১৮ই জানুয়ারি বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ঢাকা থেকে। ১৯ তারিখে সকালে গিয়ে পৌঁছাই। আমাদের সর্বপ্রথম প্ল্যান ছিল হচ্ছে দেবতাখুম যাওয়ার। দুর্ভাগ্যবশত আমরা সকালবেলা জানতে পারি দেবতাখুম বন্ধ আছে। একপ্রকার হতাশা নিয়েই সকালে নাস্তা শেষ করলাম।
প্রথম দিন তো আর মাটি হতে দেওয়া যায় না। যার কারণে আমরা দেবতাখুমের পরিবর্তে কিছু অন্য জায়গায় ঘুরার চিন্তাভাবনা করলাম। আমরা একটি চাঁন্দের গাড়ি ভাড়া করলাম। প্রথমে গন্তব্য ছিল মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র। গাড়িতে ওঠার অল্প একটু সময়ের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে।
গতবার যখন বান্দরবান এসেছিলাম তখনো এই জায়গাটা দেখা হয়েছিল। ৫০ টাকা করে টিকিট কেটে আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম। এই জায়গাটাতে আমার তেমন বেশি দেখার কিছু আছে বলে মনে হয় না। "একটা স্পোট" যার কারণে মিস না দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল আমাদের মধ্যে। যাইহোক ভিতরে প্রবেশ করলাম। চেনা জায়গা ছিল তারপরও বেশ ভালো লাগলো। গতবার এই জায়গায় এসে পাহাড়ি কলা খেয়ে পুরো প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। এবারও ইচ্ছা ছিল পাহাড়ি কলা খাব।
এখানে একটা বড় ঝুলন্ত ব্রিজ আছে। ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে অন্যপ্রান্তে গেলাম আমরা। কয়েকটি পাহাড়ের মাঝে এখানে যে লেকটি ছিল সেই লেকটি দেখতে অনেক সুন্দর। কয়েকজন দেখলাম নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাই হোক আমরা কিছু ফটোশুট করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
পাহাড়ের উপর উঠেই দেখলাম অনেকগুলো নতুন দোকান। আগেরবার যখন দেখেছিলাম তখন অন্য পাশে দুই একটা ছিল কিন্তু এখন চার-পাঁচটা নতুন দোকান দেখতে পেলাম। প্রত্যেকটা দোকানে কলা, পেঁপে সহ কিছু পাহাড়ি ফলমূল পাওয়া যাচ্ছিল। সেখানে দেখলাম কেথলিতে করে চা ও বানানোর ব্যবস্থা আছে। যদিও আমরা চা খাই নি - খেয়েছি কলা আর পেঁপে।
কলা নিয়েছিলাম ১৮ পিস। চরম ইচ্ছে ছিল অনেকগুলো কলা খাব, কারণ এখানকার কলা গুলো খুবই মিষ্টি হয়। কিন্তু কলাগুলো আমাকে হতাশ করল সাথে কলা বিক্রেতা মেয়েটাও। মেয়েটা বলেছিল তার কলা গুলো খুব মিষ্টি হবে। কিন্তু অপরিপপক্ক কলা পাকানো হয়েছে সেটা বুঝা যাচ্ছিল। যাইহোক কলা খেয়ে মজা পাইনি, এরপর ৮০ টাকা দিয়ে কিনলাম পেতে। পেঁপে খেয়ে মোটামুটি ভালই লাগলো তবে সেই মাপের না।
আরো কিছু ফটোশুট করে আমরা সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। এই জায়গাটা থেকে লেক ভিউ টা সুন্দর লাগে। সামনে ছিল ছোট ছোট চিড়িয়াখানার মতো যেখানে পাহাড়ি ভাল্লুক আর হরিণ ছিল। সেগুলো দেখেছি এরপর আবার অন্য একটি স্পটে।
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব খুব শীঘ্রই। বান্দরবান ডায়রির প্রথম পর্ব কেমন লাগলো অবশ্যই। দ্বিতীয় পর্বে মেঘলা পর্বতের বাকি অংশ এবং একটি ঝর্ণা দেখার অনুভূতি শেয়ার করব। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দারুন একটি জায়গায় ভ্রমন করলেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তো যদিও কাছাকাছি আছি কিন্তু বান্দরবান এখনো যাওয়া হয়নি। তবে রাঙ্গামাটি ঘুরে আসলাম কিন্তু বান্দরবান বাকি থেকে গেছে। একটা বিষয় খুব ভালো লেগেছে তা হচ্ছে পাহাড়ের কলা এবং পাহাড়ি পেঁপে গুলো খেতে খুবই মজার হয়। ফটোগ্রাফার মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্য আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন।
আমি সাজেক গিয়েছিলাম এবং কক্সবাজার অসংখ্য বার যাওয়া হলেও, বান্দরবান কখনো যাওয়া হয়নি। শুনেছি দেবতাখুম অনেক সুন্দর জায়গা। যাইহোক দেবতাখুম বন্ধ ছিলো বলে যাওয়া হয়নি আপনাদের। অবশেষে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র গেলেন এবং বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করলেন। পাহাড়ি কলা এবং পেঁপে খেতে দারুণ লাগে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে অনেক গুলো কলা খেয়েছিলাম এবং খাগড়াছড়িতে পেঁপে খেয়েছিলাম। বিশেষ করে পেঁপে অনেক মিষ্টি লেগেছিল খেতে। যাইহোক পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ওয়াও অসাধারণ ভাই বান্দরনের যে জায়গায় গুলো সব জায়গা পাহাড় আর সবজ প্রকৃতিতে ঘেরা ৷ সত্যি অসাধারণ আমি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ ৷ আপনি মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন ৷চায়ের ক্যাটলি কলা পেপে ওয়াও দারুন ৷ আবার চান্দের গাড়ি নামটি শুনে অনেক ভালো লাগলো ৷
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ৷
বান্দরবান আর সেন্ট মার্টিন আমার যাওয়া হয়নি।আপনি চমৎকার একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। ভীষন ভালো লেগেছে দেখে।সবুজ প্রকৃতি আমার ভীষণ পছন্দ। তাইতো পাহাড় খুব ভালো লাগে আমার। হিমছড়িতে গিয়ে আমি পাহাড়ি কলা খেয়েছিলাম।খুবই মজার ছিল খেতে।অপরিপক্ক কলা পাকানো হয়েছে।তাই হয়তো আপনার কলা গুলো খেতে ভালো লাগেনি।গাছ পাকা হলে খেয়ে মজা পেতেন। অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। পরবর্তী পর্বে মেঘলা পর্বতের বাকি অংশ ও একটি ঝর্না শেয়ার করবেন।অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঝুলন্ত ব্রিজ এবং পাহাড়ের মধ্যে থাকা লেকের সেই ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম না তো দাদা! 🤔 যাইহোক, বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছ বুঝতে পারলাম। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম যা বেশ ভালো লাগলো। আমার তো পেঁপে দেখে খেতে ইচ্ছে করছে দাদা । শীতের সময় কলা একটু কম মিষ্টি থাকে, তারপর যদি আবার সেগুলো অপরিপক্ক হয় তাহলে তো আরো কম মিষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কলা বিক্রেতা মেয়ে তোমাকে ধোকা দিয়ে দিলো জেনে আফসোস লাগলো।
আমাদের আসলে সমস্যা এইটাই যে বেশি লাভের আশায় আমরা লোক ঠকাতে ২য়বার চিন্তা করি না। শহরে তো এমনেই মানুষ ভেজালে ভরা জিনিস খায়। প্রত্যন্ত পাহাড়ে গিয়েও অপরিপক্ক কলা পাকানোর বিষয় টি জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো। ভালো জিনিস কম খেলেও সেটার নাম হয় এবং তাতেও তৃপ্তি থাকে। তবে বিজনেসের জন্য সেখানেও ২ নম্বরি শুরু হয়ে গেছে এটা মোটেও ভালো দিক না। সামনের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
দেবতাখুম বন্ধ থাকলেও প্রথমদিনটা ভালোই কেটেছে বুঝা যায়। কলা আর পেঁপের ফটো দেখে বুঝা যায় জোর করে পাকানো হয়েছে। তবে উপরের কালার অনেক সুন্দর ছিল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালোই ফটোগ্রাফি দেখলাম। ধন্যবাদ।