শিক্ষা
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? কমিউনিটিতে আপনাদের সময় বেশ ভালোই পার হচ্ছে সেটি অনুমান করাই যায়। কারণ প্রতিনিয়ত "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে বিভিন্ন রকম আপডেট আসছে এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে খুব কম ইউজার আছে যারা বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে অপছন্দ করে। তারা শুধুমাত্র এখানে রয়ে গেছে একটা ইনকামের আশায়। আবার আমি কিছু অভিযোগ পেয়েছি যেখানে বাহিরের কিছু ইউজার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ছোট করে বলে থাকে এই কমিউনিটির সিস্টেমগুলো ভীষণ খারাপ। তাদের মেইনলি সমস্যাটা কোন জায়গা সেটি আমি অনেক আগে থেকেই বুঝতে পেরেছি। আর এই ধরনের মনমানসিকতা কেন সৃষ্টি হয় সে বিষয়টাও আমি এখন ক্লিয়ার করব।
আসলে জাতি হিসেবে আমরা একটু বেশিই অলস। দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা খুবই উদাসীন। অনেকেই আছেন যারা নিজে কোন জিনিস করতে না পারলে অন্য যারা করছে বা করতে পেরেছে তাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে । এটি শুধুমাত্র তার হিংসার বহিঃপ্রকাশ । হিংসা একজন মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। অন্যের প্রতি হিংসা প্রকাশ করে নিজে কখনোই লাভবান হওয়া যায় না। শুধুমাত্র হিংসা করতে সময়টুকুই নষ্ট হয়ে যায়। সময়ের মূল্য দিতে হবে, শিখতে হবে, জানতে হবে। আমি উপরে যাদের কথা বললাম তারা যদি নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বেশি সচেতন হতো তাহলে তারাও দক্ষতার সাথেই বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করে টিকে থাকতে পারতো। বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সিস্টেমগুলো যখন তাদের কাছে কঠিন লেগেছে আর এখানকার কম্পিটিশনে টিকে থাকতে পারবে না বলে মনে হয়েছে, তখনই বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তাদের কাছে খারাপ হয়ে গেছে। তাদের জন্য আমি রিকমেন্ড করব আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। আপনার পজিশনকে আরো উন্নতি করার চেষ্টা করুন। আপনি আপনার দক্ষতাকে ইম্প্রুভ করতে পারলে বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আপনার কাছে সবচেয়ে বেশি ফ্রেন্ডলি মনে হবে। আসলে মেইন সমস্যাটাই ওইখানে। আমরা আমাদের দুর্বলতাকে ঢেকে রেখে অন্যকে মন্দ বলতে পছন্দ করি।
পৃথিবীর অন্যান্য জাতি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে বাঙালি জাতি বরাবরই শিক্ষাগ্রহণে কেমন যেন একটা উদাসীন। তবে শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকে দোষ দেয়াটাও অযৌক্তিক। আমাদের সিস্টেমটাই কেমন যেন নড়বড়ে। দেখুন না, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা টাই কেমন।।। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় তাত্ত্বিক শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। একজন স্টুডেন্ট তার কর্মক্ষেত্রে গিয়ে প্রথমেই যে সমস্যাটার সম্মুখিন হয় তাহলো দক্ষতার অভাব। আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি যখন চার বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলাম তখন চারটি বছর প্যাকটিক্যাল যা করেছি এখন প্রায় কিছুই মনে নাই। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস যেগুলো ছিল সেগুলোতে স্যারদের উপস্থিতিই থাকত কম। কোন কিছুই ভাল ভাবে শেখানো হয়নি। সিএনসি মেশিন শুধুমাত্র অফ করার অন করাটাই শিখেছিলাম। এরকম প্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো না শিখে শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন করে কখনোই দক্ষ হওয়া যায়না। বিদেশের বিজ্ঞানীরা সফলতার গল্প শোনায় আর সেগুলোর দিন-তারিখ মুখস্থ করে আমার দেশের ছাত্রছাত্রীরা।
প্রত্যেকটা সেক্টরেই তাত্ত্বিক বিষয় থেকে প্র্যাকটিক্যাল বিষয়গুলোর গুরুত্ব বেশি দেওয়া উচিত। কোন বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকলে অন্যের সফলতা দেখে হিংসা তো জাগবেই। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমরা যে সেক্টরেই অবস্থান করবো ওই সেক্টর সম্পর্কে প্রথমে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করা এরপর নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করা । অন্যের দোষ-ত্রুটি ধরে নিজের সময় নষ্ট না করে ওই সময়টা নিজের জন্যই কাজে লাগানো উচিত। তাহলেই নিজের পজিশন টাকে নিশ্চিত করা সম্ভব।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমাদেরকে যে পরিমাণ সুযোগ সুবিধা দিয়েছে এটি অন্য কোন কমিউনিটিতে পাওয়া সম্ভব নয়। এরপরেও যদি কেউ আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে বাজে কথা বলে তাহলে তার মানসিকতারই সমস্যা রয়েছে। আসলে যার মানসিকতা যেরকম তার চিন্তা ধারা গুলোও সেরকম। আগে আমাদেরকে অবশ্যই মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে। তারপর সকলের সাথে একসাথে কাজ করা উচিত।
দারুণ লিখেছেন ভাই। একশ্রেণির লোক আছে যারা শিক্ষা করতে পছন্দ করে কিন্তু শিক্ষা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। এদের কাজই এইটা।
এবং শিক্ষাব্যবস্থার কথা বললেন। সেটার তো অবস্থা খুবই বাজে। শুধু বইয়ের লেখা গিলে খাও পরীক্ষার হলে খাতার উপর উগড়ে দাও। আর জিপিএ ৫ পাও। আর বলো I am a gpa 5.
অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।
আমরা সব সময় পরিশ্রম ছাড়াই সফলতা অর্জন করতে চাই এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় দোষ। আমরা যদি আমাদের নিজের ভালো বুঝতে না পারি তাহলে কখনোই অন্য কেউ সেটা বুঝাতে পারবে না। শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমাদের নতুনভাবে শেখার জন্য প্রতিনিয়ত দারুন দারুন প্রজেক্ট তৈরি করছে। বিভিন্ন ক্লাস এবং লেকচার শিট এর মাধ্যমে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারছি। এগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে যারা বুঝতে পারছে তারাই বলতে পারবে যে আমরা কতটা অদক্ষ ছিলাম। নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। শেখার কোন শেষ নেই। নিজের প্রচেষ্টায় এবং জানার আগ্রহ সব সময়ই আমাদেরকে ভাল কিছু উপহার দিবে। সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই আগ্রহ থাকতে হবে এবং জানার ইচ্ছা থাকতে হবে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি যদি স্কুল কলেজের সায়েন্স এর কথা বলি।তাহলে দেখেন,আমাদের নাইন,টেন এ যে কি প্র্যাক্টিক্যাল করালো তা টিচাররাই যানে।আমরা জানিনা।
এরপর ইন্টারেও সেইম।কি যে পড়ালো তা বুঝতেই পারিনি।বেশিরভাগ সময় হতোই না ক্লাশ গুলো।কিন্তু আমাদের পরবর্তীতে ওই বই এর লেখার চেয়ে এইযে প্র্যাক্টিক্যাল গুলোই বেশি দরকার।
আর আমরা যেহেতু বাঙ্গালী আমরা, সেহেতু পড়াশোনার ইচ্ছা নেই বললেই চলে।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া আমরা জাতি হিসেবে সত্যিই অলস। এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও একজন অলস প্রকৃতির মানুষ।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট আপনি ধরেছেন সুমন ভাই। আমাদের দেশে শুধু পুঁথিগত বিদ্যার দিকে নজর দেয়া হয়। পরীক্ষার খাতায় কে কত মার্কস পেলো সেটাই সবার কাছে মূখ্য বিষয়। এই জন্য আমরা যখন শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করি তখন পদে পদে সমস্যায় পড়ি। আসলে প্রাক্টিক্যালি একটা ব্যাপার যত ভালভাবে শেখা যায় বই পড়ে মোটেও সেই দক্ষতা আপনার ভেতরে আসবে না।
ঠিক বলেছেন ভাই.. জাতি হিসেবে আমরা একটু বেশিই অলস। দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা খুবই উদাসীন। অনেকেই আছেন যারা নিজে কোন জিনিস করতে না পারলে অন্য যারা করছে বা করতে পেরেছে তাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে ।আজ এটাই চলে সমাজে সব খানে ।হিংসা বদগোমনি অবক্ষা করা ।লোক পিছনে গিবত করা ।নিজেতো অলস থাকবে আর কেউ কিছু করলে এমন করা হয় ।আর এই সব হয় সুশিক্ষিত না হওয়ার জন্য ।ধন্যবাদ ভাই লিখনিটি ইউনিক ছিলো।
আপনি দারুণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন দাদা।সত্যিই আমাদের সিস্টেমের শুরুতেই গন্ডগোল রয়েছে।যেখানে ছোটবেলা থেকেই একটা মুখস্থ বিদ্যার সঙ্গে অভ্যস্ত সবাই ,কিন্তু এই বিদ্যা শুধুমাত্র সাময়িক সময়ের জন্য কার্যকরী।কিন্তু যদি আমরা প্রাকটিক্যাল ভাবে সব কিছুই ছোটবেলা থেকে আয়ত্ত করতে পারতাম তাহলে তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে রাখা সম্ভব হতো।নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করে তাতেই সময় ব্যয় করা উচিত।ধন্যবাদ দাদা।
প্রতিটা জিনিস আমরা আর আনন্দের বলেন , নিজের অভিজ্ঞতায় যেটা শিখতে পাই সেটা আর কোনো ভাবে শিক্ষা সম্ভব না , শতের মধ্যে এমন অনেক কম মানুষ আছে যারা কিনা কক্ষের দেখায় অনেক কিছু নিজের আয়ত্ত করতে পারে , অনেক বুঝার মতো কথা ছিল ভাইয়া , অনেক বেশি ভালো লাগলো।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা শেয়ার করেছেন। হিংসা এবং নিজেকে অন্যের জায়গায় না নিয়ে গিয়ে বরং অন্যকে পিছন থেকে টেনে ধরা কিংবা সমালোচনা করা এ বিষয়গুলো আমাদের মধ্যে অনেকটাই প্রকট।
আর পেট্রিকেল যে শিক্ষার কথা বললেন সেটা আসলে আমাদের জন্য অনেক বেশি সমস্যা। আমরা অনেক অনেক ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করছি কিন্তু কাজ করতে পারে এরকম দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে পারছি না এটা জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যারা শিক্ষা দান করেন তাদের মাঝে সীমাবদ্ধতা থাকবে। হয়তো জ্ঞানের কিছু ঘাটতি থাকবে কিন্তু যদি চেষ্টা থাকে তাহলে এই বিষয়গুলোকে উত্তরে নিয়ে ভালো কিছু ছাত্রদেরকে দেয়া সম্ভব। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, আমাদের শিক্ষকগণ সময় দিতে চান না নিজের ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। এই জায়গার কাজটা অনেক কঠিন কিন্তু এখন সমাজে দেখা যায় শিক্ষকতা অনেক সহজ। শুধু বোর্ডে লিখে দিলেই মনে হয় দায়িত্ব শেষ।