বহুদিন আগের কথা।
শুভ বিকেল। সবাইকে জানাই এই ঠান্ডা বিকেলে উষ্ণ ভালোবাসা। আজ দুপুর বেলা আমি গোসল খাওয়া-দাওয়া করে আমার বিছানায় গিয়ে বসলাম। তো হঠাৎ আমার স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ওঠার দিনগুলি মনে পরতে লাগলো। সময়টা খুবই অদ্ভুত ছিল। মাঝে মাঝে মনে হতো জীবনের সব আনন্দ বোধ হয় শেষ হয়ে গেল। প্রিয় বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে দূরে চলে যাচ্ছি। আসলে স্কুল জীবনে পাওয়া বন্ধু-বান্ধবদের কখনো ভোলা যায়না। তবে আমার কলেজ জীবনেও অনেক ভালো ভালো বন্ধু পেয়েছিলাম। যাইহোক, ওই সময়ের কিছু গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা শেষ করলাম। যেদিন শেষ পরীক্ষা দিয়ে বন্ধুদের সাথে বাড়ি ফিরলাম সেদিন খুব আনন্দ লাগছিল। আবার খারাপ লাগছিল এই ভেবে যে এই বন্ধুদের সাথে আর এক বেঞ্চে বসে ক্লাস করা হবে না, পরীক্ষা দেওয়া হবে না। স্কুল লেভেলের বন্ধুরা সাধারণত নিজ এলাকার আশেপাশের ই হয়। এজন্য স্কুলজীবন শেষ হওয়ার পরেও বন্ধুদের সাথে যখন ইচ্ছা তখনই দেখা করতে পারতাম। তবে কষ্ট একটা থেকেই যায়। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে যাদের সাথে লেখাপড়া করলাম তাদের সাথে আর স্কুলে যেতে পারবো না। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বন্ধুদের সাথে মাঝেমধ্যেই দেখা করতাম। সবাই মিলে মাঝেমধ্যে পিকনিকের আয়োজন করতাম। যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা শেষ অনেক লম্বা একটা ছুটি পাচ্ছি। সময়টা ছিল শীতের। মাঠে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আগুন জালানো, শীতের সকালে কুয়াশার মধ্যে স্কুল মাঠে গিয়ে আড্ডা দেওয়া, মাঝেমধ্যে পিকনিক করা, যখন তখন বাজারে চলে যাওয়া, কোন কিছুতেই যেন তখন আর বাধা নেই। কারণ অনেক লম্বা একটা ছুটি পাওয়া যায় এসএসসি পরীক্ষার পর। তবে এই খুশিটা বেশি দিন ছিল না। আমার অনেক বন্ধু বান্ধব কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং করতে শহরে যাওয়া শুরু করলো। শহর আমাদের বাড়ী থেকে বেশ দূরে। যারা ওখানে যেয়ে লেখাপড়া করছে তারা সবাই ম্যাচে থাকে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
আমি বুঝে ওঠার আগেই বাড়ি থেকে প্রেসার দেওয়া শুরু করল, যে যত দ্রুত সম্ভব শহরে গিয়ে কোচিং এ ভর্তি হতে হবে। ওই সময় আমার ভাবতেই কষ্ট লাগতো যে ম্যাচে থেকে আমার লেখাপড়া করতে হবে। আমি আগেই শুনেছিলাম ম্যাচে একটা রুমে ২/৩ জন থাকতে হয়। ছোটবেলা থেকে আমার রুমে আমি একা থাকতেই বেশী পছন্দ করতাম. আর পাশে কেউ থাকলে আমার ভালো লাগত না। এজন্য ম্যাচে থাকার ব্যাপারটা নিয়ে আমি খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে কোনো উপায় ছিল না যে এ বিষয়টা এড়িয়ে যাব। শহরে আমার একটা পরিচিত মামা থাকতো। তো আমি একদিন তার কাছে গেলাম ম্যাচ দেখার জন্য। আর আমি যেই কোচিং এ ভর্তি হব সেই কোচিং এর আশেপাশেই ম্যাচ নিতে হবে এরকম একটা পরিকল্পনা নিয়ে শহরে গেলাম। আমার ওই মামার সাথে গিয়ে কোচিং এ ভর্তি হয়েছিলাম। কোচিং এ ভর্তি হওয়ার পর ওই মামা যে ম্যাচে থাকত সেখানে আমাকে নিয়ে গেল। তার ম্যাচে একটা রুমে তিনটা সিট ফাঁকা ছিল। ওই ম্যাচে একটা রুম বুকিং দিয়ে এসেছিলাম সেদিনই। কিন্তু ম্যাচের পরিবেশ দেখে আমার কেমন যেন একটা অসহায় লাগছিল। সবাই অপরিচিত, রুমের কি অবস্থা,,, এরমধ্যে আমার থাকতে হবে। ঐদিনের ফিলিংসটা মাঝেমধ্যে আমার এখনো মনে পড়ে। খুবই কষ্ট লাগতেছিল। পরিবার ছেড়ে, এত কাছের বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে ওখানে গিয়ে থাকতে হবে। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। তো সেদিন ম্যাচ বুকিং করে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে আমার মন খুবই খারাপ ছিল। তারপরে ২/৩ দিন বাড়িতেই ছিলাম। এ দুদিন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খুব ঘুরাঘুরি করলাম। এরপর আমার সময় চলে আসলো ম্যাচে চলে যাওয়ার। কারণ কোচিং শুরু হয়ে যাবে বলে নোটিশ পেলাম ।
আমার স্পষ্ট মনে নেই তবে, সম্ভবত মার্চ মাসের ১৭ তারিখে আমার বেডিং পত্র নিয়ে একটি অটো গাড়ি ভাড়া করে ম্যাচে গিয়েছিলাম। সারাক্ষণ মন খারাপের দেশে থাকতাম। কোচিং এ যেতাম মন খারাপ করে, ম্যাচে শুয়ে বসে থাকতাম মন খারাপ করে। কখন শুক্রবার আসবে আবার বাড়িতে যাব, এই আশা নিয়ে সপ্তাহ পার করতাম। প্রতি বৃহস্পতিবার এ ক্লাস শেষ করেই ছুটে চলে আসলাম বাড়ীতে। বাড়িতে যেদিন আসতাম সেদিন ভীষণ আনন্দ লাগত। তো এরকম করেই এক-দেড় মাস পার হয়ে গেল। কোচিং করতেছিলাম ভালোই। মনের মধ্যে আশা ছিল একটি পাবলিক পলিটেকনিক্যালে চান্স নিতে হবে। এরইমধ্যে খবর আসলো পলিটেকনিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা আর হবে না। এসএসসির রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে চান্স দেওয়া হবে। এ নিউজ শুনে ভীষণ আনন্দ লাগছিল। কারন আমার এসএসসিতে জিপিএ ৫ ছিল। আমি এখন নিশ্চিন্ত। আমার চান্স তো হবেই হবে। তারপর আবার ম্যাচ ছেড়ে দিলাম। ম্যাচ ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যেতে হবে।
এখানে একটা কথা বলে রাখি। কোচিং চলাকালীন সময়ে কোচিংয়ের একটা ছেলের সাথে আমার ভীষণ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার স্কুল লাইফের একটা বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। পরবর্তীতে আমি আরও একটি ভালো বন্ধু পেলাম। আমার লাইফের সবকিছু ওর সাথে শেয়ার করতে পারতাম এবং আমার মনের মতন একটা বন্ধু ছিল। বন্ধুর জন্য আরেকটা বন্ধু কি করতে পারে সেটি পরবর্তী সময়ে অনেক বার ও প্রমাণ দিয়েছে। ওর সাথে পরবর্তী সময়ে আমার বহু স্মৃতি আছে। সেগুলো ১০০০ পেজের একটি বইতে লেখেও হয়তো শেষ করা যাবে না। যাই হোক, ওর বিষয়ে অন্য একদিন সংক্ষেপে কোন গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। তবে শহর থেকে যখন চলে এসেছিলাম তখন তো এটা ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছিল যে আবার বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। তবে ওই বন্ধুর সাথে শহরে অনেক ভালো ভালো সময় কাটিয়েছি। দিনগুলো অনেক মনে পড়ছিল। ওকে ও তো বাড়ি চলে যেতে হয়েছিল। আর দেখা হবে কিনা আমাদের সন্দেহ ছিল।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
সবাইকে বিদায় জানিয়ে একদিন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেদিন আকাশ টা মেঘলা ছিলো। একটা ইজি বাইক ভাড়া করেছিলাম আমার সবকিছু বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য। ২০০ টাকা দিয়ে ইজিবাইক ভাড়া করে সবকিছু নিয়ে বাড়ির দিকে চলে আসলাম। আসার সময় শহরটা একনজর তাকিয়ে দেখছিলাম।
বাড়িতে অনেকদিন এসে থাকতে হয়েছিল। এর মধ্যে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছিলাম। আমি দুইটা কলেজ চয়েজ অপশনে রেখেছিলাম। এক নাম্বারে দিয়েছিলাম (____) এবং দুই নাম্বারে দিয়েছিলাম যশোর। প্রায় দুই মাস পর আমাদের রেজাল্ট পাবলিস্ট হলো। আমার চান্স হয়েছিল যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।যশোরের কলেজটি আমার নিজের শহরের কলেজ থেকে ভালো মানের ছিল । কিন্তু পরবর্তীতে রেজাল্ট পাবলিস্ট হওয়ার পর আমার মন চেঞ্জ হয়ে গেল। আমি নিজের শহরের কলেজেই ভর্তি হব চিন্তা করলাম। এজন্য আমার মাইগ্রেশন অন রেখেছিলাম। সৌভাগ্যবশত আমার মাইগ্রেশন আপগ্রেড হয় আমার নিজের শহরের কলেজ (____) পলিটেকনিকেল ইনষ্টিটিউটে চলে আসলো। এখন থেকে শুরু হল আমার নতুন অধ্যায়।
নতুন অধ্যায়ের গল্পগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব অন্য একদিন।................................
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আজকে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাইয়া আপনার সম্পর্কে , জেনে খুবই ভালো লাগলো , আসলে এই পড়াশুনার সময়টা অনেক খারাপ যাই , আমার ও একই অবস্থা হয়েছিল ,আমার পরিবার থেকে আমাকে দূরে পাঠিয়ে দেয় ম্যাচ এ থাকার জন্যে , মন না চাইলে ও যাওয়া হয়েছিল , তবে যাওয়ার পর আর বাড়ি আস্তে মন চাইতামনা , আমার ওখানেই বেশি ভালো লাগতো , তবে ভাইয়া আপনার গল্প পরে অনেক বেশি ভালো লাগলো কারণ আমার আমি ও এমন পরিতস্থিতিতে ছিলাম।
ম্যাচ জীবন খুবই আনন্দের সাথে কাটিয়েছি। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। পরবর্তী পর্বে সেগুলো আলোচনা করব। প্রথমদিকে ম্যাচ খুবই বিশ্রী লাগত। কিন্তু পরে ম্যাচ খুব প্রিয় হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে আসতে চাইতাম না।
আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে, সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। স্কুল লাইফের জীবন গুলো খুবই আনন্দের ছিল। আর বন্ধুদের সাথে মারামারি কত আনন্দ। সত্যিই আজ মনে পড়ে গেল।
আপনার স্মৃতির পাতা থেকে আমাদের মাঝে সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এখান থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম
আপনার আজকের লেখায় অনেক কিছু তুলে ধরেছেন ভাই। এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতাগুলো অনেক সুন্দর ছিল। পরীক্ষার পরিবর্তি সময়ে এসএসসি লেভেলের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, বন্ধুবান্ধবদের ছেড়ে শহরে ভালো কোথাও চান্স পাবার আশায় কোচিং করতে যাওয়া ও মেসে দিন কাটানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা।সবকিছুই বেশ ভালই ছিল। পরবর্তীতে নিজ শহরের পলিটেকনিকেলে ভর্তি হতে পারাটা আপনার জন্য বেশ ভালোই হয়েছিল। কারন নিজে এলাকা থেকে দূরে থাকা আপনার পছন্দ না। অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার অবশ্য এই ফিলিংসটি কখনো হয়নি ম্যাচ এ থাকার বিষয়টি। তবে আমার কাছে কেনো যেনো মনে হয় যে ম্যাচ এ অনেক বেশি মজা হবে।তবে আপনার গল্প পড়ে মনে হচ্ছে মজা হবেনা। যদিও মানুষ ভেদে পছন্দ ভিন্ন হতেই পারে।তবে আমার পছন্দটা একেবারে সব কিছু কল্পনা করে আর আপনারটা তো বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই।পড়ে ভালো লাগলো।
কলেজে ওঠার পর ম্যাচ লাইফ সবচেয়ে বেশি আনন্দের সাথে কাটিয়েছি। পরের পর্বে গল্পগুলো শেয়ার করব।
আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন স্কুল লাইফের বন্ধু বান্ধবদের আসলে কোন ভাবেই ভুলা যায় না কারণ তাদের সাথে দীর্ঘ 10 বছর একসাথে স্কুলে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছবি দেখা আরো কত কি। এতকিছুর পরেও তাদেরকে কোন ভাবেই ভুলা যায় না। এই আমি গত সপ্তাহে আমার স্কুল লাইফের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম কি যে আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল সেটা আমরা যারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম তারাই বুঝতে পারবো শুধু। আপনার বাস্তব গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার স্মৃতির পাতা থেকে কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই। ঐ সময় গুলোর স্মৃতি কখনো ভোলা যায়না।
জীবনে অনেক বন্ধু হলেও আসলে ভাইয়া ইস্কুল জীবনের বন্ধুত্ব কখনো ভোলা যায়না। স্মৃতিগুলো বার বার চোখের সামনে এসে বেড়ায়।সত্যিই ভাইয়া এসএসসি পরীক্ষার এক্সামের পর মনের ভিতর আনন্দ কাজ করে আর কারো সাথে দেখা হবে না আর কারো সাথে একসাথে বসে আড্ডা দেওয়া হবে না। আসলে আস্তে আস্তে মানুষ নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। বন্ধু-বান্ধবের কথা মনে থাকবে না। যদিও বা যেগুলো বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হবে সোশিয়াল নেটওয়ার্কে যাদের আছে তাদের সাথে। আর যাদের নাই তারা হয়তো বা হঠাৎ একদিন দেখা হবে। দোস্ত কেমন আছিস? এই বলে চলে যাবে।আসলেই তাদের কখনো ভুলা যাবে না। তারা আমাদের স্মৃতির মধ্যে থেকে যাবে মনে পড়লে অনেক কষ্ট লাগে।
ঠিক বলেছেন। অনেক বন্ধু থাকে যারা খুবই কাছের ছিল। যাদের সাথে অনেক সময় পার করা হয়েছে। কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে ইচ্ছে করলেও দেখা-সাক্ষাৎ ও হয় না।
আসলেই ভাই ঠিক কথা বলেছেন স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষা দেওয়ার পর ভাবতেই অবাক লাগে যে যাদের সাথে এতদিন একসাথে পথ চলা তাদের সঙ্গে আর একই বেঞ্চে বসে ক্লাস করা হবে না। আপনার পোস্টটি পড়ে আবারও পুরনো স্মৃতিগুলো নাড়া দিয়ে উঠলো খুব সুন্দর লিখেছেন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
স্কুল জীবন যখন শেষ করেছিলাম ওই সময়টা বন্ধুদের ছেড়ে দূরে চলে যাওয়ার বিষয়টি ভাবতে পারতাম না। খুবই কষ্ট লাগতো । ওই লেভেল টা পার করার পর প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই কষ্টের একটা অনুভূতি জন্ম নেয়।
আমাদের স্কুল জীবনটা কাটে একটা দুরন্তপনার মাঝে। হ্যাঁ ভাইয়া আপনি এটা সত্য বলেছেন। আমাদের মনে অস্থিরতা অশান্তি জাগে সেদিন থেকে যেদিন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান হয় এবং সেদিন থেকেই মোটামুটি সব বন্ধুদের এলোমেলো দেখা-সাক্ষাৎ কমে যাওয়া ওই দিন থেকে অনেকটা পরিবর্তন চলে আসতে শুরু করে। তার মাঝে পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর তিন মাস সময় থাকে ওই তিন মাস সবাই নিজের আনন্দ মতো নিজের মর্জি মতো ঘুরে আনন্দ ফুর্তি করে বন্ধুদের নিয়ে হই চই করে যে যার মতন। একপর্যায়ে সবাই একেক জন একেক দিকে ছুটে চলে যায়। তবে জীবনের প্রথম দিকে নতুন কোথাও যাওয়ার পর নিজের মতো করে বসবাসযোগ্য একটা স্থান খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। নিজেকে মানিয়ে নিতে খুবই কষ্ট হয়। ম্যাচের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বাইরের মানুষদের সাথে মিশতে খুবই কষ্ট হয়। কারণ এর বাস্তব প্রমান আমি নিজেই। তবে একসময় ভালো বন্ধু হয় কেউ মনের মত হয় আবার কেউ মনের মত হয় না। তবেই নিজেকে খুঁজে নিতে হয়। আপনার কলেজে এডমিশন নেওয়া এবং ফরম পূরণ করার পরে যশোরে টেকনিক্যাল কলেজ আপনি চান্স পাওয়া এবং কি আপনি এখানে না যাওয়া এবং নিজের শহরে থাকা আপনি আপরান চেষ্টা করেছেন। আপনার নিজের পরিচিত শহরে থাকার জন্য। এবং নিজের মতো করে থাকার জন্য এবং সেভাবেই পেয়েছেন। আগামী পর্বগুলোতে আপনার কৈশোরের গল্প গুলো শোনার আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেন। এবং আপনার পোস্টগুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে। আপনার প্রতি ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
আসলে ভাই মায়া জিনিসটি মন থেকে মুছে ফেলার কারও সাধ্য নেই। কলেজ ও স্কুল লাইফে যেগুলো কাহিনী ঘটে গেছে সেগুলো কাহিনী আজীবন স্মৃতির খাতায় রয়ে যায়।
আসলে ভাই কোনো এক জায়গায় দীর্ঘদিন
বা একসাথে থাকলে অনেক স্মৃতি জমা হয়ে যায়। আর যখন সেখান থেকে বিদায় নিতে হয় মনের ভেতরে যেন পাথর বাধা হয়।
আমারো ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল ভাই কোনো এক সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ব । আল্লাহর অশেষ রহমতে সেটা পূরণ হয়েছে।
যাইহোক, ভাই আপনার ছোটবেলার কাটানো স্মৃতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ।আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আনন্দের সময় গুলো আমাদের জীবনে খুব বেশি স্থায়ী হয় না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন থেকে আনন্দগুলো যেন তিনি ধীরে হারিয়ে যায়। শৈশবের যে নির্ভেজাল আনন্দ মানুষ উপভোগ করে হাজার চেষ্টা করলেও তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। আপনার মত আমিও কারো সঙ্গে রুম শেয়ার করতে পারতাম না কিন্তু জীবন চলার পথে মানুষকে অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়। ধন্যবাদ আপনার জীবনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করার জন্য