আড়াই টাকার সিঙ্গারা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আজ আমি একটা ছোটখাটো সুন্দর বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব। আজকেও সারাদিন বৃষ্টি ছিল। ঘুমিয়ে কাটিয়েছি দুপুরটা। বিকেলে থেকে প্ল্যান করেছিলাম একটু বাইরে যাব। এদিকে আমার আপু আর ভাগ্নেরা এখনো আমাদের বাড়িতে আছে ওর আগামী পরশু দিন চলে যাবে। আমার আপু আবার আমাদের বাড়ির পাশে বাজারের সিঙ্গারা খেতে খুবই পছন্দ করে। বাড়িতে যখনই ঘুরতে আসবে তখনই বাজারের ওই সিঙ্গারা আমাকে নিয়ে আসছে বলে। যাহোক, আজ এই সিঙ্গারা নিয়েই কথা হবে।
সিঙ্গারা এমন একটা জিনিস যেটার দাম অল্প, প্রায় সবাই খেতে পছন্দ করে। তখন খুবই ছোট ছিলাম । আমাদের বাজারে এক টাকার সিঙ্গারা পাওয়া যেত। আবার কোন কোন দোকানে এক টাকায় দুইটা সিঙ্গারা পাওয়া যেত। সিঙ্গারার সাইজগুলো তেমন একটা বড় ছিল না। তবে স্বাদের দিক থেকে পারফেক্ট ছিল। সময়ের সাথে সাথে সব জায়গায় সিঙ্গারার দাম বেড়েছে। দামটা বেড়ে গেছে কিন্তু সবাই সিঙ্গারা মজা করে বানাতে পারেনা। কিছু ইউনিক দোকান থাকে ওই দোকানের মামাদের সিঙ্গারা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। সব জায়গাতেই এরকম দুই একটা মামার দোকান থাকে।
আমি যখন হাইস্কুলে পড়তাম, আমার মনে আছে প্রায় প্রতিদিন আমরা কয়েকটা বন্ধু চলে যেতাম বাজারের একটা ছোট হোটেলে সিঙ্গারা খেতে। ওই হোটেলের সিঙ্গারা ছিল অমায়িক। আমরা প্রত্যেকে দুই টাকা এক টাকা করে দিয়ে কন্ট্রিবিউট করতাম। আমাদের একটা বন্ধু ছিল এক টাকার বেশি কোনদিনও দিত না। এখন মনে পড়লে মজা লাগে। হোটেলে গিয়ে আমরা দুইটা একটা আবার কখনও টাকা বেশি থাকলে তিনটা চারটা করে সিঙ্গারা নিতাম। সাথে মরিচ আর পেঁয়াজ ও রাখতাম। আমাদের বাজারে ওই হোটেল এখন আর নেই। তবে রাস্তার ধারে বিকেল টাইমে সিঙ্গারা বিক্রি করতে বসে এরকম ছোট ছোট দোকান আছে অনেকগুলো।
একটা নির্দিষ্ট দোকান আছে যে দোকান থেকে আমি সিঙ্গারা প্রায়ই কিনে থাকি। মজার ব্যাপার হচ্ছে সব জায়গাতেই সিঙ্গারা এখন পাঁচ টাকা দশ টাকা করে। কিন্তু এই দোকানের সিঙ্গারার দাম মাত্র আড়াই টাকা। প্রতি সিঙ্গারার দাম দশ টাকা করে দিলেও মনে হয় লস হবে না। অমায়িক স্বাদ। আমার আপুরা যখন আমাদের বাড়িতে আসে তখন এই দোকানের সিঙ্গারাই খেতে চায়। কারণ এই দোকানের সিঙ্গারায় অন্যরকম একটা স্বাদ আছে, যেটা ভুলবার নয়। সিঙ্গারার সাইজ ছোট ছোট কিন্তু স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয়। সিঙ্গারার সাথে যদি একটা মরিচ নেওয়া যায় তাহলে স্বাদটা আরো বেড়ে যায়।
আজ বিকেলে আপু খেতে চেয়েছিল সিঙ্গারা। বাজারে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে। বাজারে গিয়ে ওই সিঙ্গারার দোকান থেকে প্রথমে আমরা ১৪ টা সিঙ্গারা নিয়ে নদীর পাড়ে গেলাম চলে। দোকানে অবশ্য ১৪ টা সিঙ্গারাই অবশিষ্ট ছিল। উনার দোকানের সিঙ্গারা দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায়। ওইগুলো শেষে আবারও বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হবে কিন্তু আমরা যে সময়ে গিয়েছিলাম, তখন চৌদ্দটাই পেয়েছিলাম। আর ১৪ টা নিয়েই চলে গিয়েছিলাম নদীর ধারে। আকাশ ছিল মেঘলা নদীর পানিও লাগছিল কালো। এমন পরিবেশে নদীর পাশে দাঁড়িয়ে সিঙ্গারা আর সাথে কাঁচামরিচ। খেতে লাগছিল অসাধারণ অতুলনীয়।
একটু পরে যখন লক্ষ্য করলাম মেঘের অবস্থা খুবই খারাপ যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে, তখন তাড়াতাড়ি করে আবার বাজারে ফিরে এলাম আমরা। কারণ সিঙ্গারার দোকান গুটিয়ে নিয়ে চলে যেতে পারে বৃষ্টি নামলে। এইজন্য তাড়াতাড়ি সিঙ্গারা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
এরপর বাজারে গিয়ে পনেরোটা সিঙ্গারা আর পাঁচটা চপ নিয়ে নিলাম। এরপর বাড়িতে গিয়ে আপুদের সামনে প্লেটে করে সিঙ্গারাগুলো রাখলাম। সবাই তো খুবই খুশি৷ আমার ওয়াইফ, আপু, ভাগ্নে সবাই খুবই মজা করে খেয়ে নিলো। আমিও কয়েকটা খেলাম খুবই দারুন লাগলো।
সিঙ্গারা যখন দেখি তখন লোভ সামলাতে পারিনা। তবে খাওয়ার পর অবশ্য একটু সমস্যা হয়। এসিডিটি প্রবলেম একটা বড় সমস্যা। এগুলো প্রচুর তেল দিয়ে ভাজা হয়। স্বাস্থ্যের দিকটা মাথায় রেখে সিঙ্গারা বানানো হয়না। শুধু স্বাদের দিকটাতেই খেয়াল রাখা হয়। এজন্য অল্প খাওয়াই ভালো। যাই হোক ভালো লাগলো আপনাদের সাথে মুহুর্তটা শেয়ার করতে পেরে। আজ তাহলে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আমার স্কুলের পাশেই একটি ছোট দোকান ছিল। যেখানে সিঙ্গারা ও পিঁয়াজু বিক্রি করা হতো। ছোট ছোট সিঙ্গারা ও পিঁয়াজু খেতে অনেক ভালো লাগতো। আমার এখনো মনে পড়ে এক টাকায় দুটো সিঙ্গারা দিত। তবে এখন সেই সিঙ্গারা ৫ টাকায় বিক্রি হয়। আমরা সকলেই জানি তেলেভাজা কোনো কিছু খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তবুও লোভ সামলাতে পারি না। তাই আমারও মনে হয় নিজের লোভ সংযত করে অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
ভাই আজকে আপনার সিঙ্গারা গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কারণ আমাদের স্কুলের পাশে এক মামার দোকান ছিল, সেই দোকানে সিংগারা খেতে খুবই মজাদার। আসলে সবগুলো সিঙ্গারার দোকানে চাইতে কিছু কিছু স্পেশাল দোকান থাকে, যে দোকানের সিঙ্গারা খেতে খুবই ভালো লাগে। আসলে আপনার আপু সিঙ্গারা খেতে পছন্দ করে, বিশেষ করে এই দোকানের সিঙ্গারা।এখুন সব জায়গায়তেই সিঙ্গারা পাঁচ টাকা বা দশ টাকা করে। সেখানে মাত্র আড়াই টাকার সিংগারা, তারপরে আবার খুবই সুস্বাদু জেনে খুবই ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে সিঙ্গারা খায়।ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
একদমই ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমিও পারিনা। আপনার ছোটি বেলায় বন্ধুদের নিয়ে সিঙ্গারা খাওয়ার গল্প কি পরে ভালো লাগলো। নদীর পারের আকাশ দেখতে অসাধারণ লাগলো। বাসায় সবার জন্য সিঙ্গারা কিনে নিয়ে গিয়েছেন। দেখে সবাই বেশ জমিয়ে খেয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
আড়াই টাকা দাম হিসেবে সিঙ্গারার সাইজ তো যথেষ্ট ভালো মনে হচ্ছে। ছোট সময় আমাদের এলাকাতেও এক টাকা দামের সিংগারা পাওয়া যেত। তবে এক টাকায় দুটি সিঙ্গারা চোখে দেখি নি। আপনার আপুর মত সিঙ্গারা আমারও অনেক পছন্দের। আড়াই টাকায় সিংগারা পপতে এখন রীতিমত খোঁজাখুঁজি করতে হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ
সিঙ্গাড়া আমার প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে একটি।আমাদের এদিকে বিক্রি করে ছয় টাকা করে।কিন্তু আগের সে স্বাদ নেই।তাও কিছু করার নেই আর পছন্দ বলে খাই।তবে আজকে সকালে অনেক দিন পর সকালের নাস্তায় সিংগাড়া খেলাম কারণ বাইরে ছিলাম।প্রথম খেলাম সে দোকানের সিংগাড়া,এতো মজা ছিলো কি আর বলবো।আর এসেই দেখি আপনার পোস্ট।
সাইজ ও রঙ দেখে মনে হচ্ছে, তৈরি কারক বা বিক্রেতা সৌখিন ও মুখরোচকের বিষয়ে মাথায় রেখে এসব সিংগাড়া তৈরি করেছেন।এখানে লাভক্ষতি ও ক্রেতা আকৃষ্ট করার কৌশল বিদ্যমান। যে কারনে আপনার মত একজন ক্রেতাকে সে আকৃষ্ট করতে পেরেছে। আমি বিক্রেতার উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করছি।
ভাল থাকুন সবাইকে নিয়ে।
এই ধরনের সিঙ্গারা গ্রামের দিকে পাওয়া যায় । শহরে এই ধরনের সিঙ্গারা দেখা যায় না । এই সিঙ্গারা গুলো খেতে আমার কাছে খুবই মজা লাগে । একটা সময় ছিল শহরে বেশ কিছু দোকান ছিল সেখানকার সিংগারা পুরি খুব মজা লাগতো খেতে। এখন আর তেমন মজার কোন সিংগারা পুরির দোকান খুঁজে পাইনা । তবে আমি গ্রামের দিকে গেলে এই ধরনের সিঙ্গারা পেলে সেটা কখনো মিস করি না । মজার ব্যাপার কি জানেন? আমাদের এলাকা যেটা একদম শহরের মাঝামাঝি অবস্থিত বলতে গেলে । সেখানে একটি দোকানে এখনও এক টাকায় সিঙ্গারা পাওয়া যায় । বাদবাকি শহরের সব দোকানেই ৫ টাকা থেকে দশ টাকা করে সিঙ্গারার দাম। এই মেঘলা আবহাওয়াতে আপনার সিংগারা গুলো দেখে এখন খেতে ইচ্ছা করছে । এখন কি করি ?
ছোট ছোট খাবারগুলো অনেক সময় নিজের প্রশান্তির এখানে। মনে একটা শান্তি কাজ করেন। আড়াই টাকার সিংগারা হলেও অনেক স্বাদ আছে দেখে মনে হচ্ছে ভাই। আর সবচেয়ে বড় কথা হল নদীর পাড়ে বসে এই রকম সিঙ্গারা খেতে পারলে মনটা শান্তি হয়ে যেত। যদিও বৃষ্টির কারণে খেতে পারেন নাই। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা টি পড়ে ভাই। ছোটবেলার সুন্দর কিছু স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সিঙ্গারা কিনতে গিয়ে সিঙ্গারা খেতে খেতে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ বেশ ভালো আইডিইয়া আপনার। সিঙ্গারা খেতে সবার মত আমিও অনেক পছন্দ করি। কিন্তু এর দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। রমজানের আগে আমার পাশের বাজারে যে সিঙ্গারার দাম পাঁচ টাকা দিতাম আজকে সেটা দশ টাকা করে খেয়ে আসলাম। মজার ব্যাপার হলো আপনার বাজারের মতো আমার এখানে একটি দোকানে দুই টাকার সিংগারা এবং একটা করে পিয়াজি এখনো পাওয়া যায়। আমার কাছে ওই দশ টাকার সিংগারা চেয়ে দুই টাকার সিঙ্গারা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আড়াই টাকা দামের সিঙ্গারা গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভালো খেতে। আপনার মজার অভিজ্ঞতা টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সিঙ্গারা দেখে আমার মটুর কথা মনে পড়ল। মটু পাতলু মাঝে মটু সিঙ্গারা খেয়ে অনেক শক্তি সঞ্চার করত।যাইহোক মজা করলাম। স্কুল কলেজ লাইফে এমন অনেক ঘটনাই আমাদের আছে। আপনি বন্ধুদের সাথে গিয়ে সিঙ্গারা খেতেন শুনে ভালো লাগলো। যাইহোক আপনার আপু সিঙ্গারা খেতে চাইছে এবং আপনি বাজার থেকে আপুর জন্য সিঙ্গার কিনে নিয়ে এসেছেন।এটি আপুর প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমাকে মুগ্ধ করে। মেঘলা আকাশে ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে।