শৈশবের সুন্দর সময়।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে সুন্দর একটি বিকেলে ছোট্ট একটি গল্প নিয়ে হাজির হলাম। সেদিন বিকেল বেলা কি জানি কি মনে হলো, বাজারের একটা দুতলা বিল্ডিং এর ছাদে উঠে কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলাম। বিকেলটা খুবই সুন্দর ছিলো।
হঠাৎ একটা সময় দেখি একটা ঘুড়ি উড়ে এসে পড়ল ছাদের উপর। ঘুড়িটি দেখতে মোটেও ভালো নয় তবে ব্যাপারটা খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলায় এরকম অনেক ঘুড়ি কুড়িয়ে পেয়েছি। আমরা ঘুড়ি উড়াচ্ছি হঠাৎ কোন একটা ঘুড়ি সুতো ছিড়ে আমাদের এরিয়াতে চলে আসতো। কে আগে ধরতে পারে তার একটা প্রতিযোগিতা হয়ে যেত। আবার ঘুড়ির মালিক যখন আসতো তখন দিয়ে দিতাম। তবে চিল ঘুড়ি বা এ টাইপের ছোটখাটো কোন ঘুড়ি চলে আসলে সেটা নিতে আসতো না কেউ।
এরকম শুধু আমরা পেতাম তা না। আমাদের ঘুড়িও কিন্তু মাঝেমধ্যে সুতো ছিড়ে চলে যেত। ছোট চিল ঘুড়ি উড়ে গেলে যেতাম না খুঁজতে তবে বড় ঘুড়ি হলে দৌড়ে পিছ পিছ চলে যেতাম। বহুদূর গিয়ে সেই ঘুড়ি উদ্ধার করে নিয়ে আসতাম।
যাই হোক সেদিন যে ঘুড়িটা আমরা পেলাম সেটা উড়াচ্ছিলো ছোট্ট একটা ছেলে। আমরা ঘুড়িটা উড়িয়ে দিলাম আর ওকে টান দিতে বললাম। টান দেয়ার ফলে ঘুড়িটা আস্তে আস্তে উড়ে গেল। ভালোই উড়ছিলো আরো ছেলেটি সুতো গোছাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরেই দেখি ওর ঘুড়িটা আবারও বেঁধে গেছে। হাহাহা। কি একটা মুশকিল।।।
পরে দেখলাম ওখানে এসে ঘুড়িটা আস্তে আস্তে আবার ছাড়িয়ে নিয়ে গেল। ওদের মনের মধ্যে কতটাই না আনন্দ এখন। কোন টেনশন নাই। বিকেল বেলা ঘুড়ি উড়াতে মাঠে চলে আসে। তবে আমাদের সময় যে মাঠে আমরা ঘুড়ি উড়াইতাম সেখানে প্রচুর ছেলেপেলে থাকতাম আমরা। ঘুড়ি নামানোর সময় তো প্রত্যেকদিনই এর ওর সাথে বেঁধে যেত। সন্ধ্যাবেলায় যখন সবাই একসাথে ঘুড়ি নামাইতাম তখন এর-ওর সাথে বেঁধে অনেক ঘুড়ির সুতো কেটেও যেত।
এখন মাঠে গিয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ করার মতো পোলাপান খুবই কম। যাইহোক ছোট্ট একটা ঘটনা। আমি জানি এখানকার প্রায় সবারই ঘুড়ি উড়ানোর সুন্দর সুন্দর অনেক স্মৃতি আছে। স্মৃতিগুলো মনে করে হারিয়ে যান শৈশবে। আজ এখানেই বিদায়। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়াতে ভীষণ ভালো লাগতো। আর কারো ঘুড়ি কেটে যাওয়ার পর যদি ধরতে পারতাম, তাহলে তো আনন্দের সীমা থাকতো না। ছোটবেলায় কোনো টেনশন ছিলো না। শুধুমাত্র আনন্দ আর আনন্দ ছিলো। সেই দিনগুলো আসলেই খুব মিস করি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও ঘুড়ি উড়ানোর কোন অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে আমার কাছে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। আসলে শৈশবের সেই আনন্দগুলো বড় হওয়ার পর আর থাকে না। বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের আনন্দগুলো হারিয়ে যায়। আর হারিয়ে যায় সোনালী দিনগুলো। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।