সেদিন আর এদিন।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। যারা নিয়মিত আমার ব্লগ দেখেন তারা কিছুদিন আগেও দেখেছেন আমাদের বাড়ির পাশের নদীর কিছু অবস্থা শেয়ার করেছিলাম। মেইন পদ্মা থেকে কয়েকটি ছোট নদী বেরিয়েছে, সেগুলোই আমাদের এদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যদিও মেইন পদ্মা থেকে খুব একটা দূরে না। বিভিন্ন সময় নদীর মাঝখানে চর জায়গার ফলে ছোট ছোট কিছু নদী তৈরি হয়ে যায়। এগুলো মেইন নদীর সাথেই থাকে।

পদ্মা নদী বিশাল ছিল একসময়। সেটার মাঝে মাঝে চর জেগে জেগে এখন তার পাশে ছোট ছোট কিছু নদী তৈরি হয়েছে আর মেইন পদ্মা সংকীর্ণ হয়েছে। আমাদের লাক ভালো ছিল যে ছোট এই নদীগুলো একেবারেও ছোট ছিলো না। ছোটবেলা থেকে দেখছি এই কোল নদীটি ছিল বেশ বড়। নদীর পাশে অনেক জনবসতি গড়ে ওঠে এবং এই নদীর উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো অনেক জেলে।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছি। হয়তো ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়ি। প্রত্যেকদিন সকালে খেয়াল করতাম কয়েকজন ব্যবসায়ী একটু সময় পর পর ঝুড়িতে করে মাছ নিয়ে গ্রামে আসতো বিক্রি করতে। আমরা সব সময় তাদের কাছ থেকেই মাছ কিনতাম। আমাদের নিজস্ব একটা পুকুর ছিলো। সেই পুকুরে মাছ চাষ করা হতো কিন্তু খুব অল্প পরিমাণে। এক্সট্রা কোন খাবার দেয়া হতো না। প্রাকৃতিক খাবারগুলো খেয়েই বেড়ে উঠত। এরকম ছিল ব্যাপারটা। আমরা অভ্যস্ত ছিলাম নদীর মাছ খেয়ে।

কিছুদিন আগে আমি একটি পোস্ট শেয়ার করে সেখানে উল্লেখ করেছিলাম নদীটি আগে কেমন ছিল আর এখন কেমন। বাইক চালিয়ে নদীর এপাশ থেকে ওপাশে পার হয়ে যাওয়া যেত। এ দৃশ্যের ছবি ও শেয়ার করেছিলাম আমি। অনেকেই তো আবার নদীর মাঝে খনন করে ঘের বানানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ফেলেছিল। আশা শেষ হয়ে গেছে। এই নদীতে আর আগের মত কখনো পানি হবে না।

অনেকদিন এলাকার বাইরে থেকে যেদিন বাড়িতে আসলাম সেদিন নদীর চেহারাটা দেখে মনটা ভরে গেল। একমাস আগে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় যে নদী একেবারে শুকনো দেখে গেছি, বর্ষার পানি এসে নদী এখন পূর্বের রুপ কিছুটা ফিরে পেয়েছে। স্বচ্ছ পানিতে টলমল করছে এপার থেকে ওপার।

সমস্যাটা হলো এই পানি থাকে না সব সময়। কয়েক মাস হয়তো এই পানি স্টেই করবে তারপর আবার পানি নেমে যাবে। আগামী শীতেই হয়তো নদীর মাঝখান দিয়ে বাইক চালিয়ে আমরা ঘুরতে যেতে পারবো। কতই না সুন্দর ছিলো সেই আগের দিনের নদীর রুপ। কত মাছ পাওয়া যেত আর এখন পানি শুকিয়ে গেলে সেখানে ঘের করে মাছ চাষ করার পরিকল্পনা চলছে। আগামী পাঁচ বছর পর হয়তোবা সম্পূর্ণ নদীটা একটা জমিতে রূপ নেবে। পরবর্তী প্রজন্ম জানবেই না কত সুন্দর ছিলো এই নদীর সৌন্দর্য।

water-8274680_1280.jpg



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


20240320_225328_0000.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

ছোটবেলায় পুকুর এবং খাল বিলের মাছ খেতে সত্যিই দারুণ লাগতো। আর এখন তো মাছ খেতেই ইচ্ছে করে না। যাইহোক বর্ষাকালে নদীর সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাই। পানি একেবারে থৈথৈ করে। মাঝেমধ্যে ভাবি নদীতে যদি সবসময় এতো পানি থাকতো,তাহলে ভীষণ ভালো লাগতো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

নদীর ধারাই তো চলমান, তাই তো নদী প্রবাহমান! তবে আমাদের অত্যাচারে নদীর স্বাভাবিক গতিরও পরিবর্তন হয় সময়ের সাথে সাথে! পাঁচ বছর পর হয়তো আর সে স্থানে নদীর কোন চিহ্ন থাকবে না - ভেবে খারাপ লাগাটাও স্বাভাবিক!

 2 months ago 

বর্ষাকালে নদীর এক রকম সৌন্দর্য দেখা যায়। আর শীতকালে অন্যরকম। বর্ষাকালে যখন অনেক পানি হয় ওই সময় নৌকায় করে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আর শীতকালে নদীর চরে। যাইহোক ভাইয়া নদীর সৌন্দর্য খুব সুন্দর উপভোগ করেন যা দেখে আসলেই ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62848.40
ETH 2467.65
USDT 1.00
SBD 2.63