শুক্রবারের ক্লাস
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। চাকরী জীবনে আসার পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে আমার। যেগুলো আগে শত চেস্টা করেও করতে পারতাম না সেগুলো এখন অভ্যাসে পরিণত করতে হয়েছে। এটাই হয়তো আমাদের মধ্যবিত্তদের জীবন। চাইলেও আমরা আরাম এর জীবন কাটাতে পারিনা। চাকরী নেওয়ার আগে আমি রাতে ঘুমাতাম ২ টার দিকে। আর ঘুম থেকে উঠতাম সকাল ১০ টায়। কিন্তু এখন দেখুন ঘুমাতে যাই ১২ টায় আর সকালে উঠতে হয় ৬ টা ৩০ এর মধ্যে। সব কিছু গুছিয়ে গোসল করে ৭ টা ৪০ এর ভিতর বাসা থেকে বের হতে হয়। নাহলে আবার বাস ছুটে যাওয়ার ঝামেলা। জ্যাম তো আছেই। বড় কথা হচ্ছে বাসে উঠতে কষ্ট হয়। জীবনকে মানিয়ে নিতে হয়েছে। আরাম করার দিন গুলো যেনো মিলিয়ে গেলো কোথায়। এই কয়দিনেই আমি ক্লান্ত হয়ে পরেছি। আজ শরীর খুব দুর্বল লাগছিলো তবুও অফিসে তো আসতেই হবে। সত্যি বলতে অফিসে তেমন চাপ নেই আমার। কিন্তু বছরকে বছরের যে অভ্যাস গুলো ছিলো সেগুলো পরিবর্তন এর ফলেই সম্ভবত এমনটা হয়েছে। তামি আমি আশা রাখি খুব শিগ্রই মানিয়ে নিতে পারবো এই রুটিন এর সাথে। আমাকে পারতেই হবে। আর হ্যা আমি পারবোই।
অবশ্য যতই বলি মানিয়ে নিবো। শরীর এর ও তো একটা সহ্য ক্ষমতা রয়েছে। ৬ দিন আমার ডিউটি সকাল ৯ টা ৪০ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বাসায় যেতে যেতে ১০ টা বেজে যায়। এখন নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে আমার শুক্রবারের ক্লাস। খুবই ঝামেলায় আছি এর জন্য। বৃহস্পতি বার ক্লাস রয়েছে সাথে শুক্রবার সকাল ৭ টা ৩০ থেকে। বৃহস্পতিবার ডিউটি করে ক্লাস করা আবার পরের দিন একটু জিরবো সেই অবস্থা ব্যবস্থা নাই আমার। ৭ টা ৩০ এর ক্লাস অর্থাৎ আমার বাসা থেকে বের হতে হয় সকাল ৬ টার মধ্যে। নাহলে ক্লাস এ দেড়ি হয়ে যাবে। সে হিসেবে ঘুম থেকে উঠতে হয় ৫ টা ২০ এর দিকে। বাকি ৪০ মিনিটে আমি প্রস্তুতি নেই আরকি। ১২ টা ১ টা বাজে ঘুমিয়ে সকাল ভোর ৫ টায় উঠা কি কষ্ট এটা যারা উঠে তারাই জানে। আমার খারাপ লাগে আমার আম্মুর জন্য। আমার জন্য তারো উঠতে হয় সকাল সকাল। নাহলে নাস্তা বানাবে কে। যাক সে বিষয়ে আজ না যাই।
এইতো এই শুক্রবার প্রথম ক্লাস ছিলো ফ্রাইডে ব্যাচ এর। তাই সেদিন ঘুম থেকে আগেই উঠতে হলো। উঠে আজ আর গোসল করলাম না। ৫ টার দিকে গোসল করাটা সত্যি কষ্টকর। যদিও আমার গোসল একদিন মিস দিলেই ঠান্ডা লাগে। যার জন্য আজ দুইদিন ধরে ভুগতেছি। সেদিন গোসল মিস দিয়েছি তাই এই দুদিন ধরে ঠান্ডায় আমার অবস্থা খারাপ। কোনমতে রেডি হয়ে কিছু না খেয়েই বের হয়ে গেলাম। আব্বু ১৫০ টাকা দিলো বাইরে কিছু খেয়ে নেওয়ার জন্য। আমি নিতে চাইনি কিন্তু জোর করেই দিলো। তারপর বের হয়ে গেলাম। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি তখনো ভোরের আলো ফুটেনি। আমি হাটা শুরু করলাম। প্রতিদিন যেদিক দিয়ে যাই সেদিক দিয়েই রওনা দিলাম। যদিও অন্ধকার থাকায় ভয় পাচ্ছিলাম একটু। তবে ভুতের না অন্য কিছুর। ধীরে ধীরে বাস স্ট্যান্ডে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি বাস স্ট্যান্ড ও ফাকা। কি আর করা অপেক্ষা করলাম বাসের। একটু পর বাস আসলো। দেখি বাস ভরাই আছে। দুই একটা সিট ফাকা রয়েছে। তখন আমি উঠে গেলাম জলদি করে। এগুলো আগের থেকেই ভরে আসতেছিলো। আমি ভাবছিলাম শুক্রবার সকালে মানুষ কই যায়।
বাসে উঠে এক টানেই চলে গেলাম ফার্মগেট। কারণ একে তো সকাল। তার উপর ছিলো সেদিন শুক্রবার। ঢাকার শহরে এই সময়টা অনেক ভালো লাগে। কোথাও যাইতে এই কোনো সময়ই লাগেনা। এক টানে চলে যাওয়া যায়। আমার অনেক ভালো লাগে। তবে অন্যান্য দিন অবস্থা খারাপ। জ্যাম আর জ্যাম। জ্যাম এ পরেই আমাদের ঢাকাবাসী দের অর্ধেক জীবন পার হয়ে যায়। ফার্মগেট পৌছে আমি রাস্তা পার হয়ে গেলাম। মানুষ জন খুব একটা নেই। এরপর খুদা লাগলো খুব তাই আমি একটি খাবার হোটেল এ ঢুকে গেলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম পরটা আর ডিম ভাজি খাবো। কিন্তু পরে মুরগির মাংস দিয়ে খেলাম। এরপর সোজা ভার্সিটি চলে গেলাম। ক্লাস রুমে ঢুকে তো আমি অবাক। দেখি স্যার বসে আছে। কিন্তু অন্য আর কেউ নাই। আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। পরে জানলাম এটাই আমাদের নতুন স্যার। কিন্তু কেউ আসলোনা। তখন একটু পর দুইজন আসলো। ওরা বললো ৮ টা থেকে ক্লাস করবে। তাই স্যার চলে গেলো। পরে আর কি ক্লাস করলাম সব গুলা। যদিও ইলেক্ট্রিক্যাল সাবজেক্ট কিছুই বুঝিনা
তবে ম্যাথ আর মেকানিক্স প্রথম দিন বুঝেছি ভালোই। এরপর ক্লাস শেষে বসুন্ধারা সিটিতে যাই। এ নিয়ে আরেক দিন বলবো। ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানুষ সবসময় পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু বেশি কষ্টকর হয়ে গিয়েছে কারণ সপ্তাহে আপাতত একদিন একটু রেস্ট নেওয়া উচিত কিন্তু আপনি তো সপ্তাহের সাত দিনেই দৌড়ের উপরে আছেন।
হুম ভাই সেই একদিন ও রেস্ট নেওয়ার সময় পাচ্ছিনা ঠিক মতন। কাজ আর কাজ।
মানুষ চাইলেই সব সময় একরকম থাকতে পারে না সে যদি মন থেকে নাও চায় তবু তার পরিবর্তনটা আপনা আপনি চলে আসবে। আর এই পরিবর্তনটা কখন চলে আসবে সে কিছু বুঝতেই পারবে না কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে পরিবর্তন হতে হবে হয় বাধ্য হয়ে না হয় পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাকে পরিবর্তন করবেই। আপনার ক্ষেত্রে হয়তো বা তেমনটাই ঘটেছে হুট করেই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে সবকিছু। যাই হোক, কষ্টের পরের নিশ্চয়ই সুখ রয়েছে। পোস্ট করেই বুঝলাম আপনি প্রতিটা দিন খুবই ব্যস্ত থাকেন রেস্ট নেওয়ার মতো ফ্রি দিন আপনার নেই। তবে এর সমাপ্তি একদিন ঘটবে আশা করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
জ্বি ভাই ঠিক বলেছেন। পরিবর্তনটা এমনি চলে আসে।
যখন ধরা বাধার নিয়ম থাকে না তখন অলসতাই চেপে ধরে। সবকিছু নিয়ম উল্টে পাল্টে যায়। এই যে চাকরি নিয়েছিলাম তাই সকাল ছয়টার সময় উঠতে হচ্ছে আগের মত দশটার সময় উঠতে পারছেন না। নিয়ম করে প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে হচ্ছে তবে একটা বিষয় ভাই মাথায় রাখবে সকলের জীবনটাই সংগ্রামীময়। যতই ঠান্ডা শীত পড়ছে না কেন আমাকে সকাল সাতটার সময় গোসল করতে হয় প্রতিদিন এবং চলে আসতে হয় স্কুলে। আটটা ৪৫ এ উপস্থিত হতে হয়। এটাই নিয়ম শৃঙ্খলা আর জীবন সংগ্রামের প্রথম স্তর। বিস্তারিত পড়ে ভালো লাগলো।
আসলেই ভাই । আমার সব কিছু যেনো উলটে পালটে গেলো।