বিডি জবস এর চাকরির মেলায় একদিন।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ধীরে ধীরে সুস্থতা অর্জন করছি। শরীর খুব দুর্বল। তবে বিভিন্ন রকম এর লিকুইড খাবার খেয়ে ধীরে ধীরে তাজা হচ্ছি আরকি। আজ আপনাদের সাথে যে মোমেন্ট শেয়ার করবো সেটি মাস দুইয়েক আগের। এতো দিন দিবো দিবো করে আর দেওয়া হয়নি। অসুস্থতার জন্য যেহেতু ঘর থেকেও বের হতে পারছিনা তাই ভাবলাম আজ শেয়ার করে ফেলি।
এই চাকরি মেলার খোঁজ পেয়েছিলাম আমার ক্যাম্পাস এর এক বন্ধুর মাধ্যমে। ও আমাদের ভার্সিটির মেসেঞ্জার গ্রুপে লিংক দিয়ে জিজ্ঞেস করতেছিলো কে কে যাবে। তো ভাবলাম অনেকদিনই তো ঘুরতেছি চাকরির জন্য। কিন্তু চাকরি তো মিলছেইনা। জানি চাকরি মেলায় চাকরি পাওয়া আর আর সর্ষের মধ্যে ভূত খুজে পাওয়া একই জিনিশ। কারণ এর আগের বার যখন ডিপ্লোমাতে বড় ভাইয়াদের চাকরি মেলা দেখেছিলাম তখন দেখেছি হাজার হাজার সিভি না দেখেই ওরা ফেলে দেয়। তবুও ভাবতে ভাবতে পরামর্শ করতে থাকলাম সেই বন্ধুর সাথে। যে কিভাবে কি করবো।
আজকাল সিভি প্রিন্ট করেই ফকির হয়ে গেছি আমি। একটা সিভি প্রিন্ট করে মোট খরচ হয় ২২ টাকার মতন। ভাবলাম যেহেতু চাকরি মেলায় যাবো সেহেতু ২-১ কপি নিয়ে গেলে তো আর হবেনা। আমি আর আমার বন্ধু আশিক মিলে ঠিক করলাম যে আমরা ১৫ কপি করে নিবো। কিন্তু বিষয় হচ্ছে যদি কালার প্রিন্ট করতে যাই তাহলে অনেক খরচ এসে যাবে। যাওয়ার ভাড়া তো আছেই। তাই চিন্তা করলাম ১ কপি থেকে বাকি গুলো ফটোকপি করবো। হলে ভাই এতেই হবে। আর না হলে ভাই কালার দিলেও হবেনা।
যেই ভাবা সেই কাজ। আমি ১৫ কপি করলাম। ফোনে শুনলাম আশিক ভাই ও ১৫ কপি করছে। সাথে আমাদের ক্লাস এর সিআর ও যাবে। কথা ছিলো সবাই ফার্মগেট এ একসাথে হয়ে যাবো। কিন্তু আমি সিভি কপি করে প্রতিটায় সাইন করে ভাজ করে খামে ঢুকাতে ঢুকাতে অনেক সময় চলে গেছে। তাও সব গুলোতে সাইন করতে পারিনি। কোনো মতে ভাজ করে রউনা দিলাম। কারণ অনেক দেড়ি হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। বাকি গুলা বাসে বসে করেছি। ওদের বললাম চলে যেতে। আমি এইদিক থেকে সরাসরি চলে যাবো। ম্যাপ ভালো মতন দেখে বুঝলাম মিরপুর ১০ এ গেলেই হবে। সোজা চলে গেলাম। গিয়ে এটা চায়ের দোকানে বসে খামের ভিতর বাকি লেখা গুলো লিখে ফেললাম টোকেন নাম্বার সহ। টোকেন নাম্বার পেয়েছিলাম রেজিস্ট্রেশন করে। এটা বিডি জবস থেকেই দিয়েছিলো। যদিও এই কাজ গুলো ফাও করেছি। কারণ সিভি এমনি জমা দিয়েছি। খাম লাগেনি।
আমি একটু আগেই চলে গিয়েছি। ওদের আসতে একটু দেড়ি হয়। তারপর সব এক সাথে হয়ে আমরা ভিতরে চলে যাই। ভিতরে যেয়ে তো অবাক। এতো এতো মানুষ। ভিতরে কোম্পানি গুলোর অনেক স্টল ছিলো। যেখানে আমাদের সিভি দেওয়া শুরু হয়। আর প্রতিটা কোম্পানির ডেস্ক এ ছিলো সিভির পাহাড়। ভিতরে ঢুকে আমরা আমাদের সিআর কে হারিয়ে ফেলি। তবে আমি আর আশিক মিলে ঘুরতে থাকি আর একটা করে সিভি ড্রপ করতে থাকি। ঘুরে ঘুরে আমরা ১৩ টা সিভি ড্রপ করেছিলাম। অনেক কোম্পানি তে সিভি দিয়েছি। আর সিভির পাহাড় দেখে আবারো বুঝলাম দেশে চাকরির বড়ই অভাব। সবাই সিভি দিচ্ছে। কিছু স্টল এ সিভি দিতে পারলাম না কারণ মেকানিক্যাল এর কোনো সার্কুলার ছিলোনা সেখানে।
অনেক যায়গায় সিভি দেওয়ার পর আমরা সবাই যে যার বাসার দিকে ব্যাক করি। প্রথমে ভেবেছিলাম ওদের সাথেই আসবো। কিন্তু তাহলে অনেক জ্যাম পোহাতে হবে। তাই আমি যে রাস্তায় এসেছিলাম সে রাস্তা দিয়েই বাসায় ব্যাক করি। তো এই ছিলো আমার চাকরির মেলায় যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। কেমন হলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চাকুরীর বাজার যে কত খারাপ তা আপনার পোষ্ট দেখে আবারো উপলব্ধি করলাম। এত বেকার মানুষ তার উপর দূর্নিতী দেশটার যে কি হবে ভাবলেই দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। আপনাদের ভালো কোন ব্যবস্থা হোকা এই কামনা রইল।
একদম ভাই। চাকরীর অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের যে কি হবে কে জানে।
দেশের অবস্থা যেখানে ভালো না, সেখানে চাকরীর অবস্থা ত ভাল না হওয়ার ই কথা। আফসোস হয় যুব সমাজের জন্য। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
দোয়া করবেন আপু। যেনো ভালো একটা চাকরী পাই।
আসলে ভাই চাকরির মেলায় গিয়ে চাকরি খিজা আর সর্ষের খেতে ভুত খোজা দুটোই সমান।আর বর্তমানে চাকরির যে বাজার তাতে মামা খালু না থাকলে চাকরি পাওয়া খুব টাফ ব্যাপার।
হুম ভাই। চাকরীর বাজার খুবই খারাপ। মনে হয়না এই দেশে থেকে সুবিধা করা যাবে।