ইজতেমার ভিড়ে অফিস যাওয়ার অনুভূতি।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমি তো আছি বিন্দাস। আজ আপনাদের সাথে যে কাহিনী শেয়ার করবো সেটি গত সপ্তাহের। ইজতেমার দিনের আরকি। এতো দিন ব্যস্ত থাকার কারনে সব লিখতে পারিনি। আজ হাতের কাজ শেষ করে একটু ফ্রি হলাম। তাই ভাবলাম লিখে ফেলি। আশা করি ভালোই লাগবে।
সেদিন ছিলো রবিবার। দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর আবার বিশ্ব ইজতেমা হয়েছে এই বছর। কয়েক বছর ধরেই এই ইজতেমা ২ পর্বে হয়ে থাকে। আগে এক পর্বে হতো। কিন্তু এতে করে বেশি মানুষ এর চাপ হয়ে যেতো তাই দুই পর্বে করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যাই হোক সে বিষয়ে যাচ্ছিনা। করোনার কারনে গত দুই বছর ইজতেমা হয়নি। কিন্তু এ বছর হয়েছে। তো ইজতেমার শুরু হয় শুক্রবার আর শেষ হয় রবিবার আখেরি মোনাজাত এর মাধ্যমে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত এর সময় অনেক ভিড় হয়। এমন ভিড় যে বাস চলেনা একদমই। রাস্তা বন্ধ থাকে আরকি। যেহেতু আমার নতুন অফিস। তাই ছুটি নেইনি। তবে খুব মিস করেছি। প্রতিবার ইজতেমায় যাওয়া হতো আমার বন্ধুদের সাথে। খুবই মজা হতো। যাওয়ার সময় রাস্তায় আমরা অনেক কিছু খাইতাম। আবার বাসায় আসার সময় বাসার সবার জন্য খাওয়ার অনেক জিনিশ কিনে নিয়ে আসতাম। এবার আর যাওয়া হলোনা। যাক কি আর করা। যদিও আমার বন্ধু কল দিয়েছিলো। তখন খুবই খারাপ লেগেছিলো। ও বললো যে প্রতিবার আমরা এক সাথে যাই। অথচ এবার আর যাওয়া হলোনা। যাক সেসব আর মনে না করি। শনিবার আগেই ভেবে রেখেছিলাম যে রবিবার খুব ভরে বের হবো। সাথে লাঞ্চ নিবোনা। তাহলে বাসে উঠতে কষ্ট হবে।
তো শনিবার খুব ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরেই গোসল শেষ করে ফেলি। এর পর ৭ টা ৩০ এর দিকেই চলে যাই বাস স্ট্যান্ড এর দিকে। ধারনা ছিলো অনেক সকালে যেহেতু বের হয়েছি তাই বাস থাকবে। ম্যাপ ওপেন করে দেখলাম জ্যাম ও নাই। থাকবে কি করে রাস্তায় যে গাড়িই ছিলো না 🤣🤣🤣🤣। না এবার আর গুগল মামা ছেকা দেয় নি। ভেবেছিলাম সকাল দেখে রোড ফাকা। ও মা। বাস স্ট্যান্ড এ যেয়ে দেখি খালি মানুষ দেখা যায়। আর দুই একটা প্রাইভেট গাড়ি ও সিএনজি। আমি তো পুরো থ হয়ে গেলাম। এতো সকালে আসলাম তাও বাস নাই। মাঝে ভাবলাম সিএনজি নিয়ে যাওয়া যায় কিনা। কিন্তু দেখি সিএনজি একটা আসার আগেই মানুষ খাবলে পরে। পরে ভাবলাম উবার বা পাঠাও রাইড দিয়ে যাবো। কিন্তু দেখি এটাও নাই। মানে বাইক নাই। কি আর করা। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তো আমি একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম দেখি যদি সেখান থেকে বাইক পাওয়া যায়। তাহলে ভাড়ায় চলে যাবো। অফিস বন্ধ দিতে চাচ্ছিলাম না যেহেতু আমি নতুন ঢুকেছি। একটু সামনে এগোতেই হঠাৎ মনে পরলো কুড়িল থেকে তো বাস চলার কথা। রেল লাইন দিয়ে একটু এগিয়ে উকি মারলাম। দেখি যে সত্যি বাস চলতেছে। আমি তো খুব খুশি হলাম। তবে একটু হাটতে হবে। তবে সমস্যা নাই আমার অভ্যাস আছে। ইজতেমা হলে তো প্রায় ১০ কিলো হেটেই যেতাম। এতো মাত্র ২ কিলো মিটার।
যেই ভাবা সেই কাজ। রেল লাইন দিয়ে এগিয়ে চললাম। পথে কিছু ছবি তুললাম। রেল লাইনেও অনেক মানুষ ছিলো। বাস গুলো দেখলাম সব কুড়িল ফ্লাইওভার এর নিচে দাঁড়িয়ে আছে। জ্যাম লেগে আছে বিশাল। যাক আমার বাস পেলেই হলো। হাটতে হাটতে চলে গেলাম সামনের দিকে। গিয়ে রাস্তায় উঠলাম। দেখি একটি বাস যাত্রী নামাচ্ছে তাই আমি জিজ্ঞেস করলাম যাবে নাকি। বললো হ্যা যাবে। তারপর আবার জিজ্ঞাস করলাম এখনই যাবে নাকি পরে। উনি বললো এখনই। ওই বাসে যাত্রী থাকতেই আমি উঠে গেলাম। আমি উঠার পর আসার যাত্রী নেমেছে। তবে বাস আগাচ্ছিলোনা জ্যাম এর কারনে। ২০ মিনিট বাসে বসে ছিলাম সম্ভবত ৫-১০ হাত সামনে গিয়েছিলো। তো আমি নেমে ভাবলাম সামনে যেয়ে দেখি বাস তো অনেক আছে উঠা যাবে। একটু সামনে এগোতেই দেখি পুলিশ রাস্তা আটকে দিয়েছে। যেনো ইজতেমায় যাওয়া মানুষ এর সুবিধা হয়। দুই একটা করে বাস ছাড়তেছে পাশ দিয়ে। আমি সামনের দিকে এগিয়ে দেখি একটা খালি বাস আসলো। আমি সেটায় উঠে গেলাম। তারপর সামনে যেতে যেতেই বাস ভরে গেলো। তবে সঠিক সময়ে অফিস পৌছাতে পেরেছিলাম এটাই অনেক আমার কাছে। প্রথমে তো ভেবেছিলাম অনেক দেড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু অনেক আগেই পৌছাতে পেরেছিলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অবশেষে আপনি অফিসে পৌঁছাতে পেরেছেন এটা জেনেই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ইজতেমার কারণে একটু বেশি জ্যাম ছিল মনে হয় রাস্তায়। এবার আপনি ইজতেমায় যেতে পারেননি এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আপনি অফিসে আসার সময় তার পাশাপাশি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। পুরো পোস্ট পড়ে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জ্বি আপু। আগে বের হওয়ার কারনে পৌঁছাতে পেরেছিলাম।
বাপরে কত কষ্ট করেই তো গেলেন ইজতেমার মাঠে। আসলে এই একটি দিনে রাস্তা ঘাটে অনেক কষ্ট হয় মানুষের । হ্যাঁ গত দুই বছর করোনার কারনে ইজতেমা হয় নাই। হয়তো বা এই কারনেই ইজেতেমার মাঠে এত ভিড়। যাক আগে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারেন নাই। তবে এবার গিয়েছেন। এটাই বা কম কিসে।
ইজতেমার মাঠে যাইনি তো আপু। অফিস এ গিয়েছিলাম।
অনেক জ্যাম জোড়ের মধ্যে গিয়েও অফিসে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন তাহলে। ইজতেমার কারণে অনেক মানুষের ভীড় তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি। কিন্তু এটা জেনে ভীষণ খারাপ লেগেছে আমার কাছে আপনি এবছর ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ইজতেমায় যেতে পারেননি। যাইহোক সম্পূর্ণ পোস্ট কিন্তু পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জ্বি আপু। তবে যদি একটু লেট করে বের হতাম তাহলে অনেক কষ্ট হইতো।
ইজতেমার সময় আপনার অফিস যাওয়ার অনুভুতি খুব রোমাঞ্চকর ছিল। পড়ছিলাম আর থ্রিলিং একটা ভাব তৈরি হচ্ছিল যে সামনে কি হবে এই ভেবে। তবে এই লাইনগুলো পড়ে না হেসে পারলাম না।
খুব ভাল লাগল আপনার অফিস যাওয়ার ঘটনা পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম ভাই। আসলেই গাড়িই তো ছিলোনা তাইলে জ্যাম আর হবে কিভাবে।