আবারো চলে গেলাম বনরুপা || হাঁটতে মজাই লাগে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



IMG_20221103_170943-COLLAGE.jpg

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াতে অনেক ভালো আছি। শরীর এখন অনেকটাই সবল হয়েছে আগের থেকে। হাঁটাহাঁটি করতে পারি ভালো মতন। ঘরে বসে থাকতে বিরক্ত লাগে। অবশ্য একটু দুর্বলতা রয়ে গেছে। তবে আশা করি সেটাও দ্রুতো কেটে যাবে। আপনাদের সবার দোয়া আছে। ভালো না হয়ে পারি? তো গতকাল একাই বনরুপা চলে যাই। একটু হাঁটা হাঁটি করতে আর নার্সারিতে ঢুকে একটু অক্সিজেন সমৃদ্ধ নিঃশ্বাস নিতে। আজ সে অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।



IMG_20221103_171544.jpg

নার্সারি তে তুলেছিলাম ফুল এর ছবি।

বনরুপায় হাঁটাহাঁটি

কাল বাসায় বসে বসে বোরিং লাগছিলো। কোনো বন্ধুও ছিলোনা যে কারো সাথে বের হবো। সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। কেউ চাকরীতে। কেউ বা গ্রাফিক্স এর কোর্স এ। যদিও আমার বন্ধু প্লাবন ফ্রি আছে। তবে সে এইদিকে আসে সন্ধ্যা বেলায়। কাল ও এসেছিলো। তবে সেটা সন্ধ্যার অনেক পর। তো আমার খুব মন চাচ্ছিলো একটু বনরুপা থেকে ঘুরে আসি। একা একাই যাবো সিদ্ধান্ত নিলাম। সাথে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করবো তাই চলে গেলাম। ৫ টার দিকে টিউশনি শেষ করে প্রস্তুত হয়ে চলে গেলাম বনরুপায়। গত সপ্তাহে যেদিক দিয়ে গিয়েছিলাম আজ অবশ্য অন্য দিক দিয়ে গিয়েছি। আজ মেম্বার বাড়ির রাস্তা ব্যবহার করেছিলাম। যদিও দুই রাস্তা এক যায়গায় এসে যুক্ত হয়। তো যাই হোক হাঁটা দিলাম। যেহেতু বিকেল শেষ এর দিকে সেখানে অনেক মানুষ ছিলো। সব সময়ই বনরুপায় অনেক অনেক মানুষ থাকে। বেশি মানুষ থাকার কারণ হচ্ছে মানুষ এই সময়ে হাঁটতে আসে এই যায়গায়। গাড়ির চাপ নাই। চাপ বলতে গাড়ি চলেই না। চললেও দুই একটা। তাই অনেকে হাঁটতে অনেকে ব্যায়াম করতে আসে সেখানে। কি পরিমান মানুষ তা নিচের ছবি দুইটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।

IMG_20221103_170943.jpg

IMG_20221103_171003.jpg

এখানে তাও খুব একটা মানুষ দেখা যাচ্ছেনা। মাঝে মধ্যে তো ভিড় লেগে যায়। আর যে যায়গার ছবি দিলাম এখানে মেলার মতন একটা অবস্থা থাকে। অনেক গুলো খাবার এর দোকান আছে। আমরা এখানের এক দোকান থেকেই গত সপ্তাহে ভেলপুরি খেয়েছিলাম। গতকাল ও খাবার খুবই ইচ্ছা করছিলো। তবে একা দেখে একটু কেমন যেনো লাগতেছিলো। ভেলপুরি খাওয়ার সময় সাথে একজন থাকলে জোশ লাগে। নাইলে আমার কেমন শরম লাগে একা একা। হাহাহা 🤣🤣🤣। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজ আর ভেলপুরি খাবোনা। আজ ঝালমুড়ি খাবো বেশি করে ঝাল এবং ঘুমনি দিয়ে। ঘুমনি দিয়ে ঝালমুড়ি খেতে আপনাদের কেমন লাগে? আমার তো জোশ লাগে। আমি বানানোর আগে বলেই দেই যে বেশি করে যেনো ঘুমনি দেয়। ঘুমনি দিলে ঝালমুড়িটা একটু নরম নরম হয়ে যায়। আর ঘুমনির স্বাদে ঝালমুড়িও দারুণ লাগে। অনেকে আবার এই ঘুমনি দিয়ে ঝালমুড়ি পছন্দ করেনা। এক এক জনের পছন্দ এক এক রকম স্বাভাবিক। আপনারা কে কিভাবে ঝালমুড়ি খেতে পছন্দ করেন?

IMG_20221103_173315.jpg

তো যেমন টা বলেছিলাম, যে অনেক ঝাল দিয়ে খাবো করলাম ও সেটাই। ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন কি পরিমান কাঁচামরিচ ছিলো আমার ঝালমুড়িতে। সব খেয়েছি। একটা মরিচ ও ফালাইনি। অবশ্য এর একটা কারণ আছে। মরিচ গুল অতিরিক্ত ঝাল ছিলোনা। মিডিয়াম ঝাল ছিলো। তাই খেতে পেরেছিলাম। আমি বেশি একটা ঝাল খেতে পারিনা। যাক ঝালমুড়ি খেতে খেতে হাঁটতে থাকলাম। একা একা ভালোই লাগছিলো। তবে সাথে কোনো বন্ধু হলে আরো ভালো লাগতো। কারণ গল্প করা যেতো হেঁটে হেঁটে। খেতে খেতে চলে গেলাম একটি নার্সারীতে। সেখানে যেয়ে অনেক গুলো ফুলের ছবি তুললাম। ছবি অনেক গুলো তুলেছি। তুলতে তুলতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে যায় বুঝিও নি। দেখলাম আকাশ অনেকটাই লালচে হয়ে এসেছে। আমি তখন নার্সারি থেকে বের হয়ে গেলাম।

IMG_20221103_173838.jpg

দেখতেই পাচ্ছেন কি পরিমান সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। তারপর আমি সেখান থেকে বাসার পথ ধরি। হাঁটতে হাঁটেতে বাসার কাছা কাছি চলে আসি আর বন্ধু প্লাবন এর কল। ও আমাকে কল দিয়ে বললো ও এসেছে। আমি বললাম অপেক্ষা করো আমি বাসা থেকে ফ্রেশ হয়ে আসতেছি। তারপর বাসায় যেয়ে হাত মুখ ধুয়ে ফেললাম। এর পর প্লাবন এর সাথে যেয়ে দেখা করলাম মাঠে। যেখানে আগে সবাই আড্ডা দিতাম। এখানে এখন আমরা দুজনই। যাক আজ আর লিখছিনা। কেমন হলো জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

New Project.gif

⋆ 🎀 𝒞😍𝓃𝓃𝑒𝒸𝓉 𝑀𝑒 🏵𝓃 🎀 ⋆
Discord | Twitter | Facebook
Steemit |Instagram | Youtube |

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি আগের চেয়ে ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি ধীরে ধীরে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন। আর এই সময় একটু বাহিরে ঘোরাঘুরি করলে মানসিক প্রশান্তি আসবে এবং ভালো লাগবে। তবে এই কথাটা একদম ঠিক বলেছেন একা একা কোথাও খেতে গেলে কেমন জানি লাগে। সাথে কেউ হলে খাবারটা খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়।

 2 years ago 

জ্বি আপু দোয়া করবেন। যদিও সুস্থ হতে না হতেই আবার ঠান্ডা লেগে গেলো।

 2 years ago 

আপনি আগের থেকে অনেক সুস্থ আছেন জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। দোয়া করি যাতে তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর অসুস্থ হলে একা একা ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগেনা। বিকেল বেলা একটু ঘুরাঘুরি করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো লাগে। আর ঘুরাঘুরির সময় সাথে কেউ থাকলে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার বন রুপা জায়গাটি তে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

একদম আপু। ঘরে বসে থাকতে কি যে বিরক্ত লাগতো বলে বোঝাতে পারবোনা।

 2 years ago 

বনরুপা জায়গাটি দেখতে বেশ সুন্দর।এটা তো আসলে হাটার মত একটি জায়গা।বিকেল বেলায় হাঁটতে যাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী।এমন ঝাল করে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা

 2 years ago 

হুম আপু। সেখানে আড্ডা দিতে ভালোই লাগে। বিকেলে অনেক মানুষ হয়।

 2 years ago 

ভাই আপনার পোস্টটা পড়ে জানতে পারলাম যে, আপনি বনরুপায় হাঁটতে যাওয়ার সময় কোন বন্ধুকে সাথে পাননি। আসলে বর্তমান সময়ের সবাই অনেক ব্যস্ত থাকে চাইলেই কাউকে সাথে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তারপরও আপনার একা একা বনরুপায় হাটতে যাওয়া এবং সেখানে গিয়ে বেশি করে ঝাল এবং ঘুমনি দিয়ে ঝাল মুড়ি খাওয়া তারপর নার্সারিতে গিয়ে ছবি তোলার মুহূর্তগুলো মনে হয় বেশ ভালোই কাটছিল।।ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হুম। সবাই এখন অনেক ব্যাস্ত। আগে পুরো সন্ধ্যা যাদের সাথে কাটাতাম বেশির ভাগ এখন চাকরীতে।

 2 years ago 

আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনি আগের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো হয়েছেন। জেনে অনেক খুশী হলাম। সেই সাথে আপনি বনরুপায় হাঁটতে যাওয়ার সময় কোন বন্ধুকে সাথে পাননি।
মূলত এখন সবাই বেশ কর্ম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সময়ের মূল্য অনেকের কাছেই অনেক বেশি হয়ে পড়েছে। যে হারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির দাম। সেভাবে প্রতিটি পরিবারেই একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই হয়তো কোন বন্ধু-বান্ধব এখন সেভাবে আপনাকে সময় দিতে পারেনি। যাইহোক মন খারাপ করবেন না। ভালো থাকুন সবসময়।♥♥

 2 years ago 

হুম দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রভাব অনেক দেখা যাচ্ছে।

 2 years ago 

ভেলপুরি খাওয়ার সময় সাথে একজন থাকলে জোশ লাগে। নাইলে আমার কেমন শরম লাগে একা একা।

ভাই হিসেবে আমি আপনাকে একটা সৎ বুদ্ধি দিতে পারি সেটা হচ্ছে আপনি বাড়িতে ফোন করে বলবেন কি যে আপনার একটা ভেলপুরি খাওয়া লোক লাগবে। পরবর্তীতে যা হয় সেটা আমাকে জানিয়ে দিবেন হা হা হা

 2 years ago 

হ্যা এটা বলি আর মাইর দেয় আমাকে। যদিও চাকরী পেলেই বিয়ে টা সেরে ফেলবো।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি সুস্থতা বোধ করছেন জেনে ভাল লাগলো। আর বাইরে ঘুরতে গেলে মনটা ভাল লাগে। তবে একা না গিয়ে কেউ সাথে থাকলে সত্যি ই ভাল লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

হুম সত্যি বাইরে ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68542.93
ETH 2454.71
USDT 1.00
SBD 2.54