শীতের সকাল || কুয়াশার শহর
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। ৩-৪ দিন শীত একটু কম থাকার পর আজ আবার একটু শীত দেখতে পেলাম। আজ বাসা থেকে একটু আগে থেকেই বের হয়েছি। যেয়েতু বিশ্ব ইজতেমা চলছে সেহেতু আমি বাসে ঝুলে আর আসতে চাইনা। ব্যাপার টা আমার কাছে অনেক ভয়ের লাগে। আর ঠেলা ঠেলি করতে বিরক্ত লাগে। তাই আমি ফাকা সময়েই বের হয়ে গিয়েছি আজ। অফিস এসেই পোস্ট লিখতে বসে গেলাম। কেউ আবার ভাবিয়েন না যে কাজ ফাকি দিয়ে পোস্ট লিখছি। অফিস শুরু হবে ৯ টা ৪০ এর পর। আর আমি এসেছি ৯ টায়। তাই ৪০ মিনিট হাতে আমার। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয় বস্তুতে ফিরে যায়।
শীতকালের আবহাওয়া টা আমার সব থেকে পছন্দের। আমি সব সময় এমন একটা আবহাওয়া চাই যেটা থাকবে নরমাল বা সাধারন। অর্থাৎ শীত ও লাগবেনা আবার গরম ও লাগবেনা। এমন আবহাওয়া খুব একটা বেশি সময় পাওয়া যায়না। আর এটা সম্ভব ও না ওই ভাবে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হবেই এটাই স্বাভাবিক। আর এটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। শীতের কুয়াশা মাখা সকাল গুলো উপভোগ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। গরম তো আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা। খুবই বিরক্ত লাগে আমার কাছে। শীতের সময়টাই আমার অনেক ভালো যায়। আর আমার মনে হয় শীতের সময় বিদ্যুৎ সেভ ও হয় বেশি। দেখুন আপনার ফ্যান ছাড়া লাগতেছেনা। এসি ছাড়া লাগতেছেনা। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কম করতে হবে এবং জ্বালানীও কম খরচ হবে। যাক পোস্ট এর থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। হেহে আজ শীতের সকাল নিয়ে কথা বলবো। সেদিন অনেক শীত পরে ছিলো বলতেই হয়।
আমি যখন বাসা থেকে বের হই তখন তো অবাক। রাতে দেখলাম কুয়াশা নাই। তবে সকাল ভোরে এটা কি। শীত ও লাগছিলো খুব। ভাবছিলাম গোসল করবো কি করবো না। সিদ্বান্ত নিলাম গোসলে না যাওয়ার। কিন্তু ভাবলাম যে শীত পরছে গোসল না করলে আরো বেশি শীত লাগবে। তাই পানি বসিয়ে দিলাম। আমি আবার শীতের দিনে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারিনা। ঠান্ডা লেগে যায় আমার। ২০ মিনিট পর গোসল সেরে ফেললাম। হালকা একটু সরিষার তেল ব্যবহার করলাম। দেখি এখন আর শীত লাগছেনা। তারপর আম্মু খাবার প্রস্তুত করে দিলো। সেটা খেয়ে নিলাম আমি। এরপর লাঞ্চ এর খাবার ব্যাগ এ ভরে নিয়ে বের হয়ে পরলাম। ভাবলাম যখন উঠেছি তখন তো ৬ টা বাজছিলো তো তাই হয়তো বেশি কুয়াশা ছিলো। কিন্তু আমি অবাক। ৮ টার দিকেও কুয়াশার জন্য কিছু চোখে দেখছিলাম না আমি। ছবি দেখে হয়তো বুঝেছেন কি পরিমান কুয়াশা ছিলো। কিন্তু বাস্তবে কুয়াশা আরো বেশি লাগছিলো কারণ ক্যামেরা তে কুয়াশা একটু কম ধরে।
আমি হেটেই রওনা দিলাম। যেহেতু অনেক কুয়াশা তাই রাস্তা রিতিমত ফাঁকাই ছিলো। ভালোই লাগছিলো কুয়াশার মধ্যে দিয়ে হাটতে। কুয়াশা যখন মাথায় ও কানের আশে পাশে লাগছিলো তখন কেমন একটা ভেজা ঠান্ডা অনুভুতি হচ্ছিলো। তবে বাতাস এর জন্য আমার অবস্থা খারাপ হবার উপক্রম। তাই জ্যাকেট এর সাথের টুপিটা মাথায় দিয়ে মাস্ক পরে নিলাম। এবার একটু আরাম লাগছিলো। শীত ভালো লাগে ঠিক আছে তাই বলে কি বেশি ঠান্ডা সহ্য করা যায় নাকি। আমি হাটতে হাঁটতে রেললাইন এ চলে গেলাম। এবার কুয়াশার জন্য ৪-৫ হাত সামনে কি আছে সেটাই দেখতে পাচ্ছিলাম না। ভয় লাগছিলো বার বার যে ট্রেন এসে যায় নাকি আবার। অনেক সাবধানতার সাথে রেল লাইন পার হলাম। রাস্তার অপর পাশের বড় বিল্ডিং গুলো দেখাই যাচ্ছিলোনা কুয়াশার জন্য। চিনতে পারছিলাম না চেনা যায়গা চেনা বিল্ডিং গুলো। তবে বেশ ভালো লাগছিলো। রাস্তা ঘাট ফাঁকাই ছিলো। যে সময়ে বাসে উঠার জন্য অনেক মানুষ দেখা যায় সে সময়টাতে দেখি তেমন একটা মানুষ নাই। আমি ফটোগ্রাফি করছিলাম দেখে দু একজন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। তাতে আমার কি। আমি ছবি তুলে গেলাম।
ভাবতেছিলাম যে গরম আবহাওয়ার সময় এই যায়গা আর এখন শীতের আবহাওয়ায় এই যায়গার কত তফাৎ। একদম যেনো আলাদা দুইটি শহর। সেদিন ঢাকাকে ঘন কুয়াশার শহর বললে ভুল হবেনা। এরপর আমার বাস এসে পরে। আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাসে উঠে যাই। অফিস পৌছেও দেখি কুয়াশা যেনো কমেই না। অবশ্য বেলা বাড়ার সাথে সাথে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শীতের কুয়াশামাখা সকাল আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। শীতকালে সকাল এর অনুভূতি গুলো বলে বোঝাতে পারবো না। কয়েক দিন আগে খুব শীত পরে ছিলো। এখন একটু রোদ উঠে। চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
একদম ভাই। শীতের কুয়াশা মাখা সকাল আমারো অনেক ভালো লাগে।
আপনার এ ধরনের আবহাওয়া আপনার নিজের কাছে অনেক কম্ফারটেবল বোধ করেন আর এর জন্য তেমন এই ধরনের আবহাওয়া আপনি সবসময় চান। আপনি অনেক দ্রুত অফিসের উপস্থিত হয়েছেন তার মনে বোঝায় যে আপনি অনেক দায়িত্ববান একটি ব্যক্তি। আসলে সকাল সকাল অধিক পরিমাণ কুয়াশা দেখা যাচ্ছে কয়দিন। তবে ঠান্ডা লাগার জন্য সরিষার তেল কিন্তু খুবই উপকার। সরিষার তেল গায়ে দিয়ে কোথাও বাহির শীতের প্রভাব আপনার একটা কম লাগে।
আসলে দায়িত্ব অনেক বড় জিনিশ। চাইলেই যেমন সব কিছু করা যায়না। আবার না চাইতেও অনেক কিছুই করতে হয়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই তো শীতের সকাল বেলা দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন ৷ আপনি ৪০ মিনিট আগে অফিসে হাজির হয়েছেন ৷ আপনি একজন অফিসের ভালো কর্মকর্তা ৷ সেটা বলাই যায় ৷
তবে এই শীত স্নান করাই ভালো তাহলে বেশি শীত লাগে না ৷ যা হোক সর্বোপরি ভালোই লাগলো আপনার শীতের সকালের কিছু মূহুর্ত দেখে ৷
ধন্যবাদ ভাই
হেহে নতুন নতুন যদি ঠিক সময়ে উপস্থিত না হই তাহলে কি হয়।
আমার কাছে শীত শুরু হওয়ার আগে এবং শীত চলে যাওয়ার সময় টাই বেশি ভালো লাগে। শীত আমার একদমই পছন্দ না কোন কাজ করতে ইচ্ছা করে না এই শীতের মধ্যে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন শীতের মধ্যে প্রত্যেকদিন গোসল না করলে আরো খারাপ লাগে। আমি তো একদিনও বাদ দেই না গোসল করা। আজকে সকালে দেখি প্রচণ্ড রকম কুয়াশা পড়েছিল। যদিও ছুটির দিনের জন্য সকালে ওঠা হয় নি। কুয়াশার মধ্যে রাস্তাঘাটে একা একা যাওয়া একটু ভয়ের বিষয়ে বটে। যাই হোক ভালোমতো অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন এবং বেশ ভালো উপভোগ করেছেন সময়টা বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার শীত অনেক ভালো লাগে। আমি গরম একদমই সহ্য করতে পারিনা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। এই কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে খুবই ভালো মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখছি। শীতকাল আমার খুবই পছন্দের। এই দিনে সময় কাটাতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল আসলেই খুব সুন্দর হয়।
আসলে বাসে ঝুলে কোথাও যেতে অথবা বাসের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে অবস্থান করতে আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে। বিশেষ করে গরমের সময় হলে বাসের মধ্যে টিপতেই পারি না।।
আপনি অবশ্য বুদ্ধিমানের মতোই কাজ করেছেন আগেভাগেই অফিসে রওনা দিয়েছেন যার কারণে ভোগান্তিটা পোহাতে হবে না।।
আসলে নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ আমাদের সবারই অনেক পছন্দের আমার কাছেও শীতের সময়টা অনেক উপভোগের মনে হয়।।
কি আর করবো ভাই। প্রতি দিনই এই যুদ্ধ করতে হয় আমার।
আপনার মত সচেতন নাগরিক যদি প্রতিটা লোক হত তাহলে হয়তো বাংলাদেশের আরো উন্নতি হতো।৯ টা ৪০ মিনিট থেকে আপনার অফিস শুরু হয় আর আপনি নয়টার মধ্যে অফিসে গিয়ে পোস্ট লিখে কমপ্লিট করেছেন এক কথায় সময় সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট এক্টিভিটি আছে। আসলেই যে পরিমানে কুয়াশা তাতে ট্রেন চলে আসলে বোঝার কায়দা নেই ছবিগুলো দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। তবে কুয়াশা পড়লে শহরের সৌন্দর্যটা অন্যরকম বোঝা যায়।
জ্বি ভাই সব সময় একটু এগিয়ে থাকার চেস্টা করি আরকি।