নানু কে এয়ারপোর্টে রিসিভ করে গ্রামের দিকে যাওয়া।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমার ঠান্ডা অনেকটাই কমে গেছে৷ নিশ্বাস নিতে পারছি ঠিক মতন৷ আর রাস্তা ঘাটে তো মাস্ক ব্যবহার করি। নাইলে ভাই ডাস্ট এলার্জিতে আমার অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। তো যাই হোক। কিছু দিন আগে একটি পোস্ট এ আমার নানুকে রিসিভ করতে যাওয়ার অনুভুতি শেয়ার করেছিলাম। আজকের এই পোস্ট এ তাকে রিসিভ করে গ্রামের দিকে যাওয়ার কথা শেয়ার করবো।
তো সেদিন আম্মু এবং আমার খালাকে ২ নং টার্মিনাল এর কাছে একটা সিট এ বসিয়ে দেওয়ার পর আমরা ছুটে যাই ১ং টার্মিনাল এর দিকে। যেহেতু তাদের ফোনে পাচ্ছিলাম না তাহলে তো আর এক গেট এর সামনে দারিয়ে থাকা যায়না৷ এইদিকে আমি আর আব্বু খুজতেছি সাথে দুজনই আমার নানুর বাংলাদেশি নাম্বার এ চেস্টা করছিলাম। ওনাদের কাছে অবশ্য আমাদের নাম্বার দেওয়া ছিলো। তারাও কল করছিলোনা। আমার মামা আসতেছিলো এয়ারপোর্টে তখনো। তাকেও কল দিয়ে জিজ্ঞাস করছিলাম কোথায় কোথায় রয়েছে। সবাই খালি বের হচ্ছে কিন্তু আমার নানু বের হচ্ছে না৷ ভাবলাম হয়তো ইমিগ্রেশন শেষ করতে দেড়ি হচ্ছে। একটু পর আব্বু বললো আম্মু এবং খালাকে দেখে আসতে। তো আমি তাই করতে গেলাম। যাওয়ার পথেই আবার আব্বুর কল। বললো নানু কে পেয়েছে খুজে। মাত্রই নাকি গেট দিয়ে বের হয়েছে।
প্রচুর ভিড় থাকায় আমার আম্মু ও খালার কাছে পৌছাতে বেশ সময় লাগলো। তবুও তাদের কাছে যেয়ে তাদের ১নং টার্মিনাল এর দিকে নিয়ে আসলাম। এসে চিপা দিয়ে দেখি সবাই ভিতরে এক সাথে। তবে ভিতরে তো এমনি ঢুকতে দেয়না। তবুও আমরা ৩ জন ঢুকে গেলাম ভিতরে। গিয়েই নানুকে সালাম জানালাম। আম্মু এবং খালাকে নানু জড়িয়ে ধরলো। অনেক আবেগ ঘন একটা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে আমি দুঃখিত যে সে ছবি গুলো দিতে পারছিনা। কেউ কিছু মনে করবেন না। তো একটু পর আমার মামা এসে যায়৷ আর গাড়িও তখন টার্মিনাল এ এসে পরে৷ আমি আব্বু মামা ও নানুর সাথে যে এসেছে সে ভাই সহ আমরা হাতে হাতে করে মালা মাল গুলো গাড়িতে লোড করলাম। মোট ৬ টি কাটুন ছিলো। ভাড়ি ছিলো খুব। নানুর ছিলো ২ টা। সেগুলো বেশিরভাগ সৌদি আরব এর খেজুর ও জায়নামাজ ছিলো।
ছবিটি গাড়ির ভিতর থেকে নিয়েছিলাম। বাইড়ে থেকে তুলতে সময় পাইনি। কারণ প্রচুর গাড়ি আসতে ছিলো। তাই সব মাল লোড করে আমরা উঠে যাই গাড়িতে। যেতে যেতে কথা বলতে থাকি সবাই মিলে। আর আমি ফাঁকে ফাঁকে ছবি তুলছিলাম। সবাই এক গাড়িতে জাতা জাতি করে উঠেছিলাম। তবে আব্বু আর আমার ভাই খিলক্ষেত এ নেমে গেছে। তখন আমরা সবাই আরামে বসতে পেরেছিলাম। আমি, মামা, খালা ও আম্মু যাচ্ছিলাম। আর সৌদি থেকে আসা ৩ জন।
আমাদের গাড়ি ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে রওনা দেই। ৩০০ ফিট রাস্তার ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। রাস্তা খুবই সুন্দর। ড্রাইভার খুব সুন্দর করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরেই আমরা এগোচ্ছিলাম। আমাদের ও ভালো লাগছিলো। ৩০০ ফিট এ উঠে এসি অফ করে দেয়। তখন আমরা প্রাকৃতিক বাতাস খাই। যার কোনো তুলনা হয়না। যদিও ধুলা যুক্ত বাতাস। তাও ভালো। একটু পরই আমাদের গাড়ি কিছু হিজড়া মিলে আটকালো। ভাবলাম এবার মনে হয় ৫০০ টাকার নিচে ছাড়বেনা। কিন্তু ড্রাইভার খুব চালাক ছিলো। উনি ৫০ টাকা দিয়ে বুঝ দিয়েছে 🤣🤣🤣।
এভাবে ধীরে ধীরে গ্রামে চলে যাই। সবাই সহ নানু বাড়িতে উঠি। দুপুরে খাবার এর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো সবার জন্য। আমি তো বাড়ি যেয়েই আগে আমার কাজিন কে কোলে নেই। আমার খুব আদরের মামাতো বোন। গ্রামে থাকে বয়স ২ বছর হলো। আমি হাত বাড়ালেই আমার কোলে চলে আসে। ওকে নিয়ে কিছু ছবি তুলে খেয়ে দেয়ে রেস্ট নিলাম।
তো এই ছিলো আজকে। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার নানুকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করে গ্রামের দিকে যাওয়া খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বর্তমানে সবারই মাস্ক পরা উচিত। বিশেষ করে যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের মাস্ক ছাড়া বাহিরে বের হওয়া উচিত নয়। আপনি গাড়ি থেকে ৩০০ফিট রাস্তার খুব সুন্দর ছবি তুলেছেন।আমি অনেক আগে গিয়েছি খুব সুন্দর একটি জায়গা। আপনার মামাতো বোন দেখতে খুবই কিউট। ধন্যবাদ আপনার নানুকে গ্ৰামে নিয়ে যাওয়ার এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু। আমার করোনার জন্য মাস্ক না পরলেও ধুলাবালির জন্য ঠিকই মাস্ক পরতে হয়।
ওয়াও নানু তাহলে দেশে আসলো ৷ কয়েকদিন তাহলে বেশ আনন্দে কাটবে কি বলেন ভাই ৷ আবার যে বড় বড় কাটুন না জানি কত কিছু এনেছে ৷ আর আসতে হিজরার কবলে হাহাহাহাহা ৷ এই হিজরা আমার একবার হেস্তনেস্ত করেছিল ৷ যা হোক সে কথা না বলি ৷ ভালো ভাবে নানু কে নিয়ে বাড়ি এসেছেন এটাই বড় ৷
হুম ভাই। খুবই আনন্দে কেটেছে। কাটুন গুলা তে বেশির ভাগ খেজুর আর জায়নামাজ ছিলো ।
আপনার নানুকে রিসিভ করতে যাওয়ার ঘটনাটাও আমি পড়েছি। এটাও পড়লাম। পড়ে বেশ ভালই লাগলো। আপনার নানুকে খুঁজতে তো দেখি বেশ ভোগান্তিতেই পড়েছিলেন। যাইহোক শেষমেষ খুব শীঘ্রই খুঁজে পেয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার নানুকে রিসিভ করতে যাওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম আসলে বর্তমানে মোবাইল ছাড়া বেশ ঝামেলাতেই পড়তে হয়।