অসুস্থতা গিয়ে এখন সুস্থতার ছোয়া।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? কেমন যাচ্ছে দিন কাল আপনাদের? আমি তো সবে একটু সুস্থতা বোধ করছি। যা ঝড় গেলো কয়দিন আমার উপর দিয়ে। অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছিলো ঠান্ডায়। সবে একটু একটু ভালো লাগছে। তাও পাওয়ার এর ওষুধ খাওয়ার পর সব ধীরে ধীরে ঠিক হয়েছে। ডাক্তার এর কাছে গেলেই ডাক্তার ডাকাতি করে। অবশ্য শেষে আব্বুর পরামর্শে অসুস্থতা কেটেছে। কই থেকে এক ওষুধ বের করে দিলো তারপরই ধীরে ধীরে সুস্থতা অর্জন। যদিও সবই আল্লাহর রহমত বলা চলে।
আমার মতে সুস্থতাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় নিয়ামত। এই কয়দিন যে কি গেছে আমার উপর দিয়ে সেটা একমাত্র আমিই জানি। শেষবার জ্বর এসে আমাকে যেভাবে কাবু করে ছিলো। এবার ঠান্ডা আর কাশিও সেভাবেই এটাক করেছে বলা চলে। আমি জানিনা কেনো এমন হচ্ছে আমার সাথে। জ্বর ও যেমন ভুগিয়েছে ২ সপ্তাহ। তেমনি এই ঠান্ডা কাশিও আমাকে ভোগাইলো কয়দিন। জীবনটা বিষণ্ণ করে দিয়েছিলো। আমার ডাস্ট এলার্জি রয়েছে। শীতের সময় খুবই সাবধানে থাকতে হয়। কারন শীতকালে আদ্রতা কম থাকার কারণে বাতাসে ধুলাবালির পরিমান বেশি থাকে। আর আমাদের ঢাকার বায়ু কেমন এটা তো সবার জানাই। ঠান্ডা লেগে গেলো হঠাৎ। আমি শীত কালে খুবই সাবধানে থাকি। গোসল মিস দেইনা কখনো। মিস দিলেও আমার ঠান্ডা লেগে যায়। এই এক মাস তো আমার প্রতিদিন সকাল ৭ টার ভিতর গোসল করতে হতো। অফিস আসতাম যে। সকালে গোসল না দিলে আর গোসল হইতোনা। এই গোসল এর সময় পালটানোতেই ঝামেলার শুরু হয়।
হঠাৎ আমার ঠান্ডা লেগে যায়। ভাবছি শীতের সময় ঠান্ডা লাগতেই পারে। ২-৩ দিন পর ঠিক হয়ে যাবো। তাই এলার্জির ওষুধ ও খেয়ে নিলাম। পরের দিন তো আমার অবস্থা অনেক খারাপ। খুব দুর্বল লাগছিলো। সর্দি তো ভালো ভাবেই লেগে গেছিলো। নতুন অফিস দেখে ছুটি নিলাম না আর। বাসায় থাকলে শুয়েই কাটিয়ে দিতাম। কিন্তু এখন তো আমি ফেসে গেছি। যাক এভাবে ঠান্ডাটা একটু ভালো হলো। এরপরই একদিন গলা ব্যাথা অনুভব করলাম। খুবই ভোগাইলো। তবে সেটা একদিনই পরের দিন আর তেমন কষ্ট হয়নি। তবে শুরু হলো কাশি। আর ধীরে ধীরে সেটা শুকনো কাশি তে রুপান্তর হইলো। শুকনো কাশি যে কি খারাপ সেটা আমি এই কয়দিনে হারে হারে টের পেয়েছি। এতো পরিমানে রঙ চা খেলাম তাও কাশি কমার নাম নেই। ভিতরে সব শুকিয়ে গেছিলো। গলায় কেমন অসস্থি হচ্ছিলো। একটুও ভালো লাগছিলোনা কিছুই।
একটা সময় থাকতে না পেরে ডাক্তার এর শরণাপন্ন হলাম। তাকে সমস্যার কথা বললাম। তিনি শুনেই বলে দিলেন যে ধুলাবালির জন্য এই অবস্থা হয়েছে। ভিতরে ঠান্ডা বসে গেছে। তারপর আরকি হাই পাওয়ার এর এন্টিবায়োটিক দিলো। বললাম কাশির জন্য কিছু একটা দিতে। তাই একটা সিরাপ দিলো। তো ওষুধ আর সিরাপ খেয়েও কাজ হচ্ছিলোনা। পরে আব্বু কি যেনো একটা ওষুধ বের করে দিয়ে বললো খাইতে। সেটা খাওয়ার পর ধীরে ধীরে সুস্থতা অর্জন করেছি আল্লাহর রহমতে। তবে কাশিটা কমছিলোনা। ধীরে ধীরে কাশিটা কমেছে। এখনো আছে তবে আগের থেকে অনেকটাই কম। একটু সস্থি লাগছে। আমার তো শ্বাস নিতেই কষ্ট হতো ওই কয়দিন। মনে হতো যে দম আটকে গেলো আমার। যাক এখন অনেকটাই ঠিক আছি আমি। দোয়া করবেন সবাই।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকালে এই ঠান্ডা জনিত অসুস্থ তা একদম থামতে চায় না। আমার বাবু কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়েছিল যদিও ওকে প্রথম কিছুদিন আমি নরমাল ওষুধই দিয়েছিলাম কিন্তু কাজ হয়নি পরে ওকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়েছিল। যাক অনেক কষ্ট করার পর আপনি সুস্থ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু। বলতে গেলে এর জন্য পুরো শীত আমি ভুগেছি। আসলে বেশি সমস্যা হয় বায়ুদুষন এর কারণে।
অনেক আগে একটি পোস্টে পড়েছিলাম ঠান্ডা আপনার পরম বন্ধু। শীতে আপনার ঠান্ডা লেগেই থাকবে। তার প্রমাণ পেলাম। আমার ঠান্ডা লাগলে আমিও শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। যাই হোক ভাইয়া সতর্ক থাকবেন এবং সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।
বাহ মনেও রেখেছেন দেখি। আসলেই ঠান্ডা আমার পরম শত্রু। শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে তাই ধুলা বালি বেশি থাকে। আর এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
এই কয়েকটা দিন চারিদিকে সবার অসুস্থতার খবর শুনছি। আর আমাদের বাসায়ও অনেকেই অসুস্থ। গত কয়েকদিন যাবত আমার নিজেরও গলা ব্যথা ছিল। তবে এই পরিমাণ হয়নি। আর এটা ঠিক বলেছেন গোসল মিস দিলে ঠান্ডা লেগে যায়। তাছাড়া শুকনো কাশি খুব কষ্টের। এর জন্য বুকে ব্যথা হয়ে যায় অনেক সময়। তবে সর্বোপরি আপনার বাবার দেওয়া ওষুধে কাজ হল জেনে খুশি হলাম।আপনার সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।
হুম শীত এর সময়টা এমনই ভাই। চারীদিকে শুধু অসুস্থতার খবর।
সব মিলিয়ে তো আপনার অবস্থা ভালোই খারাপ করে দিয়েছে ৷ আসলে জ্বর সর্দি হলে শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ করে দেয় ৷ আপনি তো বেশ ভালোই ভুগেছে ঠান্ডায় ৷ যাই হোক অবশেষে আপনার সুস্থতার কথা জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইল
হু ভাই। জ্বর সর্দি এক সাথে হামলা।
ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন,সুস্থতা হলো আল্লাহর বড় নেয়ামত। অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থতার কত মূল্য। অবশেষে আপনার বাবার দেওয়া ঔষুধ খেয়ে কাজ হলো। আমি আগেই শুনেছিলাম আপনি অসুস্থ। শুনে খুশি হলাম আপনি সুস্থ হয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হু ভাই। আসলে অসুস্থ হলেই বুঝা যায় সুস্থতার মূল্য।