গুগল ম্যাপ নিয়ে মজার এক ঘটনা ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



lol-4010087_1280.png

Image by Stefan Schweihofer from Pixabay

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দুই-চার দিন পর আবারো একটু শীতের দেখা। শীত বলতে ঠান্ডা বাতাস। আজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভাগ্য ভালো নতুন কেনা নেক ব্যান্ড এর ইয়ার ফোন নিয়ে এসেছিলাম। নাইলে যে বাতাস আমাকে শেষ করে দিতো। কান দিয়ে বাতাস গেলে বেশি শীত লাগে। শীত এর জন্য ভারী কিছুও পরি নি। শুধু অফিস এর দেওয়া পাতলা একটা জ্যাকেট পড়েছি। এটা বাতাস আটকায় তবে শীত মানেনা। যাক আজ মজার একটি ঘটনা নিয়ে এসেছি। যেটা গত সপ্তাহে ঘটেছে আমার সাথে। অনেক হাসি পায় আমার। তবে কষ্টের ও ছিলো ঘটনাটি।



funny-3000956_1280.png

Image by Raphael Silva from Pixabay

গত সপ্তাহে যে আমি হাতিরঝিল গিয়েছিলাম এটা সেদিন এর ঘটনা। আপনারা জানেন যে শিফট পরিবর্তন এর ঝামেলার জন্য আমাকে ভার্সিটি যেতে হয়েছিলো। তো সেদিন ভাবতেছিলাম কিভাবে যাওয়া যায়। অফিস থেকে ২ ঘন্টার ছুটি নিবো। কিন্তু ঢাকার শহর এই দুই ঘন্টা তো জ্যাম এ পরেই কেটে যাবে। তবে আমার এক কলিগ বুদ্ধি দিলো তার সাইকেল নিয়ে যেতে। ভাবলাম যায়গাটা কত দূর সেটা দেখি আগে। তাইলে বুঝা যাবে পারবো কি পারবোনা। সাথে সাথে আমাদের গুগল মামার কাছে বললাম তার ম্যাপ দেখাতে। তিনি দেখিয়ে দিলেন ম্যাপ এ কিভাবে যাবো কোন রাস্তা দিয়ে যাবো। প্রথমে সেখানে দেখলাম ২ কিলোমিটার এর একটু বেশি। হাতিরঝিল দিয়ে। তো এই রাস্তা তো মাঝে মধ্যে হেটেই পার করি আমি ১০-১৫ মিনিটে। সাইকেল নিয়ে গেলে আরো দ্রুতো ফিরে আসতে পারবো। এই ভাবনা থেকেই সাইকেল নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করি। যেতে দুই আসতে দুই মোট ৫ কিলোর মতন হবে হয়তো। ম্যাপ অনুযায়ী।

cat-294120_1280.png

Image by Clker-Free-Vector-Images from Pixabay

তো আমি রওনা দিলাম সাইকেল নিয়েই। যাওয়ার সময় একবার ম্যাপ দেখি একবার সাইকেল চালাই। আবার থামি ম্যাপ দেখি আবার সাইকেল চালাই। রাস্তা যেনো শেষ হচ্ছিলোনা। ভাবলাম এমন হচ্ছে কেনো। এমন তো হওয়ার কথা না। পা ব্যাথা করতে ছিলো। পা ব্যাথা করা স্বাভাবিক কারণ অনেকদিন পর সাইকেল চালাচ্ছি। তবে এইটুক দূরত্বে একটু অস্বাভাবিক লাগলো। তো কষ্ট করে চালাতে চালাতে একটা সময় পৌছে গেলাম ভার্সিটি। সেখানে সব কাজ শেষ করতে করতে প্রায় ১ ঘন্টা লেগে গেলো। ও হ্যা আসতে আমার ৪০ মিনিট এর মতন লেগেছিলো। অনেক দূর এর রাস্তা এমন মনে হচ্ছিলো। এবার ব্যাক করলাম। উলটো রাস্তা দিয়ে আসতে হচ্ছিলো। এর অবশ্য কারণ আছে। আমি যেদিক যাবো সেদিকে নরমালি গেলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হবে। বাইক হলে কথা ছিলো। যেহেতু সাইকেল। আর পা প্রচুর ব্যাথা করছিলো। আবার পানির পিপাসা পেয়েছিলো খুব। তাই উলটো রাস্তাই ব্যবহার করলাম। এবারো রাস্তা যেনো শেষই হয়না। মনে হচ্ছিলো যেনো ঘন্টার পর ঘন্টা সাইকেল চালাচ্ছি আমি।

smiley-1981935_1920.png

Image by Christian Dorn from Pixabay

যাওয়ার সময় অবশ্য আর ম্যাপ দেখতে হয়নি। তাই জিনিশটা ধরতেও পারিনি। তো অনেক কষ্টে অনেক পা ব্যাথা নিয়ে ধীরে ধীরে অফিস চলে আসলাম। এসে যেনো হাফ ছেড়ে বাচলাম আমি। এক টানে ১ লিটার পানি খেয়ে ফেলেছিলাম। তবুও যেনো পিপাসা মিটছিলোনা। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না পা ব্যাথার জন্য। মনে মনে সমীকরণ মিলাচ্ছিলাম এমন হলো কেনো আমার সাথে। আমি যেখানে ৩০ কিমি সাইকেল চালানোর রেকর্ড আছে সেখানে মাত্র ২+২ মানে ৪ কিলো তেই এই অবস্থা। তবুও হতেও পারে যেহেতু অনেক দিন পর চালাইলাম। হঠাত মনে পরলো যে ম্যাপটা দেখি কতো দূর। এবার আমি ম্যাপ এ ঢুকে রাস্তার দুরত্ব দেখে যেনো আকাশ থেকে পরলাম। এটা কি দেখতেছি আমি। সেখানে দেখাচ্ছে দুরত্ব ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ আমি মোট ১০ কিলোমিটার চালিয়েছি সাইকেল। এবার আর বুঝার বাকি থাকলোনা যে কেনো আমার পায়ে ব্যাথা করছে। হাসিও পাচ্ছিলো খুব। আবার দুঃখ ও লাগছিলো। যেখানে ৪ কিলোমিটার ভেবে আমি সাইকেল রাইড দিলাম। সেখানে এসে দেখি ১০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ফেলেছিলাম। হাহাহা গুগল কি ভাওতাবাজিটাই না করলো আমার সাথে। একদম ছেকা দিয়ে দিলো। 🤣🤣🤣🤣। গুগল ম্যাপ নিয়ে আমার আরো অনেক মজার কাহিনী রয়েছে। এগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একদিন।


তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

আসলেই আজকে কয়েকদিন কিন্তু আবারো ঠান্ডা বাতাস বেশি দেখা দিচ্ছে । তবে হেডফোন নিয়ে বের হয়েছেন ভালোই হয়েছে। আপনার শিফট করা পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। সেদিন দেখলাম আপনি অনেক কষ্ট করে সাইকেল চালিয়ে গিয়েছিলেন। সপ্তাহে ঠিকঠাক ছিল কিন্তু আজকের শেষের ঘটনাটা পড়ে ভীষণ হাসি পেল। যেখানে ৪ কিলোমিটার সেখানে ১০ কিলোমিটার। আসলেই এইরকম ঘটনা দেখলে হাসি পায়।

 2 years ago 

হুম আপু সেদিন সকালে ভালোই ঠান্ডা বাতাস ছিলো।

 2 years ago 

আসলেই আজ কয়েকদিন যাবৎ বেশ ঠান্ডা পড়েছে বই কি, ঠান্ডায় যেন কান জমে যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে যেমন হাসলাম তেমন আপনার জন্য বেশ কষ্টও লাগলো। আসলে দোষটা কার আপনার নাকি আপনার গুগুল মামার। হা হা হা।

 2 years ago 

গুগল মামার দোষ। সে ঠিক দেখালে আমার ভুল হতোনা।

 2 years ago 

হাহাহা! ভাই অনেকদিন পর সাইকেল চালানোর ট্রায়াল হয়ে গেল, কি বলেন 😁। গুগল বাবাজি যে এ মজা নিবে কে জানতো! আমি তো একবার কমলাপুর থেকে গেণ্ডারিয়া পর্যন্ত হেটেঁ রওয়ানা দিয়েছিলাম! দূরত্ব ৩.১৫ কিমি এমন। বাবাজি আমাকে এমন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল পরে বাধ্য হয়েই রিকশা নিয়ে আসতে হয়েছিল 😁

 2 years ago 

আর সেটা ট্রায়াল। জীবন তেজপাতা ছিলো আমার।

 2 years ago 

গুগল ম্যাপ এর এমন ভাওতাবাজির শিকার আমিও কয়েকবার হয়েছি ভাই। মাঝে মাঝে গুগলের এই ভুল ম্যাপিং এর জন্য অনেক দূরত্ব আমাদের বেশি যেতে হয়। মাঝে মাঝে তো গুগল ম্যাপে এমন দেখেছি দেওয়ালের উপর রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। মাঝে মাঝে সত্যিই একটি বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় আমাদের গুগল ম্যাপের জন্য । আপনাকে অনেকটা বেশি পথ সাইকেলে অতিক্রম করতে হয়েছে এই বিষয়টা আমাদের সবার সাথেও কমবেশি হয়েছে । ভাই চিন্তার কোন কারণ নেই এর শিকার আপনি একা না, আমরাও সবাই কম বেশি হয়েছি।

 2 years ago 

একদম ভাই। একবার তো ম্যাপ ধরে গিয়ে দেখি সেখানে রাস্তাই নেই।

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন অনেক দিন পর আবারও ঠান্ডা বাতাস দেখা যাচ্ছে। আপনার আজকের এই ঘটনাটি পড়ে সত্যিই আমি খুব মজা পেয়েছি। আপনি মনে করেছিলেন ৪ কিলোমিটারের পথ তাই সাইকেল নিয়ে গেলেন কিন্তু ১০ কিলোমিটার এটা দেখেই তো আমি অবাক। আপনি মনে হয় দেখতে একটু ভুল করেছিলেন। এই কারণে তো পা ব্যথা করারই কথা। বাইক হলে একটা কথা ছিল।

গুগল ম্যাপ নিয়ে আমার আরো অনেক মজার কাহিনী রয়েছে। এগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একদিন।

আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকলাম আপনার মজার কাহিনী আরও পড়ার। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।

 2 years ago 

ঠান্ডা বাতাস আসলেও খুবই ভয়ের বিষয়। কি শীতই না লাগে।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া তেমন একটা শীত নেই। তবে বাতাসে অনেকটা ঠান্ডা লাগছে। আপনার মত আমিও দূরে কোথাও যেতে হলে গুগল মামার সাহায্য নিই।সাইকেল নিয়ে ভার্সিটি যাওয়ার গল্পটা বেশ ভালো ছিল।

 2 years ago 

জ্বি ভাইয়া। তবে পায়ের অবস্থা আমার শেষ হয়ে গিয়েছিলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58474.85
ETH 2500.10
USDT 1.00
SBD 2.39