হঠাৎ রাত্রিকালীন ক্লাসের বিড়ম্বনা।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। দিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম গুলো ঠিক মতন করতে পারছি। যাই হোক গতকাল হঠাৎ রাত ৮ টার দিকে ক্লাস রাখের। আমাদের অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পরতে হয় আমাদের। আজ সে নিয়েই আমার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
আগে বলে রাখি আমি ইভিনিং শিফটে ভার্সিটির স্টুডেন্ট। তো আমার ক্লাস নরমালি সন্ধ্যা ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত হয় ।সপ্তাহে তিন দিন সোম মঙ্গল এবং বুধ। তো এবারে সেমিষ্টারে আমাদের টোটাল কোর্স ছিল পাঁচটি এর মধ্যে একটি হচ্ছে ল্যাব ক্লাস। এই ক্লাস টা নরমালি আমাদের অনলাইনে হইতো। মাঝে দিয়ে টিচার ছুটিতে চলে যায় তো আমাদের কোর্স টিচার চেঞ্জ হয়। মিডটার্ম এসে গেছিলো তাই আমাদের আর ক্লাস করা হয়নি। এই সপ্তাহে মঙ্গলবারে আমাদের সেই ক্লাসটি ছিল আমরা তো সবাই জানি যে ক্লাসটি অনলাইনেই হবে। আর বলে রাখা ভালো এই ক্লাসটি দুই সপ্তাহে একদিন হতো। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আসি রাত্রে অনলাইনে ক্লাস করব। কিন্তু হঠাৎ স্যার নোটিশ দিয়ে বলে যে এই ক্লাসটি ইন ক্যাম্পাস হবে। আমরা সবাই পরে গেলাম অনেক বড় এক বিরাম্বনায়। কারণ ক্লাসটি শুরুই হবে রাত ৮ টা থেকে। আগে কোনো ক্লাস নেই। কি আর করা স্যার যেহেতু বলেছে যেতে তো হবেই। তাছাড়া এটি ছিলো এই স্যারের প্রথম ক্লাস। না গেলে কেমন দেখায়। তাই বন্ধুকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যাবে কিনা। ও বললো যাবে। তাই আমিও প্রস্তুত হয়ে রউনা দিলাম।
আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম ৫ টা ২০ এর দিকে। বাসে উঠতে উঠতে বেজে যায় ৫ টা ৩৫ এর মতন। আর এই টাইমেই অন্ধকার হয়ে আসছে। আসলে শীত এসে গেছে তো এখন দিন অনেক ছোট হবে। তবে রাত বিশাল বড়। যাই হোক বাস স্ট্যান্ড এ যেয়ে আমাকে আর দাড়াতে হয়নি বেশিক্ষন। সাথে সাথেই বাস পেয়ে যায়। বাসে উঠে সিট ও পেয়ে যাই। দাঁড়িয়ে কোথাও যাওয়া খুব বিরক্তি কর। এর উপর জ্যামে পড়লে তো কথাই নাই। আমি বাসে বসে স্টিমিট এর পোস্ট পড়া শুরু করি। এবং মন্তব্য করছিলাম অনেক পোস্ট এ। শুরু হলো আমাদের এরিয়া থেকেই জ্যাম। বাপরে সে কি জ্যাম। গাড়ি যেনো এগোচ্ছিলোনা। আমি প্রায় আড়াই ঘন্টা হাতে রেখে বের হয়েছিলাম। যেখানে অন্যদিন দেড় ঘন্টা হাতে রেখে বাসা থেকে বের হই। গাড়ি খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলো। ভাগ্য ভালো আমি মন্তব্য করতেছিলাম পোস্ট পড়ে পড়ে তাই সময় চলে গিয়েছিলো।
দেখুন রাস্তায় সব গাড়ি দাড়িয়ে আছে। এগোচ্ছেই না একদম। কি আর করা বসে বসে সময় পার করলাম। সেই সাড়ে ৫ টার দিকে বাসে উঠেছি আর গন্তব্যে পৌছালাম ৭ টা ৪০ এর পর। ২ ঘন্টার উপর বাসে ছিলাম। অবশ্য শেষ কিছু পথ ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি আবার বাসে ঘুমাতে পারি। ক্লাস যেহেতু ৮ টায় তাই আর সমস্যা হয়নি। আমাদের প্রোগ্রামিং নিয়ে একটি ল্যাব ক্লাস ছিলো। সোজা সুজি ল্যাব ক্লাসে চলে গেলাম। সেখানে যেয়ে দেখলাম অনেক ছেলে পেলে। সবাই অবশ্য আমাদের ক্লাসের না। আমরা একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। ব্যাপার টা মাথায় আসলোনা। তবুও একটি কম্পিউটার নিয়ে বসে গেলাম। আমাদের ক্লাসমেট সবাই বসে পরলো। স্যার যেহেতু সমস্যা মিট মাট করতে গেছে এই সুযোগে আমি ওয়ার্ড ফাইল খুলে আমার বাংলা ব্লগ লিখে ফেললাম।
একটু পর এই ক্লাসে সিভিল এর স্টুডেন্ট ছিলো তাদের স্যার আসল। তখন আমাদের স্যার উপরে যেয়ে ঠিক করলো আমরা ৬ তালায় ক্লাস করবো। আমরা রিতিমত রাগ করলাম। সিঁড়ি দিয়ে উঠতেছি আর বলতেছি এতো কষ্ট। অথচ নিচের সেই ক্লাস আমাদের রুটিন এ ছিলো। তো আমি বললাম বেশি হলে স্যার রে বলবো স্যার এই ক্লাস অনলাইনেই নেন। আমি জানতাম না স্যার পাশেই ছিলো। ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু স্যার আমার কথা শুনে হেসে দিয়েছে। হাহাহা 🤣🤣🤣। তো যাই হোক। শুরু হলো ক্লাস। আমার টাইপিং স্পিড বেশি ছিলো তো স্যার যে লাইন গুলো লিখতে বললো সবার আগে আমার শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো তখন যখন দেখলাম আমার পিসিতে কম্পাইলার কাজ করছেনা। তারপর আর কি স্যার এর হেল্প নিয়ে কম্পাইলার ফাইল ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে দিলাম। নেট স্পিড এর কারণে পুরা ক্লাসেও সেটা ডাউনলোড হয়নি। খুব বিরক্ত লাগছিলো। এভাবে ক্লাস শেষ করে স্যার। আমি পাশের বন্ধুর যে পিসি নিয়েকাজ করছিলো সেটিতে বসে একটু প্র্যাকটিস করলাম।
এই যে আমার পিসিতে ডাউনলোডই হচ্ছিলো। স্যার ছুটি দিলো সবাইকে বললো পিসি অফ করে দিতে। শুধু বললো আমার পিসি অন রেখে যেতে। আমি সেই পিসি অন রেখেই বের হয়ে যাই। তারপর বাস ধরে বাসায় ফিরে আসি। আসার সময় অবশ্য জ্যাম ছিলোনা। তো এই ছিলো আমার রাত্রিকালীন ক্লাসের ঘটনা। কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভার্সিটি এর ক্লাস গুলো এমনই।হঠাৎ হঠাৎ ক্লাসের সিডিউল দিয়ে দেয়।আপনার পোস্ট পড়ে আমার ভার্সিটির কথা মনে পড়ে গেলো।আমি এমনি জ্যাম কাটিয়ে ভার্সিটিতে যেতাম আর আসতাম।মাঝে মাঝে বাসে বসতে বসতে এত মেজাজ খারাপ হতো।যাক আসার পথে তাহলে জ্যাম ছিলো না।
হুম আপু। তবে বেশি খারাপ লেগেছিলো ওই ক্লাসটা হয় সাধারনত অনলাইনে। তবে সেদিনই প্রথম অফলাইন এ ছিলো।
আমিও ইভিনিং শিফটে স্টুডেন্ট, তবে আমার ক্লাস সপ্তাহে একদিন। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, এদিকে একটা জিনিস ভালো প্রতিদিন সন্ধ্যায় বের হওয়া লাগে না। তবে একটা দিনও বেশ অনেক চাপ পড়ে যায়। অনেক মানুষ চাকরিজীবী টাইম সিডিউল চেঞ্জ করতে পারছিনা। তাই একদিন এইসব ক্লাস করতে হয়।
তুই সম্ভবত ফ্রাইডে শিফট এ। ইভিনিং এ ৩ দিন ক্লাস।