নানু কে রিসিভ করতে এয়ারপোর্ট এ যাওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



My Holidays Speaking Show and Tell Jamboard Background.png

ক্যানভা দিয়ে বানানো।

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমার শরীরটা আবার একটু খারাপ হয়েছে। এলার্জি থেকে ঠান্ডা লেগে অবস্থা খারাপ। আমার ডাস্ট এলার্জি আছে। শীত এসেছে বাতাসে আদ্রতা কম তাই ধুলা বালি বেশি। আর এগুলো নাকে গেলেই আমার এলার্জি শুরু হয়ে ঠান্ডা লেগে যায়। হাঁচির কথা নাই বললাম। এটার জন্য জীবন প্যারা দায়ক। হাঁচি একবার শুরু হলে আমার অবস্থা খুবই কারাপ হয়ে যায়। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এয়ারপোর্ট এ আমার নানিকে রিসিভ করতে যাওয়ার অনুভূতি।



IMG_20221113_080007.jpg

সকাল সকাল বের হয়েই ছবি খানা তুলেছিলাম।

এয়ারপোর্ট এ যাওয়ার উদ্দ্যেশ্য

গত মাসের ২৯ তারিখ বিকালে আমার নানু ওমরা হজ করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব এ রওনা হয়। তার ফ্লাইট ছিলো বিকাল ৫ টায়। যদিও আগে ঢুকতে হয়েছে ইমিগ্রেশন সহ বাকি কার্যক্রম যাতে যথা সময়ে শেষ করা যায় এই জন্য। তো যাই হোক। সে সময় আমি জ্বর এ ভুগতেছিলাম আপনারা সবাই জানেন। তাই আর আমি যেতে পারিনি। শুয়েছিলাম বাসায়।। খুব খারাপ লেগেছিলো আমার কাছে। নানু আমাকে অনেক আদর করে। আর তাকে বিদায় দিতে যেতে পারিনি। তাই ধরেই নিছিলাম যে সুস্থ হই আর না হই। নানু যেদিন ফিরে আসবে বাংলাদেশে সেদিন আমি রিসিভ করতে যাবোই যাবো। নানুর ফিরতি ফ্লাইট ছিলো গত ১২ তারিখ রাতে। তবে বাংলাদেশে বিমান অবতরন করবে ১৩ তারিখ সকাল ৮ টায়। অনেক আগে থেকেই আমি সহ আমার পুরো ফ্যামিলি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। যদিও যাওয়ার সময় নানু আমাদের বাসায় এসে তারপর গিয়েছিলো। তবে ফিরে এসে ঠিক করেছে এয়ারপোর্ট থেকেই সোজা গ্রামে চলে যাবে। তাই হাইস গাড়ি ভাড়া করে রাখা হয়েছিলো। নানু একা ছিলোনা। গিয়েছিলো আরেকজন আত্নীয় এর সাথে। আসার সময় সেই আত্নীয়র ছেলে সহ আসবে। মোট ৩ জন। আর আমরা তো আছিই। তাই হাইস ভাড়া করতে হয়েছে। এছাড়া তাদের মাল সাবানা তো ছিলোই।

IMG_20221113_081157.jpg

আমি সকালে ভোর বেলা উঠেই গোসল করে নেই। আর উঠেই সাথে সাথে পিসি চালু করে নেট থেকে নানুর ফ্লাইট ট্র্যাক করছিলাম। কোথায় কোথায় দিয়ে উড়ে যাচ্ছে প্রজুক্তির কল্যানে সব ঘরে বসে দেখা যায়। আমি যখন কম্পিউটার চালু করে ট্র্যাকার ওয়েবসাইট এ যাই তখন নানুদের বিমান ইন্ডিয়ার উপর দিয়ে আসতেছিলো। আর ওই ট্র্যাকারটা রিয়ালটাইম কাজ করে। অর্থাৎ আপনি বিমান যে সামনে এগোচ্ছে সেটাও ভার্চুয়ালি দেখতে পারবেন। বিমান অবতরণ এর কথা ছিলো সকাল ৮ টা ৩০ এ। তবে সে বিমান অবতরণ করে ৮ টার দিখে। এইদিকে আমরা সবাই বাস স্ট্যান্ডে যেয়ে হাইস গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ড্রাইভার বললো আর কিছুক্ষন এর মধ্যেই আমাদের পিক করতে আসবে। অপেক্ষা করছিলাম অনেক্ষন ধরেই।

IMG_20221113_083058 (1).jpg

আমি অপেক্ষা করতে করতে খুব ঘেমে যাচ্ছিলাম। আর ভুল করে সাথে রুমাল নিয়ে আসতেও ভুলে গিয়েছিলাম। তারপর অনেক দূর থেকে খুজে পকেট টিসু কিনে নিয়ে আসলাম। ফাকে আম্মু ও খালার সাথে ছবি তুললাম। বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে খালা আমাদের বাসায় এতো দিন ছিলো। নানুর সাথে এসেছিলো। এই কয়দিন বেড়ালো। এখন নানুকে নিয়েই ফিরবে। ড্রাইভার কে কল দিচ্ছিলো আব্বু বার বার। বলতেছে এই যায়গায় ওই যায়গায়। তবে বুঝতেই পারছিলাম তিনি মিথ্যা বলছে। যাক কি আর করা। ধীরে ধীরে রাস্তায় ব্যস্ততা শুরু হলো। কারণ সেটা অফিস টাইম ছিলো। বাসে ভীর শুরু হলো।

IMG_20221113_081225.jpg

ধীরে ধীরে পুরো রাস্তাই যেনো মানুষে ছেয়ে গেলো। সবাই যার যার তাগিদে বের হয়েছে। আমাদের অবশ্য বাসে যুদ্ধ করে উঠার ঝামেলা ছিলোনা। তাই বেঁচে গেছি। নাহলে এই সময়ে বাসে উঠা আর যুদ্ধ করা একই কথা। যাক অনেকটা সময় অপেক্ষা করিয়ে ড্রাইভার এর দেখা পেলাম। ব্যাটা টিপ মারছিলো সুযোগে। কি আর করা উঠে গেলাম সবাই মিলে। তারপর শুরু হলো এয়ারপোর্ট এর দিকে রওনা। বাসা আমার খিলক্ষেত হওয়াতে এয়ারপোর্ট খুব কাছেই।২-৩ কিলোমিটার হবে হয়তো। গাড়ি আমাদের এয়ারপোর্ট এ ঢুকে গেলো। তবে পার্কিং এ যায়গা ছিলোনা। পড়লাম এক বিপদে। আমরা গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। গাড়ি অন্য এক যায়গায় পার্কিং করবে। টার্মিনাল থেকে অনেক দূরে।

IMG_20221113_085000.jpg

IMG_20221113_081225.jpg

এয়ারপোর্ট এ যেমন ছিলো মানুষ এর ভিড় তেমনি ছিলো গাড়ির ভিড়। আমরা সামনের দিকে গেলাম। আম্মু ও খালা কে ২ নং টার্মিনাল এর দিকে বসিয়ে আমরা ১ নং এর দিকে গেলাম। কারণ তখনো নানুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। তাই খোজা খুজি শুরু করলাম।

আজ আর পোস্ট বড় করলাম না। পরের পর্বে নানুকে কিভাবে খুজে পেলাম তারপর গ্রামের দিকে রওনা দিলাম এ নিয়ে লিখবো। ভালো থাকবেন সবাই।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

আপনার পোস্টটি পড়লাম বেশ ভালই লাগলো। এই সময় আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকা উচিত। যেহেতু শীতের মৌসুম শুরু হচ্ছে। আপনার নানু ওমরাহ হজ করতে গিয়েছিল শুনে বেশ ভালো লাগলো। যাইহোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আশা করি পরের পর্বতে আমরা আপনার নানুর সাথে কিভাবে দেখা হলো সে বিষয়ে জানতে পারব। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

জ্বি ভাই। আমাদের সকলের উচিৎ সাবধানে থাকা।

 2 years ago 

ভাইয়া প্রথমে যেটা বলবো সেটা হলো আমারও আপনার মত ডাস্ট এলার্জি আছে। আমার পরিচিত অনেক মানুষ আছে যাদের ডাষ্ট এলার্জি আছে। এটা খুব বিরক্তিকর একটি রোগ। তারপর গাড়ির ড্রাইভার দের কথা কি বলবো তারা যদি বলে আর পাচঁ মিনিট মানে তার অর্থ ধরে নিতে হবে পয়ত্রিশ মিনিট। যায়হোক আপনার বাসা খিলক্ষেত হওয়ায় তারাতারি চলে গেছেন। দুরে হলে বুঝতে কত লেইট হয়। যায়হোক দেখি সামনের পর্বে আপনার নানুকে কিভাবে খুজে পেলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার নানুর প্রতি আমার সালাম রইল।

 2 years ago 

ডাস্ট এলার্জি জিনিশটা মারাত্নক ভাই। কষ্ট দেয় অনেক।

 2 years ago 

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং সেই সাথে আপনার আম্মু ও খালাকে দেখতে পেয়ে আরো ভালো লাগলো। অনেক ভালো লাগলো শুনে আপনার নানু ওমরাহ হজ করতে গিয়েছিল।ভালো লাগা একটি মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু। ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68152.98
ETH 3536.22
USDT 1.00
SBD 2.86