পাবজি তে বানানো মামুর (মামা) সাথে দেখা করার অনুভুতি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমি তো আছি বিন্দাস। আজ সারাদিন খুব ব্যস্ততায় কেটেছে আমার। প্রচুর ব্যস্ত ছিলাম। আজ মান্থলি মিটিং আছে অফিস এ। অনেক হিসাব গুছাতে হয়েছে। ৩০ মিনিট পর মিটিং ভাবলাম পোস্ট কিছুটা লিখে এগিয়ে রাখি যেনো পোস্ট করা যায় সময় এর মধ্যে। যাই হোক তো আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো পাবজিতে বানানো এক মামুর (মামা) সাথে দেখা করে আসার অনুভূতি। আশা করি সাথেই থাকবেন।
বিষয়টা কেমন আশ্চর্যজনক তাইনা? যে পাবজি গেম এ পরিচয় হওয়া এক মামুর সাথে দেখা করা। অন্তত আমার কাছে তো তাই লাগে। তবে আসল কথা কি মামুর সাথে সম্পর্কটা যে শুধু গেম এ আসলে তা কিন্তু নয়। একদম আমরা যেনো বাস্তবেই মামু ভাগনে। শুরটা হয়েছিলো আজ থেকে আরো ২ বছর আগে সম্ভবত। তখন আমি প্রচুর পরিমানে পাবজি খেলতাম। এখন হয়তো চাকরীর কারণে গেম খেলার সুযোগ পাইনা। তবে আগে প্রচুর পরিমানে গেম খেলতাম আমি। গেমটা যেনো এক ধরনের নেশা ছিলো আমাদের কাছে। তখনই লাবিবা নামে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় গেম এ। তো এক সাথেই খেলতাম। ও আমাকে ভাই ডাকতো। ও আমার ছোট বোন এর মতই। তো একদিন ও একজন কে গেম এ আনে। যার নাম ছিলো Tmr Mamu (তোমার মামু)। নামটা বেশ অবাক করা। সেই থেকেই মামুর সাথে পরিচয়। এরপর গেম খেলতে খেলতে আমরা একদম যেনো আপন মামু ভাগনে হয়ে গেলাম। মামু সৌদি আরব থাকতো। সেখানে থেকেই আমাদের সাথে গেম খেলতো। মাঝে অনেক বার আসার চেস্টা করেছিলো দেশে। তবে ভিসা জটিলতায় আসতে পারেনি। তো সব কিছু ঠিক করে গত ডিসেম্বর মাসে দেশে আসে। দেশে আসার পর প্ল্যান করি যে একদিন দেখা করবো।
কিন্তু ব্যস্ততায় এমন ভাবেই ধরে যে পারিনা। মামু কিছু দিন আগেই বিয়ে করেছে। তো আমাদের দাওয়াত ও দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যেতে পারিনি। কারণ ওই সময় আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলতে ছিলো। এমনকি বিয়ের দিনই আমার পরীক্ষা ছিলো একটা। যাই হোক মামু আমাদের এইদিক আসে তো ঠিক করি দেখা করবো। কিন্তু অফিস থাকার কারণে সেই সুযোগ ও হয়ে উঠছিলোনা। কি আর করা। তাই এই গত শুক্রবার ঠিক করলাম আমরা দেখা করবো। কারণ শুক্রবার আমার অফিস বন্ধ। আর সকালে ভার্সিটি শেষ করার পর বিকালের দিকে আমি ফ্রি থাকি। তাই মামুরে বললাম যমুনা ফিউচার পার্কে আসতে। মামু বললো সেখানেই আসবে। আমিও সময় জানিয়ে দিলাম। তো মামু এসে পরে। সাথে মামুর নাকি দুই ভাগনে থাকবে আরো। ৫ টার দিকে আমি রউনা দিলাম মামুর কল পাওয়ার পর। সোজা যমুনা ফিউচার পার্কে চলে যাই আমি। সেখানে মামুর সাথে দেখা হয় প্রথমবারের মতন। আমি যেয়েই মামুর সাথে মুসাফা করে কোলাকুলি করি। মামা ভাগনের সম্পর্ক বুঝতে হবে। একদম ঈদের সময়কার মতন কোলা কুলি। এর পর মামুর সাথে কিছুক্ষন যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরে সেখানে এক যায়গায় চা খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। এখানের চা গুলো ভালোই লাগে। বলা চলে মামুকে ভাগনের ট্রিট। যেহেতু বেতন পাইনি তাই হাতে তেমন টাকাও ছিলোনা।
চা খাওয়া শেষে মামু বললো এবার মামু ট্রিট দিবে। যদিও প্রথমে রাজি হইনি আমি। তবে পরে মামু অনেক জোড় করাতে যাই । সৌদির এক রেস্টুরেন্ট এর শাখা আছে আল বাইক নাম। সেখানে যাই সবাই মিলেই। তারপর সেখানে আমরা খাবার অর্ডার করি। আমরা ভেবেছিলাম আল বাইক আসল হবে। কিন্তু বিল দেওয়ার পর জানতে পারি এটা আসলে আসল না। নকল। হাহাহা। মামু তো খাবার টেস্ট করেই বুঝে গিয়েছিলো। তবুও শিওর হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করে জানতে পারি আরকি। কি আর করা। এরপর সেখান থেকে আমরা নিচে চলে আসি। মামুকে বিদায় দিয়ে আমিও বাসার দিকে চলে আসি। কারন বন্ধুরা অপেক্ষা করছিলো আমার জন্য। ওদের সাথেও দেখা হয় এই সপ্তাহে একটি মাত্র দিনে। তাই আর দেড়ি করিনি। চলে আসি। মামুর সাথে অনেক ভালো একটি মুহুর্ত কাটিয়েছি বলা যায়। সম্পর্কটা গেম থেকেও হলেও আমার কাছে মনে হয় সে বাস্তবেই যেনো আমার মামু। আজ আর না। আরেকদিন কথা হবে।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পাবজি গেম খেলার মাধ্যমে ভালো একটা মামু পেয়ে গিয়েছেন। আসলে প্রতিটা মানুষের জীবনে কখন কার সাথে কিভাবে সম্পর্ক তৈরি হয় কেউ বুঝতে পারবে না। প্রত্যেকের লাইফে এরকম অনেক মানুষ আছে আপনার মামুর সাথে কাটানো মুহূর্ত তার সাথে অনেকদিন পর সাক্ষাৎ করেছেন যেটা সম্পর্কের মধ্যে পূর্ণতা পেল অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
হু ভাই। ঠিক বলেছেন। পবজি খেলতে খেলতে অনেক ভালো এক পরিচয় হয়ে গেছে।
বাহ গেম খেলে বানানো মামুর সাথে তো ভালোই সময় কাটালেন। মামু ভাগনের জুটি কিন্তু বেশ ভালোই মানিয়েছে। তবে রেস্টুরেন্টে কি খেলেন তা তো আমাদের দেখালেন না। হাহা হা
হ্যা ভাই। আসলে এইদিন মামুর সামনে ছবি তুলতে একটু লজ্জা লাগছিলো।
আসলেই ব্যপারটা বেশ মজার।পাপজি খেলতে যেয়ে পরিচয় তারপর মামার সাথে দেখা।হা হা।যাক তাহলে আপনার পাপজি মামু সৌদি থেকেও আপনার সাথে সময় নিয়ে দেখা করতে এসেছে। ভালো লাগলো আপনার মামার দেখা করার ব্যপারটা পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যা আপু। পাবজি খেলে এমন অনেকের সাথেই পরিচয় হইছে৷
বাহ বেশ মজা তো পাবজি তে মামা বানিয়েছেন সেই মামার সাথে আবার দেখাও করলেন বেশ ভালো লাগলো।আসলে আমি এখনো তো পাবজি কিভাবে খেলে সেটাই জানিনা। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ।
হু। আপনাদের সবার সাথেও একদিন দেখা করবো।।
এ তো দেখি ভার্চুয়াল মামু বানিয়ে ফেলেছেন। বেশ ভালো লাগলো যে পাবজি খেলে মামু বানালেন এবং সে মামুর সাথে আবার পুনরায় দেখাও করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে অনুভূতি তুলে ধরার জন্য।
হুম ভাই। আসলে পাবজিতে আমরা পরিবারের মতন হয়ে গিয়েছিলাম।
কিছুটা অবাক হলাম আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে। এমন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। যে সমস্ত মানুষেরা এই পোস্ট দেখতে সবাই যেন হতবাক হবে। পাবজি গেম খেলার মধ্য দিয়ে এমন সুন্দর একটা মামু তৈরি করে ফেলেছেন সৌদিতে তা তো অবিশ্বাস্য ব্যাপার। তবে যাই হোক সুসম্পর্ক বজায় থাকলেই ভালো।
একদম ভাই। মামু ছাড়াও আরো অনেক মানুষ পাইছি।
আপনার মত আমারও গেম এর মাধ্যমে অনেকের সাথেই বন্ধুত্ব হয়েছিল । কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের বাড়ি ইন্ডিয়ায় ছিল এবং অনেকের বাড়ি দূরে হওয়ার কারণে কখনো তাদের সাথে দেখা করার সুযোগ হয়নি। আপনি তো দেখছি পাবজি গেম এর মাধ্যমে একজন মামু পেয়ে গিয়েছেন। যাইহোক আপনাদের মামা ভাগ্নের মিট আপ করার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই বন্ধুত্ব গুলো সেরা হয়।
কিছু কিছু সম্পর্ক হয় রক্তের সম্পর্ক চেয়েও বেশি। আপনি পাবজি তে বানানো মামা পেয়ে অনেক খুশি। আসলে এরকম মামা পেলে ভাগিনার কোন টেনশনই নেই। সম্পর্ক গেম খেলার মধ্যে হলে আসলে মামুর মতই জেনে ভালোই লাগলো। খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মামুকে নিয়ে অনুভূতি আমাদের মাঝেও উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু। একদম নিজের মামুর মতই।