ভয় পেয়ে সাইকেল হাতে নিয়েই দৌড় !!!

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



halloween-2905531_1920.jpg

Image by Benjamin Balazs from Pixabay

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। গত দুইদিন কড়া লেভেল এর শীত পরার পর আজকে সকালে উঠে আমি তো অবাক। কিভাবে সম্ভব এটা। আজ কুয়াশাতো নাই উলটো রোদ উঠেছে আকাশে। এ দেখে আমি ভাবতেছিলাম আমি কি ভুল দেখছি নাকি। একদিনেই এতো পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব। তবে আমার তীব্র শীত আসবে সামনে যা মনে হচ্ছে। আমার কি আমার তো শীত ভালোই লাগে। আর সকাল বেলা গোসল করে ফেললে শীত একদম কমে যায়। আমি সকালে গোসল করে সরিষার তেল মাখি। শীত আর আমাকে পায়না। হাহাহা। যাক আজ মজার একটি ঘটনা শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।



silhouette-683751_1920.jpg

Image by renategranade0 from Pixabay

এই ঘটনা সম্ভবত তখন আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম। আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম আমার এক নানার বাড়ি। তো যেহেতু চর এলাকা ছিলো তাই শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভিতরে ছিলো। হেটে আসতে হতো অথবা সাইকেল নিয়ে আসতে হতো। তো নানুর একটা ওষুধ আনতে আমার আর নানার শহরে যেতে হয়েছিলো। ভালো কথা কিন্তু হেটে যেয়ে ফেরত আসতে দিন লেগে যাবে। ৩০ কিলোমিটার হাটা কি সহজ নাকি। নানার একটা সাইকেল ছিলো। তো পাশের বাড়ি থেকে আমার জন্য আরো একটা সাইকেল ব্যবস্থা করলো। অনেকে ভাবতে পারেন যে আমার যাওয়ার কি দরকার ছিলো। আসলে আমার ওষুধ গুলো বুঝে আনার জন্য দরকার ছিলো। ওনারা গ্রামের মানুষ তেমন কিছু বুঝে না। তাই ভাবলো আমি যদি সব কিছু বুঝে ঠিক মতন আনতে পারি তাইলে তো ভালোই। তো সাইকেল ম্যানেজ করে খাওয়া দাওয়া করে বের হতে হতে আমাদের দুপুর ১২ টা বেজে যায়। কি আর করা।

cyclist-3202481_1920.jpg

Image by 👀 Mabel Amber, who will one day from Pixabay

আমি অবশ্য অনেক বিস্মিত ছিলাম। এতোটা পথ সাইকেল চালিয়ে আসবো। আমার আবার সাইকেল চালাতে অনেক ভালো লাগে। আপনাদের কেমন লাগে জানিনা। তবে আমি ব্যাপারটা অনেক উপভোগ করি। অনেকটা পথ সাইকেল চালাবো এটা ভাবতেই আমার খুব খুশি খুশি লাগছিলো। সাইকেল ছিলো বড়। তো সধারনত সবাই সেই সাইকেল গুলোতে উঠে বাম সাইড থেকে। তবে আমি উঠতাম ডান সাইড থেকে। মানে বড় যে সাইকেল গুলো আছে সেগুলোতে প্রথমে দৌড়ে একটু চালায় তারপর সাইকেলে উঠে। নাহলে প্যাডেল মারার সময় কষ্ট হয় শুরুর দিকে। তবে বর্তমানে গিয়ার আলা সাইকেল গুলোতে আর এই সমস্যা নাই। কারণ গিয়ার কমিয়ে বাড়িয়ে ঠিক করে নেওয়া যায়। আমার নানা তো খালি আমাকে নিয়ে হাসে। বলে কি ঢাকাইয়া নিয়ে আসলাম উলটো ভাবে সাইকেলে চরে।

eery-1648250_1920.jpg

Image by Etienne Marais from Pixabay

তো নানার সাথে মজা করতে করতেই আমরা শহরে পৌছে গেলাম। সেখানে পৌছে আগে একটা হোটেল এ ঢুকে দুপুরের খাবার সেরে নিলাম। আহা ডিমটা অনেক স্বাদের ছিলো। সেইরকম ডিম ভুনা আজ পর্যন্ত আমি আর কোথাও পাইনি। যাক নানুর জন্য ওষুধ নেওয়া হলো। তারপর আমরা ব্যাক করার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। সমস্যা হলো আমার সাইকেল এর চেইন পরে যাচ্ছিলো বার বার। তখন মাঝে এক দোকান থেকে সাইকেল এর চেইন ঠিক করালাম। তারপর রওনা দিলাম। তো আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। নানা বললো তুমি চলে যাও। আমি একটু হাটে যাবো দেড়ি হবে ফিরতে। আমার আর কি করা আমি একাই রওনা দিলাম। তো আমি আবার কুকুর খুবই ভয় পাই। বাড়িতে উঠার একটু আগে একটা বাগান ছিলো। গাছে ভরা। তো বাইড়ে সমস্যা না হলেও বাগানের ভিতর অন্ধকার ছিলো । খুবই ভয় পাচ্ছিলাম। তার উপর আবার কুকরের ডাক শুনে আমার তো আর প্রাণ নাই। তো বাগান পার হলেই যেহেতু বাড়ি। তাই আমি কি করলাম সাইকেল থেকে নেমে সাইকেল নিয়ে মারলাম এক দৌড়। হ্যা ভাই ঠিক শুনেছেন। ভয়ে আমি সাইকেল না চালিয়ে সাইকেল থেকে নেমে সাইকেল নিয়ে দৌড় 🤣🤣🤣🤣🤣। বাড়িতে ঢুকার পর নানু দেখে বলে কিরে সাইকেল কি নষ্ট নাকি। আমি বললাম না ভয়ে সাইকেল নিয়ে দৌড়াইছি। এটা শুনে সবাই হাসতে হাসতে শেষ।

ছোট বেলার এই ঘটনা আমার যতবারই মনে পরে আমি ততবারই শুধু হাসি। আর ভাবি আমি তো সাইকেল জোড়ে চালিয়ে যেতে পারতাম। সাইকেল নিয়ে কেনো দৌড় মারলাম। হাহা। এখনো মাথায় আসেনা। হয়তো বেশি ভয় থেকেই এমন হয়েছিলো। অথবা অন্য কিছু। তবে ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ভয়ের ছিলো।


তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

ভাই পুরো পোষ্টটি হাসতে হাসতে পরছিলাম ৷ আসলে ছোট বেলার অনেক কাহিনী থেকে যায় আজীবন ৷
যা হোক ভাই ছোট্ট সব থেকে সাইকেল চালাতে অনেক ভালো লাগে ৷ আর এই সাইকেল চালানো শিখতে কত যে পড়তে হয়েছিল তা বলে শেষ করা যায় না ৷
তবে সবাই ছোট বেলা কুকুরকে ভয় পায় ৷ আমি তো স্কুল থেকে আসার পথে কুকুরের তাড়া খেয়েছিলাম ৷ যা হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার সাইকেল নিয়ে এতো সুন্দর একটি ব্লগ ৷

 2 years ago 

হ্যা ভাই। আমি তো আমার দামী খেলনা গাড়ি দিয়ে দিয়ে সাইকেল চালানো শিখেছিলাম।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

আমারো সাইকেল চালাতে অনেক ভাল লাগে।আর আমিও ডান পাশ দিয়ে উঠি।হাহাহা। অনেক মজা পেয়েছি ভাই আপনার ঘটনা পড়ে।মানুষ ভয় পেলে সাইকেলে চড়ে পালায়,আর আপনি সাইকেল থেকে নেমে সাইকেল নিয়ে পালিয়েছেন।তাও আবার কুকুরের ভয়ে। অনেক হাসলাম সকাল বেলা।ধন্যবাদ ভাই মজার ঘটনা টি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বাহ তাইলে তো মিলে গেলো। হ্যা ভাই। আমার হাসি পায় সে ঘটনা মনে পরলে।

 2 years ago 

ছোটবেলায় ছোট ছোট বাচ্চাদের কে দেখতাম যে সাইকেলের সিটে না বসে নিচের দিক দিয়ে পা দিয়ে সাইকেল চালাত। দেখতে বেশ মজা লাগতো। আপনার ক্ষেত্রেও সে রকম উল্টা অবস্থা হয়েছিল। তাছাড়া গ্রামের দিকে একটু ঘন বাগান থাকলে সন্ধ্যার পরে আসলেই খুবই ভয় লাগতো। কুকুর বা অন্য কোন পশু পাখির ডাক শুনে তো ভয় আরো বেড়ে যেত। এত বড় সাইকেল চালাতেই আপনার কষ্ট হচ্ছিল নিয়ে কিভাবে দৌড় দিয়েছিলেন?

 2 years ago 

হুম। তবে আমি ছোট বেলায় ও ওভাবে চালাতাম না।। দৌড়ে উঠে সিট এ বসেই চালাতাম।

 2 years ago 

আপনার ছোটবেলার এই গল্পটি পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ। আসলে এটা কিন্তু খুবই মজার ব্যাপার ছিল।আমাদের সবার জীবনেরই এরকম মজার মজার অনেক ঘটনা রয়েছে যেগুলো মনে পড়লে এখনো হাসি পায় এটা কিন্তু সত্যি। কি আর করতেন আপনি ভয়ের চোটে তাই সাইকেল হাতে নিয়ে দৌড়াইছেন। খুবই মজা পেয়েছি। এরকম গল্প গুলো পড়তে একটু বেশি ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

একদম ভাই। আমাদের সবার জীবনেই এমন অনেক মজার মজার ঘটনা রয়েছে।

 2 years ago 

এখনকার যুগে তো কুকুর কেও ভয় পায় না। এখন তো ছোট ছোট বাচ্চারা কুকুর দেখলে আরো বেশি খুশি হয় তাদেরকে জড়িয়ে ধরে। আপনি তো কুকুরের ডাক শুনে সাইকেল জড়িয়ে ধরে পালিয়েছেন। খুবই মজার একটি বিষয় ছিল কিন্তু আপনার এই গল্পটিতে। আপনি সাইকেল চালাতে একটু বেশি পছন্দ করতেন তাই তো এরকম একটি কান্ড হয়ে গেল। বুঝতে পারলাম তাহলে ছোটবেলায় আপনি একটু বেশি ভয় পেতেন। ধন্যবাদ এরকম মজার একটি বিষয় উপহার দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

আরে একে তো সন্ধ্যা। তার উপর গ্রাম অঞ্চল। ভয় না পেয়ে থাকা যায়?

 2 years ago 

অবাক হওয়ার কিছু নাই রে ভাই কখন কুয়াশা কখন রোদ। আগে ছোট বেলায় শুনতাম আগে আগে গোসল করলে নিজের শীত কমে যায় আর সরিষার তেল মাখলে আরো কমে যায়😉।যাই হোক আপনার উল্টো সাইকেল চালানোর ঘটনা পড়ে বেশ মজা পেলাম বাগানের ভিতরে সাইকেল নিয়েই দৌড়।😉😉

 2 years ago 

আসলেই কমে যায়। আগে গোসল করলে।

 2 years ago 

আপনার ভয় পাওয়ার গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ছোটবেলায় এরকম অনেক গল্প থাকে যেগুলো মনে পড়লে অনেক হাসি পায়। আপনি কুকুরের ভয়ে সাইকেল চালিয়ে না এসে সাইকেল হাতে নিয়েই দৌড় দিলেন ভালোই তো। আসলে বাগানের দিকে একটু অন্ধকার হলে ভয় লাগারই কথা। আপনার ভয় পাওয়ার গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হুম। গ্রামের দিকে এই ভয়টা বেশি পাওয়া যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76606.02
ETH 3048.30
USDT 1.00
SBD 2.62