জীবনযাত্রার পরিবর্তন || চাইলেই নিজেকে পালটানো যায়।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? কেমন যাচ্ছে দিন কাল আপনাদের? আমি সব কিছু মিলিয়ে আছি বিন্দাস। কখনো ভালো কখনো বা খারাপ। যদিও শরীর এর কন্ডিশন এতো ভালোনা। কারণ শরীরের উপর দিয়ে অনেক চাপ যাচ্ছে। সপ্তাহে ৬ দিন অফিস। শেষে একদিন অফ কিন্তু সেদিন ভার্সিটি ক্লাস। পেরে উঠতেই কষ্ট হচ্ছে খুব। তবে কি আর করার। মানিয়ে নিতে হবে। আমি পারবো ইন শা আল্লাহ। আজ আমার জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন নিয়েই আপনাদের সাথে কথা বলবো। কি ছিলাম আমি। আর এখন কি হয়ে গেলাম সেগুলোই জানবেন আজ আপনারা।
আমাদের জীবনটাই যেনো কেমন তাইনা। সব সময় জীবনের গতি যেনো এক থাকেনা। জীবনযাত্রার অনেক পরিবর্তন ঘটে সময়ে সময়ে। এক সময় আমরা যেমনটা ছিলাম কিছু সময় গেলে আমরা চাইলেও তেমন থাকতে পারিনা। কিন্তু কিছু তো করার নাই। আমাদের জীবনযাত্রার সাথেই নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। আমরা চাইলেও পরিবর্তন ছাড়া থাকা কখনোই সম্ভব নয়। এটা সবার ক্ষেত্রেই। জীবনের একটা না একটা সময় আপনাকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন ঘটাতে হবেই। পৃথিবীর আদী কাল থেকেই এই ধারা চলে আসছে। যতই চেস্টা করি না কেনো এ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয়। একটা সময় দায়িত্ব যখন আপনার ঘাড়ে এসে পড়বে তখন দেখবেন ঠিকি অবস্থা খারাপ। আপনাকে পাল্টাতেই হবে। না পরিবর্তন হয়ে পার পেতে পারবেননা। কারণ জীবনের গতি কখনো এক থাকেনা। সময় যেমন এক থাকেনা কখনো। তেমনি আপনি আমিও এক থাকতে পারবোনা। এই হয়ে আসছে আর এটাই হবে।
এই ধরুন আমার কথাই যদি আপনাদের জানাই। কিছু দিন আগেও যখন বেকার ছিলাম। মানে চাকরী পাচ্ছিলামনা। কতই না আরামদায়ক এক জীবনে ছিলাম। রাতে ঘুমাতাম ২-৩ টার দিকে। সকালে ঘুম থেকে উঠতাম ১০-১১ টার দিকে। বুঝেন এবার। কি আরাম এর লাইফ ছিলো। ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা করতাম। তারপর নাস্তা করতাম। দোকানে বসলে বসতাম নাইলে মুভি দেখতাম বা স্টিমিট এ হালকা কাজ করতাম। এভাবে একটু পর দুপুর হয়ে যেতো। গোসল করে খাওয়া দাওয়া শেষে শুয়ে শুয়ে ফোন চালাতাম। বিকেলের দিকে উঠে টিউশনি শেষ করে চলে যেতাম বন্ধুদের সাথে আড্ডায়। আড্ডা শেষে আবার বাসায় এসে কম্পিউটার নিয়ে বসলে বসতাম নাইলে শুয়ে ফোন টিপতাম। এভাবেই যাচ্ছিলো আমার দিন গুলো। খুব আরামেই ছিলাম। কিন্তু ওই যে বললাম না। দায়িত্ব বড় কঠিন জিনিশ। যখন ঘাড়ে আসে তখনই বুঝা যায় কতই না সমস্যায় জর্জরিত আমরা। স্টিমিট থেকে যে আয় হতো আর টিউশনি করে যা পেতাম তা দিয়ে বাসা ভাড়াই হতোনা। নিজের খরচ চালানো তো দূরেই থাক। চাকরী নেওয়ার চেস্টা করতে করতে অবশেষে চাকরী হলো। এরপরই যেনো সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেলো আমার। আগের রুটিন থেকে বের হয়ে আসতে হয়েছে।
যে আমি আগে ঘুম থেকেই উঠতাম সকাল ১০ টার পর। সে আমি এখন ঘুম থেকে উঠি ভোর ৬ টার দিকে। উঠেই গোসল করে হালকা খেয়ে বের হয়ে যাই। এর পর বাসে উঠার যুদ্ধ। অফিস শেষে বাসায় ফিরতে ফিরতে ১০ টা বেজে যায়। আড্ডা দেওয়ার আর সময় থাকেনা। আগে বিছানায় শুয়ে ফোন চালাতাম। এখন আর সেটাও হয়না। কারণ যত আগে পারা যায় ঘুমানোর চেস্টা করি। নাহলে যে আগে উঠা যায়না। এই পরিবর্তন গুলো হয়েছে আমার জীবনে।আমি জানি এটা তেমন কিছুই না। আবার আরেক হিসেব করলে অনেক কিছুই। কি লাইফ থেকে কি লাইফে চলে আসছি তাও কিছু দিনের ব্যবধানেই। এখন আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয়না। এখন আর রাত জেগে ফোন চালানো হয়না। এখন আর মুভি দেখার সময় পাইনা। দায়িত্ববোধ আমাদের এভাবেই পালটে দেয়। কিন্তু আমাদের এর সাথে অভ্যস্ত হতে হয়।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.