হঠাৎ বনরুপার নার্সারিতে একদিন সাথে ঘোরাঘুরি ।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ধীরে ধীরে সুস্থতা অর্জন করছি। দুর্বলতা অনেকটা কেটে গেছে। গতকাল বাইড়ে বের হয়েছিলাম। আজ সে অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে অনেক।



IMG_20221103_170259.jpg

আমার বন্ধু নইম আর আমি।

বনরুপার নার্সারিতে

ঘুরতে সব সময়ই ভালো লাগে। আমি শরীর অসুস্থতার কারণে অনেকদিন ধরে বাইরে যেতে পারিনি। বাসায় থেকে শরীর টাও কেমন যেনো হয়ে গেছে। যদিও আমি দুর্বলতার কারণে ঘরে পরে আছি। আজ তো নামাজ পড়ার সময় শরীর কেপেছে। তবে গতকাল একটু ভালো লাগছিলো। যাই হোক । আমার বন্ধু নইম হঠাৎ মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করলো আমি কোথায় আছি। বললাম যে আমি বাসাতেই আছি। তারপর ও বললো কিছু বিষয়ে কথা বলবে তাই বিকেলে আমার বাসায় আসবে। আমি বললাম ঠিকাছে। মনে মনে ভাবলাম ও আসলে একটু দেখি বনরুপা যাওয়া যায় কিনা। তো আজ একটু আগে ভাগেই আমার বিকেলের টিউশনি শেষ করে রাখলাম। তারপর ওর দেরি দেখে আমি নিজেই মেসেজ দিলাম। ও বললো খেয়ে আসতেছে। তারপর ৫ টার দিকে ও আমার বাসায় আসলো। আমি হাত মুখ ধুয়ে বের হলাম ওর সাথে। ও বললো দোকানে যেয়ে চা খাবে। তারপর আমি বললাম যে চল বনরুপা থেকে ঘুরে আসি। অনেকদিন হলো বনরুপায় যাইনা। তো এক কথা তেই রাজি হয়ে গেলো। তারপর দুই বন্ধু মিলে যাত্রা শুরু করলাম বনরুপার দিকে।

IMG_20221103_170231.jpg

আকাশ পরিস্কার ছিলো। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছিলো। শীত এসে গেছে। এখন দিন ছোট। সাড়ে ৫ টার পর আলো কমতে কমতে একদম সন্ধ্যা এবং রাত হয়ে যায়। তো যাই হোক আমি আর আমার বন্ধু রউনা দিলাম। অনেকদিন পর হাটতেছি তাই ভালোই লাগছিলো। শরীরটাও মনে হচ্ছে যে চাংগা হচ্ছে। আর ভালো তো লাগবেই অনেকদিন পর এতো হাঁটছি যে। রাস্তায় আসার পথে বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম তাই সময়টা বেশ যাচ্ছিলো। বনরুপা যেতে একটু কষ্ট করতে হয়। মানে একটু চিপা চাপা যায়গা দিয়ে যেতে হয় আরকি। ভিতরে ঢুকার আগে আমি আর নইম মিলে কিছু সেলফি তুললাম।

IMG_20221103_170315.jpg

বনরুপা সোজাসুজি ঢুকে যাই। হাঁটতে হাঁটতে অনেক সামনে চলে যাই। আর হাঁটতে কিন্তু বেশ লাগে। স্পেশালি বনরুপার মতন যায়গায়। এর আগেও অনেক বার গিয়েছি সেখানে। তাই বেশি ভালো লাগে। নইম হঠাৎ বললো যে ভেলপুরি খাবে। তবে ভিড় দেখে বললো যে থাক পরে খাবে। তো আমি বললাম তাহলে চল নার্সারি থেকে হেঁটে আসি। ওরে নিয়ে নার্সারি চলে গেলাম। আর আপনারা জানেন যে নার্সারিতে মন খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। আর এই বিষয়টা খুবই উপভোগ করা যায়। যদিও এটা আমার ভাষ্য। আপনাদের চিন্তাধারা আলাদা হতে পারে। আমি নার্সারিতে যেয়ে অবশ্য দাঁড়িয়ে থাকিনি। ফোন বের করে অনেক গুলো ছবি তুলি। যেগুলো সামনে একদিন ফটোগ্রাফি পোস্ট এ দিবো ইনশা আল্লাহ। এক পোস্ট এ সব দিয়ে দিলে আপনাদের ও দেখতে ভালো লাগবেনা। তাও দুই একটা দিচ্ছি -

IMG_20221103_171125.jpg

IMG_20221103_171228.jpg

তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে যাই। সন্ধ্যা নামতে শুরু করেছে তখন। আরো একটু সামনে হেঁটে গেলাম। আমি আর নইম নানান বিষয়ে কথা বললাম। এর আগে আমাদের আরো এক বন্ধু ছিলো ওর ব্যাপারে কথা হলো। ও অবশ্য অনেক দূরের এক এলাকায় চলে গেছে । তাই আর দেখা হয়না এখন আর। স্মৃতিচারণ করছিলাম। আগে আমরা যে এক সাথে ঘুরতে বের হতাম এইসব বিষয় নিয়ে আরকি। সামনে যেয়ে আমরা আবার ব্যাক করলাম। এবার আগের যায়গায় চলে আসলাম। এখানে এসে ভেলপুরির দোকানে চলে গেলাম। সেখানে যেয়ে দুই প্লেট ভেলপুরি অর্ডার করলাম। অনেক ঝাল দিয়ে বানিয়ে দিলো আমাদের। আমি তো ঝাল দেখেই ভয় পেয়েছিলাম।

IMG_20221103_172251.jpg

IMG_20221103_172341.jpg

দেখতেই পাচ্ছেন ঝাল এর অবস্থা। তবে একটা বিষয় কি। নিজের সাথে নিজে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সব মরিচ সহ আমি ভেলপুরি গুলো খাই। অবশ্য খাওয়ার পরে অতটা ঝাল লাগেনি। এমনিতে আমি ঝাল খুবই কম খাই। ভেলপুরি খেয়ে আমরা হাঁটা শুরু করলাম সামনের দিকে। পথিমধ্যে আমার নানু কল দিলো সৌদি আরব থেকে। ওখানে উনি ওমরা করতে গিয়েছে। তাই কল দিয়েছে। তখন আমি বললাম ৫ মিনিট এর মধ্যে বাসায় যেয়ে কল দিচ্ছি। তারপর আর কি দ্রুতো হাঁটা শুরু করলাম। মাঝ রাস্তায় আমার বন্ধু নইম কে বিদায় দিলাম। কারণ ওর পড়ানো ছিলো। তারপর আমি বাসায় চলে আসি।

ভালো একটি দিন কেটেছে আমার। অনেকদিন পর বের হয়েছি তাই বেশি ভালো লেগেছে। তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেননা। আবার দেখা হবে নতুন এক ব্লগ এ। ততদিন ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

New Project.gif

⋆ 🎀 𝒞😍𝓃𝓃𝑒𝒸𝓉 𝑀𝑒 🏵𝓃 🎀 ⋆
Discord | Twitter | Facebook
Steemit |Instagram | Youtube |

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

অসুস্থ শরীর নিয়ে আবার টিউশনিও শেষ করেছেন। শরীর অসুস্থ থাকলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলে শরীর ও মন দুটোই ভালো লাগে। বনরূপা নার্সারিতে গিয়ে আপনি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন আবার ছবিও তুলেছেন বেশ। আমি তো মনে করেছিলাম আপনি ওখানে গিয়ে গাছ কিনবেন কিন্তু গাছ তো কিনলেন না। ভেলপুরি দেখলে খেতে ইচ্ছা করে একবার খেয়েছিলাম তবে এতটা ঝাল দিয়ে খাইনি। আপনার টা দেখে তো লোভ লাগছে। আপনার নানু সৌদি আরব থেকে কল দেয়ার কারণেই কি তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে হলো নাকি আপনারা আগেই বাসায় চলে আসতে চেয়েছিলেন?

 2 years ago 

না কল দেওয়াতেই দ্রুতো বাসায় চলে গিয়েছিলাম। কারণ নানুর সাথে তেমন কথা হচ্ছেনা। নানুর তো ফোন নাই। ওখানে যাদের বাসায় আছে তারা ফ্রি হলে কল দিয়ে দেয়।

 2 years ago 

ভাই আপনি যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।আসলে দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে বন্দি থাকলে এমনি শরীরটা দুর্বল হয়ে ওঠে ।আর আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে দীর্ঘদিন পর বাইরে বেরিয়েছেন এবং একটু হেঁটেছেন এজন্য আপনার শরীরটা অনেক ভালো লাগবে। নার্সারিতে যেয়ে সময় কাটাতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে ।আপনার নার্সারির ফটোগ্রাফি গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ।

 2 years ago 

অবশ্যই আপু। আশা করি দুই একদিন এর ভিতর ফটোগ্রাফি পোস্ট গুলা করবো।

 2 years ago 

এই অসুস্থ শরীর নিয়ে আবার টিউশনি করছেন এবং চিপা চাপা দিয়ে নার্সারিতেও গিয়েছেন। এমনিতে নাকি শরীর দুর্বল হাঁটতে পারছেন না। যাই হোক নার্সারি জায়গাটা আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। কারণ রংবেরঙের গাছ এখানে দেখা যায় । দুটি ছবি দেখেই বুঝতে পারছি যে নার্সারির ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার করেছেন। এই ঝাল ওয়ালা ভেলপুরি খেয়ে আবার দ্রুত হেঁটে বাসায় গিয়েছেন। তাহলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

 2 years ago 

সেদিন হেঁটে একটু ভালোই লেগেছিলো আপু। ঝাল লাগেনি তেমন। আসলে মরিচ গুলো ঝাল কম ছিলো। বাসায় দ্রুতো হেঁটে যাওয়াতে অবশ্য একটু ক্লান্তি আসে। তবে ঠিক আছি। গ্লুকোজ খেয়ে নিয়েছিলাম।

 2 years ago 

বিকেলে বন্ধুদের সাথে হাটাহাটি করতে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আরো অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর বাইরে বের হলে এমনিতেই আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার বোন রুপার নার্সারিতে ঘুরাঘুরি মুহূর্তটা পরলাম বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এটা শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হুম ভাই। বনরুপা যায়গাটা খুবই সুন্দর। ভালো লাগে খুব সেখানে যেতে।

 2 years ago 

অসুস্থতার জন্য বাসায় বেশি দিন থাকলে অনেক একঘেয়েমি লাগে। তারপর যদি একটু বাহিরের খোলা পরিবেশে হাটাহাটি করা যায় আর সাথে যদি একজন বন্ধু থাকে তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগার কথাই।বনরুপার নার্সারি জায়গাটি খুব সুন্দর। বাকি ছবিগুলোর আশায় থাকলাম দেখার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্তে সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাই। বাসায় বেশি দিন থেকে কেমন যেনে একটু এক ঘেয়েমি লেগেছিলো। যা ধীরে ধীরে পুষিয়ে উঠেছি আমি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60752.38
ETH 2453.49
USDT 1.00
SBD 2.63