৭ টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম #19 || শখের ফটোগ্রাফি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা। কি অবস্থা সবার। কেমন আছেন সবাই। শীতের ছোয়া তো ভালই বইছে। রাতে তো ভালই শীত লাগে। আমি তো এখনই কম্বল ব্যবহার করে ঘুমাই। নাইলে ভালোই শীত লাগে। বাইরে গেলেও সন্ধ্যার দিকে ভালোই বুঝা যায় ঠান্ডা কেমন পরে। যাই হোক আজ আপনাদের মাঝে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম আমি। আশা করি ভালো লাগবে ছবি গুলো। বাইরে খুব একটা যাওয়া হয়না তাই ছবিও কম তোলা হয়। তাও ফাকে ফাকে তোলার চেস্টা করি।
ছবিটি তুলেছিলাম ঢাকা সদরঘাট থেকে। সেদিন আমি গ্রাম থেকে এসেছিলাম। ঢাকায় আসার পর দেখলাম অনেকে নিজ প্রয়োজনে নৌকা দিয়ে নদীর এপার হতে ওপার যাচ্ছে। আমিও আশে পাশের ছবি তুলছিলাম। হঠাৎ দেখলাম এই নৌকাটি কিছু মালা মাল নিয়ে পার হচ্ছে। একলা দেখতে পেয়ে ছবিটি তুলে নিলাম। দেখলাম ভালোই হলো ছবিটি। নদীর মাঝে এমন নৌকা দেখতে বেশ ভালো লাগে। এটা যারা সদরঘাট এর আশে পাশে গিয়েছেন তারাই বুঝবেন। আমার গ্রাম চাঁদপুর হওয়াতে প্রায়ই যাওয়া হয় সেখানে। ভালো লাগে খুব।
এটির নাম গার্ডেন ক্রোটন। নামটা যেমন সুন্দর তেমনি দেখতেও সুন্দর। এইতো গত সপ্তাহে নার্সারির ছবি তে দেখিয়েছিলাম। তো সেদিন সিভি জমা দিয়তে যেয়ে এই গাছটি আবারো দেখি। গুলশান এলাকার বাড়ি গুলোর আশে পাশে এই ধরনের অনেক গাছ দেখা যায়। আর সে এলাকায় ধুলাবালি কম হওয়ার কারণে বেশ করা লাগে। অবশ্য নিয়মিত পানি ছেটান সেখানের কর্মিরা তাই হয়তো সৌন্দর্যটা লেগেই থাকে। আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগে । আপনাদের কেমন লাগে জানাবেন।
প্রথম ছবিটা যেমন ঢাকা সদরঘাট থেকে তুলেছিলাম। তেমনি ওই একই দিন ভোর বেলা এই ছবিটি তুলেছিলাম চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে। এরকম সিনারি বা দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লাগে। আশে পাশে যে নৌকা গুলো ভেরানো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো দিয়ে যাত্রী বা মালামাল অন্য পাড়ে নেওয়া হয়। আবার এই নৌকা গুলোই বিকেল বেলা যারা বড় স্ট্যাশন এ ঘুরতে আসে তাদের বিভিন্ন চর এ ঘুরতে নিয়ে যায় বা নদী ভ্রমন করায়।
এটি ঢাকা সদরঘাটের আরো একটা ছবি। ঘাটের এ পাশে নদীর পানি জমে থাকে আর এখানের পানি খুব একটা সরতে পারেনা। তাই এখানে অনেক কচুরিপানার জন্ম হয়। এইদিকে মাঝে মধ্যে অনেক নৌকা থাকতেও দেখা যায়। তখন অবশ্য এই কচুরিপানা গুল খুব ঝামেলা করে। সামনে শীত আসতেছে নদীর পানি কমে যাবে। তখন দূষিত পানির কারণে নদীর পানি কালো হয়ে যাবে তখন আর এই কচুরিপানা দেখা যাবেনা।
এটি বনানী খেলার মাঠ। তবে মাঠে কোনো খেলোয়ার নাই। হাহাহা 🤣🤣🤣 । মজা করলাম। আমরা যে সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্চিলাম সেটা ছিলো দুপুর । তাই হয়তো মাঠে কেউ ছিলোনা। তবে একজন কেও দেখতে পাইনি তাই একটু অবাক হয়েছিলাম আমি। অন্যান্য এলাকায় তো সারাদিনই কিছুনা কিছু মানুষ থাকবেই। হতে পারে বনানী এলাকা দেখে। বিকেলে হয়তো মাঠে অনেক মানুষ আসে। যাক আমার কাছ ছবি তোলা সেটা করেই আমি খুশি।
খোলা আকাশ সব সময়ই আমার কাছে ভালো লাগে। আমি যেনো আকাশের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। আকাশ এর এই সৌন্দর্য যেনো বর্ননা করে শেষ করা যাবেনা। যতই আকাশ পানে চাই ততই যেনো মন ভরে যায়। আর এমন ফকফকা আকাশ পেলে যেনো দেখতেই মন চায়। সাথে একটু সাদা মেঘ হলে বিষয়টা আরো বেশি জমে যায়। কেমন হলো বলুন তো আপনারা? এমন পরিষ্কার আকাশ আপনাদের কেমন লাগে?
ছবিটি ভোর বেলায় তোলা চাঁদপুর ঘাট থেকে তুলেছিলাম আমি। আমার কাছে এই ধরনের ছবি ভালো লাগে। তখনো সূর্য মামা উকি দিচ্ছে দিচ্ছে ভাব। এই সময়ই ছবিটি তোলা আমার। সুর্যমামার এই উকি দেওয়ার মুহুর্তে ছবি তুলতে ভালো লাগে। আর শীতের সেই কুয়াশা যেনো কনকনে শীত এর কথা মনে করিয়ে দেয়। নদী দেখে হয়তো এই কুয়াশা গুলো দেখতে পেয়েছিলাম। অবশ্য আলো আশার পর কুয়াশা গুল ধীরে ধীরে কেটে যায়।
ক্যামেরা | Oneplus 7t |
---|---|
মোড | ওয়াইড |
ফটোগ্রাফি এরিয়া | চাঁদপুর ও ঢাকা |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন এখন প্রায় শীত পড়ে গিয়েছে। রাতের বেলা বেশ ভালই ঠান্ডা লাগে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার হয়েছে। নদীর ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর তুলেছেন আপনি। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে । আর কিছুদিন পরে নদীর পানি দূষিত হয়ে কালো রং ধারণ করবে এটিও ঠিকই বলেছেন। এ ধরনের পানি দেখতে বেশ খারাপ লাগে। যাই হোক ভালো ছিল ।
ধীরে ধীরে এই শীত আরো বাড়বে। তবে ভালোই লাগে কিন্তু ঠান্ডা আবহাওয়া।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি ভাইয়া এখন ভালোই ঠান্ডা পড়েছে। রাতে বেশ ঠান্ডা করে। আর সন্ধ্যার পরে বাহিরে গেলেই বোঝা যায় কেমন ঠান্ডা পড়েছে। কালকে প্রয়োজনীয় কিছু কাজে সন্ধ্যার পর বাহিরে গিয়েছিলাম ওরে বাপরে কি ঠান্ডা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আর দুপুরবেলায় খেলার মাঠে কে থাকবে আপনার জন্য। সবাই তো বিকেলে আসবে ভাইয়া। 😅
হ্যা আপু। এখন তো মাঝে মধ্যে কুয়াশাও দেখা যায় ।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন ভীষণ ঠান্ডা পড়ছে। আমিও কিন্তু আপনার মত রাতের বেলা কম্বল গায়ে দিয়ে শুই। তাও প্রায় এক মাস আগে থেকেই, আমার শীতে একটু বেশিই লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। হ্যাঁ আমিও ভাবছিলাম এটি খেলার মাঠ কিন্তু খেলোয়াড় কোথায়? পরে বুঝলাম যে এখন দুপুরবেলা তাই।
হুম আপু। আমার তো প্রতিদিনই কম্বল দরকার হয়।
জি ভাই আমরাও ভালো আছি ৷ আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আরো ভালো লাগলো ৷ আপনি সদরঘাটে নৌকার ফটোগ্রাফি টি বেশ চমৎকার করে তুলেছেন ৷ সব মিলে প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন লাগছিল ৷
ধন্যবাদ ভাই ৷
সদরঘাটে যা কিছুর ছবি তুলি সব কিছুই কেনো জানি ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। নৌকা দেখে আমারও ইচ্ছে করছে নৌকায় ভ্রমন করে। নদী নালা ছাড়া এখন আর সচরাচর নৌকা দেখা যায় না। বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন।
ধন্যবাদ আপু আমার ফটোগ্রাফি গুলোর এতো সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
ভাইয়া চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ আপনার তোলা প্রতিটি ছবিই অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
চেস্টা করি বিভিন্ন কোন থেকে ছবি গুলো তুলার।
ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখতে পাই। যা এক দিক দিয়ে ভালো কারণ বিভিন্ন ধরনের ছবি একই পোস্টে দেখা যায়। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বনানীর খেলার মাঠটা। যদিও সেখানে কেউ নেই হয়তো দুপুরের খাবার খেতে গেছে সেজন্যই হয়তো কাউকে দেখেননি,হাহাহা। যাই হোক মজা করলাম ভাইয়া। আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হুম এই একই কারণে রেনডম ফটোগ্রাফি আমার কাছে প্রচন্ড ভালো লাগে।