নার্সারির ৭ টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম #18 || শখের ফটোগ্রাফি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা। কি অবস্থা সবার। কেমন আছেন সবাই। ঠান্ডা লেগে তো আমার অবস্থা খারাপ। নাক আঁটকে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়৷ ঔষধ খেয়েছি। দেখি ধীরে ধীরে হয়তো ঠিক হিয়ে যাবে। যাক নার্সারিতে গিয়েছিলাম যে একটা পোস্ট করেছিলাম না? সেদিন আরো কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম। আজ সেগুলোই শেয়ার করবো। এগুলো আমার বেস্ট ফটোগ্রাফির অংশ বলা যায়।
এই ফুল গুলো বা গাছ গুলোর নাম হচ্ছে Jungle Geranium। তবে বাংলাদেশে অন্য নাম হতে পারে। যদিও আমি বাংলাদেশে এটাকে কি বলে আমি জানিনা। অবশ্য গুগল লেন্স ব্যবহার করে এই নাম টা পেলাম। গত সপ্তাহে এমনই একটি ফুলের কলির ছবি দিয়েছিলাম। সেটিও এই ফুল তবে সেটি ফুটেনি তখনো। আর এ নিয়ে তো ছোট বেলার ইতিহাস বলেই ছিলাম। এখনো আমি মাঝে মধ্যে এই ফুলের পাপড়ি থেকে মধু খাওয়ার চেস্টা করি। যদিও ঢাকায় যে পরিমান ধুলা এখন খুব কমই চেস্টা করা হয়।
এটি পুরো নার্সারির ছবি। আকাশ এর সৌন্দর্যে পাগল হয়ে ছবিটি তুলেছিলাম। আপনাদের বলেছিলাম না যে সেদিন নার্সারাতি যখন গিয়েছিলাম প্রায় সন্ধ্যা নেমে এসেছিলো। শীতের এই একটা সমস্যা। দিন তারা তারি চলে যায়। তবে শীতের রাত গুলো অনেক দীর্ঘ হয়। তবুও ভাই ঠান্ডা আবহাওয়া গরম থেকে অনেক ভালো। গরম তো আমার ভালোই লাগে না। ঘেমে কি একটা অবস্থা হয়।
এটির নাম গার্ডেন ক্রোটন। নামটা যেমন সুন্দর তেমনি ব্যাক্তিগত বাগান করলে এই গাছ গুলো আপনার দরকার হবেই হবে। এর পাতার সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য ভাই। সবুজ ,হলুদ, খয়েরি রঙ এর মিশ্রনে পাতা গুলোকে খুবই সুন্দর লাগে। আমার তো চেয়ে থাকতেই মন চায়। বাসায় ফুলের টব এ ও রেখে দিতে পারেন। ভালোই লাগবে।
এই ছবি সম্পর্কে আশা করি তেমন কিছু বলতে হবেনা। এগুলোতে বিভিন্ন ফুলের গাছের বীজ বপন করা হয়েছে। চারা বলে আমাদের গ্রামে। আমার মনে আছে আমার দাদার একটি নার্সারি ছিলো। ঈদের ছুটিতে গ্রামে গেলেই ছোট ছোট পলিথিন ব্যাগ এ এমন করে মাটি ঢুকিয়ে আমরা চারা বানাতে সাহায্য করতাম দাদাকে। যদিও এখন আর সেসব নাই। খুব মিস করি সেই দিন গুলো কে।
এটি চাঁদনী ফুল। তবে কোথাও কোথাও এটা জাপানিজ জেসমিন নামেও পরিচিত। নাম যাই হোক আমাদের দরকার এর সৌন্দর্য উপভোগ করা আর আমরা সেটাই করবো। দুইটা ফুলকে এক সাথে দেখে মনে হলো এরা দুই জমজ বোন। আর এমন সুন্দর ছবি কে না মুঠো বন্দি করতে চায়। অনেক সবুজ এর মাঝে দুই টুকরো সাদা। অনেক ভালো লাগে।
নার্সারির আরো একটি ছবি। দেখেন কিভাবে অনেক গুলো চারা বানিয়ে উঁচু টিলার মত বানিয়ে রেখেছে। ধীরে ধীরে এগুলো থেকে গাছ বের হবে। তখন এগুলো আলাদা করে রাখা হবে এবং আরো ভালো যত্ন করা হবে। তারপর কারো বাসায় কিংবা বাগানে শোভা পাবে। সুন্দরই লাগে।
এটির নাম ক্রাউন অফ থ্রন্স। আমাকে উইংক্লেস দাদা এটার আরো একটা নাম বলেছিলেন সঠিক মনে আসতেছেনা। কোনো এক ছবির পোস্ট এই বলেছিলেন। যাক এই ফুলের নাম শুনেই তো মনে হচ্ছে একটা রাজকীয় ভাব। দেখতেও ফুলটি চমৎকার। এটি গোলাপি ও লাল রঙ এর হয়ে থাকে। তবে আমার কাছে লাল রঙ এর টাই বেশি ভালো লাগে। ফুল গুলোতে ধুলাবালি থাকলে তেমন সুন্দর লাগবেনা। তবে যদি বৃষ্টি আসার পর নার্সারিতে যান তাহলে আপনাকে এই ফুল মুগ্ধ হতে বাধ্য করবে।
| ক্যামেরা | Oneplus 7t |
|---|---|
| মোড | ওয়াইড |
| ফটোগ্রাফি এরিয়া | বনরুপা, ঢাকা |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঋতু পরিবর্তনের কারনে সবার একই অবস্থা হচ্ছে ঘরে ঘরে।কিছুদিন আগে আমাদের পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে গেছিল।এখন সবাই সুস্থ।আপনি নার্সারিতে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন খুব সুন্দর হয়েছে।চাঁদনী ফুল টা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া এটা দেখতে অনেকটা তারার মত দেখাচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বি আপু। সব ঘরে ঘরেই ঠান্ডা জ্বর লেগে আছে।
নার্সারির খুব সুন্দর মুহূর্ত প্রতিবাহিত করেছেন। আমাদের সবার উচিত গাছ লাগানো। কারণ গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিলো। সাদা রংয়ের চাঁদনী ফুল।গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হুম ভাই। গাছ আমাদের অনেক উপকারী বন্ধু।
শীতের শুরুতেই অনেকের এ ধরনের ঠান্ডা ভাব দেখা যাচ্ছে।আর ঋতু পরিবর্তনই এর মূল কারন।নার্সারিতে গিয়ে আপনি যে খুব সুন্দর মুহূর্ত প্রতিবাহিত করেছেন,তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।আপনি খুবই সুন্দর করে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যামেরাবন্দি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে আমাদের মাঝে খুব চমৎকার বর্ণনায়ও উপস্থাপন করেছেন।আপনার পুরো পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়।
একদম। আর শীতের সময় রাস্তায় একটু ধুলাবালি বেশি থাকে তাই সমেস্যা হয়।
ভাইয়া আপনার মত আমারও ঠান্ডা লেগে একাকার অবস্থা । আর আপনার নার্সারি থেকে তোলা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে । প্রথম ফটোগ্রাফির ফুলটির নাম রঙ্গন আর শেষের ফটোগ্রাফির ফুলটির নাম ভাইয়া কাঁটামুকুট । এ দুটি ফুলই আমার বাগানে রয়েছে । কাঁটা মুকুট অনেক রংয়ের হয়ে থাকে। আমার বাগানে দুই কালারের রয়েছে ।যাইহোক আপনার সবগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে । ধন্যবাদ ।
ফুল গুলোর দেখি অনেক নাম আপু। আপনার বাগান আছে জেনে ভালো লাগলো খুব।
ঠান্ডায় তো সবার অবস্থা খারাপ ভাইয়া,আমার তো শীতের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লেগে যায়।আশা করি ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে।
ফুলের কথায় আসি,প্রথম ফুলটি আমার মনে হচ্ছে রঙ্গন ফুল আর শেষের ফুলটি দেখে মনে হচ্ছে কাঁটা মুকুট ফুল।যদিও এরকম অনেক ফুল আছে।সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুণ ছিল।
হুম আপু।। একটা ফুলের অনেক গুলো করে নাম।
আমার আগে তেমন ঠান্ডা লাগতো না কিন্তু সিজার হওয়ার পর থেকে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে। যাই হোক খুব সুন্দর সুন্দর সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি অ্যালবাম করেছেন। আপনার এই অ্যালবামের প্রতিটা ফটোগ্রাফ অসাধারণ হয়েছে। আমার কাছে সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে। এর মধ্যে এক নম্বার ফটোগ্রাফির ফুল আমি আগেও দেখেছি কিন্তু এর নাম জানিনা। এই ফুল লাল টুকটুকে দেখে খুব ভালো লাগে আবার চাঁদনি ফুলও দেখেছি। তব এর নাম জানা ছিল না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার তো শীত আসলেই ঠান্ডা লেগে থাকে। তবে এমনি শীত ভালো লাগে।
সিজন চেঞ্জ হওয়ার কারণে এখন অনেকেরই ঠান্ডা জ্বর হচ্ছে এটা কোন ব্যাপার না অল্প দিনে ঠিক হয়ে যাবে। আপনি খুব সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রথম ফুলটার নাম রঙ্গন ফুল এই ফুলটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে আর ফুলের কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে। নার্সারীটাতো দেখছি অনেক বড়। নার্সারিতে গিয়ে তো খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর শেষ ফুলের নাম হলো কাটামুকুট এই ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়। ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে।
আমার ঠান্ডা লাগলে সহজে ভালো হয়না আপু। অনেক ভুগতে হয়।