৭ টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম #16|| ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা। কি অবস্থা সবার। কেমন আছেন সবাই। আমি ভালো আছি অনেক। দুর্বলতা অনেকটাই কমে গেছে। এখন বের হতে পারি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিছু রেনডম ছবি। আশা করি ভালো লাগবে।
শুরু করলাম এই পুরাতন বাড়ির ছবি দিয়ে। এটি অবশ্য পুরানো বাড়ির মত দেখতে হলেও আধুনিক সময়ে করা হয়েছে। আনুমানিক ১২ বছর আগের বাড়ি এটি। যখন নতুন ছিলো তখন এটি সুন্দর দেখতে ছিলো। এটা এমন এক বাড়ি যেখানে আমি মানুষ থাকতে দেখিনি। শুরুর দিকে যখন এই বাড়িটি বানানো হয়েছিলো তখন ও মানুষ দেখিনি। আর এখন পুরানো হয়ে গেছে। অনেক কিছু ভেঙ্গে গেছে তাও কাওকে দেখিনা।
ছবিটি বিকেল বেলা তোলা। তবে আমি এখানে একটা ট্রিকস খাটিয়ে ছবিটি তুলেছিলাম। আমি একটু আলো কমিয়ে ছবিটি ক্লিক করেছি। দেখেছিলাম নরমাল আলো থেকে একটু আলো কমিয়ে ছবি তুললে বেশি সুন্দর লাগে। আর বিকেল বেলায় এই কম আলোর সময়ে পরিবেশটা এমনিতেও অনেক সুন্দর লাগে। এভাবেই ধীরে ধীরে ছবিটি তোলা। আশা করি আপনাদের কাছেও ছবিটি ভালো লেগেছে।
এটি নয়নতারা ফুল। এর সম্পর্কে খুব কিছু একটা বলার নাই। নার্সারিতে যেয়ে তুলেছিলাম। আসলে অনেক ফুলের ছবি তুলেছি। এর জন্য আলাদা একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট করবো। মানে শুধু সেদিন ফুল থাকবে সাবজেক্ট হিসেবে। নয়নতারার ছবি এর আগে অনেক তুলেছি। তবে বেশিরভাগ ছিলো রাস্তার ফুটপাতে। তবে এইদিন তুলেছিলাম নার্সারির ভিতর যেয়ে। ছবির প্রকৃত গ্লো পাওয়া যায়নি। কারণ নার্সারির পাশে অনেক ধুলাবালি উড়ে।
ঢাকার দালান কোঠার ভিড়ে এই নারিকেল গাছটিকে যা লাগছেনা। ছবিতে কতোটা সৌন্দর্য উপভোগ করছেন জানিনা। তবে বাস্তবে অনেক সুন্দর লাগছিলো দেখতে। ঢাকায় খুব একটা গাছ পালা দেখা যায়না। দেখা গেলেও খুবই অল্প। চারিদিকে তাকালে শুধু দালান কোঠা আর দালান কোঠা। মাঝে মধ্যে দুই একটা গাছ দেখলে এক পলকে তাকিয়ে থাকি আমি।
এই রাস্তা গুলো আমার কাছে আজব লাগে। দেখতে কেমন দেখা যায়। আবার হাঁটতেও অনেক অসুবিধা হয়। মাঝে মধ্যেই পা পিছলে যায়। এগুলো তৈরি হয় পুরাতন বাসা বাড়ি ভাংগা থেকে। এগুলাকে রাবিশ বলে এইদিকে। এলাকায় কোথাও পানি জমলে এগুলা দিয়ে ভরাট করে। সেদিন বনরুপায় যেয়ে দেখেছিলাম । হাঁটতে যা কষ্ট হয়েছিলো আমাদের দুজন এর। তাই ভাবলাম ছবি তুলে রাখি আপনাদের দেখাবো।
আকাশ এর ছবি সব সময় আমার কাছে ভালো লাগে। তাই আমি আকাশ এর ছবি দেখলেই তুলে ফেলি। সব সময় খেয়াল করলে দেখবেন আমার বেশির ভাগ ছবি আকশ কেন্দ্রিক হয়। আর আকাশ ভালো লাগেনা এমন মানুষকি আছে দুনিয়ায়। আমার তো মনে হয় সবাই কমবেশি আকাশ ভালোবাসে। আর আকাশ এর ছবি তুলতে দারুণ লাগে কিন্তু। আকাশ এর সৌন্দর্য হচ্ছে বৃহৎ ।
এটি আজকে শেষ ছবি ছিল। আর এই ছবিটিও আকাশ কেন্দ্রিক করেই তোলা। এটি নার্সারির কাছে থেকে তুলেছিলাম। ভালো লাগে নার্সারারির সামনে থেকে ছবি তুলতে। এটা মূলত তুলেছিলাম কি পরিমান ধুলাবালি এই রাস্তায় সেটি দেখানোর জন্য। তবে ভুলবশত একটু উপরে আকাশ নিয়ে ছবিটি তুলে ফেলি। তবে একটু খেয়াল করলে নিচের দিকে দেখতে পাবেন রাস্তায় কি পরিমান ধুলা বালি আছে। যদিও নার্সারির ভিতর টা মোটামুটি পরিষ্কার।
ক্যামেরা | Oneplus 7t |
---|---|
মোড | ওয়াইড |
ফটোগ্রাফি এরিয়া | বনরুপা, ঢাকা |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি মনে করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকে যেটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পারি পোষ্টের মাধ্যমে। আপনি বরাবরি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকেন আপনার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ। সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের দেখানোর জন্য যাতে আপনাদের ভালো লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি অনেক কষ্ট করে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে বন্ধুর বাড়িতে গেছেন।আবাসিক এলাকা দেখতে আমার অনেক ভাল লেগেছে।আগেকার জমিদাররা এরকম সুন্দর সুন্দর ঘর তৈরি করতেন।এত বড় একটা বাড়ি করে ফেলে রেখেছেন।কিন্তু মনে হয় ঢাকা-শহর এলাকায় বসবাস করেন।আপনি নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন।দেখতে অনেক চমৎকার দেখাচ্ছে।
জ্বি আপু। নয়নতারা ফুলের ছবি ভালই সুন্দর লাগে।
যাক দুর্বলতা কাটিয়ে এখন বন্ধুদের সাথে ভালোমতো আড্ডা দিতে পারছেন বাইরে বের হতে পারছেন এটাই অনেক বড় কথা। ১২ বছর আগের বাড়ি তাহলেও অতটা পুরনো নয় বাড়িটা দেখতে ভালই লাগছে। আলো কমিয়ে আকাশের ছবি তোলার কারণে মনে হয় অন্যরকম সুন্দর লাগছে। ধুলাবালি দেখানোর জন্য ছবিটি তুলেছেন কিন্তু আমি তো শুধু আকাশের ছবি দেখলাম ধুলা তো কোথাও দেখলাম না।
ঠিক আপু। আড্ডা দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে
দুর্বলতা কাটিয়ে এখন আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এটাই শুকরিয়া। ভাইয়া ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবেন তাহলে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন। ঢ়াই হোক খুব সুন্দর সাতটি ছবি দিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি বানিয়েছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফ খুব সুন্দর হয়েছে।বিশেষ করে পুরোনো বাড়িটা দেখে ভূতের বাড়ির মতো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই পুরনো বাড়িতে অনেকদিন মানুষ থাকে না।
আপনি এখন বের হতে পারছেন এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। খুবই চমৎকার কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অসাধারন ছিল রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো। পাঁচ নাম্বার ফটোগ্রাফিতে যে রাস্তাটি আছে আমার কাছে ঐ এরকম রাস্তাগুলো দেখতে খুব খারাপ লাগে। এরকম রাস্তায় হাঁটাচলা করা যায় না খুবই কষ্টকর।
আসলে আড্ডা দিলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে।
আপনার ফটোগ্রাফিতে আকাশের ছবিগুলো বেশি ছিল। তবে ঐ বাড়িটি এবং পথের ছবিটি বেশ চমৎকার ছিল। ভালো ছিল আপনার ঐ দুইটা ফটোগ্রাফি। সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ছিল।
হ্যাঁ ভাই আমার সবগুলো ছবি আকাশ কেন্দ্রিক। আর আকাশ কেন্দ্রিক ছবি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ প্রতিটি ছবিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ৷ তবে আকাশের ফটোগ্রাফি গুলে একটু বেশিই ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷
আসলে আকাশ জিনিসটাই তো খুব সুন্দর। তাই আকাশের ছবিগুলো খুব খুব ভালো লাগে।