নদীর পারে ভূত দেখার গল্প//পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতিময়ী মুহূর্তগুলো রয়েছে, এই ফেলে আসা সেই স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো যেন আমাদের জীবনের গল্প হয়ে আজ স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে রয়েছে। তো আপনাদের সাথে একটি ভূতের গল্প শেয়ার করতেছিলাম। আসলে নদীর পারে আমি মামাতো ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম। তখন আমার জীবনে একটা ভয়ানক ভূতের ঘটনা ঘটে যায়। আর এই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আসলে আমরা ভূতের গল্প পড়তে এবং ভূতের গল্প শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যদি আমরা ভূতের গল্প শুনতে এবং ভুতের গল্প পড়তে ভয় লাগে। তারপরও যেন একটা অন্যরকম চাহিদা থাকে এই গল্পগুলোর উপরে। তাই আপনাদের সাথে আমার স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটি শেয়ার করছি, আশা করছি আজকে গল্পের দ্বিতীয় পর্ব করে আপনাদের ভালো লাগবে।
সন্ধ্যাবেলা নদীর পারে সেই গাছের উপরে যেও সাদা অদৃশ্য দেখেছিলাম, সেটা দেখার পর থেকেই আমার কিরকম জানি লাগতেছিল। বারবার মনে হচ্ছিল তারপরে রাতে ঘুমিয়েছি আর আমি আমার নানির কাছে ঘুমাতাম, যার কারণে নে দিনও নানীর কাছে আমি ঘুমিয়েছি, আর ঘুমের ভিতর দেখতে পেলাম সেই অদৃশ্য সাদা কি যেন এসে আমার বুকের উপরে আসলো এবং আমার গলা চেপে ধরল। আমি কোন শ্বাস নিতে পারছি না। তখন আমি চিৎকার করে উঠলাম।তখন নানির ঘুম ভেঙে গেলো।নানী বলল কি হয়েছে, চিৎকার করে উঠলে কেন। স্বপ্নের ভিতরে ভয় পেয়েছিস নাকি। তখন আমি নানিকে বললাম যে নানি স্বপ্নের ভিতরে এরকম সাদা একজন মানুষ এসে আমার বুকের উপরে বসেছে এবং আমার গলা চেপে ধরল আমি খুবই ভয় পেয়েছি। নানী আমার স্বপ্নের কথা শুনে বলল ঠিক আছে তোর জন্য আমি পানি পড়া নিয়ে আসছি, এই বলে নানি এক গ্লাস পানি পড়ে দিলো।
তারপরে নানীর সেই পানি পড়া খাইলাম এবং নানী বলল যে বিকেল বেলা কোথায় কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলি, তুই কি নদীর পাড়ে কিংবা পুকুর পাড়ে গিয়েছিলি নাকি। পুকুর পাড়ে একটি কবরস্থান রয়েছে সেখানে দুপুরবেলা গেলেও নাকি সমস্যা হয়। আমি যদি বলতাম যে নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন নানী আমাকে অনেক বকতো, কারণ নদীর পাড়ে যাওয়া আমাকে একদম নিষেধ, আমার এমনি তুলা রাশি ছোট বেলায় গলাতে অনেক তাবিজ থাকতো আমার।তাই আমি কোথাও গেলে খুবই ভয় পাই। যার কারণে নদীর পাড়ে অনেক ভয় রয়েছে সেখানে অনেকবার নিষেধ করেছে আমাকে।
তারপরে পানি পড়া খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম এবং ঘুম থেকে উঠে আবারো সেই সাদা কি দেখলাম এটা নিয়েই যেন সারাদিন মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল। আর আমার সাথে যে মামাতো ভাই গিয়েছিল সমবয়সী সেই মামাতো ভাইয়ের অনেক জ্বর এসেছে। আসলে ওই সাদা দৃশ্যটি এই মামাতো ভাই দেখেছিলো। ও ভয়ে জ্বর এসেছে ওর জ্বরের কথা শুনে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম। যার কারণে আমি তখন নানীকে সকল ঘটনা বলতে চায়লাম। তারপরে নানী যখন পুকুরপাড়ের কথা বলল রাতে, যে পুকুর পারে কবরস্থানে ভয় রয়েছে। আমি তো পুকুর পাড়ে আগে অনেক গোসল দিতাম কিন্তু ঐদিন নানী বলার পরে আর গোসল দিতে ভয় পাচ্ছিলাম, কারণ মনে হচ্ছিল যদি গোসল দেই এবং গোসলের জন্য যখনই পানিতে ডুব দিব তখন যদি আর উঠতে না পারি, এটা নিয়ে অনেক ভয় হচ্ছিল যার কারণে সারাটা দিন এই চিন্তাগুলো মাথার ভিতর ঘুর পাক খাচ্ছিলো।
সারাটা দিন অনেক ভয়ে ভয়ে ছিলাম। তারপরে ঐদিন আমি আগেই ঘুমিয়ে পড়েছি, আর খাওয়া-দাওয়া আমার হচ্ছিল না। কারণ মনের ভিতর একটা টেনশন ছিল, এই দিন আগেই ঘুমিয়েছি এবং ঘুমের ভিতর আবারও স্বপ্ন দেখলাম সেই সাদা পোশাক পরা ভয়ংকর লোকটি আমাকে নিতে এসেছে। বলছে চল তোকে নিয়ে নদীর পাড়ে যাবো।আমি যেতে চাচ্ছি না আমাকে জড় করে নিয়ে যাচ্ছে,এই স্বপ্নটা দেখে আমি খুব ভয় পেয়েছি এবং ঘুম থেকে উঠি, আর আমার ঘুম ভেঙে যায় তখন দেখি নানীও ঘুম ভেঙেছে। নানী তখন বলল আসলে তোর কি হয়েছে আমাকে খুলে বল।
গল্পটি চলমান
https://twitter.com/rayhan111s/status/1774297313621823647?t=nXh1YW-BKTtVIkEz2uvTjA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাইরে বাই নিজের চোখে এসব দেখে কি আর সুস্থ থাকা যায়। আপনার বন্ধুর তো দেখছি জ্বর চলে আসলো। আর আপনার অবস্থাও তো বেশ খারাপ হয়েছিল। আবার তো দেখছি রাতে এসব জিনিস স্বপ্নে দেখেছেন।আমারও বেশ ভয় ভয় লাগছিল। অপেক্ষায় রইলাম আগামী পর্বের।
আসলে আপু খুবই ভয়ংকার ছিল, আজ যাক আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
সন্ধ্যাবেলায় নদীর পাড়ে ভূত দেখার অনেক সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার দেখা সাদা জিনিসটি হয়তো ভূত না, মনে হয় পরী হবে। যাহোক সন্ধ্যা বেলায় নদীর পাড়ে সাদা জিনিস দেখে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এবার সকালবেলায় আপনার অবস্থাটা কেমন ছিল এবং কোথায় গিয়েছিলেন সেটা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভাই নদীর পারে ভূত দেখার সেই মুহূর্তগুলো অনেক ভয়ানক ছিল। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।তবে কিছুটা ভয়ও লাগলো।কারণ এরকম অনেক জায়গা আছে যেখানে দুপুরে বা সন্ধ্যায় যাওয়া নিষেধ করে দেয় বড়রা।কিন্তু তবুও বাচ্চারা কি আর শুনে। যাইহোক ভাইয়া পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আপু গল্পটা খুবই ভয়ানক ছিল। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।
আপনার নদীর পারে ভূত দেখার প্রথম পর্বটি পরছিলাম।যাইহোক আজকে আপনি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আমিও কিন্তু ভূত বা কোথাও কিছু দেখলে খুবই ভয় লাগে। কিন্তু আপনি তুলা রাশি শুনে একটু অবাক হলাম। কারন তুলা রাশিদের পিছনে সব সময় কেউ না কেউ লেগে থাকে।যাইহোক আপনি স্বপ্নে সেই সাদা ভূত দেখতে পাইছেন এটা শুনে আমাকেই ভয় লাগতেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য। পরের পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভাই এই তুলা রাশি নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে ছোটবেলা থেকেই।যাই হোক আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।
আসলে ভাই আপনার এই গল্পটি পড়ে আমার নিজেরই ভয় করছে। কারণ আপনি যে সাদা দৃশ্য দেখেছিলেন সেটা বারবার আপনি ঘুমের মধ্যে দেখছেন। এভাবে ঘুমের মধ্যে দেখলে তো অনেক বেশি ভয় পাবেন। দেখা যাক আগামী পর্বে কি হয়।
ভাই খুবই ভয়ানক অবস্থা ছিল সেই মুহূর্তটা,আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
আমি শুধু এটাই কল্পনা করছি, আমাকে যদি কেউ স্বপ্নের ঘোরে এসে বলে যে, চল তোকে নিয়ে নদীর পাড়ে যাব তাহলে তো আমি ওখানেই হার্ট অ্যাটাক করতাম ভাই। তবে তুলা রাশির মানুষদের সাথে এরকম ঘটনা কিন্তু হয়। আসলে কবরস্থান বলেন কিংবা কোন ভয়ংকর জায়গা বলেন, এই সব জায়গায় মানুষ গেলে তার পেছনে পেছনে নেগেটিভ এনার্জি চলে আসে, এ কথাটা আমি শুনেছি। যাইহোক, আপনার গল্পটা কিন্তু বেশ লোমহর্ষক ছিল।
আসলে ভাই অবস্থাটা খুবই ভয়ানক ছিল আর আপনার হলে তো আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত, এটা শুনতে পেয়ে অবাক হয়ে গেলাম। যাই হোক আপনার ভাগ্যে এগুলো হয়নি। তবে আপনার আজকে মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন ভাই, আপনার এই কথা আমি মেনে নিলাম।
এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ তুলা রাশির মানুষ গুলোর সাথে এরকম একটু বেশি ঘটে থাকে। আপনিও তুলা রাশি৷ আপনি প্রতিনিয়ত এই ভয়ে থাকেন এবং পুর্বে যে সাদা জিনিসটি আপনি দেখেছিলেন সেটি আপনি দেখতে থাকেন৷ আসলে এরকম কোন ভয়ের জায়গায় গেলে যেরকম আমাদের ভয় লাগে সেই সাথে প্রতিদিনই এটি আমাদেরকে কষ্ট দিতে থাকে৷
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি প্রথম পর্বে পড়েছিলেন দ্বিতীয় পর্বে পড়লেন, শুনে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি তৃতীয় পর্বের পরের অপেক্ষায় থাকবেন।