এই গরমে শহর মধ্যে ভ্রমণ ও রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
গ্রামের তুলনায় শহরে গরম অনেক বেশি। আজকে আমি গ্রাম থেকে শহরে এসেছি, আর শহরের মধ্যে দিয়ে আমার বাসায় যাওয়ার পথে এই শহরের কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে ভ্রমণের পথে এই ব্যস্তময় শহরের দুপুরবেলা চিত্রগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। দুপুরবেলা যেন রাস্তাঘাটে মানুষই পাওয়া যায় না, ব্যস্ত এই শহরে হাজার হাজার মানুষ কর্ম ব্যস্ততার কারণে এই শহরের মধ্যে থাকে। আর আজকে যখন দুপুরবেলা আসলাম, প্রচন্ড গরমে শহরের মানুষ যেন আর বাইরে আসেনি। আসলে এতটা গরম পড়েছে যার কারণে মানুষ সবাই যেন তাদের জীবন রক্ষা করতে এই গরমের মধ্যে বাইরে বের হয়নি। যাদের না আসলে হবেই না তারাই শুধু এই শহরের মধ্যে দিয়ে কাজে বের হয়েছে,তাই সেই দৃশ্য শেয়ার করার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
প্রথমে আমি শেয়ার করলাম খান সাহেবে মাঠের দৃশ্য। সিরাজগঞ্জ শহরের সবচাইতে বড় ঈদগাহ মাঠ হল এই খান সাহেবের মাঠ। এত বড় মাঠ আর কোথাও নেই সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্যে। এই মাঠের পাশের মসজিদে হাজার হাজার মানুষ শুক্রবারে নামাজ পড়তে আসে, আর এই গরমের কারণে দেখতে পেলাম নামাজ শেষে কিছু মানুষ চলে যাচ্ছে। তবে আগের তুলনায় অনেক কম, আর খান সাহেব মাঠের গেটের দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে দেখলাম এখানে যেন মানুষ নেই বললেই চলে। তাই সেই দৃশ্যটির একটি ফটোগ্রাফি করলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে আমি রিক্সা নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে পাসপোর্ট অফিসের রাস্তা সিরাজগঞ্জের অন্যতম ব্যস্তময় রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে সবসময় ভিড়লেগে থাকত। এত রিক্সার ভিড় থাকত যার কারণে এখান দিয়ে হেঁটে আগে পার হওয়া যেত। এই রাস্তাটি দেখতে পেলাম একদম শূন্য, মানুষ জন তো নেই রিক্সারও চলাচল খুবই কম দেখতে পেলাম।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
পাসপোর্ট অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে আমি বাজারে স্টেশনে আসলাম। বাজারে স্টেশনে এসে দেখতে পেলাম এখানে হাজার হাজার মানুষের ভিড় থাকত প্রতিদিন, যার কারণে হেঁটেই পারাপার হওয়া যাচ্ছিল না। আর এই প্রচন্ড গরমের কারণে আপনি বাজার ইস্টিশনে যেন মানুষ নেই বললেই চলে এই দৃশ্য দেখতে পেলাম। শুধু সিএনজি শাড়ি বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানুষজন যেন এই সিএনজিতে চলাফেরা করছে না, কারণ এত গরমের ভিতরে কেউ আর বাইরে বের হয়নি।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপরে আমি বটতলায় আসলাম, এখানে ছোট্ট একটি বটগাছ রয়েছে। আর এখানে মানুষের এত ভিড় লেগে থাকত সবসময় যেন এখানে আড্ডা দেওয়া হতো। বটতলা আড্ডা ঘর চা নামে এখানে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। আর এখানে সব সময় মানুষের ভিড় লেগে থাকতে। সেই জায়গাটিও আজকে একদম ফাঁকা দেখতে পেলাম। কয়েকজন মানুষ শুধু বসে ছিল, আসলে যে জায়গাগুলোতে মানুষের ভিড় লেগে থাকত সেই জায়গাগুলো আজ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
তারপর আমি বাজার ইষ্টিশনে আসলাম। বাজারের ভিতরে ঢুকলাম বাজারে ভিতরে এত ব্যস্ততার কারণে যেখানে সব সময় ভিড় লেগে থাকতো, ট্রাফিক পুলিশ দিয়েও এখানে ভিড় কমানো যেত না, আর এই বিকাল চারটার দিকে তাও এখানে মানুষজন নেই। একদম ফাঁকা এই দৃশ্যটি আজকে দেখে যেন অবাক হয়ে গেলাম। আসলে এত গরম আর প্রচন্ড রোদের কারণে মানুষজন যেন আর বাইরেই বের হচ্ছে না। বাইরে বের হলেই স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
রাস্তাঘাটে এই লেবুর শরবত বিক্রেতাদের দেখতে পাওয়া যায়, এখন অনেক বেশি। তবে এই লেবুর শরবত বিক্রেতারা অনেক উপকার করছে। তারা যদি না থাকতো তাহলে পিপাসায় রাস্তাঘাটে আরো অনেক মানুষ বেশি অসুস্থ হয়ে যেত। তারা আছে বলেই আজ অনেক উপকার হচ্ছে। তাই রাস্তাঘাটে যখন এই শরবত বিক্রেতাদের দেখতে পাওয়া যায় তখনই যেন ভিড় তাদের পাশে থাকেই।কারণ মানুষ এখন ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। তাই রাস্তাঘাটে এই পানি শরবত বিক্রেতাদের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আমিও সেখানে দাঁড়িয়ে এক গ্লাস লেবুর শরবতের পান করলাম। লেবুরে শরবত খেয়ে যেন তৃষ্ণা মিটে গেল।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটির পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া এই গরমের মধ্যে আমি মনে করি শহরে ঘোরাঘুরি করাটা খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয়। কারণ শহরে এমনিতেই যানজটের যে সমস্যা তাতে গরমের আভাস আরো অনেক বেশি। তবে আপনি খুব সুন্দর ভ্রমণ করলেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করলেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে জানতে পারলাম সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে বড় ঈদগা ময়দানের মাঠ হচ্ছে খান সাহেবের মাঠ। দারুন ছিল পোস্টটি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/rayhan111s/status/1783827219439345824?t=6EL0E2ueqfy9-VNALV0RGg&s=19
প্রচন্ড এই গরমের দিনে আমাদের নিজেদের শরীর ভালো রাখতে অবশ্যই লেবুর শরবত সহ বিভিন্ন ফলের জুস খাওয়া প্রয়োজন। খুবই ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর এই রোদ গরমের মধ্যে শহরে ঘোরাঘুরির অনুভূতি পড়ে। তবে আমাদের খুবই সাবধানে চলাচল করা প্রয়োজন।
আজকে বেশ অসম্ভব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। গরমে শহরের মধ্যে ভ্রমণ ও কিছু ফটোগ্রাফি ভালো লাগলো। সিরাজগঞ্জের জায়গাটা বেশ সুন্দর চারিদিকে গাছপালা।দারুন ছিল।
এই প্রচন্ড গরমে দুপুরবেলায় কারো দরকার না হলে কেউই রাস্তায় বাড়াই না ভাইয়া ।এই গরমে শহর মধ্যে ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলোই দেখে বোঝা যাচ্ছে গরমে মানুষ কত বিরক্তকর ।ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হঠাৎ নতুন কোন শহরে গেলে সেই শহর টা ঘুরে দেখার প্রতি একটা আকর্ষণ একটা ইচ্ছ্বা কাজ করে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো যেন এইরকমই ছিল। সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক কিছু জায়গা পাশাপাশি রাস্তাঘাট সহ অন্যান্য বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করেছেন। বেশ সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
অতিরিক্ত গরম আমাদের সকলের জীবনধারার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। এই অতিরিক্ত গরম এর জন্যই অনেক মানুষ নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। তারউপর হিট এলার্ট চলমান রয়েছে। তারই প্রভাবে ব্যস্ত রাস্তাঘাট গুলো এখন দুপুর বেলায় এমন জনশূন্য বলা চলে। তবে ভাই, বাহিরের শরবতের ভ্যান থেকে শরবত পান করে তৃষ্ণা মিটানোটাও কিন্তু এই গরমে রিস্ক। আপনি ডাক্তারি লাইনে আছেন, আপনি তো আরও ভালো জানবেন।
অতিরিক্ত গরম জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।তাই দুপুরের রোদে কোথাও কোন মানুষের ভীড় দেখতে পেলেন না।আপনি গ্রাম থেকে শহরে আসার পথে বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। শহরের রাস্তা গুলো সব ফাঁকা ফাঁকা ই লাগছে।আপনি লেবুর শরবত খেলেন পথে।লেবুর শরবত শরীরকে শীতল করে।কিন্তু এদের পানিটা বিশুদ্ধ কিনা এ ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।আমি কখনো বাইরের এই খাবার গুলো খাই না।অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।