সবাইকে প্রথমে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। আশা করছি পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে আজকের এই দিনটা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। দীর্ঘ একটি মাস রমজান আমাদের মধ্যে ছিল। এই রমজানে রোজা রেখে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত আমরা পালন করেছি এবং আল্লাহতালা আমাদের জন্য একটা খুশির দিন দিয়েছে, সেটা হল ঈদের দিন। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা এবং অন্যান্য শহর থেকে গ্রামে এসেছে এবং পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে। তাদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য। আমিও পরিবারের সাথে আনন্দময় এর সাথে আজকের এই দিনটি পালন করছি। সত্যিই ঈদের আনন্দ মুহূর্ত যেন অসাধারণ লেগেছে। পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি আপনারা সবাই পরিবারের সাথে নিয়ে আজকের দিনটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন।

আজকে সকাল সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠেই গোসল দিয়ে নতুন জামা পড়লাম। আসলে পরিবারের সকলেই আমরা একসাথে মাঠে যাই। আমাদের বাড়ির চাচাতো ভাইরা এবং চাচারা রয়েছে, সকলকে সাথে নিয়ে একসাথে মাঠে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক আনন্দের। তাই নতুন জামা পড়ে বাবার সাথে এবং আমার ভাগ্নে @alif111 আমাদের বাড়িতে ঈদ করেছে এবার। যার কারণে আরো বেশি মজা হয়েছে। তাই সকলকে সাথে নিয়ে ঈদগা মাঠে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

তারপরে আমরা সবাই মিলে মাঠে প্রবেশ করলাম। মাঠে প্রবেশের আগে টাকা দিতে হয়েছে। কারণ আমাদের মাঠটা খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়েছে। যার কারণে সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে, যারা চাকরিজীবী তাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে। তবে আমি ১০০ টাকা দিলাম। ১০০ টাকা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করলাম। অন্যান্য আরো অনেক ধরনের টাকা তুলতে ছিল, সকলকে জায়গাতে প্রায় ৫০০ মত টাকা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করলাম।

তারপরে মাঠে নামাজের টাইম দিয়েছিল নয়টায়। জাস্ট নয়টার সময় নামাজ শুরু হল। নামাজ শেষে সকলের সাথে কোলাকুলি করলাম এবং সবার সাথে দেখা সাক্ষাত করে মাঠের অন্য রাস্তা দিয়ে আমরা আবার বাড়ি যাব, কারণ এক রাস্তা দিয়ে যাবা এবং অন্য রাস্তা দিয়ে আসার নবীর সুন্নত। যার কারণে আমরা যে রাস্তা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেছিলাম তার বিপরীতে একটি রাস্তা রয়েছে আমাদের বাড়িতে আসার।সেই রাস্তা দিয়ে আমরা যাব বাড়িতে।

তারপরে মাঠের অন্য রাস্তা দিয়ে আমরা বাড়ি আসতে লাগলাম এবং বাড়ি আসার পথে বাবা ও ভাগ্নের সাথে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে আজকের দিনটা অনেক আনন্দে। তাই সকলের সাথে এই আনন্দময় এই মুহূর্ত এবং স্মৃতি পাতায় রেখে দেওয়ার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো করলাম। আর এই ফটোগ্রাফি গুলো করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে।

তারপরে বাড়ি আসলাম। বাড়ি এসেই দেখতে পেলাম আমার ছোট সোনামনি ভাগ্নে। আমার সবচাইতে ছোট ভাগ্নে। যার কারণে ওকে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রেখেছে। ওর সাথে একটা আছে ছবি উঠলাম। আর আমাদের বাড়ির সকল চাচাতো ভাই ও ভাইয়ের ছেলেদেরকে নিয়ে স্মৃতির পাতায় রেখে দেওয়ার জন্য একসাথে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। সত্যি আজকের দিনটা অনেক আনন্দের। এই দিনটা আগামীতে আবারো পাবো কিনা এটা কোন গ্যারান্টি নেই। যার কারণে স্মৃতি যেন রয়ে যায় আমাদের জীবনে। তাই ফটোগ্রাফি গুলো করলাম।