ভূত দেখার গল্প//পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ছোটবেলা মাছ ধরার মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দ ছিল। ছোটবেলা আমি চাচা, মামা, বাবার সাথে অনেক মাছ ধরেছি। কারণ আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট্ট একটি নদী। আর যে গ্রামে নদী থাকে, সেই গ্রামের মানুষ মাছ ধরতে খুবই পছন্দ করে। যার কারণে আমাদের গ্রামের প্রায় সকলেই মাছ ধরার জন্য নানা রকমের জাল এবং মাছ ধরার জিনিসগুলো বানাতো।যখনই নদীর পানি বৃদ্ধি পেতো, তখনই যেন সকলে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত হতো। সবাই মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তো। এই নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে, কেউবা নদীর কিনারায় বসে মাছ ধরত। আর এই মাছ ধরা মুহূর্তগুলো আমারও খুবই ভালো লাগতো। তাই আমি একদিন সন্ধ্যাবেলা চাষের সাথে নদীতে নোকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম।চাচার সাথে নৌকায় করে সন্ধ্যাবেলা মাছ ধরতে গিয়েছিলাম, সেই স্মৃতিময় গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। এই গল্পটি ছিল ভয়ানক। তাই আজকে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করছি গল্পটি পড়ে ভালো লাগবে।
চাচার সাথে মাছ ধরতে ধরতে রাত হয়ে যায় এবং রাতের বেলা আলো নিয়ে সকলেই মাছ ধরে, কারণ রাতের বেলা মাছ অনেক পাওয়া যায়। তো আমরা যখন মাছ ধরতেছিলাম, তখন দেখতে পেলাম আমাদের মাছ ধরার নৌকার সামনে আলো নিয়ে নদীর উপর দিয়ে যাচ্ছে। আর মাছ ধরে ধরে খাচ্ছে। মাছ ধরে খাচ্ছি তার মুখটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। তবে মাছ খাওয়া শব্দ শোনা যাচ্ছিল, এটা দেখতে পেয়ে আমি ভয় পেয়ে চাচাকে বললাম। চাচা বলল যে তুমি ওই দিকে তাকিও না, নদীর উপর দিয়ে মাঝেমধ্যে এভাবে আলো দিয়ে মাছ ধরে। তারপরে চাচা বলল চলো আজকে বাড়ি যাই, তাই আমাদের নৌকা ঘুরিয়ে কিনারায় নিয়ে আসলো এবং সেখান থেকে চাচা আমাদের বাড়িতে চলে আসলো। কিন্তু পেছনের দিকে চাচা আর আমাকে থাকতে দিল না।
তারপরে চাচার সাথে বাড়িতে আসলাম, বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে আমি খেতে বসলাম এবং খাওয়ার সময় আমি আমার আম্মুকে বললাম, মাছ ধরার গল্পগুলো, তখন সেই লাইটিং আর মাছ খাওয়ার কথা বললাম। তখন আম্মু বলল যে এগুলো হয়তো এমনি একটা তুমি দেখেছো,তারপর বলো খাইয়ে শুয়ে পরো, যার কারণে আমাকে খাইয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আম্মু গিয়ে চাচাকে বলল, যে এটা কি আসলেই দেখেছিল। তখন চাচা আম্মুর সাথে কথা বলতেছিল, আমি তখন ঘুমায়নি, আমি শুনতেছিলাম তাদেরকে কথা। চাচাতো তখন বলল যে নদীর ঐদিকে একটা সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই অনেকেই নাকি ভূত দেখতে পায়। তবে আমি কখনো দেখিনি। যাদের রাশি পাতলা তারা নাকি এই দৃশ্যগুলো দেখতে পায়। চাচা বলল যে তখন আমিও তাকিয়ে দেখতে পেলাম, কিসের যেন আলো ভেসে যাচ্ছে। তবে মাছ খাওয়া শব্দ আমি শুনিনি, তখন আম্মু বলল যে ওর রাশি এমনিতে পাতলা, মাঝেমধ্যে ও কান্না করে, ওকে নিয়ে যেন আর মাছ ধরতে না যায়। তখন চাচা বলল যে আমিও বুঝতে পেরেছিলাম, তাই ওকে আমি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
চাচা আর আম্মু এই কথা শুনে আমার মনের ভিতরে ভয় ধরে গেল। তাহলে আমি কি নদীতে ভূত দেখেছি। মাছ যে খাচ্ছিল সেটা ভূত, আর এই কথা ভাবতেই যেন ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ এই নদীতে ভূত রয়েছে এই গল্প আমার বন্ধু আমাকে অনেকবার বলেছিলো। এখানে নাকি একটা মানুষ কেউ মেরে ফেলেছিলো। এই কথাগুলো মনে হচ্ছিল আর আমি ভয়ে কান্না করতে লাগলাম। আসলে এতটাই তখন ভয় হচ্ছিল যা বলার মত না, তবে একটু পরে আম্মা আসলো এসে আমাকে ঘুমানোর চেষ্টা করল, কিন্তু আমার ওই রাতে ঘুমই হচ্ছিল না।আসলে ভূতের কথা শুনে আমি অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ছোটবেলা ভুতের অনেক গল্প শুনেছি ভয়ানক ভয়ানক। সেই দৃশ্যগুলো যেন চোখের সামনে তখন ভাসতে ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখা ভূতের গল্পটি যখন পড়তেছিলাম তখন আমার চোখের সামনে প্রত্যেকটা দৃশ্য ফুটে উঠতে ছিল।কি ভয়ানক এক দৃশ্য! আমি সচরাচর ভূতের গল্প পড়ি না,কারণ আমার একটু ভয় বেশি।তাও আজকে সাহস করে আপনার ভূতের গল্পের দুটি পর্ব পড়লাম।গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
https://x.com/rayhan111s/status/1824369136035881237?t=y5ouQOGN20c4hNYOvcjHSA&s=19
রাশি পাতলা হলে যে মানুষ এরকম ভূত দেখে, এটা আমি জানতাম না ভাই। তবে আমার মনে হয় আপনি ভূত দেখেছিলেন। আসলে গ্রামাঞ্চলে এরকম ঘটনা প্রচুর পরিমাণে শুনতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা রাতের বেলা মাছ ধরতে যায়, তারা এরকম অনেক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হয়।