লাইফ স্টাইল //চোখের ডাক্তার দেখানো ও নতুন চশমা নেওয়ার অনুভূতি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
অনেকদিন হয়ে গেল চোখের ডাক্তার দেখায় না। আসলে চোখের ডাক্তার প্রতি ছয় মাস পর পর দেখানো উচিত। তারপরেও সময় না হওয়ার কারণে এই চোখের ডাক্তার দেখানো হচ্ছিল না। বারবার মনে করতেছিলাম এই মাসে না হয় ওই মাসে যাবো, কিন্তু আর যাওয়া হচ্ছিল না। নানান ব্যস্ততার কারণে দিন যেন পিছিয়েই যেতে লাগলো। আর এভাবেই অবহেলা করতে করতে প্রায় এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল, চোখের ডাক্তারকে আর দেখানো হয়নি। তাই গত কয়েকদিন হলেও ভাবতেছিলাম চোখের ডাক্তার দেখাবোই। কারণ চোখে এখন চুলকানির পরিমাণ একটু বেড়ে গেছে। আগে কোন সমস্যা ছিল না। যার কারণে দেখলাম যে অনেকদিন হলো যেহেতু ডাক্তার দেখানো হয় না, এবার আর মিস না দিয়ে চোখের ডাক্তারটা দেখাবো। আর চোখের ডাক্তার আমার খুবই পরিচিত ছিলো, যার কারণে স্যার আমাকে প্রতি ছয় মাস পর পরই যেতে বলেছিল। কিন্তু আমার অবহেলার কারণে যাওয়া হচ্ছিল না। তাই কিছুদিন আগে আমি চোখের ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। সেদিন ছিল প্রচন্ড রোদ আর গরম,যার কারণে হাসপাতালে গিয়ে আমার অবস্থা একদম খারাপ করে গিয়েছিলো।
চোখের ডাক্তার দেখানোর জন্য আমাদের সিরাজগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল, এম এ মতিন মেমোরিয়াল চক্ষু হাসপাতালে আসলাম।আসলে এই চক্ষু হাসপাতাল উত্তরবঙ্গের মধ্যে অনেক সুনাম করা হাসপাতাল। এখানকার ডাক্তারদের ব্যবহার অনেক ভালো এবং এখানে ডাক্তারদের ভিজিট অনেক কম। আর এখানে শুধু চোখের চিকিৎসা করা হয়। বিশাল বড় এই হাসপাতাল।আর আমার একজন পরিচিত ডাক্তার ছিলো, যার কারণে আমি তার কাছে আসছি।সেই ডাক্তারের নাম ছিল ডাক্তার সাজ্জাদ মাসুম। তাই আমি হাসপাতালের ভিতর প্রবেশ করলাম এবং রিসিপশনে এসে দেখতে পেলাম হাজার হাজার রোগী। এত রোগী দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। চোখের এত রোগী এসেছে আজকে, আর এই রোগীগুলোর মাঝে আমি কিভাবে ডাক্তারকে দেখাবো। আজকে তো আমার সন্ধ্যা হয়ে যাবে। এই চিন্তা করতেছিলাম আর ভাবছিলাম আজকে দেখাবোই না। পরে ভাবলাম স্যার যেহেতু আমার চেনা, স্যারের সাথে দেখি একটু কথা বলে কাজ হয় কিনা। তখন আমি স্যারের চেম্বারের পাশে দাঁড়ালাম।আর স্যার যে আ্যসেসটেন্ট আছে তাকে বললাম যে আমি স্যারের স্টুডেন্ট। আমার নাম স্যারকে বলুন, আমার নাম যখন স্যারকে বলল, তখন স্যার বলেছে যে ঠিক আছে ওকে ভিতরে আসতে দাও। এই কথাটা শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
তারপর আমি ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যারকে সালাম দিলাম, স্যার আমার সাথে কথা বলল, বললো কিরে রায়হান এতো দিন পর আসলি, তোরে না মাঝেমধ্যে আসতে বলেছিলাম । তখন স্যারকে বললাম একটু ব্যস্ত ছিলাম। তারপরে স্যার আমার সাথে কথা বললো, যে তোদের হসপিটালে এখন অপারেশন কেমন হচ্ছে। নানান ধরনের আলোচনা করলো এবং স্যার আমার চোখটা দেখল। বলল যে চোখ ঠিকই রয়েছে, শুধু এলার্জি জাতীয় খাবার খাবিনা। আর পাওয়ার আগের মতনই রয়েছে। স্যারের কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে স্যার যে আমাকে মনে রেখেছে এটাই অনেক পাওয়া।তবে আগে স্যারের সাথে অনেক অপারেশন করেছি আমি।সেই জন্য স্যার আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো।তারপরে স্যারের সাথে কথা বলে চলে আসলাম, স্যার বলল যে বেশি অবহেলা করিস না। ছয় মাস পর পরই দেখা করে যাবি। বললাম ঠিক আছে স্যারকে, সালাম দিয়েছে বেড়িয়ে আসলাম।
পরিচিত স্যার ছিল বলে, আমি খুব সহজেই আজকে ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। আসলে স্যার আমাকে যে মনে রেখেছে এটাই অনেক, স্যারদের কাছ থেকে যে সম্মানটা পেলাম এটা সত্যিই অনেক বড় পাওয়া।আসলে স্যারদের সাথে ভালোভাবে চললে এবং ভালো ব্যবহার করলে, তারাও আমাদের মনে রাখে এটাই আজকে প্রমাণিত হলো। তারপরে আমি প্রেসক্রিপশন নিয়ে চশমার দোকানে আসলাম এবং আমি খুব একটা চশমা দেখলাম না। অল্প সময় দেখেই পছন্দ করে ফেললাম। কারণ আজকে প্রচন্ড গরম যত তাড়াতাড়ি বাসায় যাবো ততই ভালো।
তারপরে চশমা দেখা পছন্দ হয়ে গেল, একটা চশমা আমি নিলাম। এই চশমাটির দাম নিয়ে এসে ৮০০ টাকা। আসলে চশমাটির দাম ৫০০ টাকা আর ৩০০ টাকার গ্লাস। এই মোট ৮০০ টাকা দাম নিয়েছে। তবে চশমাটিয়ে অনেক ভালো ছিল, আর দেখতেও আমার কাছে ভালো লেগেছে। যার কারণে আমি বললাম যে কতক্ষণ সময় লাগবে, সে বলবো গ্লাস লাগাতে বেশি সময় লাগবে না। বললো আধা ঘন্টার মধ্যে আমি লাগিয়ে দেবো। যার কারণে সে আধা ঘন্টা সময় আমার কাছ থেকে নিয়ে গ্লাস লাগানো শুরু করে দিল। আর আমি তখন ওই দোকানে বসে ছিলাম।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | লাইফ স্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
https://twitter.com/rayhan111s/status/1792974382517854673?t=HItiX4ZZNRTF826ARNnv7A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চোখের ডাক্তার ৬ মাস পর পর দেখানো উচিত। আপনার পরিচিত স্যার ছিল বলে আপনি এত ভিড়ের মাঝেও খুব সহজে দেখে নিলেন। আর আসলে স্যারদের সাথে পরিচিত থাকলে অনেক ভালো হয়। আপনার স্যার আপনার সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করেছে এবং মাঝে মাঝে আসতে বলেছে, এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আর চোখের কোন প্রবলেম হয়নি, হালকা অ্যালার্জি জাতীয় খাবার না খেলেই আপনি সুস্থ থাকবেন, আপনার জন্য দোয়া রইল।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন ছয় মাস পর পরই ডাক্তারের কাছে চোখ দেখানো উচিত। পরিচিত ডাক্তার থাকলে ভালো হয়। আপনার হয়তো এলার্জির সমস্যা যার কারনে চশমা দিলো। কিন্তুু আমার পরিচিত যত জন চোখের ডাক্তার দেখিছে সবাইকে দেখলাম চশমা দিয়েছে। যায়হোক এই বিষয়টা ডাক্তারই ভালো বুঝে। ধন্যবাদ।