আমরা যে দিনগুলো পার করে আসি, সেই দিনগুলোই যেন স্মৃতি হয়ে আমাদের জীবনে জমা হয়ে থাকেম আর এই স্মৃতিময় দিনের কথা মনে করতে পেরেও খুবই ভালো লাগে। নাটোরে ভ্রমণ করার সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করেছি, যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো। প্রত্যেকটা মুহূর্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আর নাটোরে ভ্রমণ করার সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আসলে নাটোরের গ্রীন ভ্যালি পার্কের দৃশ্যগুলো অসাধারণ ছিলো। পার্কের ভিতরে যেন সৌন্দর্যের সমাহার আর এই সৌন্দর্য যেন দেখে শেষ করতে পারছিলাম না। তাই সৌন্দর্যময় সেই দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সপ্তম পর্বের ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

পার্কের ভিতর অপরূপ সুন্দরময় এই সবুজ দৃশ্যগুলো বেশি ভালো লাগেছে, কারণ পার্কের ভিতর এই সবুজ দৃশ্যের মধ্যে যখন আমি এসেছি তখন এত ভালো লেগেছে চারপাশে পরিবেশ এত নীরব এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। আর চারপাশের এই সবুজ দৃশ্যগুলো কারণে আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। পার্কের ভিতর হেঁটে যাওয়ার রাস্তার চারপাশে দিয়ে পাতা বাহারি ফুলের গাছের কারণে সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।

পার্কের এই সবুজ দৃশ্যের মাঝে আমি হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তারপরে দেখতে পেলাম অপরূপ সৌন্দর্যময় কৃত্রিম একটি পাহাড়। এই পার্কের ভিতর পাহাড় তৈরি করেছে। তাই আমি এই পাহাড় দেখার জন্য সেদিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আর পাহাড়টা দেখতে পেয়ে আমার অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল।

তারপরে এই কৃত্রিম পাহাড়ের কাছে আসলাম। কৃত্রিম পাহাড়ের কাছে এসে দেখতে পেলাম পাহাড়টি অনেক উঁচুতে, আর এখানে অনেক মানুষ এসেছে। তারা যেন এই পাহাড়ে উঠতেছে। আসলে পাহাড়ে ওঠার জন্য অনেক সুন্দর ভাবে সিরি তৈরি করা হয়েছে। আর এখানে হাজার হাজার মানুষ এই পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার জন্য উপরে উঠে।আমিও পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য উপরে উঠতে লাগলাম। আর পাহাড়ের একদম উপরে একটা স্পাইডারম্যানের ভাস্কর্য রয়েছে।

তারপর পার্কের ভিতর ফ্লাওয়ার ভ্যালী রয়েছে। আসলে এই ফ্লাওয়ার ভ্যালীতে হাজার জাতের ফুল রয়েছে। এ যেন ফুলের রাজ্য। অনেক সুন্দরময় দৃশ্য উপভোগ করা যায়।সকল দৃশ্য ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।যার কারণে আমি এই ফ্লাওয়ার ভ্যালীতে ২০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম।পরবর্তীতে সেই দৃশ্য গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার।

তারপরে আমাদের পিকনিকের সকলকে সাথে নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আর দুপুরে খাবারের পরে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি একটি কবিতা বলি। সেই কবিতায় আমি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম। যার কারণে আমাকে স্যারা নিজ হাতে পুরস্কারটি দিয়েছিল। তখন আমার এত ভালো লেগেছিল যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

তারপর বিকাল ৪ টার দিকে আমি আর আমার বন্ধু মিলে ভূতের রাজ্যে আসলাম। আসলে এই পার্কের ভিতর ভূতের অনেক সুন্দর গুহা তৈরি করেছে। আর সেখানে ভয়ংকার থ্রিডি মুভিও চালানো হয়। এই দৃশ্য দেখার জন্য আমি আর বন্ধু মিলে সেই গুহার ভিতরে ঢুকলাম। আসলে ভূতের এই গুহার ভিতরে ঢুকে অন্যরকম একটা অনুভূতি উপভোগ করলাম। সত্যি যেন ভয় পেয়েছিলাম।