আসলে ভালোবাসা হৃদয়ের অনুভূতি আর হৃদয় থেকে যেন এই ভালোবাসার জন্ম হয়। তাই হাজারো বাঁধা, হাজারো কষ্টের মধ্যেও প্রিয় মানুষকে শক্ত করে ধরে রাখতে ইচ্ছা করে। তাকে নিয়ে যেন মনের ভিতরে সকল কল্পনা জাগে এবং তাকে নিয়েই হাজারো পথ পাড়ি দিতে ইচ্ছা করে। আর এই ভালোবাসার প্রিয় মানুষকে নিয়ে আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম। আসলে বাস্তব ঘটনার অবলম্বনে এই গল্পটি। যার কারণে আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছি আজকে তৃতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের গল্পটি পড়ে আপনারা এই ভালোবাসার।ভালোবাসার শেষ পরিণতি কি হয়েছিল, সেটা ভালোভাবে জানতে পারবেন। তো বন্ধুরা চলুন ভালবাসার শেষ পরিণতি গল্পটির শেষের পর্ব করা শুরু করা যাক।
সোনিয়ার বাবাকে সেই গোয়েন্দা লোকটি এসে যখন বলে যে রতন আর সোনিয়া বিয়ে করেছে। তখন সোনিয়ার বাবা মাথা গরম হয়ে যায় শাজাহান মাস্টারের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। আর শাহজাহান মাস্টার এত খারাপ ব্যবহার পেয়ে সে যেন একদম হতবাগ হয়ে যায়। হাজার বছরের মান সন্মান যেন এক নিমিষে শেষ করে দিল, এই সোনিয়ার বাবা। যার কারণে সে ভেঙে পড়ে এবং ছেলের প্রতি যে বিশ্বাস ছিল সেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। যার কারণে এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর এদিকে সোনিয়ার বাবা রতনকে খোঁজার জন্য লোক সেট করে।তাদের কে বলে রতনকে ওকে যেখানে পাবি ধরে নিয়ে আসবি। ওর ব্যবস্থা আমি করবোই। সোনিয়ার বাবা আসলে খুবই খারাপ মেজাজে মানুষ ছিলো।
সোনিয়ার বাবা যে সকল কিছু জানতে পেরেছে, এই ঘটনাটি রতন আর সোনিয়া জানতে পারে। যার কারণে সোনিয়া ছুটে যায় রতনের কাছে রাজশাহীতে এবং সকল কিছু বলে, যে আমাদের এখনই কোন কিছু করতে হবে। না হলে আমরা অন্য জায়গায় পালিয়ে যায়। যদি আমাদের ধরে ফেলে তাহলে আমার বাবা খুবই খারাপ মানুষ তোমার অনেক ক্ষতি করবে। কারণ সে কারো ক্ষতি করতে একবারও ভাবেনা। বিশেষ করে সোনিয়ার বাবা এক ডাক্তারের সাথে সোনিয়ার বিয়ে ঠিক করেছে মসেই বিয়ে না দিতে পারলে সোনিয়ার বাবা শান্ত হবে না মযার কারণে সোনিয়ার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতে পারে, আর সোনিয়া তখন রতনকে বলল রতন বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখে তার বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে। এখন কি করবে ভালোবাসার মানুষকে ফেলে আসতে পারছে না।
রতন তার বন্ধুদের সকল ঘটনা বলে, যার কারণে তার বন্ধুরা মিলে রতন আর সোনিয়াকে ওদের গ্রামে নিয়ে যায়। শেরপুর একটি গ্রামের সেখানে থাকে ১০-১৫ দিন। এর ভিতর একদিন রতন ওর বাবাকে দেখার জন্য গ্রামে আসার কথা বলে, কিন্তু গ্রাম থেকে ওর বন্ধুরা বলে আসা যাবেনা। সোনিয়ার বাবা তোদেরকে ধরার জন্য থানায় মামলাও করেছে।এদিকে ১০-১৫ দিন যাওয়ার পরে সোনিয়ার সাথে ওর মায়ের কথা হয়। আর ওর বাবা এই কথা বলার বিষয়টি জানতে পারে। যার কারণে পুলিশকে বলে আর পুলিশ তখন লোকেশন দেখে গ্রামে চলে যায়। গ্রামে গিয়ে সোনিয়ার রতনকে হাতেনাতে ধরে ধরার পরে,সোনিয়ার বাবা পুলিশকে অনেক টাকা দিয়েছিলো, যার কারণে প্রথমেই রতনকে ধরে সোনিয়া সামনেই অনেক মার ধর করে।তারপর রতনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর সোনিয়াকে ওর বাবা জোর করে নিয়ে শহরেরর ওর মামার বাসায় রেখে দেয়। সেখানেই সোনিয়াকে নানান ভাবে বুঝাতে থাকে। যে তুই যদি রতনকে ছেড়ে না দিস,তাহলে রতনকে একদম মেরে ফেলবো। তুই এখন কি করবি, সোনিয়া পুলিশকে গিয়েছে সকল ঘটনা বলবে সেইটা বলার সুযোগ পায়নি।
রতনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আর সোনিয়াকে তার ফ্যামিলির সবাই বুঝাতে থাকে তোর জন্য ছেলেটার জীবন শেষ হয়ে যাবে। তোর বাবা খুবই খারাপ আর এই মানুষটা রতনকে বাঁচতে দিবে না। তুই কি রতনের মৃত্যু দিকে নিয়ে যেতে চাও।যদি ভালবেসে থাকিস তাহলে রতনকে ছেড়ে দাও। রতনকে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে দাও।এভাব৷ জেলে পচে মরবে না হলে ছেলেটা কোনদিনও ওর ফ্যামিলির কাছে আসতে পারবে না। যার কারণে ফ্যামিলির সকলের কথা ভেবে এবং রতনের কথা ভেবে ওর বাবার কথাই রাজি হতে থাকে।
তারপর রতনকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে, এই বিষয়টি বিষয়টি রতনের মা-বাবা জানতে পারে। আর ওর পুলিশে ধরে নেওয়ার কথা শুনে ওর বাবা খুবই অসুস্থ হয়ে যায় যার। কারণে রতনের মা আর রতনের বোন খোঁজ করতে করতে সোনিয়ার কাছে চলে আসে এবং সোনিয়ার হাতজোড় করে বলে, মা তোমরাই পারো আমার ছেলের জীবনটা বাঁচাতে। তুমি যদি চাও তাহলে আমার ছেলেটা মুক্তি পাবে। তুমি তোমার বাবাকে বললেই মুক্তি দেবে, না হলে আমার ছেলেটার জীবন একদম শেষ হয়ে যাবে। সাথে আমাদের জীবনে শেষ হয়ে যাবে, আমাদের একমাত্র ছেলে যাকে নিয়ে আমরা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম।
https://x.com/rayhan111s/status/1802209269703725476?t=E8YKg0zjkCGCEkBI-HfPgg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.