ভালোবাসার পূর্ণতা//পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


ভালোবাসা দুটি মনের মিল, আর এই ভালোবাসার হৃদয় থেকে জন্ম হয়। যখনই ভালোবাসার পরিপূর্ণতা পায় তখন যেন ভালোবাসার সার্থকতা আসে। আসলে দুটি মনের মিল থেকে ভালোবাসার জন্ম হয়। আর এই দুটি মন যখন একসাথে সারা জীবন বসবাস করার অনুপ্রেরণা পায় তখনই যেন ভালোবাসার পরিপূর্ণতা পায়। তাই ভালোবাসার পরিপূর্ণতা নিয়ে আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম আজকে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে এই গল্পটি আমাদের জীবনের সাথে অনেকেরই মিলে যাবে কারণ ভালোবাসার নিয়ে যেন আমাদের জীবনে হাজারো গল্প রয়েছে। সেই গল্পগুলোই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। তো বন্ধুরা বাস্তব জীবনের একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম, আজকে এই গল্পেরই দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগবে।


sunset-7126126_1280.jpg

source

আমার বন্ধু পারভেজ সাদিয়াকে খুবই ভালোবাসতো, কিন্তু বলার কোন সাহস পেত না। আমি একবারও সাহস করে পারভেজের হয়ে সাদিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম সেখান থেকেই যেন সাদিয়া ও পারভেজের সাথে কথা বলতে চাইলো, তো স্কুল ছুটি শেষে যখন সাদিয়া আর পারভেজ কথা বলতে ছিল তখন সাদিয়া পারভেজকে বলেছিল তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসো, তখন পারভেজ বলেছিল হ্যাঁ আমি ভালোবাসি। তখন থেকেই যেন ওদের মধ্যে ভালোবাসার জন্ম হয়। আর এই ভালোবাসা সম্পর্ক ছিল খুবই মধুর, কারণ ওদের ভিতরে ভালোবাসার একটা সম্মান ছিল। দুজন দুজনকে যেমন সম্মান করতে তেমনি ভালোবাসতো। যার কারণে ওদের ভালো ভালোবাসা দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছিলো কারণ ওদের ভালোবাসার মধ্যে যখন সম্মান ছিল তখনই ভালোবাসার গুরুত্বটা বৃদ্ধি পায়। আর ভালোবাসার মধ্যে সম্মানটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওদের ভালোবাসার সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা আমি করেছি।


ওদের ভালোবাসাটা দুই তিন বছর এভাবেই চলতে থাকে। আসলে এই দুই তিন বছরের মধ্যে ওদের ভালোবাসার মধ্যে কখনোই বড় ধরনের কোন ঝগড়া হয়নি।অনেক ভালোবাসা আমি দেখেছি তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো এবং ব্রেকআপ হয়ে যেত, কিন্তু সাদিয়া আর পারভেজ এর মধ্যে কখনো ঝগড়া হতো না, কারণ ওরা ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝে, কিন্তু সাদিয়া বাবা, সাদিয়ার এসএসসি পরীক্ষার পর সাদিয়ার বিয়ের চাপ দেয়। একজন সরকারি চাকরিজীবীর সাথে ওর বিয়ে ঠিক করা হয়। সাদিয়া আর পারভেজ কান্নাকাটি করে। কারণ পারভেজ সত্যি সাদিয়াকে খুবই বেশি ভালোবেসে ছিলো। যার কারণে আমাদের বাড়িতে এসে বারবার পারভেজ বলতেছিল, তাই আমি আর আমার বাবা আর পারভেজের বাবা মিলে সাদিয়ার বাবার সাথে কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম।


পারভেজ বাবা-মার একমাত্র সন্তান ছিল। যার কারণে পারভেজ ওর বাবা আমাকে যা বলতো তাই ওর বাবা- মা মেনে নিতো। আসলে পারভেজের বাবা-মা একটু আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল। কিন্তু ওদের মন অনেক ভালো ছিল। ওদের একটা ব্যবসা ছিল ব্যবসাটা তখন খারাপ যাচ্ছিল। যার কারণে ওদের অর্থনৈতিকভাবে একটা দুর্বল ছিল। তারপরেও সাদিয়ার বাবার সাথে কথা বলার জন্য আমরা তিনজন চলে যাই।সাদিয়ার বাড়িতে গিয়ে সাদিয়ার বাবা আমার বাবাকে অনেক সন্মান করতো।আমার বাবাকে দেখেই বললো কি বেপার আমি কি মনে করে আসলেন।বাবা বললো গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তোমার সাথে তাই আজছব।তখন আমাদের বসতে দিলো। আমার বাবার তখন সাদিয়া আর পারভেজের সকল কথা সাদিয়ার বাবাকে বলরো। তখন সাদিয়ার বাবা বললো পারভেজ তো মাত্র পড়াশোনা করছে,কিছু দিন আগে এসএসসি পাস করলো, তো এখনো চাকরি পেতে পেতে অনেক দেরি হয়ে যাবে, কিন্তু আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী ছেলে পেয়েছি। আপনারা জানেনই তো প্রত্যেকটা সন্তানকে ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে চায় তার বাবা মা।


পারভেজের বাবা বলল যে আমরাও চাই প্রত্যেকটা সন্তান ভালো থাকুক। আপনার মেয়ে যেহেতু আমার ছেলেকে ভালবাসে আমার ছেলে আপনার মেয়েকে ভালোবাসে ওরা দুজন অন্য জায়গাতে বিয়ে করলে কখনোই সুখে থাকতে পারবে না। কারণ ভালোবাসার কষ্ট অনেক বেশি। তখন আমার বাবা বলল যে দেখো তোমার মেয়েকে হয়তো সরকারি চাকরি দেখে বিয়ে দিচ্ছো কিন্তু একদিন এই পারভেজও সরকারি চাকরি পাবে। ওর তো ভালো স্টুডেন্ট। পড়াশোনা করছে আরও ভালো জায়গাতে যাতে পারবে। তুমি মেয়েকে এখুনি বিয়ে না দিয়ে ওদের কিছু দিন সময় দাও। তোমার মেয়ে তো ওকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তোমার মেয়ে অন্য জায়গায় কিন্তু সুখী হবে না, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করতে হবে।তা না হলে একসময় এই মেয়েরা বা ছেলেরাই আমাদের বাবা-মাকে বকা দিবে। যদি সুখী না পারে। ওরা নিজেরা যেহেতু ভালবাসে ওদের মতো একটা প্রাধান্য দিতে হবে কি বলো তুমি।


তখন ঐ রুম থেকে সাদিয়া ও চলে আসে। বলে যে বাবা আমি পারভেজকে অনেক বেশি ভালবাসি। ওর সাথেই থাকতে চাই। তুমিও আমাকে কিছুদিন পড়ার সুযোগ দেও। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আসলে সাদিয়া অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিল যার কারণে ও পড়াশোনা করতে চাইলো। তারপরে অন্য রুম থেকে সাদিয়ার মা চলে আসলো। বলল যে সাদিয়া আমাকে সকল কথা বলেছে। আমিও ওকে কিছুদিন সময় দিতে চাই।সাদিয়া অনেক ভালো মেয়ে ছিল। যার কারণে বাবা মায়ের আদরের মেয়ে তাই ও বাবা সাদিয়া কথা মেনে নেয়।সাদিয়ার বিয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে দেয়। তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে আপনাদের সাথে গল্পের বাকি অংশ শেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ।🙏🤲🙏


আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আসলে ছাদিয়া এবং পারভেজের ভালোবাসার মধ্যে কোন প্রকারের খাধ ছিল না। ওদের ভালোবাসাটা পবিত্র ছিল। আর এজন্যই সাদিয়ার বাবা তার মেয়ের সুখের কথা ভেবে সরকারি চাকরিজীবী ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বাদ দিয়ে দিয়েছিল। যাই হোক ভাই আপনার ভালোবাসা পূর্ণতা পর্ব দুই পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্ব পড়ার আশায় বসে রইলাম। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 64721.74
ETH 2633.86
USDT 1.00
SBD 2.82