নাটোরের গ্রীন ভ্যালি পার্কে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দময় ছিল। আসলে এই ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আমি খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। কারণ সেখানে আমি আমার বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করেছিলাম। আর এই নাটকের ভিতরে অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো ভালোভাবে উপভোগ করেছি। আসলে ভ্রমন করলে আমার অনেক ভালো লাগে, কারণ ভ্রমন করলে মনে অনেক ভালো হয়ে যায়। আর কোথাও ভ্রমন করলে সেই জায়গা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারা যায়। যার কারণে ভ্রমণ আমি খুবই পছন্দ করি। আর নাটোরে ভ্রমণ করার ফটোগ্রাফি গুলো করে ছিলাম।ভ্রমন করা সেই মুহূর্তগুলোর ফটোগ্রাফি করে রেখেছি, আপনাদের মাঝে তাই সেই অনুভূতি গুলো শেয়ার করতেছি। আজকে আবার আপনাদের মাঝে নাটোরে ভ্রমণ করার সেই মুহূর্তের কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আশা করছি এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

পার্কের ভিতর বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমি দূর থেকে দেখতে পেলাম একটি বিশাল বড় নাগরদোলা, আর এটি অনেক উঁচুতে। আসলে এখানে ওঠার খুব ইচ্ছা হল। তাই দূর থেকে দেখে আমি এই নাগারদোলার কাছে যেতে লাগলাম। আর দূর থেকে এটার ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল এর উপরে উঠলে উপর থেকে যেন নিচের দিকে তাকালে খুব ভয় লাগে। তারপরও আমি এখানে উঠলাম কারণ আমার ওঠার খুবই ইচ্ছা ছিলো।

তারপরে আরো একটি রাইডার ছিল, এই রাইডারে ওঠার জন্য টিকিট কাটতে হয়। প্রতি টিকিটের মূল্য ছিল ৫০ টাকা করে। আর এখানে টিকিট কাউন্টারের ভাস্কর আমার খুবই ভালো লেগেছে। ডাবের ভাস্কর্য, আর এটাই হলো টিকিট কাউন্টার। এই দৃশ্যটি দেখি খুবই ভালো লাগলো। আর এখানে ওঠার জন্য অনেক মানুষের ভিড়। আসলে বাচ্চারা এখানে বেশি ওঠে যার কারণে বাচ্চাদের ভিড়ে আমি উঠতেই পারছিলাম না। আমি তাই সেই দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।

পার্কের ভিতর আমার বেশি ভালো লাগে, চারপাশে সবুজ দৃশ্যগুলো। আসলে এই পার্কটি এত সুন্দর ভাবে সাজানো গোছালো, আর পাতাবাহারি গাছগুলো দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যার কারণে এই সবুজ দৃশ্য দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর সেখানে আমার বন্ধু হেঁটে যাচ্ছিল, তাই ওকে সহ আমি এই সবুজ দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করলাম।

পার্কের ভিতর একটি অপরূপ সুন্দরময় ভাস্কর্য রয়েছে। চারপাশে সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য, আর এই সবুজ প্রকৃতির মাঝে হরিণের মাথার ভাস্কর্য। সাদা হরিণের মাথার ভাস্কর্যটি দেখলেই যেন ভালো লাগে। অনেকেই আসে দেখলাম এখানে ফটোগ্রাফি করছে, তাই আমিও স্মৃতির পাতায় দৃশ্যটি রেখে দেওয়ার জন্য ফটোগ্রাফি করলাম।

আসলে আমি ঘোড়ায় চড়েছি অনেকবার, কিন্তু ঘোড়া নিয়ে এভাবে ছুটে চলা কখনো হয়নি,একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম সে ঘোড়ায় চড়ে অনেক ছুটে চলছে। আসলে মেয়েটি অনেক ছোট ছিল। তার সাহসটা দেখে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেছি। আর মেয়েটি কিন্তু ঘোড়ার মালিক মানুষ না। সেও কিন্তু আমাদের মত ভ্রমণ করতে এসেছে।১০০ টাকা দিয়ে উঠতে হয়। এত সুন্দর ভাবে ছুটে চলছিল দৃশ্যটি দেখে আমি অবাক হয়ে গেছিলাম।

পার্কের ভিতর সবুজ দৃশ্যগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যগুলো দেখলেই যেন মন অনেক ভালো হয়ে যায়। যার কারণে এই সবুজ দৃশ্যগুলো আমি বেশিরভাগই উপভোগ করতেছিলাম। আর পার্কের ভিতরে বিশাল জায়গা ছিলো, চারপাশের এই সবুজ দৃশ্যগুলো দেখে যেন আমি শেষ করতে পারছিলাম না। তাই এই সবুজ দৃশ্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করতেছিল। সেই মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি করে তাই স্মৃতির পাতায় রেখে দিয়েছি।আর তাই আপনাদের মাঝে এই ফটোগ্রাফি গুলো আজকে শেয়ার করলাম।